নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজাদারের দোয়া: নিশ্চিত কবুলিয়াতের সুযোগ

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৯

রোজাদারের দোয়া: নিশ্চিত কবুলিয়াতের সুযোগ

ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃৃহিত।

রমজান মাস অফুরন্ত কল্যাণ ও বরকতের মাস। এই মাসে রোজাদারের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। রমজান কেবল ইবাদতের বিশেষ মৌসুম নয়, বরং দোয়ারও এক অতুলনীয় উপলক্ষ। পবিত্র কুরআনে রমজান ও সিয়ামের আলোচনা এসেছে, আর সেই আলোচনার ধারাবাহিকতায় আল্লাহ তাআলা দোয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। এটি রোজাদারের দোয়া কবুল হওয়ার এক স্পষ্ট ইঙ্গিত।

রোজাদারের দোয়ার গুরুত্ব

আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۭ أُجِيبُ دَعْوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِ ۖ فَلْيَسْتَجِيبُوا۟ لِى وَلْيُؤْمِنُوا۟ بِى لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ

"আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, (তাদের বলো,) আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, আমি তাদের প্রার্থনা কবুল করি, যখন তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে।"(সুরা আল-বাকারা: ১৮৬)

তাফসিরকারকদের মতে, রোজার আলোচনার ধারাবাহিকতায় এই আয়াত প্রমাণ করে যে, রোজাদারের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ বিষয়ে বলেন:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمْ: الإِمَامُ الْعَادِلُ، وَالصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ، وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ.

“তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, রোজাদারের দোয়া (যতক্ষণ না সে ইফতার করে) এবং মজলুম ব্যক্তির দোয়া।”(তিরমিজি: ২৫২৬)

রোজাদারের জন্য বিশেষ পুরস্কার

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন:

كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصِّيَامَ، فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ.

“আদম সন্তানের সমস্ত আমল তার জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য, এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।”(সহিহ বুখারি: ১৯০৪, সহিহ মুসলিম: ১১৫১)

অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:

إِنَّ لِلصَّائِمِ عِندَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ.

“নিশ্চয়ই, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না।”(ইবনে মাজাহ: ১৭৫৩, বাইহাকি: ৩৪৩৭)

দোয়ার বিশেষ সময়

রমজানে দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো হলো:

১. ইফতারের পূর্বমুহূর্তে – এই সময় রোজাদারের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়।
২. শেষ তৃতীয়াংশে (সাহরির সময়) – এ সময় আল্লাহ তাআলা বান্দাদের ডাকেন এবং তাদের দোয়া কবুল করেন। রাসুল (সা.) বলেন:

يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ، فَيَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ؟

“প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মহান রব দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: কে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে কিছু চাইবে? আমি তাকে তা দান করব। কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।”(সহিহ বুখারি: ১১৪৫, সহিহ মুসলিম: ৭৫৮)

৩. তারাবির নামাজের পর – এটি দোয়ার উত্তম সময়।
৪. ফরজ নামাজের পর – নামাজ শেষে দোয়া আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
৫. কুরআন তেলাওয়াতের পর – এটি দোয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়।

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়ার আহ্বান

আল্লাহ তাআলা বলেন:

يَا عِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

“হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই, আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করেন। তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”(সুরা আজ-জুমার: ৫৩)

উপসংহার

রমজান মাস আমাদের জন্য দোয়া কবুলের এক অনন্য সুযোগ। এই মাসে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত—নিজের জন্য, পরিবার-পরিজনের জন্য, উম্মাহর জন্য, সমগ্র বিশ্ববাসীর হেদায়েতের পথপ্রাপ্তির জন্য। আমরা যেন দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই পবিত্র মাসের বরকত অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমিন।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আমিন। আল্লাহ তাআ'লা আপনার দোআ কবুল করুন।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন স্যার-
দোয়ায় কোনো কাজ হয় না।
কাজ হবে পরিশ্রম করলে। কঠোর পরিশ্রম করলেই সফলতা পাবেন।

যদি দোয়ায় কাজ হতো- তাইলে শুধু মাত্র বাপ মায়ের দোয়ায় সন্তান ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পাইলট হয়ে যেতো।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথার সারকথা হচ্ছে—শুধু দোয়া করলেই সব পাওয়া যায় না, কঠোর পরিশ্রমও প্রয়োজন। এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার কিছু নেই। ইসলামও সেটাই বলে। তবে আপনি যেটা বুঝতে পারেননি, তা হলো—পরিশ্রম এবং দোয়া একে অপরের পরিপূরক।

প্রথমত, ইসলাম মানুষকে শুধু দোয়ায় বসে থাকার শিক্ষা দেয়নি, বরং কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে:

وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَانِ إِلَّا مَا سَعَىٰ
"মানুষের জন্য ততটুকুই আছে, যতটুকু সে চেষ্টা করে।" (সুরা নাজম: ৩৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও শুধু দোয়া করে বসে থাকেননি, বরং কঠোর পরিশ্রম করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, কৌশল গ্রহণ করেছেন।

দ্বিতীয়ত, দোয়া মানে অলৌকিকভাবে কিছু আশা করা নয়। দোয়া হলো মানসিক শক্তির উৎস। যখন কেউ দোয়া করে, তখন তার ভেতরে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, মনোবল দৃঢ় হয়, এবং সে তার কাজে আরও মনোযোগী হয়। আপনি যখন কোনো কাজে সফল হতে চান, তখন মনোবল কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা নিশ্চয়ই বোঝেন?

তৃতীয়ত, আপনি বলছেন—বাবা-মায়ের দোয়ায় সন্তান ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে পারত। কিন্তু দোয়া কোনো ম্যাজিক নয়, দোয়া হলো পথচলার জন্য মানসিক শক্তি আর বরকত চাওয়া। বাবা-মায়ের দোয়া সন্তানকে সঠিক পথে চালিত করে, তার জন্য শুভ কামনা করে, যা তাকে সফল হওয়ার শক্তি জোগায়। কিন্তু সেই সন্তান যদি নিজে পরিশ্রম না করে, তাহলে দোয়া তার জন্য কোনো কাজ করবে না।

সংক্ষেপে, ইসলাম শুধু দোয়ার ওপর নির্ভর করতে বলে না, বরং দোয়ার পাশাপাশি চেষ্টা করতেও বলে। তাই দোয়াকে অকার্যকর বলা আসলে ধর্মীয় জ্ঞানহীনতা এবং বাস্তবতা না বোঝার নামান্তর।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু দোয়া নয়, আমল করলেও লাভ নাই। দোয়া আমল এগুলো স্রেফ ফালতু কথা।
এমনকি রিজিক। আপনার রিজিক আপনার ঘরে চলে আসবে না। আপনাকে কাজ করতে হবে। মাস শেষে সেলারি পাবেন। তারপর খাবেন। এখন যদি মনে করেন আল্লাহ রিজিকের মালিক। আর আপনি হাত পা নিয়ে চুপ করে বসে থাকেন- তাহলে না খেয়ে থাকতে হবে। আসল রিজিক হচ্ছে পরিশ্রম। কাজ।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথার প্রথম অংশই আসলে ইসলামের শিক্ষা—পরিশ্রম ছাড়া কিছুই মেলে না। কিন্তু আপনি যে ভুলটা করছেন, তা হলো "রিজিক" মানে শুধু টাকা-পয়সা ভাবছেন।

রিজিক মানে শুধু উপার্জন নয়, সুযোগ, স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, দক্ষতা, মনোবল—এসবও রিজিক। আপনি পরিশ্রম করতে পারছেন, এটাই তো আল্লাহর দেওয়া রিজিক! অনেক মানুষ আছে, যারা চাইলেও কাজ করতে পারে না—শারীরিক বা মানসিক কারণে।

রাসুল (সা.) বলেছেন:
"যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করতে, তাহলে তিনি তোমাদের সেইভাবে রিজিক দিতেন, যেমনটি তিনি পাখিদের দিয়ে থাকেন। তারা সকালে খালি পেটে বের হয়, আর সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে।" (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৪৪)

পাখিরা কিন্তু গাছের ডালে বসে থাকে না, তারা খাবারের সন্ধানে বের হয়—এটাই শিক্ষা। কাজ তোমাকে করতেই হবে, তবে সুযোগ তৈরি করা, সঠিক পথে চালিত করা, সফলতার দরজা খুলে দেওয়া—এসবই আল্লাহর হাতে। তাই শুধু পরিশ্রমই নয়, বরকতের জন্য দোয়া-আমলও জরুরি।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ ইতানরে হিদায়াত দান করুন। যদিও ইতানতের বুকে সীল মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ।

সুন্দর পোস্ট।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



হিদায়াত দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছা। তবে কার বুকে সীল মোহর লেগেছে আর কে হিদায়াত পাবে—এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা শুধু ভালো কথার দাওয়াত দিতে পারি, বাকিটা আল্লাহর হাতে।

আপনার দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

অগ্নিবাবা বলেছেন: প্রতি রাত্রে শেষ তৃতীয়াংশে যদি আল্লাহ আরশ থেকে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন, তাহলে আল্লাহ তার আরশে ফেরত যান কখন?
পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে আলাদা আলাদা রাতের শেষ তৃতীয়াংশ হয়, যার মানে এক মুহূর্তেও পৃথিবীর কোথাও না কোথাও রাতের শেষ তৃতীয়াংশ থাকছে। তাইলে কেম্নে কি? আল্লাহ কি সংখায় অনেক?

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রশ্নটি আল্লাহর সিফাত (গুণ) ও তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে সীমাবদ্ধ মানবিক ধারণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। আল্লাহ সময়, স্থান ও সৃষ্টি থেকে ঊর্ধ্বে। তিনি আমাদের মতো সময় ও স্থানের অধীন নন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বুঝানোর জন্য সহজ ভাষায় হাদিস বলেছেন, তবে আল্লাহর 'নামা' বা 'আরশ থেকে আসা' বিষয়টি আমাদের জাগতিক ওঠানামার মতো বোঝা যাবে না। এটি তাঁর রহমত ও কুদরতের বিশেষ প্রকাশ। আল্লাহর কোনো অংশ পৃথক হয় না, তিনি এক ও অদ্বিতীয়।

এটি বুঝতে হলে প্রথমে আল্লাহর সত্তাকে মানুষ বা সৃষ্টি দ্বারা পরিমাপ করার ভুল ধারণা থেকে বের হতে হবে। যেমন, সূরা শূরা ১১-তে আল্লাহ নিজেই বলেছেন:

لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌۖ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ

"তার মত কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" -সুরা শূরা: ১১

তাই আমাদের দায়িত্ব আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) যা বলেছেন, তা বিনা বিতর্কে মেনে নেওয়া এবং অহেতুক তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলা।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

চাষী২০২৫ বলেছেন:



বাংলা ক্যালেন্ডার আল্লাহ কি জানেন? বাংলা ক্যালেন্ডারের কোন কোন মাসে রহমত বর্ষিত হয়?

১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মতো মানুষের জন্যই আল্লাহ বলেন:

وَإِذَا خَاطَبَهُمُ ٱلْجَٰهِلُونَ قَالُوا۟ سَلَٰمًۭا
"আর যখন মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলে, তখন তারা বলে: সালাম।" (সুরা আল-ফুরকান: ৬৩)

বাংলা ক্যালেন্ডার হোক, হিজরি ক্যালেন্ডার হোক, অথবা যেকোনো সময়চক্র—সমস্ত সময় ও সৃষ্টিজগতের মালিক আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ কোনো নির্দিষ্ট মাস বা ক্যালেন্ডারের জন্য রহমত বর্ষণ করেন না, বরং উচিত সময়ে ও সঠিক জায়গায় তিনি তাঁর রহমত বর্ষণ করেন।

রমজান মাসে রহমত বর্ষিত হয়—এটি কোরআন ও হাদিস দ্বারা সুপ্রমাণিত। তাই আপনি বাংলা ক্যালেন্ডারের মাস ধরে রহমত খোঁজার হাস্যকর প্রচেষ্টা না করে বরং হিদায়াতের জন্য দোয়া করুন, যাতে আপনি সত্য বুঝতে পারেন।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

নতুন বলেছেন: ১. ইফতারের পূর্বমুহূর্তে – এই সময় রোজাদারের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়।
২. শেষ তৃতীয়াংশে (সাহরির সময়) – এ সময় আল্লাহ তাআলা বান্দাদের ডাকেন এবং তাদের দোয়া কবুল করেন।
৩. তারাবির নামাজের পর – এটি দোয়ার উত্তম সময়।
৪. ফরজ নামাজের পর – নামাজ শেষে দোয়া আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
৫. কুরআন তেলাওয়াতের পর – এটি দোয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়।

এতো দোয়া কবুলের সময় আছে্। প্রতিশ্রুতি আছে।

কিন্তু আমরা দরিদ্র, নিপিড়িত, অসুস্থ, কস্টে থাকা দুনিয়ার এতো মানুষ আছে যাদের দোয়া কবুল হয়বার কোন প্রমান কোথাও দেখা যায় না কেন?

ফিলিস্থিনে কি ১ জন মুসলমান নাই যারা দোয়া কবুল হবার মতন সম্ভবব্য সময়ে ফিলিস্থিনিদের এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য দোয়া করে নাই?

গত ১০০ বছরে প্রায় ১ লক্ষের উপরে মানুষ হত্যা করলো ইসরাইলিরা, তাদের মাঝে শিশুই হবে প্রায় ২০ হাজারের বেশি।

আর যদি করে থাকে তবে কেন সৃস্টিকর্তা সেটা কবুল করছেন না?

১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রশ্নটি আবেগপ্রবণ এবং স্পষ্টতই দুঃখবোধ থেকে এসেছে, যা স্বাভাবিক। তবে, আল্লাহর পরিকল্পনা এবং দোয়া কবুল হওয়ার মূল বিষয়টি বোঝার জন্য গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

১. **দোয়া মানেই সঙ্গে সঙ্গে ফল পাওয়া নয়**
দোয়া তিনভাবে কবুল হয়—
- **সঙ্গে সঙ্গে কবুল হয়।**
- **পরবর্তীতে আরও ভালো কিছুর মাধ্যমে কবুল হয়।**
- **দুনিয়াতে না দিয়ে, আখিরাতে আরও বড় পুরস্কার দেওয়া হয়।**

রাসুল (সা.) বলেছেন:
**"যে ব্যক্তি দোয়া করে, তার জন্য তিনটি ফলের একটি অবশ্যই নির্ধারিত হয়— হয় তার চাওয়া পূরণ করা হয়, নয়তো তার জন্য কোনো বিপদ দূর করা হয়, অথবা এটি তার জন্য আখিরাতের সঞ্চয় হয়ে থাকে।"** (মুসনাদ আহমদ)

২. **পরীক্ষা এবং ইবতিলা (পরীক্ষা নেওয়া)**
ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমরা **পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যেমন অতীতে নবী-রাসুলরাও গিয়েছিলেন।**
- **মুসা (আ.)-এর অনুসারীদের ফেরাউন দাস বানিয়েছিল, তবুও তারা ঈমান হারায়নি।**
- **রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবিদের মক্কায় নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল, তবু তাঁরা ধৈর্য ধরেছিলেন।**

৩. **ফিলিস্তিনের বিপদ কি মুসলিম উম্মাহর উদাসীনতার কারণে নয়?**
**আমাদের কাজ ও ইখলাসের অভাবের কারণে আল্লাহর সাহায্য দেরিতে আসতে পারে।**
**দোয়া একা যথেষ্ট নয়, সাথে আমল ও প্রচেষ্টাও প্রয়োজন।**
- আমরা কি **ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করছি?**
- আমরা কি **নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠছি?**

**কেবল দোয়ার উপর নির্ভর করে বসে থাকা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নয়। দোয়ার পাশাপাশি আমাদের নিজেদের কর্তব্য পালন করতে হবে।**

৪. **ইসরাইলের দোয়া তাহলে কবুল হচ্ছে কেন?**
অনেকেই বলে, "তাহলে ইসরাইলিরা দোয়া না করেও কেন জয়ী হচ্ছে?"
- **আল্লাহ শুধু মুসলিমদের নয়, সবার পরীক্ষা নেন।**
- **ইহুদিদের জুলুম ও দখলদারিত্ব তাদের পরীক্ষা।**
- **আল্লাহ কখনো জালিমকে ছেড়ে দেন, কিন্তু চিরকাল ছেড়ে দেন না।**

**"আর জালিমদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।"** (সুরা ইব্রাহিম: ৪২)

**মূল কথা:**

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১০

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ একটা কাল্পনিক বিষয়।আপনার কল্পনা যা যা পারে আল্লাহ তাই পারেন।আপনি যা কল্পনা করতে পারেন না আল্লাহ সেটা করতে পারে না।মানুষ আর আল্লার মাঝে কোন পার্থক্য নাই।

১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আপনি আল্লাহকে কল্পনার সৃষ্টি মনে করছেন, অথচ সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কল্পনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেওয়া নিজেই একটি অসংগতিপূর্ণ যুক্তি।

আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সীমিত, আর তিনি স্বয়ং নির্দিষ্ট করেছেন—‘তোমরা আমাকে যেমন জান, আমি তার থেকেও মহিমান্বিত।’ -সহিহ বোখারি

আপনি বলছেন, ‘মানুষ যা কল্পনা করতে পারে না, আল্লাহ তা পারেন না।’ অথচ এটি সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা। আল্লাহ তাআলা সর্বশক্তিমান এবং সৃষ্টির সব সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে। মানুষের চিন্তাশক্তি সীমাবদ্ধ, কিন্তু আল্লাহ সীমাহীন। কোরআনে বলা হয়েছে—

لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ

“তাঁর সমতুল্য কিছুই নেই। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” -সুরা শূরা: ১১

আপনি কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ আছেন, কিন্তু আল্লাহ তাআলা কল্পনার বাইরে, কারণ তিনি কল্পনারও সৃষ্টিকর্তা। এই মহাবিশ্ব, সময়, স্থান, পদার্থ—সবকিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন।

মানুষ আর আল্লাহর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই—এ কথা সম্পূর্ণ ভুল। মানুষ সৃষ্টি, আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা। মানুষ ক্ষণস্থায়ী, আল্লাহ চিরস্থায়ী। মানুষ দুর্বল, আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

আপনার সন্দেহ থাকতেই পারে, তবে অনুরোধ করব—নিজের বুদ্ধি ও যুক্তিকে সত্যের সন্ধানে ব্যবহার করুন। কারণ সত্য কখনোই কল্পনা হতে পারে না, আর আল্লাহই একমাত্র পরম সত্য।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:০৩

অগ্নিবাবা বলেছেন: জানা যায় না, দেখা যায় না, বোঝা যায়, ধরা যায় না, খাওয়া যায় না তাইলে ওডি দিয়ে আমি কি করুম?

১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, আপনি কেবলমাত্র দেখার, ছোঁয়ার বা খাওয়ার মতো বস্তুকেই বাস্তব বলে মানেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—সব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কি চোখে দেখা যায়?

ভালোবাসা দেখা যায় না, কিন্তু আমরা সবাই অনুভব করি।
বিবেক, বুদ্ধি বা চিন্তাশক্তি ধরা যায় না, কিন্তু এগুলো ছাড়া মানুষ অচল।
বাতাস দেখা যায় না, কিন্তু এর অস্তিত্বে কোনো সন্দেহ নেই।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ধরা যায় না, কিন্তু এ কারণেই আমরা মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি।
আল্লাহ তাআলা বস্তুজগতের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। তিনি চিরন্তন, অসীম ও মহান সত্তা। আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে তাঁকে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়, তবে আমরা তাঁর সৃষ্টি ও নিদর্শনগুলো দেখে তাঁর অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারি।

আপনার প্রশ্নটা এমন, যেন কেউ বলছে—'বাতাস দেখা যায় না, তাই আমি ওটা দিয়ে কী করব?' অথচ বাতাস ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচা যায় না। তাই দেখা না গেলেও, ধরা না পড়লেও, আল্লাহর অস্তিত্ব বাস্তব এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাসই প্রকৃত জ্ঞানীর পরিচয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.