নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৯

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?

পলায়নপর ছবি কৃতিত্ব এআই

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের দাবি, তারা কোনো অপরাধে জড়িত নন। পলাতক হাসিনার মুখেও এই কথা শোনা গেছে যে, আমার দোষটা কোথায়? প্রশ্ন হচ্ছে, তারা যদি দোষীই না হয়ে থাকেন, তাহলে কেন তারা জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাহস না দেখিয়ে পালিয়ে গেলেন? এই প্রশ্ন বাংলাদেশের জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের দুঃশাসনের কারণে সৃষ্ট জনরোষের তীব্রতা আর দেশবাসীর অপরিমেয় ক্ষোভই তাদের পলায়নের পেছনে প্রধান কারণ। এর সাথে আরও কিছু কারণ রয়েছে যা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো:

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া গণ-অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে শত শত মানুষ নিহত হন, যার জন্য জনগণ আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে। শেখ হাসিনার বাসভবন (গণভবন), আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং নেতাদের বাড়িঘরে জনতার হামলা ও লুটপাটের ঘটনা স্পষ্ট করে দেয় যে আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণের কাছে কতটা অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন। এই ভয়াবহ জনরোষের মুখে তারা পালিয়ে যাওয়াকেই নিরাপদ মনে করেছেন। তাদের এই পলায়ন জনগণের কাছে তাদের দুর্বলতা এবং অপরাধবোধের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এবং আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সরকারি সম্পদ লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করতে শুরু করেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। আওয়ামী লীগের নেতারা জানতেন যে তাদের শাসনামলে জনগণের উপর চালানো বহুমাত্রিক ও পৈশাচিক নির্যাতন এবং অর্থনৈতিক শোষণের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর বিচারের কারণ হতে পারে। এমনকি যারা সরাসরি দোষী নন, তারাও ভয় পেয়েছিলেন যে তারা ন্যায়বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হবেন। ফলে, তারা ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা অন্যান্য দেশে পালিয়ে যান।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী, ব্যাপক দমন-পীড়নের শিকার হয়। হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং মামলার মুখোমুখি করা হয়। বিরোধী মতের শত শত লোককে গুম করা হয়। আয়নাঘর নামে বিরোধীদের দমনে বিশেষ নির্যাতনের পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়। ২০২৪ সালে হাসিনার পতনের পর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পান এবং জামায়াতে ইসলামীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের নেতারা আশঙ্কা করেছিলেন যে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রুরা এখন ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নেবে। এই ভয় তাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। জনগণের কাছে তাদের এই পলায়ন প্রমাণ করে যে তারা তাদের অতীত কর্মের ফল ভোগ করতে ভয় পাচ্ছিলেন।

গণ-আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ে এবং দলটি জনগণের সমর্থন হারায়। দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জনগণের উপর নির্যাতনের কারণে আওয়ামী লীগ নেতারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নেতার বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে তারা বুঝতে পারেন যে বাংলাদেশে তাদের আর নিরাপদ আশ্রয় নেই। জনগণের এই তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়ে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, যা জনমনে তাদের দায়িত্ব এড়ানোর প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা নিজে ভারতে আশ্রয় নেন, এবং অনেক আওয়ামী লীগ নেতা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং হাসিনার ভারতপ্রীতি তাদের জন্য ভারতকে একটি নিরাপদ গন্তব্য করে তুলেছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, আবার কেউ নতুন করে সেখানে জীবন শুরু করার চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন যে তার মা রাজনীতিতে ফিরবেন এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করবেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু নেতা বিদেশ থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে, জনগণের কাছে এই পলায়ন তাদের জনগণের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে পিছু হটার স্পষ্ট প্রমাণ।

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি ধোয়া তুলসি পাতা হতেন, সত্যিই যদি নির্দোষ হতেন, তাহলে কেন তারা জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন না? কেন তারা বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখালেন না? জনগণের তীব্র ক্ষোভ, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও নির্যাতনের অভিযোগ, এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভয় তাদের পালাতে বাধ্য করেছে। তাদের এই পলায়ন শুধু তাদের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং তাদের অতীত কর্মের ফল এড়ানোর একটি কৌশল। জনগণের কাছে এটি স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়েছেন। তাদের পলায়ন বাংলাদেশের জনগণের বিজয় এবং আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয়ের প্রতীক।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যিনি বিবাহ পড়িয়েছেন, নামাজ পড়িয়েছেন সেগুলোও শত কোটি টাকার নালিক। এইজন্য তারা মসজিদে গেঞ্জাম করেছিলো। সঠিক ভাবে বিচার করতে পারলে সবার জন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ইসলামে বিচার-ব্যবস্থা ন্যায়পরায়ণতা, সত্যনিষ্ঠা ও প্রমাণের ভিত্তিতে হওয়া আবশ্যক। ওদের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগের সঠিক ও নির্মোহ তদন্ত প্রয়োজন। এতে করে প্রমাণসাপেক্ষে এই লুটেরা পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা যাবে।

মসজিদ আর মাদরাসা বলতে কিছু নেই, ওরা যেখানে গিয়েছে সেখানেই লুটপাট করেছে। টাকার পাহাড় গড়েছে। হাসিনার ঘরের কাজের লোকও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে, যা হাসিনা নিজেই গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি কি মহাজাগতিক চিন্তার লেখা পড়েন ? উনার লিখিত বিষয়বস্তুর ব্যাপারে কি আপনি একমত?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মাঝে মাঝে পড়ি। তিনি একাধারে একজন কবি, দার্শনিক এবং লেখক। আমার পছন্দের মানুষ। ভালো লিখে থাকেন তবে তার কিছু কিছু কথার সাথে একমত না হতে পারা হয়তো আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। যেমন, তার গতকালকের পোস্টে তিনি বলেছেন যে, ফিকাহ হওয়ার জন্য আমিরের অনুমোদনের দরকার আছে। তার এই কথাটা আমি ক্লিয়ার নই। আমির বলতে তিনি কাদেরকে বুঝাতে চেয়েছেন, এটা জানতে পারলে ভালো হতো।

আমি যতটুকু জানি, ইসলামি শরিয়ার বিধানাবলি মূলত কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা (ঐকমত্য) ও কিয়াস (সাদৃশ্যতা) থেকে উদ্ভূত। ফিকহি বিধান প্রণয়নের মূল দায়িত্ব মুজতাহিদ আলিমদের (ইসলামি আইনবিদ), যারা শরিয়ার উৎস থেকে বিধান বের করেন। এখানে শাসক বা আমিরের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই বলেই জানি, তবে শরিয়া বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন হতে পারে।

সাধারণ ইজতিহাদি (আইনগত গবেষণা) বিষয়ে আলিমদের ফতোয়া বা রায় দেওয়ার জন্য শাসকের অনুমতির প্রয়োজন নেই। যে কোনো যোগ্য আলিম স্বাধীনভাবে ফতোয়া দিতে পারেন।

তবে যদি কোনো ফিকহি বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় (যেমন হুদুদ, কিসাস, জাকাত আদায় ইত্যাদি), তাহলে শাসকের অনুমোদন আবশ্যক। কারণ, এগুলো জনগণের ওপর প্রয়োগের ক্ষমতা শাসকের হাতে ন্যস্ত।

তার জন্য শুভকামনা।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩১

যামিনী সুধা বলেছেন:



আওয়ামী লীগের নেতারা টাকা ডাকাতী কেছে, ভুমি দস্যুতায় জড়িত ছিলো, সিন্ডিকেট করেছিলো; তারা টাকা রক্ষার জন্য পালিয়ে গেছে!

যারা সাপোর্টার, যারা চুরি করেনি, যারা দলের কমিটিতে ছিলো না; তাদের বিশাল অংশও পালায়ে গেছে; তারা কেন পালায়েছে? ইহার উত্তর আপনি দেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



যারা সাপোর্টার, যারা চুরি করেনি, যারা দলের কমিটিতে ছিলো না; তাদের বিশাল অংশও পালায়ে গেছে; তারা কেন পালায়েছে?

-সাপোর্ট শব্দের মানে বোঝেন? চোর বাটপার, লুটেরাদের যারা সাপোর্ট করেন তারা আবার ভালো মানুষ কবে? যারা পালিয়েছে সবাই ফ্যাসিস্টদের সুবিধাপ্রাপ্ত।

আপনাকে আসলে বলে লাভ নেই, আপনি নিজের ক্ষেত্রে আসল সত্য লুকোতে পারেন না। দেশটাকে লুটেপুটে খাওয়া এইসব নষ্টদের জন্য আপনার অন্তর কাঁদে, কারণ আপনি নিজেও মনেপ্রাণে আপাদমস্তক ওদেরই একজন।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩৪

Donna1 বলেছেন: If the Awami League leaders were genuinely innocent, what motivated them to flee? It's a complex situation with many layers, and understanding their rationale could shed light on the events surrounding their departure. The Dinosaur Game.https://dinosaurgamefree.com/


২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



The question suggests that Awami League leaders fled due to potential legal or political threats, implying that their actions might indicate guilt. However, the reasons for fleeing could vary—fear of persecution, political instability, or personal safety concerns.

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩৪

Donna1 বলেছেন: Dinosaur Game
[url=https://dinosaurgamefree.com/ ]Dinosaur Game[/url]
[Dinosaur Game](https://dinosaurgamefree.com/)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



Thank you for visit this post.

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে গিয়েছে।৩২নং কি খারাপ কাজ করেছে,তাকে ধ্বংস করা হল কেন।নষ্টদের হাত থেকে কোন কিছু রক্ষা পাবে না।যারা পালায়নি এমন লোকদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছে ,এখনো হচ্ছে।রাষ্ট্র পড়েগেছে এক দল দুর্বৃত্তের হাতে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বক্তব্যের উত্তরে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। যেমন, রাজনৈতিক নেতাদের পালিয়ে যাওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—নিরাপত্তার ঝুঁকি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, বা আইনি চাপ। তবে এ কথা ঠিক যে, শুধু পালানোই দোষের প্রমাণ নয়, আবার নির্দোষতার প্রমাণও নয়। বিচার হওয়া উচিত প্রমাণ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে।

আপনি যে বলেছেন "যারা পালায়নি তাদের হত্যা করা হয়েছে"—ইহা ডাহা মিথ্যা এবং এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষ।

"রাষ্ট্র দুর্বৃত্তদের হাতে" নয় বরং পাচার ও লুটপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন দেশ হাজার গুণ ভালো চলছে।

রাজনৈতিক দল যেই হোক, অন্ধ সমর্থন বিপদজনক। নীতিগত সমর্থন ও সমালোচনা—উভয়ই প্রয়োজন।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:১৩

অগ্নিবাবা বলেছেন: না পালালে খুঁচায়ে খুঁচায়ে মারতেন, হাসিনারে না পাইয়া তার অন্তর্বাস লইয়া কি করসেন তাহা হজ্ঞলে দেখছে, তারে পাইলে কি করতেন তাহা আমরা চক্ষু বুজিলেই টের পাই, শিউরে উঠি। তাহারা পালাইয়া বাঁচছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



এ থেকেই বুঝুন যে, অপরাধী আওয়ামীলীগের লুটেরাদের প্রতি দেশের মানুষের মধ্যে কতটা ভয়াবহ পর্যায়ের ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। তবে আপনাকে একটা কথা বলি, কোনো পক্ষের প্রতি অতিরঞ্জিত বা অপ্রমাণিত অভিযোগ ইমোশনাল রেসপন্স তৈরি করতে পারে, যা বাস্তব সমাধানে সাহায্য করে না।

যদি কোনো নির্দিষ্ট সহিংসতার ঘটনা থাকে, তা আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সংঘাতের সমাধান প্রমাণ, ন্যায়বিচার ও সংলাপের মাধ্যমে সম্ভব। রাজনৈতিক বিতর্কে ভিত্তিহীন ভাষা পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা জরুরি।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৮

যামিনী সুধা বলেছেন:



আমি আওয়ামী লীগ সাপোর্টার, আওয়ামী লীগকে মানুষ ম্যান্ডেট দিয়েছিলো দেশ স্বাধীন করার জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি লুটপাটকারী, ধর্ষনে সেঞ্চুরি অর্জনকারী, দেশের অর্থ পাচারকারী, আয়নাঘর অপসংস্কৃতির উদ্ভাবনকারী, অসংখ্য গুম খুনে জড়িত একটি ফ্যাসিস্ট বর্বর দলের গর্বিত সাপোর্টার। জয় বাংলা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আওয়ামীলীগের মত একটি দল যখন এমন নিকৃষ্ট পর্যায়ে চলে যায়, জনগণের অধিকারগুলো খুবলে খেতে থাকে, যখন তাদের সুপথে ফিরে আসার পথগুলো নিজেরাই রুদ্ধ করে দেয়, তখন সেই দলের সাপোর্টার বলে নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা হয় না?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অবশ্য আপনাকে বলে লাভ নেই, অন্ধ মানুষকে কোনো কিছু দেখানোর চেষ্টা করা বোকামি।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

যামিনী সুধা বলেছেন:



আপনি হচ্ছেন ইসলামিল স্কলার, ১৯৭১ সালে ইসলামিক স্কলারেরা জাতির স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলো।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি ১৯৭১ সালের দোহাই দিয়ে এখনও দেশে ধর্ষন লুন্ঠন আর লুটতরাজের অপরাজনীতি জায়েজ করতে চান?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে দেশবিরোধী আওয়ামী অপশক্তি পরাজিত হয়েছে এবং পলায়ন করেছে। আপনি পরাজিত অপশক্তির দোসর।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



১৯৭১ সালে ইসলামিক স্কলারেরা জাতির স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলো।

-এটা আপনার স্বভাবজাত মিথ্যাচার। দেশের হাজারও আলেম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জানতে হলে পড়তে হবে। আপনি পড়বেন বলে মনে হয় না। তারপরেও অন্যদের জন্য রেফারেন্স দিলাম-

"আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে" বইটি আগ্রহীগণ পড়ে দেখতে পারেন। এই বই নিয়ে অনেক আগের একটি পোস্ট রয়েছে সামুতে আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে -শাকের হোসেন শিবলী।

রকমারি ডটকমে- আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:২২

করুণাধারা বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্ন আমিও করতে চাই! যারা এখনো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এত উন্নয়ন করেছেন যার তুলনায় তাদের অপরাধের পরিমাণকে ছোটখাটো বলা যায়!! তবে তারা পালিয়ে গেলেন কেন? কেন মাথা উঁচু করে বিচারের সম্মুখীন হতে পারছেন না?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রশ্নটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী। একটি রাজনৈতিক দলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি দেওয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিচারিক প্রক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য। যদি কেউ সত্যিই নির্দোষ হন, তবে মাথা উঁচু করে আইনের মুখোমুখি হওয়াটাই তাঁদের উচিত ছিল। পালিয়ে যাওয়া বা আত্মগোপন করা বরং সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং সাধারণ মানুষের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে। বিচারপ্রক্রিয়া সবার জন্য সমান হওয়া উচিত—তাতে শাসক হোক বা বিরোধী। উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার—দুই-ই একসাথে প্রয়োজন একটি সুশাসিত রাষ্ট্রের জন্য।

শুভকামনা।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

করুণাধারা বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্ন আমিও করতে চাই! যারা এখনো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এত উন্নয়ন করেছেন যার তুলনায় তাদের অপরাধের পরিমাণকে ছোটখাটো বলা যায়!! তবে তারা পালিয়ে গেলেন কেন? কেন মাথা উঁচু করে বিচারের সম্মুখীন হতে পারছেন না?

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: পালাবে না আবার! আওয়ামী লীগ করবে অথচ তারা অপরাধী হবেনা, এটাতো ব্যকরণ সম্মত না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জুল ভার্ন ভাই, কথা ঠিকই বলেছেন—বাংলাদেশি রাজনীতির একটা নতুন ব্যাকরণই তৈরি হয়ে গেছে মনে হয়! এখানে “উন্নয়ন” মানেই দায়মুক্তি, “জনগণের সেবা” মানেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফুল! এমন ব্যাকরণে “দুর্নীতি” আর “দেশপ্রেম” একসঙ্গে বসে চা খায়। তাই পালিয়ে যাওয়া যেন ব্যাকরণ অনুযায়ীই হচ্ছে!

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পুরো কেবিনেট পালিয়ে যাবার পরেও আওয়ামিলীগ নেতারা বাগাড়ম্বরের সুযোগ পাচ্ছে বিচার না হবার কারনে। এর জন্য শতভাগ দায়ী বিএনপি। কারন বিএনপি সংস্কার , বিচার কোণকিছুই চায় না, চায় শুধু নির্বাচন!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পর্যবেক্ষণ প্রাসঙ্গিক, তবে দায় পুরোপুরি শুধু বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে বিষয়টা একটু একচোখা হয়ে যায় না? সত্যি, বিএনপি যদি সংস্কার আর বিচার প্রক্রিয়ার দাবিতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখত, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। কিন্তু মনে রাখতে হবে—বিচার নিশ্চিত করা মূলত রাষ্ট্রের দায়িত্ব, আর বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায় কারা- তা কারো অজানা নয়। শুধু “নির্বাচন চাওয়া” কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু সেই নির্বাচন যদি বিচারহীনতার আবহে হয়, তাহলে গণতন্ত্র কেবল প্রতীকেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। সুতরাং, দায়ভার দুই পক্ষেরই—একজনের অপরাধ আর অন্যজনের নীরবতা—দুটোই প্রশ্নবিদ্ধ।

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

যামিনী সুধা বলেছেন:



আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের আসল সামরিক নাম ছিলো রাজাকার, কিংবা মোল্লা শফি

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর পরিচয়টা বাদ দিয়ে অনুরোধ করি, নিজেকে একজন মানুষ ভাবতে শিখুন। অন্তরে সৎ সাহস থাকলে মুখস্ত কথা না বলে "আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে" বইটি পড়ে এসে এখানে মন্তব্য করুন।

আচ্ছা, রকমারি থেকে টাকা খরচ করে যাতে কিনে পড়তে না হয়, সেজন্য ফ্রি ডাউনলোডের এড্রেস দিলাম - আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ প্রাসঙ্গিক, তবে দায় পুরোপুরি শুধু বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে বিষয়টা একটু একচোখা হয়ে যায় না?

প্রধান দায় অবশ্যই বিএনপি'র। অতীত যদি দেখেন, আওয়ামী লীগ প্রতিবার ক্ষমতায় এসেছে বিএনপি'র ছাগলামীর কারনে। আর বর্তমান যদি দেখেন, বিএনপি'র বর্তমান কার্যকলাপ তাদের অতীতেরই প্রতিফলন হবে আবার। বিষয়টা আমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি আমার সর্বশেষ পোষ্টের ২০ নাম্বার মন্তব্যের উত্তরে। এতোবড় মন্তব্য আবার এখানে দিতে চাই না। বিএনপির ব্যাপারে আমার বক্তব্যে আপনার সন্দেহ থাকলে কষ্ট করে দেখে নিবেন। এছাড়া বিএনপি'র দুই নাম্বারী নিয়ে আমি অনেকগুলো পোষ্ট করেছি। আমার যুক্তি কেউ পাল্টা যুক্তি দিয়ে খন্ডাতে পারে নাই। দেখেন চেষ্টা করে, আপনি পারেন কিনা!!!!! :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রধান দায় যে বিএনপির সে কথায় অবশ্যই সহমত পোষণ করছি। কিন্তু বিএনপি যতই চেষ্টা করুক, ক্ষমতায় তো এই মুহূর্তে তারা নেই, আমি এটাই বলতে চেয়েছি। অবশ্য, এটাও ঠিক যে, তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া দেশের এই প্রেক্ষাপটে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ।

আপনার বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ সত্যিই তীক্ষ্ণ এবং বাস্তবভিত্তিক। বিএনপির রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভুল সিদ্ধান্তগুলোর কারণে বারবার আওয়ামী লীগ সুযোগ পেয়েছে—এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আপনার আগের পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো যে তথ্যনির্ভর ও যুক্তিবদ্ধ ছিল, সেটা স্পষ্ট। এমন বিশ্লেষণ চিন্তার খোরাক জোগায়—ধন্যবাদ আপনাকে!

আমার যুক্তি কেউ পাল্টা যুক্তি দিয়ে খন্ডাতে পারে নাই। দেখেন চেষ্টা করে, আপনি পারেন কিনা!!!!! :)

-এই বিষয়ে আপনাকে গুরু স্বীকার করতে আপত্তি নেই। :)

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনুপস্থিতি এখন আমার এলাকার একটি স্বাভাবিক দৃশ্য। আগে যারা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন, আজ তারা সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকেও দূরে সরে গেছেন, পরিচয় গোপন করার প্রবণতা বাড়ছে—এটাই বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পর্যবেক্ষণ নিঃসন্দেহে বাস্তবভিত্তিক এবং গভীর রাজনৈতিক বার্তা বহন করে।

আসলেই, আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মী বর্তমানে এক ধরনের "রাজনৈতিক আত্মগোপন" অবস্থায় চলে গেছেন। যারা একসময় এলাকার দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তারা আজ চুপচাপ, কেউ কেউ পেশা বদল করেছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নীরব। এমনকি কোনো অনুষ্ঠানেও দলীয় পরিচয় এড়িয়ে চলেন—এটা বর্তমান রাজনীতিরই একটা প্রতিচ্ছবি।

এই পরিণতি এসেছে একদিকে যেমন সরকারবিরোধী ক্ষোভ ও প্রতিরোধের কারণে, অন্যদিকে দলের অভ্যন্তরীণ চাপে, দুর্নীতির বদনামে জর্জরিত হয়ে। তৃণমূলের মধ্যে ভয়, হতাশা, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা—এসব কারণেই তারা রাজনীতির কোল ছেড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যাচ্ছেন।

রাজনীতিতে যে প্রাণ ছিল, মাঠে-ময়দানে যে কর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল—আজ তা এক ধরণের "শূন্য রাজনীতি"তে পরিণত হয়েছে। তবে গত কিছু দিন যাবত এই পলাতকদের নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে, "ঝটিকা মিছিল"।

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তান তো মুসলিম দেশ। আমরাও মুসলিম। তাহলে ৭১ এ পাকিস্তান আমাদের সাথে যুদ্ধ করলো কেন? মুসলিম হয়ে মুসলিমকে হত্যা!!!

আপনাকে কেউ যদি হত্যা করতে আসে আপনি কি করবেন?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পাকিস্তান মুসলিম দেশ হলেও ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল ধর্মের নয়, ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের লড়াই। পাকিস্তান তখন বাঙালিদের শোষণ ও হত্যা করেছিল, তাই আত্মরক্ষায় বাঙালিরা যুদ্ধ করেছে। এটা ছিল ন্যায়সঙ্গত মুক্তিযুদ্ধ, আত্মপরিচয়ের জন্য সংগ্রাম।

আওয়ামীলীগ নেতারা যদি নিরপরাধই হয়ে থাকবেন তাহলে তারা পালালেন কেন - এই বিষয়ে তো কিছু বললেন না!

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীর কোথাও শুনেছেন যে সরকার পতনের কারণে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়ে গেছে? বাংলাদেশে হাসিনার সাথে সাথে বাইতুল মোকাররম মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়ে গেছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ঠিকই বলেছেন। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতনের পরপরই বাইতুল মোকাররমের ইমাম পালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকেও রাজনৈতিক দাসত্বে পরিণত করা হয়েছিল। ইমাম ধর্মের প্রতিনিধি না হয়ে শাসকের প্রতিনিধি হয়ে উঠায়, সরকার বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই তার নিরাপত্তা হারিয়েছে। পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। এটি বাংলাদেশের জন্য গভীর লজ্জা ও বিপদসংকেত।

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: @নতুন নকিব, তারেক রহমানকে গালি দেওয়া মন্তব্যটা ডিলিট করা উচিৎ হয়নি। সবাইকে চেনার সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিলো- সুশীলতার আড়ালে কতো কদর্যরূপ সেই মন্তব্যকারীর।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি কোন মন্তব্যটির কথা বলছেন, আমি ঠিক মনে করতে পারছি না। কোন পোস্টে কার মন্তব্য ছিল সেটা- একটু যদি মনে করিয়ে দিতেন।

ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



রাজকীয় কপাল বলেই অফুরন্ত সময় আপনার হাতে। ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

নতুন বলেছেন: এ থেকেই বুঝুন যে, অপরাধী আওয়ামীলীগের লুটেরাদের প্রতি দেশের মানুষের মধ্যে কতটা ভয়াবহ পর্যায়ের ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। তবে আপনাকে একটা কথা বলি, কোনো পক্ষের প্রতি অতিরঞ্জিত বা অপ্রমাণিত অভিযোগ ইমোশনাল রেসপন্স তৈরি করতে পারে, যা বাস্তব সমাধানে সাহায্য করে না।

যদি কোনো নির্দিষ্ট সহিংসতার ঘটনা থাকে, তা আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সংঘাতের সমাধান প্রমাণ, ন্যায়বিচার ও সংলাপের মাধ্যমে সম্ভব। রাজনৈতিক বিতর্কে ভিত্তিহীন ভাষা পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা জরুরি।


আয়ামীলীগের নেতা কর্মী অন্যায় করেছে। কিন্তু তাদের পেলে মেরে ফেলতে হবে সেটা আরো বড় অন্যায়।

এই যে ২০২৪ এর আন্দোলনে যতগুলি আয়ামীলীগ হত্যা হয়েছে তারা কিন্তু খুনি। সেই খুনি গুলি কিন্তু সমাজে ঘুরে বেরাচ্ছে। আপনি কি চান সমাজে খুনীরা ঘুরে বেড়াক?

জামাত/শিবির/বিএনপির ক্যাডারেরা এই হত্যার পেছনে আছে, তারা যেই দানব সমাজে ছেড়ে দিয়েছে সেটার নিয়ন্ত্রন কি তারা করতে পারবে?

দেশে যদি কথার যাবার হাতিয়ার দিয়ে না দিয়ে কথা দিয়েই দিতো তবে এতো মানুষ পালাতো না।

আপনি আজ রাস্তায় দাড়িয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিলে আপনার গায়ে মানুষ হাত দেবে ( যেটা অন্যায়) কিন্তু এই স্লোগান দেওয়া দেশের আইনে অন্যায় না।

আয়ামীলীগের নেতারা অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করুন, প্রমান সহ আইনের হাতে তুলে দিন। কিন্তু পিটিয়ে মেরে ফেলা যে আরেকটা অন্যায় সেটা বর্তমানের মানুষেরা ভুলে গেছে।

এই মানুষিকতা পরিবর্তন করতে অনেক বেগ পেতে হবে বাংলাদেশ কে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আয়ামীলীগের নেতা কর্মী অন্যায় করেছে। কিন্তু তাদের পেলে মেরে ফেলতে হবে সেটা আরো বড় অন্যায়।

-সহমত।

এই যে ২০২৪ এর আন্দোলনে যতগুলি আয়ামীলীগ হত্যা হয়েছে তারা কিন্তু খুনি। সেই খুনি গুলি কিন্তু সমাজে ঘুরে বেরাচ্ছে। আপনি কি চান সমাজে খুনীরা ঘুরে বেড়াক?

জামাত/শিবির/বিএনপির ক্যাডারেরা এই হত্যার পেছনে আছে, তারা যেই দানব সমাজে ছেড়ে দিয়েছে সেটার নিয়ন্ত্রন কি তারা করতে পারবে?


-অপরাধী যারাই হোক, যে দলেরই হোক, দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হোক।

দেশে যদি কথার যাবার হাতিয়ার দিয়ে না দিয়ে কথা দিয়েই দিতো তবে এতো মানুষ পালাতো না।

-বুঝতে পারিনি।

আপনি আজ রাস্তায় দাড়িয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিলে আপনার গায়ে মানুষ হাত দেবে ( যেটা অন্যায়) কিন্তু এই স্লোগান দেওয়া দেশের আইনে অন্যায় না।

-আপনার কথা ঠিক আছে স্লোগান দেওয়া অন্যায় নয়, কিন্তু স্লোগান দিচ্ছে কারা সেটা বিবেচ্য। স্লোগান দিচ্ছে তো অপরাধীরা। খুনীরা। এই কারণেই জনগণ বিরক্ত। তবু সবকিছু হওয়া উচিত আইনের আওতায়।

আয়ামীলীগের নেতারা অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করুন, প্রমান সহ আইনের হাতে তুলে দিন। কিন্তু পিটিয়ে মেরে ফেলা যে আরেকটা অন্যায় সেটা বর্তমানের মানুষেরা ভুলে গেছে।

-সহমত। ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

নতুন বলেছেন: দেশে যদি কথার যাবার হাতিয়ার দিয়ে না দিয়ে কথা দিয়েই দিতো তবে এতো মানুষ পালাতো না।

-বুঝতে পারিনি।


যদি কথার জবাবে গনপিটুনি/হত্যা না করতো তবে যারা আয়ামীলীগ করতো সবাই পালাতো না।

শুধুই অপরাধীরা পালাতো।

এখন ব্যক্তিগত সত্রুতার কারনেও আয়ামীলীগের সমর্থককে হয়রানি করছে মানুষ। বিএনপি দখল নিতে আক্রমন করছে।

দেশে মানুষের বুঝতে হবে, মতের পার্থক্যের কারনে কারুর গায়ে হাত তোলা যাবেনা।

দেশের জনগনের আরো অনেক সভ্য হতে হবে। :|

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



যদি কথার জবাবে গনপিটুনি/হত্যা না করতো তবে যারা আয়ামীলীগ করতো সবাই পালাতো না।

শুধুই অপরাধীরা পালাতো।

এখন ব্যক্তিগত সত্রুতার কারনেও আয়ামীলীগের সমর্থককে হয়রানি করছে মানুষ। বিএনপি দখল নিতে আক্রমন করছে।

দেশে মানুষের বুঝতে হবে, মতের পার্থক্যের কারনে কারুর গায়ে হাত তোলা যাবেনা।

দেশের জনগনের আরো অনেক সভ্য হতে হবে। :|


-সহমত। ধন্যবাদ। কোনো ধরণের বিচারহীনতাই কাম্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.