![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
জালিম ও জুলূমের পরিণতি: ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তি ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
জুলূম (অত্যাচার ও অবিচার) ইসলামে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহ তাআলা জালিমদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন এবং তাদের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন ভয়াবহ পরিণতির ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআন ও হাদিসে জুলুমের পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো:
১. জালিম ও জুলূমের ইহকালীন পরিণতি:
কুরআনের বাণী:
জালিমদের জন্য ইহকালীন জীবনে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি ও লাঞ্ছনার কথা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআ'লা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন:
فَقُطِعَ دَابِرُ الْقَوْمِ الَّذِينَ ظَلَمُوا ۚ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
"অতঃপর যালিম সম্প্রদায়ের মূলোৎপাটন করা হলো এবং সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।" -সূরা আল-আনআম, আয়াত ৪৫
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلًا عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ ۚ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الْأَبْصَارُ
"তুমি কখনো এ ধারণা করো না যে, জালিমরা যা করে আল্লাহ তা থেকে গাফেল। তিনি তাদেরকে শুধু এমন এক দিনের জন্য অবকাশ দিচ্ছেন, যেদিন চোখ স্থির হয়ে যাবে।" -সূরা ইবরাহিম, আয়াত ৪২
এই আয়াতটি জালিমদের জন্য আল্লাহর শাস্তির অনিবার্যতা ও ভয়াবহ পরিণতির প্রতি ইঙ্গিত করে।
فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ ۖ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الظَّالِمِينَ
"অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্যবাহিনীকে পাকড়াও করলাম এবং তাদেরকে সাগরে নিক্ষেপ করলাম। দেখো, জালিমদের পরিণতি কেমন হয়েছিল!" -সূরা আল-কাসাস, আয়াত ৪০
এই আয়াতগুলোতে জালিমদের ইহকালীন ধ্বংস ও লাঞ্ছনার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনীর ধ্বংস এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
হাদিসের বাণী:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
«اتَّقِ الظُّلْمَ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
"জুলুম থেকে বেঁচে থাকো, কারণ জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে দেখা দেবে।" -সহিহ মুসলিম
এই হাদিসে জুলুমের ভয়াবহতা ও ইহকালীন ও পরকালীন পরিণতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
২. পরকালীন পরিণতি:
জালিমদের জন্য পরকালে আরও ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।
কুরআনের বাণী:
وَسِيقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَىٰ جَهَنَّمَ زُمَرًا ۖ حَتَّىٰ إِذَا جَاءُوهَا فُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ آيَاتِ رَبِّكُمْ وَيُنْذِرُونَكُمْ لِقَاءَ يَوْمِكُمْ هَٰذَا ۚ قَالُوا بَلَىٰ وَلَٰكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ عَلَى الْكَافِرِينَ
"আর যারা কুফরি করেছে, তাদেরকে দলবদ্ধভাবে জাহান্নামের দিকে নেওয়া হবে। যখন তারা সেখানে পৌঁছবে, তখন তার দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং তার রক্ষীরা তাদের বলবে, 'তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের রবের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করতেন এবং এই দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করতেন?' তারা বলবে, 'হ্যাঁ, অবশ্যই।' কিন্তু কাফিরদের উপর শাস্তির হুকুম সত্যে পরিণত হয়েছে।" -সূরা আশ-শুরা, আয়াত ৪৫
وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً ۖ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
"তোমরা সেই ফিতনা থেকে বেঁচে থাকো, যা কেবল তোমাদের মধ্যে যারা জালিম তাদেরই আক্রান্ত করবে না। আর জেনে রাখো, আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।" -সূরা আল-আনফাল, আয়াত ২৫
হাদিসের বাণী:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
«إِنَّ اللَّهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ»
"নিশ্চয় আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দেন, কিন্তু যখন তাকে পাকড়াও করেন, তখন তাকে ছাড়েন না।" -সহিহ বুখারি ও মুসলিম
এই হাদিসে জালিমদের জন্য আল্লাহর শাস্তির অনিবার্যতা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
৩. জুলুমের ধরণ ও তার পরিণতি:
জুলুম বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পেতে পারে, যেমন:
আল্লাহর বিরুদ্ধে জুলুম: শিরক করা, আল্লাহর বিধান অমান্য করা।
মানুষের বিরুদ্ধে জুলুম: অন্যায়ভাবে মানুষের অধিকার হরণ করা, হত্যা করা, সম্পদ দখল করা ইত্যাদি।
নিজের বিরুদ্ধে জুলুম: গুনাহের মাধ্যমে নিজের আত্মার ক্ষতি করা।
প্রত্যেক ধরনের জুলুমের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ
"নিশ্চয় শিরক মহা জুলুম।" -সূরা লুকমান, আয়াত ১৩
৪. অতীতের অবাধ্য জাতিগুলোর ধ্বংস:
কুরআনে অতীতের অনেক অবাধ্য জাতির ধ্বংসের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেরাউন, নমরুদ, আদ ও সামুদ জাতি।
ফেরাউনের ধ্বংস:
ফেরাউন ছিল একজন অত্যাচারী শাসক, যে নিজেকে আল্লাহ বলে দাবি করত এবং বনি ইসরাইলকে নির্যাতন করত। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.)-কে পাঠিয়ে তাকে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু ফেরাউন অবাধ্য হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাকে ও তার সৈন্যবাহিনীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে ধ্বংস করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُ بَغْيًا وَعَدْوًا ۖ حَتَّىٰ إِذَا أَدْرَكَهُ الْغَرَقُ قَالَ آمَنتُ أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا الَّذِي آمَنَتْ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ
আর বনী-ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোন মা’বুদ নেই তাঁকে ছাড়া যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈলরা। বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। -সূরা ইউনুস, আয়াত ৯০
آلْآنَ وَقَدْ عَصَيْتَ قَبْلُ وَكُنتَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ
এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। -সূরা ইউনুস, আয়াত ৯১
فَالْيَوْمَ نُنَجِّيكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُونَ لِمَنْ خَلْفَكَ آيَةً ۚ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ عَنْ آيَاتِنَا لَغَافِلُونَ
অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না। -সূরা ইউনুস, আয়াত ৯২
নমরুদের ধ্বংস:
নমরুদ ছিল একজন অহংকারী শাসক, যে ইবরাহিম (আ.)-এর সাথে বিতর্ক করেছিল এবং আল্লাহর ক্ষমতাকে অস্বীকার করেছিল। আল্লাহ তাআলা তাকে একটি ক্ষুদ্র পোকা দ্বারা শাস্তি দেন, যা তার মস্তিষ্কে প্রবেশ করে তাকে ধ্বংস করে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ أَنْ آتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ ۖ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে যে, আল্লাহ সে ব্যাক্তিকে রাজ্য দান করেছিলেন? ইব্রাহীম যখন বললেন, আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন, নিশ্চয়ই তিনি সুর্যকে উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে এবার তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর। তখন সে কাফের হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ প্রদর্শন করেন না। -সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৮
আদ ও সামুদ জাতির ধ্বংস:
আদ ও সামুদ জাতি ছিল অত্যাচারী ও অবাধ্য। তারা আল্লাহর নবীদের অবাধ্য হয়েছিল এবং তাদের উপর আল্লাহর শাস্তি নেমে এসেছিল। আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল প্রচণ্ড ঝড় দ্বারা, আর সামুদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল ভূমিকম্প ও ভয়ানক শব্দ দ্বারা। আল্লাহ তাআলা বলেন:
كَذَّبَتْ ثَمُودُ وَعَادٌ بِالْقَارِعَةِ
আদ ও সামুদ গোত্র মহাপ্রলয়কে মিথ্যা বলেছিল।
فَأَمَّا ثَمُودُ فَأُهْلِكُوا بِالطَّاغِيَةِ
অতঃপর সমুদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয় দ্বারা।
وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُوا بِرِيحٍ صَرْصَرٍ عَاتِيَةٍ
এবং আদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচন্ড ঝঞ্জাবায়ূ,
سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا فَتَرَى الْقَوْمَ فِيهَا صَرْعَىٰ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ
যা তিনি প্রবাহিত করেছিলেন তাদের উপর সাত রাত্রি ও আট দিবস পর্যন্ত অবিরাম। আপনি তাদেরকে দেখতেন যে, তারা অসার খর্জুর কান্ডের ন্যায় ভূপাতিত হয়ে রয়েছে।
فَهَلْ تَرَىٰ لَهُم مِّن بَاقِيَةٍ
আপনি তাদের কোন অস্তিত্ব দেখতে পান কি? -সূরা আল-হাক্কাহ, আয়াত ৪-৮
৫. জালিমদের জন্য আল্লাহর সতর্কবাণী:
আল্লাহ তাআলা জালিমদের জন্য কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন এবং তাদেরকে তাওবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন:
ذَٰلِكَ أَنْ لَمْ يَكُنْ رَبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرَىٰ بِظُلْمٍ وَأَهْلُهَا غَافِلُونَ
"এটা এ কারণে যে, তোমার রব এমন নন যে, জনপদগুলিকে জুলুম করে ধ্বংস করবেন, অথচ তাদের অধিবাসীরা গাফেল।" -সূরা আল-আনআম, আয়াত ১৩১
৬. উপসংহার:
জালিম ও জুলূমের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ইহকালীন জীবনে জালিমরা লাঞ্ছনা ও ধ্বংসের শিকার হয় এবং পরকালে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠোর শাস্তি। তাই আমাদের উচিত জুলুম থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা এবং আল্লাহর বিধান মেনে চলা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জুলুমের ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা করুন এবং ন্যায়পরায়ণ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, এটাই সত্য। এই সত্যই আজ বাংলাদেশের মানুষের সামনে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মূ্ল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভাইসাহেব, ধর্মীয় পোষ্টে মানুষের আগ্রহ নেই।
খেয়াল করে দেখুন মন্তব্য নাই।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
শুধুমাত্র মানুষের আগ্রহের জন্যই সবকিছু লেখা হয়, বিষয়টা আসলে এমন নয়। একজন লেখকের কাছে লেখা তার মনের খোরাক, আত্মার প্রকাশ। এই ব্লগটি আমাদের কাছে একটি ভার্চুয়াল ডায়েরির মতো, যেখানে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চিন্তা-চেতনা, ভাব-ভাবনা, আত্মপরিচয় এবং আত্মোপলব্ধিকে শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলি। এটি আমাদের জন্য একটি ভার্চুয়াল দর্পনও বটে, যেখানে আমাদের ভাবনার প্রতিচ্ছবি প্রকাশ পায়।
আমি যদি ভুল না করে থাকি, এই ব্লগে এমন অনেকেই আছেন, যারা ধর্মীয় বিধি-বিধান, অনুশীলন ও অনুকরণকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে থাকেন এবং সঙ্গত কারণে এই বিষয়ক লেখাগুলো তাদের ভালো লাগে। তাদের কাছে এসব লেখা দরকারি এবং উপকারীও বটে। পক্ষান্তরে, এই ব্লগে হাতে গোনা মুষ্টিমেয় সংখ্যক লোক এমন আছেন, যাদের কাছে ধর্মীয় পোস্ট ভালো না লাগতেই পারে। তারা এই ধরণের পোস্ট সযত্নে এড়িয়েও যেতে পারেন।
আশা করি, আপনি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন, ভাইসাহেব। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।