নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছে ছিল, বক্তব্যটা শেষ পর্যন্ত শোনার, কিন্তু পারা গেল না

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

ইচ্ছে ছিল, বক্তব্যটা শেষ পর্যন্ত শোনার, কিন্তু পারা গেল না

ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

লাগাতার মিথ্যাচার শুনতে কার ভালো লাগে? আমি পারি না। গত রাতে ইউটিউব লাইভে যখন দেখলাম ছাত্র জনতার বিশাল সমাগম ধানমন্ডির ৩২ নম্বরকে ঘিরে - তখন কৌতুহলবশতঃই ইউটিউব থেকে হাসিনার গতরাতের বক্তব্যটা খুঁজে বের করলাম এই উদ্দেশ্যে যে, তিনি আসলে এত দিন পরে কী বলতে চান, শুনে দেখি। ইচ্ছে ছিল বক্তব্যটা শেষ পর্যন্ত শোনারও। কিন্তু দুঃখিত, সেটা সম্ভব হয়নি। কিছুটা শুনেই বুঝতে কষ্ট হলো না, তার অভ্যাসগত মিথ্যাচার আগের মতই রয়ে গেছে। উস্কানিমূলক অপতথ্যও একটুও কমেনি।

দেশের মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার ভয়ানক যে রোগটি তার রক্তের সাথে মিশে আছে, সেখান থেকে তিনি একচুলও সরে এসেছেন বলে আদৌ মনে হলো না তার কথা শুনে। যাই হোক, ফলাফল বরাবরের মতই, ঠান্ডা মাথার এই ভয়ঙ্কর খুনীর বক্তব্যটা শেষ পর্যন্ত শোনা তো দূরের কথা, সামান্য একটু শুনেই আগ্রহটা হারিয়ে ফেললাম। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার মিছিলের দিকে মনযোগী হলাম। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, "আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ", "স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও", ইত্যাদি স্লোগানে গোটা ৩২ নম্বর এলাকাটাকে উৎসবমুখর করে রেখেছেন।

আসলে বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার অঙুলি হেলনে হাজারো মায়ের বুক খালি হয়েছে। হাজারো মানুষ আহত, নিহত এবং গুমের শিকার হয়েছেন। গোপন বন্দিশালায় বছরের পর বছর ধরে কত মায়ের সন্তান অমানবিক নির্যাতনে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়েছেন, তার হিসাব কে দিবে? যাদের সাথে কথা হয়, অধিকাংশ লোককেই বলতে শুনি, এত এত অন্যায় অপরাধের সামান্য প্রতিফল এই পৃথিবীতে তিনি পাবেন না, এটা হতেই পারে না। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট-বাজারে কোথাও কারও ভিতরে কোনো হা-হুতাশ দেখা যায় না। মনে হচ্ছে যেন, সাধারণ মানুষ জালিমের জুলূম, স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরে আনন্দিত, উৎফুল্ল। আপামর জনতার কাছে ঠিক যেন এটাই হওয়ার ছিল। বাংলাদেশী সকলের কাছে এটাই যেন তার প্রত্যাশিত পরিণতি।

তবে আমার কাছে খুবই আশ্চর্য্যের বিষয়, এতকিছু করার পরেও তার ভেতরে বিন্দু পরিমাণ অনুশোচনা, আফসোস বা অনুতাপ নেই। তিনি যেন এখনও দুধে ধোয়া তুলসি পাতা! তার নেতৃত্বে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা পাচার করে দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে দেওয়ার পরেও যেন তার কোনো দোষ নেই! এখনও তিনি নিজের কোনো ভুলই যেন খুঁজে পান না! তার ভেতরে আক্ষেপ এখন হয়তো একটাই- কেন বাংলাদেশকে ভারতের হাতে পুরোপুরি তুলে দিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্য করে দিতে পারলাম না! এই এক আফসোস নিয়েই হয়তো তিনি তার দিনরাত একাকার করে চলেছেন! অঙ্গরাজ্য বা করদরাজ্য করে ফেললে আজ ভারত সরাসরি বলপ্রয়োগে পরিস্থিতি হাসিনার পক্ষে রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারতো বলেই তার এই আফসোস।

একের পর এক ভূয়া/ ডামি নির্বাচন দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার পরেও তিনি যেন নিজের কোনো অন্যায়ই দেখতে পান না! দেশের মানুষের প্রতি এখনও আগের মতই বৃষ্টির মত বিদ্বেষ ঝাড়েন তিনি। এ দেশের মানুষকে আক্রমন করাই তার স্বভাব। তিনি অন্তর থেকে বাংলাদেশকে নয় বরং ভালোবাসেন ভারতকে। তার কথায়ও সেই স্বীকারোক্তি বিভিন্ন সময়ে পাওয়া গেছে। তিনি মিডিয়ার সামনে এমন স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন যে, ভারতকে যা দিয়েছি ভারত তা সারা জীবন মনে রাখবে। আর সর্বশেষ তার ভারতপ্রেমের বাস্তব প্রমান হলো, পৃথিবীর কোনো দেশ যখন তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তার প্রাণের প্রিয় ভারতই তাকে আশ্রয় দিয়েছে। সম্ভবতঃ এই কারণেই ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুড়িয়ে দেওয়ার পরে এখন লোকজনকে "আলহামদুলিল্লাহ" বলে শুকরিয়া আদায় করতে দেখা যাচ্ছে।

আসলে পার্শ্ববর্তী প্রভূ দেশের অদৃশ্য ইশারায় সাময়িক সময়ের জন্য ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে দম্ভ আর অহংকারে গা ভাসিয়ে দেওয়া গেলেও ঔদ্ধত্য আর মিথ্যাচার দিয়ে একটি জাতিকে দীর্ঘ দিন দাবিয়ে রাখা যায় না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের দামাল ছাত্র জনতা সেটাই প্রমান করে দেখিয়েছে। গুম, খুন, অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস, দলীয় ক্যাডার বাহিনী লালন, দেদার লুটপাট, অর্থপাচার, ব্যাংক দখল, ব্যবসা-বানিজ্যে সিন্ডিকেটবাজী, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, বিরোধীমত দলন, ভোটাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারে পরিণত করা - এসব করে যে স্বৈরাচারের শেষ রক্ষা হয় না - শেখ হাসিনা এই তল্লাটে তার জাজ্বল্যমান উদাহরণ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শুনে কী লাভ ওদের মুখ দিয়ে মিথ্যার দূর্গন্ধ বের হয় অবিরত।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। কৌতুহলবশতঃ শুনতে চেয়েছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি। মনে হয়েছে, তিনি স্বভাবসুলভ মিথ্যাচারের ব্যধিতে আক্রান্ত।

কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯

এ পথের পথিক বলেছেন: এই শেখের বেটির যন্ত্রণায় আমি নিউজ দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম । সারাদিন হুদায় চিল্লা পাল্লা করে । কাল মনে হল একটু ভিডিও দেখি কি বলে, আবার সেই কাহিনী শুরু। বিনামুল্যে বই দিয়েছি, মোবাইল ছিলনা, ইন্টারনেট ছিল না এটুকু শুনে আর শুনিনি । এ গীত সারা জীবন গেয়েই যাবে মনে হয় ।
যদিও ফেস দেখায়নি, আমার মনে হচ্ছে ক্ষমতা হারানোর বেদনায় চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে, কর্মি দেখলে হয়ত ভড়কে যেত অথবা সে মারা গেছে কর্মিরা এআই দিয়ে এসব করেছে ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



এই শেখের বেটির যন্ত্রণায় আমি নিউজ দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম ।

-আমার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ছিল বিগত বছরগুলোতে। কারণ, মিথ্যাচার শুনতে কষ্ট লাগতো।

বিনামুল্যে বই দিয়েছি, মোবাইল ছিলনা, ইন্টারনেট ছিল না এটুকু শুনে আর শুনিনি । এ গীত সারা জীবন গেয়েই যাবে মনে হয় ।

-মনে হচ্ছে, মোবাইল, ইন্টারনেট আর বিনামূল্যে বই তার বাপের টাকায় দিয়েছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকা হিসাব ছাড়া যে লুটেপুটে খেয়ে দেশটাকে বিপদের মুখে ফেলে গেছেন- তা বলবে কে? বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পাচারের প্রতিটি ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হয়। কারণ, পাচারকারী চক্র তার অঢেল অনুকম্পায় দেশের সম্পদ লুট করেছে। সুতরাং, তার কঠোর বিচার হতেই হবে। একমাত্র তাকে বিচারের আওতায় আনা হলেই যদি তার এই গীত গাওয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে। এ ছাড়া তার অনর্গল মিথ্যাচার, অপরিমেয় অহমিকা আর অকল্পনীয় দম্ভোক্তি বন্ধ হওয়ার আশা করা যায় না।

যদিও ফেস দেখায়নি, আমার মনে হচ্ছে ক্ষমতা হারানোর বেদনায় চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে, কর্মি দেখলে হয়ত ভড়কে যেত অথবা সে মারা গেছে কর্মিরা এআই দিয়ে এসব করেছে ।

-হাসালেন।

জাজাকুমুল্লাহ।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩

এ পথের পথিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই । তার পুরা শাসনামলের সারমর্ম তুলে ধরেছেন ।
আর যারা ৩২ কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করায় মায়াকান্না করছে তাদের কাছে হাজার হাজার মানুষের জীবনের চেয়ে এই একটি ইট বালুর স্থাপনা অনেক বড় ।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮

আরোগ্য বলেছেন: আমিও পুরাটা দেখিনি, হাফ দেখে টেনে শেষে এসে একটু শুনি। এতো সময়ের মধ্যে কিন্তু একটা কথা একদম সত্যি বলেছে তাই পুরাটা মিথ্যা বললে ভুল হবে। " আল্লাহ যখন বাচিয়ে রেখেছেন তবে নিশ্চয়ই আবার কিছু কাজ বাকি আছে, সেটুকু করার জন্য আল্লাহ বাচিয়ে রেখেছেন নইলে কেন বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেচে আসবো। " কথা ঠিক।। দেখা যাক হাসিনার শেষ পরিণতি কি আছে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি এখনো শুনি নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.