নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শয়তান বুড়ো হলেও শয়তানই থেকে যায়—বরং বাড়তে থাকে ধূর্ততা

১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪

শয়তান বুড়ো হলেও শয়তানই থেকে যায়—বরং বাড়তে থাকে ধূর্ততা

মধ্যপ্রাচ্যের শয়তানির নাটের গুরু বুড়ো শয়তান নেতানিয়াহুর এই ছবিটি এআই এর সহায়তায় তৈরি।

শয়তান বুড়ো হলেও শয়তানই থেকে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ধূর্ততা আরও বাড়ে, ফন্দি ফিকির আরও গভীর হয়। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সে আরও পাকনা হয়ে ওঠে। মানুষকে বিপথে চালিত করার জন্য নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। সে শুধু ছায়ার মত দূরে থেকে নয়, বরং অনেক সময় মানুষের বেশ ধরে—বন্ধু, আত্মীয়, কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীর মুখোশ পরে মানুষের খুব কাছাকাছি এসে ধোঁকা দেয়। একসময়ে যাকে আপনজন ভেবে বিশ্বাস করা হয়, দেখা যায় সেই মানুষটাই শয়তানের আজ্ঞাবহ দোসর।

এইসব ছদ্মবেশী শয়তানেরা প্রথমে মানুষের ঈমান ও চরিত্রে আঘাত হানে। তারা সন্দেহের বীজ বপন করে, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠা ধীরে ধীরে দুর্বল করে ফেলে। তারা কখনো আধুনিকতার নামে, কখনো যুক্তিবাদের মোড়কে, আবার কখনো মানবিকতার ভুয়া জিগির তুলে মানুষকে ধর্ম থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করে।

আজকের দুনিয়ায় শয়তানের অন্যতম বড় অপকর্ম হচ্ছে ধর্মবিদ্বেষী একশ্রেণির চ্যালা-চামুন্ডা তৈরি করা। এই চক্রকে সে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে নিয়োজিত করেছে। তারা ধর্মীয় শিক্ষা, ইসলামী প্রতীক, মুসলমানদের রীতি-নীতি—সব কিছুর বিরুদ্ধাচরণ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে, নবী করিম (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে, ধর্মীয় বিধানকে মধ্যযুগীয়, বেদুইনদের গালগল্প ও বর্বর আখ্যা দেয়। মূলত এরা নিজেরা যেমন বিভ্রান্ত, তেমনি অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করার কাজে নিয়োজিত।

শয়তান কখনো একরূপে আসে না। সে নানা রঙে, নানা মুখোশে, নানা নামে হাজির হয়। কখনো সে বিজ্ঞানের নামে ধর্মকে অবজ্ঞা করে, কখনো আবার সংস্কৃতির নামে ধর্মকে পেছনে ফেলে দিতে চায়। মানুষের মধ্যে নফসকে উসকে দিয়ে সে পাপকে স্বাভাবিক করে তোলে, গোনাহকে সৌন্দর্যের মোড়কে উপস্থাপন করে। ধর্মের নামে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত করেও শয়তান কিছু মানুষকে ধোঁকা দেয়। এরা ধর্মের নামে শিরক, বিদআত থেকে শুরু করে নানা কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে পথভ্রষ্ট হয়।

শয়তান আজ আর কেবল একজন অদৃশ্য প্রতিপক্ষ নয়। সে কখনো বন্ধুর মুখোশ পরে আসে, কখনো আত্মীয়ের স্নেহ-ভাষায় কথা বলে। কেউ আপনার পাশে দাঁড়িয়ে আপনাকে "স্বাধীনতার" নামে ধর্ম থেকে সরিয়ে দেয়, আবার কেউ "ভালোবাসা"র নামে পাপের পথে টেনে নেয়। কুরআনেও উল্লেখ আছে—"নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু, অতএব তোমরাও তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।” — সূরা ফাতির, আয়াত ৬

এই প্রকাশ্য শত্রু অনেক সময় অপ্রকাশ্য থাকে মানুষের চোখে, কিন্তু তার কাজ হয় প্রবল—বিশ্বাসের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো।

তাই আজকের বাস্তবতায় শয়তানের ছলনায় না পড়ে, আত্মরক্ষার জন্য সচেতন থাকা জরুরি। শয়তানের মুখোশ চিনে তাকে প্রতিহত করাই ঈমানদারের দায়িত্ব। কারণ, সে যতই অভিজ্ঞ আর পাকনা হোক না কেন, আল্লাহর নিকট শরণাপন্ন হলে তার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: দারুন

১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিনন্দন আপনাকে। যতটা মনে পড়ছে, আমার কোনো পোস্টে এটাই সম্ভবতঃ আপনার প্রথম উপস্থিতি।

কৃতজ্ঞতা, সময় নিয়ে পোস্টটি পাঠের পরে উচ্ছৃসিত মন্তব্যে আসার জন্য। শুভকামনা জানবেন।

২| ১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১০

রাসেল বলেছেন: সহমত। ইহা শুধু ধর্মীয় জীবনে নয়; সামাজিক, পারিবারিক, পেশাগত, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও সত্য।

১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



একেবারে সত্য বলেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শয়তানের উপস্থিতি থাকতে পারে। শয়তান বহু ছুরতে আমাদের ধোঁকায় ফেলতে বদ্ধপরিকর। আমাদের উচিত শয়তানের চক্রান্ত থেকে বেঁচে থাকতে সাবধানতা বজায় রেখে চলা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯

অগ্নিবাবা বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি।
[صحيح] - [رواه مسلم]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “সেই মহান সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জীবন! যদি তোমরা পাপ না কর, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে (তোমাদের পরিবর্তে) এমন এক জাতি আনয়ন করবেন, যারা পাপ করবে এবং আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করবে। আর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।”

আল্লাহ চান শয়তান পাপ করুক, শয়তান পাপ না করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। তাহলে দেখা গেল, সব শয়তানের নাটের গুরু হচ্ছে মহান আল্লাহ। বলেন ঠিক কিনা?

১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বাবাজি, আপনি এসেছেন! আপনাকে এখানে দেখে নিজেকে অধন্য মনে করছি! আবার আপনি সহমতও প্রকাশ করেছেন! তা কীসের সাথে সহমত প্রকাশ করলেন? বুঝে করেছেন? না কি, না বুঝেই ঢিল ছুঁড়ে দিলেন আরেকটা?

আসলে, আপনার উদ্ধৃত হাদীস বলছে—যদি মানুষ পাপ না করতো, আল্লাহ তাদের বদলে এমন একটা জাতি আনতেন যারা পাপ করবে, তারপর তওবা করবে, আর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন। এর মানে আল্লাহ শয়তানের পক্ষে নয়, বরং তিনি চান মানুষ ভুল করে ফিরুক তাঁর কাছে।

শয়তানকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য, এটা তার খেলায় মদদ দেওয়া নয়। আল্লাহই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক, শয়তানের “গুরু” কস্মিনকালেও নন।

বাবাজি, অপব্যাখ্যা করে ইসলামকে আক্রমণ করা ভুল এবং অবৈজ্ঞানিক। আর এতে কোনো লাভও নেই। বলেন ঠিক কি না!

৪| ১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শয়তানের শিং আছে এটা পশ্চিমা কনসেপ্ট ! আপনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু র ছবি দেন। উহার চেয়ে বড়ো শয়তান আপাতত বিশ্বে নাই।

১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



উহার চেয়ে বড়ো শয়তান আপাতত বিশ্বে নাই।

-আপনার কথায় অবশ্যই লজিক আছে। তবে, এইক্ষেত্রে তার পশ্চিমা অস্ত্র-রসদদাতাগণও মোটেই পিছিয়ে নেই। আচ্ছা, আপনার কথামত তার একটা ছবি আপাততঃ দিয়ে দিলাম।

৫| ১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩

লুধুয়া বলেছেন: শয়তান তো তারা যারা ধর্মের নামে মানুষ মারে,ধর্মের নামে ছোটো ছোটো শিশুদের রেপ করে, ধর্মের নামে অন্য লোকের জায়গা সম্পর্তী কেড়ে নেই। ধর্মের নামে ৯ সালের বাল্য বিবাহ কে বৈদ্যতা দেই।

১০ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ধর্ম নয়, যারা ধর্মের নামে খারাপ কাজ করে—তারা আসল শয়তান। ইসলাম কখনো হত্যা, ধর্ষণ বা অন্যায়কে সমর্থন করে না। এসব কাজ ইসলামে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। বাল্যবিবাহ নিয়েও ইসলামে বয়স নয়, বরং পরিপক্বতা গুরুত্বপূর্ণ—এটা আজকের সমাজ অনুযায়ী বিবেচ্য।

তাই ধর্ম নয়, অপরাধী দায়ী। ইসলাম শান্তির ধর্ম।

৬| ১০ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৩

অগ্নিবাবা বলেছেন: তিনি চান মানুষ ভুল করে ফিরুক তাঁর কাছে।????
তিনি চান আমরা ভুল করি? আমরা খুন করি, ধর্ষন করি? চুরি করি, তারপর তার কাছে ক্ষমা চাই??
আবার হাসিদে আছে, আল্লাহ পাক জান্নাতী বা জাহান্নামীদের দিয়ে ভালো বা অন্যায় কাজ করিয়ে তারপর জান্নাতে বা জাহান্নামে নেন। এই আল্লাহর ভাবসাব মোটেও ভালো না,তোষামোদ পাওয়ার জন্য মাইনষেরে রীতিমত ব্লাকমেইল করে।

১০ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



বাবাজি, আল্লাহ চান না মানুষ পাপ করুক—তবে মানুষ ভুল করবে, আর আল্লাহ চান তারা সেগুলো বুঝে তওবা করে ফিরে আসুক। খুন, ধর্ষণ, চুরি—এসব পাপ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কস্মিনকালেও এটা আল্লাহর পছন্দনীয় নয় যে, মানুষ এগুলো করুক।

আল্লাহ কাউকে জোর করে পাপ করান না। তিনি মানুষকে কর্মের এবং সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানুষ নিজের ইচ্ছায় কাজ করে, আর আল্লাহ তাঁর জ্ঞানে জানেন কে জান্নাতে যাবে, কে জাহান্নামে।

আপনার কথাগুলো ইচ্ছাকৃত অপব্যাখ্যা ও ইসলামবিদ্বেষমূলক। আলোচনার নামে ধর্মকে অপমান করা যুক্তি নয়, স্রেফ বিদ্বেষ।

বাবাজি, এত এত ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে আপনি কেমনে যে রাতে ঘুমাতে যান, সেটাই বিস্ময়ের বিষয়! সত্যি করে বলুন তো, অন্তর ভর্তি ইসলাম বিদ্বেষ আপনাকে ঘুমুতে দেয় কি?

৭| ১০ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যে কমেন্ট করেছেন উহা অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা। মার্চ ফর গাজায় সবাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিলো কিন্তু তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কেউ স্লোগান দেয় নাই।

সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলা বিপজ্জনক। উহারা ছলা-কলায় শ্রেষ্ঠ ।

১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কিন্তু কথা তো আমাদের বলতেই হবে। সত্য না বলে নিরবতা অবলম্বন করাও আরেকটি অপরাধ।

৮| ১০ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

ফেনিক্স বলেছেন:



আপনার জ্ঞান আরবের কাছাকাছি। নেতানিয়াহুর কাছে আরবদের জ্ঞান গাধার সমতুল্য।

১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জ্ঞান এত বেশি যে, ঠিকমত ব্লগিংটাও করতে জানেন না। কাকে কী বলতে হবে, সেই কমন সেন্স না থাকার কারণে প্রায় ডজন খানিক আইডি হারিয়ে শেষ পর্যন্তু মুচলেকা দিয়ে/ চুরি চামারি করে ব্লগিং করতে হচ্ছে।

এতবার আইডি হারিয়েও লজ্জা হয় না আপনার? না কি, লজ্জা প্রুফ হয়ে গেছেন আপনি!!!

৯| ১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪

অগ্নিবাবা বলেছেন: তিনি মানুষকে কর্মের এবং সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানুষ নিজের ইচ্ছায় কাজ করে। ভাই, এইডা আপনি যদি কোরান হাদিস থেকে বার করে দেখাতে পারেন, আমি আপনার কাছ থেকে আবারো ইসলাম কবুল করব। আমি এর উল্টো ক্থা হাদিস থেকে ভুরি ভুরি দেখায়ে দেবো। আপনি ইসলামের ভুল আকিদা নিয়ে আছেন।

১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



আবারও ইসলাম কবুল করবেন জেনে আনন্দিত হলাম। সঠিক চিন্তাটি করার জন্য অভিনন্দন আপনাকে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক মানুষকে কর্মের এবং চিন্তার স্বাধীনতা প্রদানের বিষয়ে কুরআন হাদিসে যা বলা হয়েছে সেগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক-

ইসলামে মানুষের কর্ম ও সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত। মানুষকে আল্লাহ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের কাজ ও সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী। নিচে কুরআন ও হাদিস থেকে প্রমাণ উপস্থাপন করা হলো, আরবি উদ্ধৃতি, অর্থ এবং ব্যাখ্যাসহ।

কুরআন থেকে প্রমাণ

১. সূরা আল-কাহফ (১৮:২৯)

আরবি উদ্ধৃতি:

وَقُلِ الْحَقُّ مِن رَّبِّكُمْ ۖ فَمَن شَاءَ فَلْيُؤْمِن وَمَن شَاءَ فَلْيَكْفُرْ ۚ إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا

অর্থ:

বলো, “সত্য তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এসেছে। সুতরাং যে ইচ্ছা করে, সে ঈমান আনুক, আর যে ইচ্ছা করে, সে অস্বীকার করুক। নিশ্চয় আমি জালিমদের জন্য এমন আগুন প্রস্তুত করেছি, যার তাঁবু তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।”

ব্যাখ্যা:

এই আয়াতে “মন শাআ” (যে ইচ্ছা করে) শব্দটি মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতি ইঙ্গিত করে। আল্লাহ মানুষকে ঈমান আনার বা অস্বীকার করার স্বাধীনতা দিয়েছেন, তবে এর পরিণামের জন্য মানুষ নিজেই দায়ী।

২. সূরা আল-ইনসান (৭৬:৩)

আরবি উদ্ধৃতি:

إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا

অর্থ:

“নিশ্চয় আমি তাকে পথ দেখিয়েছি, সে হয় কৃতজ্ঞ হবে, নয় অকৃতজ্ঞ হবে।”

ব্যাখ্যা:

এখানে আল্লাহ মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, কিন্তু কৃতজ্ঞতা (ঈমান ও ভালো কাজ) বা অকৃতজ্ঞতা (অবাধ্যতা) বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা মানুষের হাতে দেওয়া হয়েছে।

৩. সূরা আশ-শারহ (৯৪:৭-৮)

আরবি উদ্ধৃতি:

فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ ۝ وَإِلَىٰ رَبِّكَ فَارْغَبْ

অর্থ:

“অতএব, যখন তুমি অবসর পাও, তখন পরিশ্রম করো এবং তোমার রবের দিকে মনোযোগ দাও।”

ব্যাখ্যা:

এই আয়াতে নবী (সা.)-কে পরিশ্রম করার এবং আল্লাহর দিকে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা মানুষের নিজস্ব প্রচেষ্টা ও সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। এটি পরোক্ষভাবে কর্মের স্বাধীনতার ইঙ্গিত দেয়।

৪. সূরা আল-বাকারা (২:২৫৬):

لَاۤ اِکۡرَاہَ فِی الدِّیۡنِ

"দীনে কোনো জবরদস্তি নেই। নিশ্চয়ই সঠিক পথ ভ্রান্তি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।"

ব্যাখ্যা: এই আয়াতে বলা হয়েছে যে দীন গ্রহণে জোরজবরদস্তি নেই, অর্থাৎ মানুষ নিজের ইচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

হাদিস থেকে প্রমাণ

১. হাদিস: সহিহ বুখারি (হাদিস নং: ৬৬১৪)

আরবি উদ্ধৃতি:

عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِي بَقِيعِ الْغَرْقَدِ، فَأَتَانَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَعَدَ وَقَعَدْنَا حَوْلَهُ، وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ، فَنَكَّسَ فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِمِخْصَرَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: «مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَفَلَا نَتَّكِلُ عَلَى مَا كُتِبَ لَنَا؟ قَالَ: «اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ»

অর্থ:

হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা বাকীউল গারকাদে একটি জানাযায় ছিলাম। নবী (সা.) আমাদের কাছে এলেন এবং বসলেন, আমরাও তাঁর চারপাশে বসলাম। তাঁর হাতে একটি ছোট লাঠি ছিল, তিনি মাথা নিচু করে লাঠি দিয়ে মাটিতে আঁচড় দিতে লাগলেন। তারপর বললেন, “তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার জন্য জাহান্নাম বা জান্নাতের স্থান লিখিত হয়নি।” সাহাবীরা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমরা কি আমাদের তাকদিরের উপর ভরসা করে কাজ বন্ধ করে দেব?” তিনি বললেন, “কাজ করো, কারণ প্রত্যেকের জন্য তাই সহজ করা হয়েছে, যার জন্য সে সৃষ্ট।”

ব্যাখ্যা:

এই হাদিসে নবী (সা.) স্পষ্টভাবে মানুষকে কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন, যা মানুষের কর্মের স্বাধীনতার প্রমাণ। যদিও তাকদির আছে, তবুও মানুষকে নিজের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

২. হাদিস: সহিহ মুসলিম (হাদিস নং: ২৬৪৭)

আরবি উদ্ধৃতি:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ»

অর্থ:

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক শিশু ফিতরাতের (স্বাভাবিক ধর্মের) উপর জন্মগ্রহণ করে। তারপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদি, খ্রিস্টান বা অগ্নিপূজক বানায়।”

ব্যাখ্যা:

এই হাদিসে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, মানুষ স্বাভাবিকভাবে ইসলামের উপর জন্মায়, কিন্তু তার পরিবেশ ও সিদ্ধান্ত (বা তার পিতা-মাতার সিদ্ধান্ত) তাকে ভিন্ন পথে নিয়ে যায়। এটি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতার প্রমাণ।

মূলকথা, কুরআন ও হাদিসের উপরোক্ত উদ্ধৃতিগুলো থেকে স্পষ্ট যে, আল্লাহ মানুষকে কর্ম ও সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানুষ নিজের ইচ্ছাশক্তি ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভালো বা মন্দ পথ বেছে নিতে পারে, তবে তার ফলাফলের জন্য সে নিজেই দায়ী। তাকদিরের ধারণা থাকলেও, এটি মানুষের কর্মের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে না; বরং মানুষকে কাজ করতে উৎসাহিত করে।

বুঝা যাচ্ছে, আপনি সত্যের অনুসন্ধানে নিবেদিত। যদি সত্যিই মহাসত্যের সন্ধানে আপনি আপনার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন, বিশ্বাস করি, নিশ্চিতভাবেই আপনি কাঙ্খিত বিষয় লাভ করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, বাবাজি।

১০| ১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: উনি শয়তান?? উনাকেই কি হজ্বে গিয়ে পাথর ছোড়া হয়?

১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



উনি একাই নন। আপনার প্রিয়জনের মধ্যেও মানবরূপী শয়তান থাকতে পারে।

এই পোস্ট কাকে উদ্দেশ্য করে - আপনার না বুঝার কিছু নেই।

১১| ১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

অগ্নিবাবা বলেছেন: সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
অধ্যায়ঃ ৩৫/ সুন্নাহ
৪৭০৩। মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল-জুহানী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ ‘‘যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন…’’ (সূরা আল-আ‘রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল-কা‘নবী এ আয়াত পড়েছিলেন। উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে।
অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বেরিয়ে এনে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতবাসীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোনো বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।(1)
সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih
সংশয় জ্ঞানকোষতাকদীর সম্পর্কিত03.আল্লাহ পাক জান্নাতী বা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন
Search Knowledge Base
03.আল্লাহ পাক জান্নাতী বা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন
আল্লাহ যদি মানুষকে দিয়ে আগে থেকেই নির্ধারিত কাজ করিয়ে নেন, যেমন জান্নাতিদের কাজ বা জাহান্নামীদের কাজ, তাহলে তা ইসলামের ন্যায়বিচারের ধারণার সাথে গুরুতরভাবে সাংঘর্ষিক। এই বিশ্বাসে আল্লাহ এমন একটি ব্যবস্থায় মানুষের জীবন পরিচালনা করেন, যেখানে তাদের কর্মের ওপর তাদের কোনো বাস্তব নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলস্বরূপ, এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে শাস্তি বা পুরস্কৃত করা একটি গুরুতর দার্শনিক ও নৈতিক দ্বন্দ্বের জন্ম দেয়।

প্রথমত, যদি আল্লাহ পাক আগে থেকেই জান্নাতী ও জাহান্নামীদের নির্ধারণ করে দেন এবং তাদেরকে সেই অনুযায়ী কাজ করিয়ে নেন, তাহলে ব্যক্তির স্বাধীন ইচ্ছার ধারণাটি সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে। ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যক্তি তার কর্মের জন্য জবাবদিহি করবে, কিন্তু যদি সেই কর্ম আল্লাহর দ্বারা পূর্বনির্ধারিত হয় এবং আল্লাহ নিজেই সেই কাজ করিয়ে নেন, তাহলে ব্যক্তি কীভাবে তার কর্মের জন্য দায়ী হতে পারে? উদাহরণস্বরূপ, যদি আল্লাহ আগে থেকেই একজন ব্যক্তিকে জাহান্নামের জন্য নির্ধারণ করে তার থেকে জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন, তাহলে সেই ব্যক্তি তো বাধ্য হয়েই সেই কাজ করবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ কাউকে দিয়ে কোন কাজ করিয়ে নিলে কোন মানুষের পক্ষে কী তা না করে থাকা সম্ভব? এ পরিস্থিতিতে, তাকে শাস্তি দেওয়া একটি অসঙ্গত ও অবিচারমূলক পদক্ষেপ।

দ্বিতীয়ত, এই ধারণা নৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে। যদি আল্লাহ আগে থেকেই নির্ধারণ করেন কারা জান্নাতবাসী হবে এবং কারা জাহান্নামী হবে, তবে কিছু মানুষ জন্মসূত্রেই বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসে এবং অন্যরা নির্দোষভাবেই শাস্তির জন্য তৈরি হয় এবং আল্লাহ তাদের দিয়ে সেটিই করান যা আল্লাহ নির্ধারন করে রেখেছেন। এই বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের ন্যায়বিচারের মূলনীতির সাথে সরাসরি বিরোধপূর্ণ, যা দাবি করে যে প্রতিটি ব্যক্তি তার নিজস্ব কর্মের জন্য বিচার পাবে। কিন্তু যখন আল্লাহ নিজেই তাদের কর্ম নির্ধারণ করেন এবং সেই কাজ করান, তখন বিচার প্রক্রিয়াটি একটি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি হয়ে দাঁড়ায়। শাস্তি বা পুরস্কার তখন কেবল একটি পূর্বনির্ধারিত নাটকের অংশ হয়ে যায়, যার ওপর ব্যক্তির কোনো প্রভাব থাকে না। আল্লাহর ইচ্ছা বা পূর্বনির্ধারিত তাকদীরই সেখানে প্রভাব রাখে।

তৃতীয়ত, এই বিশ্বাসটি আল্লাহর গুণাবলীর সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহ ন্যায়বিচারক, দয়ালু এবং পরম জ্ঞানসম্পন্ন। কিন্তু যদি তিনি এমন একটি ব্যবস্থায় মানুষের কর্ম নির্ধারণ করেন, যেখানে কেউ জান্নাত বা জাহান্নামের জন্য পূর্বনির্ধারিত এবং তাদের দ্বারা সেই কাজ করান যা তাদের ভাগ্য স্থির করে দেয়, তবে সেই দয়ালুতা এবং ন্যায়বিচারের ধারণা কীভাবে বজায় থাকে? একজন সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী স্রষ্টা কীভাবে একজন মানুষকে এমন পথে পরিচালিত করতে পারেন, যেখানে তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, এবং তারপর তাকে সেই কাজের জন্য শাস্তি দিতে পারেন? আসুন এবারে কোরআনের একটি আয়াত পড়ে নেয়া যাক। কোরআনে বলা হয়েছে [1] –

যাকে তার মন্দ কর্ম শোভনীয় ক’রে দেখানো হয়, অতঃপর সে সেটাকে উত্তম মনে করে (সে কি তার সমান, যে সৎ পথে পরিচালিত?) আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বিপথগামী করেন, আর যাকে ইচ্ছে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। কাজেই তাদের জন্য আক্ষেপ ক’রে, তুমি তোমার জীবনকে ধ্বংস হতে দিও না। তারা যা করে আল্লাহ তা খুব ভালভাবেই জানেন।
— Taisirul Quran
কেহকেও যদি তার মন্দ কাজ শোভন করে দেখানো হয় এবং সে ওটাকে উত্তম মনে করে সেই ব্যক্তি কি তার সমান যে সৎ কাজ করে? আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎ পথে পরিচালিত করেন। অতএব তুমি তাদের জন্য আক্ষেপ করে তোমার প্রাণকে ধ্বংস করনা। তারা যা করে আল্লাহ তা জানেন।
— Sheikh Mujibur Rahman
কাউকে যদি তার অসৎ কাজ সুশোভিত করে দেখানো হয় অতঃপর সে ওটাকে ভাল মনে করে, (সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ দেখে?) কেননা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন আর যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন; অতএব তাদের জন্য আফসোস করে নিজে ধ্বংস হয়ো না। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা জানেন।
— Rawai Al-bayan
কাউকে যদি তার মন্দকাজ শোভন করে দেখানো হয় ফলে সে এটাকে উত্তম মনে করে, (সে ব্যক্তি কি তার সমান যে সৎকাজ করে?) তবে আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছে হিদায়াত করেন [১]। অতএব তাদের জন্য আক্ষেপ করে আপনার প্রাণ যেন ধ্বংস না হয়। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ্ সে সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

এবারে আসুন একটু ভেবে দেখি। বলুন তো, আমাকে যদি মন্দ কাজটি সুশোভিত করে আল্লাহ দেখান এই ইচ্ছায় যে, তিনি আমাকে গোমরাহ করবেন, তাহলে আমার কাছে তো সেই মন্দ কাজটিই ভাল মনে হবে, তাই না? আমি তো তখন উত্তম কাজ মনে করে সেই মন্দ কাজটিই করবো, কারণ আল্লাহই তা ইচ্ছে করেছেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছে করে আমাকে পথভ্রষ্ট না করতো, তাহলে আমার মত সামান্য সৃষ্টির পক্ষে কুপথে চলে আসা সম্ভব?

এবারে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাদিস আমরা পড়ে নিই, হাদিসটি শুধুমাত্র সুনানু আবু দাউদ শরীফের সহিহ হাদিসই নয়, সেই সাথে মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী দ্বারা তাহক্বীককৃত সহিহ হাদিস। হাদিসটিতে খুব পরিষ্কারভাবেই বলা আছে, আল্লাহ পাক সেই আদি অবস্থাতেই সকলের জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারিত করে রেখেছেন। শুধু নির্ধারণ করেই শেষ হয়নি, আল্লাহ পাক যাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তাকে দিয়ে জান্নাতবাসীদের কাজ করিয়ে নেন, আর যাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তাকে দিয়ে জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। এবারে একটু ভাবুন তো, এর অর্থ কী? হাদিসটি পাবেন এখানে [2] [3] –

সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
অধ্যায়ঃ ৩৫/ সুন্নাহ
৪৭০৩। মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল-জুহানী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ ‘‘যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন…’’ (সূরা আল-আ‘রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল-কা‘নবী এ আয়াত পড়েছিলেন। উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে।
অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বেরিয়ে এনে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতবাসীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোনো বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।(1)
সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

করিয়ে
করিয়ে 1
আল্লাহ পাক আদমকে সৃষ্টি করার পরে তার পিঠ থেকে জান্নাতী এবং জাহান্নামী মানুষকে বের করেছিলেন, যা থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ জান্নাতের জন্য কিছু মানুষ নির্দিষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন, এবং জাহান্নামের জন্য কিছু মানুষকে। আল্লাহ পাক যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, মানুষের পক্ষে তা পরিবর্তন সম্ভব নয় [4] [5] ।

গ্রন্থের নামঃ মুয়াত্তা মালিক
অধ্যায়ঃ ৪৬. তকদীর অধ্যায়
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ২. মুসলিম ইবন ইয়াসার জুহানী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর (রাঃ)-এর নিকট (‏وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ) (সূরা আ’রাফঃ ১৭২) আয়াত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হইল। তিনি বলিলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হইয়াছিল। তিনি বলিয়াছিলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করিলেন এবং তাহার পৃষ্ঠে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা মুসেহ করিলেন, অতঃপর আদমের পৃষ্ঠদেশ হইতে তাহার সন্তানদেরকে বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা বেহেশতের কাজ করবে। অতঃপর পুনরায় তাহার পৃষ্ঠদেশে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত বুলাইলেন এবং তাহার আর কিছু সংখ্যক সন্তান বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা দোযখের কাজ করবে। এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহা হইলে আমল করায় লাভ কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহু পাক যখন কোন বান্দাকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাহার দ্বারা বেহেশতীদের কাজ করান আর মৃত্যুর সময়েও সে নেক কাজ করিয়া মৃত্যুবরণ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইয়া থাকেন। আর যখন কোন বান্দাকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তাহার দ্বারা দোযখীদের কাজ করাইয়া থাকেন। অতঃপর মৃত্যুর সময়েও তাহাকে খারাপ কাজ করাইয়াই মৃত্যুবরণ করান। আর আল্লাহ তখন তাহাকে দোযখে প্রবেশ করাইয়া থাকেন।

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ – তাক্বদীরের প্রতি ঈমান
৯৫-(১৭) মুসলিম ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-কে কুরআনের এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ ‘‘(হে মুহাম্মাদ!) আপনার রব যখন আদম সন্তানদের পিঠ থেকে তাদের সব সন্তানদেরকে বের করলেন’’ (সূরাহ্ আল আ‘রাফ ৭: ১৭২) (…আয়াতের শেষ পর্যন্ত)। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি শুনেছি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় এবং তিনি জবাবে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর আপন ডান হাত তাঁর পিঠ বুলালেন। আর সেখান থেকে তাঁর (ভবিষ্যতের) একদল সন্তান বের করলেন। অতঃপর বললেন, এসবকে আমি জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি, তারা জান্নাতীদের কাজই করবে। আবার আদামের পিঠে হাত বুলালেন এবং সেখান থেকে (অপর) একদল সন্তান বের করলেন এবং বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং তারা জাহান্নামীদেরই ‘আমাল করবে। একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে ‘আমালের আর আবশ্যকতা কি? উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন আল্লাহ কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তার দ্বারা জান্নাতীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত সে জান্নাতীদের কাজ করেই মৃত্যুবরণ করে এবং আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। এভাবে আল্লাহ তাঁর কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজই করিয়ে নেন। পরিশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করেই মৃত্যুবরণ করে, আর এ কারণে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দাখিল করেন। (মালিক, তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)(1)
(1) সহীহ : وَمَسَحَ ظَهْرَهٗ অংশটুকু ব্যতীত। মুয়াত্ত্বা মালিক ১৩৯৫, আবূ দাঊদ ৪০৮১, তিরমিযী ৩০০১; সহীহ সুনান আবূ দাঊদ। হাদীসের সানাদের রাবীগণ নির্ভরযোগ্য ও তারা বুখারী মুসলিমের রাবী। তবে এ সানাদে মুসলিম ইবনু ইয়াসার ও ‘উমারের মাঝে বিচ্ছিনণতা রয়েছে তথাপি হাদীসের অনেক শাহিদ বর্ণনা থাকায় হাদীসটি সহীহ। আর সহীহ সুনানে আবী দাঊদে আলবানী (রহঃ) হাদীসটিকে وَمَسَحَ ظَهْرَهٗ অংশটুকু ছাড়া সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

যাকে তার মন্দ কর্ম শোভনীয় ক’রে দেখানো হয়, অতঃপর সে সেটাকে উত্তম মনে করে (সে কি তার সমান, যে সৎ পথে পরিচালিত?) আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বিপথগামী করেন, আর যাকে ইচ্ছে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। কাজেই তাদের জন্য আক্ষেপ ক’রে, তুমি তোমার জীবনকে ধ্বংস হতে দিও না। তারা যা করে আল্লাহ তা খুব ভালভাবেই জানেন।
— Taisirul Quran
কেহকেও যদি তার মন্দ কাজ শোভন করে দেখানো হয় এবং সে ওটাকে উত্তম মনে করে সেই ব্যক্তি কি তার সমান যে সৎ কাজ করে? আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎ পথে পরিচালিত করেন। অতএব তুমি তাদের জন্য আক্ষেপ করে তোমার প্রাণকে ধ্বংস করনা। তারা যা করে আল্লাহ তা জানেন।
— Sheikh Mujibur Rahman
কাউকে যদি তার অসৎ কাজ সুশোভিত করে দেখানো হয় অতঃপর সে ওটাকে ভাল মনে করে, (সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ দেখে?) কেননা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন আর যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন; অতএব তাদের জন্য আফসোস করে নিজে ধ্বংস হয়ো না। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা জানেন।
— Rawai Al-bayan
কাউকে যদি তার মন্দকাজ শোভন করে দেখানো হয় ফলে সে এটাকে উত্তম মনে করে, (সে ব্যক্তি কি তার সমান যে সৎকাজ করে?) তবে আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছে হিদায়াত করেন [১]। অতএব তাদের জন্য আক্ষেপ করে আপনার প্রাণ যেন ধ্বংস না হয়। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ্ সে সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

আপনার কথা ঠিক হইলে আল্লাহ কি তাহলে অনেকগুলো? এক আল্লাহ তো এক মুখে দুই ক্থা বলে না। অতেব ইসলাম গ্রহন ক্যান্সেল।

১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



বলা বাহুল্য, তাকদিরের প্রশ্নটি গভীর এবং তাকদীর ও মানব স্বাধীন ইচ্ছার বিষয়টি চিন্তা উত্থাপন করার মতই। তবে, ইসলামে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তিনি সর্বজ্ঞ ও ন্যায়বিচারক। হাদিস ও কুরআনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তাকদীর মানে আল্লাহর পূর্বজ্ঞান ও ইচ্ছা, কিন্তু মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা ও কর্মের জন্য দায়িত্ব রয়ে গেছে। আল্লাহ মানুষকে পথ দেখান এবং তারা সেই পথে চলার সুযোগ পায়। হাদিসে উল্লিখিত "পিঠ বুলানো" একটি রূপক, যা আল্লাহর সৃষ্টি ও পূর্বনির্ধারণ বোঝায়, কিন্তু এটি মানুষের কাজের মূল্যকে বাতিল করে না। কুরআনে (আল-আ‘রাফ: ১৭২) আল্লাহ মানুষের সাথে শর্ত স্থাপন করেছেন, যা তার চয়নের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। তাই, "এক মুখে দুই কথা" বলার প্রশ্ন ওঠে না; এটি আল্লাহর হিকমত ও মানবের পরীক্ষার সমন্বয়।

যা হোক, আপনার ইসলাম গ্রহণ বাতিলের প্রস্তাবটি আবেগপ্রণোদিত; বরং এ বিষয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন করে ন্যায়বিচার ও করুণার গভীর তাৎপর্য বুঝতে আপনি উদ্যোগী হতে পারেন।

সর্বোপরি, আপনি কুরআন হাদিস নিয়ে এই যে জানার চেষ্টা করছেন (হোক বিরোধিতার জন্য), আমার বিশ্বাস, আপনি অবচেতনে হলেও একসময় নিজে থেকেই সত্যের সাক্ষ্য দিবেন।

ধন্যবাদ বাবাজি।

১২| ১১ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২১

অগ্নিবাবা বলেছেন: মাথা ঠাণ্ডা রেখে উত্তর দিয়েছেন এরজন্য ধন্যবাদ, কোরান হাদিস সীরাত পড়ে এখনো তেমন ভালো কিছু পাইনি যে জন্য ইসলামে ফেরত আসতে পারি। তবে গৌতম বুদ্ধের দর্শন বেশ মনে ধরেছে। তবে এরজন্য নিশ্চই বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করা লাগবে না। আপনিও অন্ধবিশ্বাস থেকে বের হয়ে, অনান্য ধর্ম বা বিজ্ঞানের বই পড়া শুরু করেন, জীবন আরো আনন্দময় হবে। সত্য জানতে হলে আপনাকে পুকুর থেকে বের হয়ে আসতে হবে, নাস্তিক দেশগুলো ভ্রমন করতে হবে, তারা কি পড়ে এগুলো পড়ে দেখতে হবে।

১১ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



অগ্নিবাবা, আপনার ভাবনার গভীরতা ও অনুসন্ধানী মনকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে বিশ্বাস শুধু অন্ধ অনুসরণ নয়—অনেকের জন্য তা অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও আত্মিক উপলব্ধির ফল। আমি প্রশ্ন করি, পড়ি, বুঝি—তবুও ইসলামেই হৃদয়ের প্রশান্তি পাই। আপনি যেমন বুদ্ধের দর্শনে আকর্ষন অনুভব করেন বলে জানালেন, তেমনি কেউ কোরআনেই সত্য খুঁজে পায়। মতভেদ থাকতেই পারে, তবে শ্রদ্ধা থাকুক দুই পাড়েই।

আপনার শেষের কথাটা অর্থবহ, যেখানে বলেছেন- "সত্য জানতে হলে আপনাকে পুকুর থেকে বের হয়ে আসতে হবে, নাস্তিক দেশগুলো ভ্রমন করতে হবে, তারা কি পড়ে এগুলো পড়ে দেখতে হবে।"

জানার শেষ নেই। ইসলাম সবসময়ই আপনাকে জানতে উৎসাহিত করে। এটাই ইসলামের পরম সৌন্দর্য্য। ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.