![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বৈচিত্র্যময় ভাষা: ইতিহাসের অক্ষররেখায় হারানো সভ্যতার গল্প ছবি এআই এর সহায়তায় তৈরি।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে, ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহর নিদর্শন। পবিত্র কুরআনে ভাষার বৈচিত্র্যকে সৃষ্টির একটি আয়াত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা আর-রুমের ২২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِلْعَالِمِينَ
বঙ্গানুবাদ: "আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও রঙের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।" -সূরা আর-রুম, ৩০:২২
এছাড়া, সূরা ইবরাহীমের ৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ
বঙ্গানুবাদ: "আমরা প্রত্যেক রাসূলকে তার নিজ সম্প্রদায়ের ভাষায় পাঠিয়েছি, যাতে তিনি তাদের কাছে ব্যাখ্যা করতে পারেন।" -সূরা ইবরাহীম, ১৪:৪
এই আয়াতগুলো ভাষার বৈচিত্র্যকে ঐশী সৃষ্টির অংশ হিসেবে তুলে ধরে এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ঐশী বাণী পৌঁছানোর গুরুত্ব নির্দেশ করে।
হাদিসেও ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব উল্লেখ রয়েছে। সাহাবী যায়দ ইবনে সাবিত (রা) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে:
عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَتَعَلَّمَ كِتَابَةَ الْيَهُودِ فَقَالَ إِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُ الْيَهُودَ عَلَى كِتَابَتِي فَتَعَلَّمْتُهَا فَلَمْ يَمُرَّ بِي إِلَّا نِصْفُ شَهْرٍ حَتَّى حَذَقْتُهَا
বঙ্গানুবাদ: "আল্লাহর রাসূল (সা) আমাকে ইহুদিদের লেখা শিখতে নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেন, 'আল্লাহর কসম, আমি ইহুদিদের আমার লেখার ব্যাপারে ভরসা করি না।' তাই আমি তা শিখলাম, এবং অর্ধ মাসের মধ্যেই আমি তা আয়ত্ত করলাম।" -সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং: ৩৬৪৫, সহিহ
এছাড়া, সালমান ফারসি (রা) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে তিনি কুরআনের সূরা আল-ফাতিহার পারস্য ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, যা কুরআনের অর্থ অনুবাদের প্রাচীনতম উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। -বুখারি, বিবরণ অনুযায়ী
এই আয়াত ও হাদিসগুলো ভাষার বৈচিত্র্যকে শুধু সাংস্কৃতিক সম্পদই নয়, বরং ঐশী উদ্দেশ্য ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
বর্তমান বিশ্বে কতটি ভাষা রয়েছে, তা নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা দুরূহ। তবে, Ethnologue-এর ২৬তম সংস্করণ (২০২৩) অনুসারে, পৃথিবীতে বর্তমানে ৭,১৬৮টি জীবন্ত ভাষা রয়েছে। দুঃখজনকভাবে, প্রতিনিয়ত কিছু ভাষা বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, কারণ অনেক ভাষার শেষ বক্তাও মৃত্যুবরণ করছেন। ভাষাবিদদের আশঙ্কা, আগামী এক শতাব্দীতে প্রায় ৩,৫০০ ভাষা, অর্থাৎ বর্তমান ভাষার প্রায় অর্ধেক, চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। গড়ে প্রতি দুই সপ্তাহে একটি ভাষা পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৩০০টি ভাষায় পৃথিবীর ৯৬% মানুষ তাদের দৈনন্দিন ভাব বিনিময় করে। অর্থাৎ, বাকি ৬,৮০০টিরও বেশি ভাষা এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে।
Ethnologue (২০২৩) অনুযায়ী, বিশ্বে এমন অনেক ভাষা রয়েছে যেগুলোর বক্তা সংখ্যা অত্যন্ত কম। ১৮১টি ভাষায় মাত্র ১ থেকে ৯ জন বক্তা রয়েছেন, ৩০২টি ভাষায় ১০ থেকে ৯৯ জন, এবং ১,০৭৫টি ভাষায় ১০০ থেকে ৯৯৯ জন বক্তা রয়েছেন। এসব ভাষার বক্তারা যদি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাদের ভাষা হস্তান্তর না করেন, তবে শত শত ভাষার বিলুপ্তি অনিবার্য। ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটি একটি জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয়, ইতিহাস ও জীবনদর্শনের ধারক। বিভিন্ন জাতি, জনগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব ভাষায় জীবনযাপন, জ্ঞান, বিশ্বাস ও ঐতিহ্য লিপিবদ্ধ করে। তাই ভাষাগুলোর অবস্থান কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং জাতিগত ও সমাজভিত্তিক। উদাহরণস্বরূপ, পাপুয়া নিউগিনিতে ৮৪০টি ভাষা, চীনে ২৯৯টি, এবং ভারতে ৪৪৭টি ভাষা প্রচলিত রয়েছে।
বাংলাদেশে Ethnologue-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ৪১টি ভাষা প্রচলিত। এর মধ্যে প্রায় ৩০টি ভাষা দেশের আদিবাসী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন: চাকমা, মারমা, ওঁরাওং, ত্রিপুরা, গারো, লুসাই, সাঁওতালি, মণিপুরী, রাখাইন, কুরুক, ককবরক, নাইতুং, উসুই, আচিক, আবেং, দুলিয়্যানটং, মাহলেস, খালাছাই প্রভৃতি। এই ভাষাগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ভাষাগত ঐতিহ্যের জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করে। ভাষার এই অপূর্ব বৈচিত্র্যের পেছনে রয়েছে নানা ব্যাখ্যা। কেউ বলেন, ভৌগোলিক দূরত্ব ও পরিবেশের ভিন্নতা ভাষার বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আবার কেউ মনে করেন, সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে মানুষের চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের প্রয়োজনে ভাষার সৃষ্টি ও বিস্তার ঘটেছে। ইতিহাসের ধারায় ধর্ম, রাজনীতি, উপনিবেশবাদ এবং বাণিজ্যও অনেক ভাষার জন্ম, প্রসার ও বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন এবং একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাবে ছোট ও প্রান্তিক ভাষাগুলো আজ অস্তিত্বের সংকটে। তরুণ প্রজন্ম নানা কারণে তাদের মাতৃভাষাকে অবহেলা করে আধিপত্যশীল ভাষার প্রতি ঝুঁকছে, ফলে এই ভাষাগুলো তাদের স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ হারাচ্ছে। কিন্তু ভাষা কেবল যোগাযোগের হাতিয়ার নয়; এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়, ইতিহাস, বিশ্বাস, আবেগ ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের প্রতীক। একটি ভাষার বিলুপ্তি মানে শুধু শব্দের ক্ষয় নয়, বরং একটি জাতিগোষ্ঠীর শত শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, লোকগান, লোকজ্ঞান এবং চিন্তাধারার চিরনিশ্চিহ্ন।
তাই ভাষা রক্ষা কেবল ভাষাবিদদের দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সকলের সম্মিলিত কর্তব্য। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভাষা সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি, গবেষণা, প্রজন্মান্তরে ভাষা হস্তান্তরের পরিকল্পনা এবং শিক্ষাক্রমে এই ভাষাগুলোর অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরি। আঞ্চলিক ভাষায় সাহিত্যচর্চা, গণমাধ্যমে ব্যবহারের সুযোগ এবং ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন এই ভাষাগুলোর পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পৃথিবীর ভাষাগত বৈচিত্র্য শুধু বৈজ্ঞানিকভাবে মূল্যবান নয়, এটি মানব সভ্যতার এক অপরূপ ধন। ভাষা বাঁচলে জাতি বাঁচবে; ভাষা মরলে হারিয়ে যাবে ইতিহাসের একেকটি অধ্যায়। তাই আমাদের দায়িত্ব ভাষা নিয়ে ভাবা, কাজ করা এবং তাকে ভালোবাসা। এই অমূল্য সাংস্কৃতিক সম্পদকে আগামী প্রজন্মের জন্য রক্ষা করতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
নীচে Ethnologue (২০২৩) এবং অন্যান্য সাম্প্রতিক সূত্রের ভিত্তিতে মোট বক্তার সংখ্যা (নেটিভ ও নন-নেটিভ বক্তা সহ) অনুযায়ী শীর্ষ ১০টি সর্বাধিক প্রচলিত ভাষার তালিকা দেওয়া হল। পদ্ধতিগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন সূত্রে সংখ্যা সামান্য ভিন্ন হতে পারে, তবে এই পরিসংখ্যানগুলো ব্যাপকভাবে গৃহীত।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভাষা ইংরেজি, যা ১.৫ বিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করে। এটি ব্যবসা, শিক্ষা ও গণমাধ্যমে বৈশ্বিক লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতসহ ১০০টির বেশি দেশে প্রচলিত। দ্বিতীয় স্থানে ম্যান্ডারিন চীনা, ১.১ বিলিয়ন বক্তা নিয়ে। চীন, তাইওয়ান এবং সিঙ্গাপুরে প্রধানত ব্যবহৃত, এটি চীনের বিশাল জনসংখ্যার কারণে সর্বাধিক নেটিভ বক্তার ভাষা। তৃতীয় স্থানে হিন্দি, ৬০২ মিলিয়ন বক্তা। ভারতের সরকারি ভাষা, প্রধানত উত্তর ও মধ্য ভারতে প্রচলিত, পারস্পরিক বোধগম্য উপভাষাসহ।
চতুর্থ স্থানে স্প্যানিশ, ৫৫৯ মিলিয়ন বক্তা। স্পেন, মেক্সিকো এবং লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশসহ ২১টি দেশে সরকারি ভাষা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। পঞ্চম স্থানে ফরাসি, ৩১০ মিলিয়ন বক্তা। ফ্রান্স, কানাডা এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ ২৯টি দেশে সরকারি ভাষা, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠ স্থানে আরবি (স্ট্যান্ডার্ড), ২৭৪ মিলিয়ন বক্তা। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় প্রচলিত, মডার্ন স্ট্যান্ডার্ড আরবি ও বিভিন্ন উপভাষা অন্তর্ভুক্ত, যা সবসময় বোধগম্য নাও হতে পারে।
সপ্তম স্থানে বাংলা, ২৭৩ মিলিয়ন বক্তা। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি ভাষা, বিশ্বে সপ্তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। অষ্টম স্থানে পর্তুগিজ, ২৬৪ মিলিয়ন বক্তা। পর্তুগাল, ব্রাজিল, অ্যাঙ্গোলা এবং মোজাম্বিকের সরকারি ভাষা, ব্রাজিলের জনসংখ্যার কারণে ক্রমবর্ধমান। নবম স্থানে রুশ, ২৫৫ মিলিয়ন বক্তা। রাশিয়া এবং প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে সরকারি ভাষা, পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচলিত। দশম স্থানে উর্দু, ২৩২ মিলিয়ন বক্তা। পাকিস্তানের সরকারি ভাষা এবং ভারতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত, কথ্য রূপে হিন্দির সাথে পারস্পরিক বোধগম্য (হিন্দুস্তানি)।
এই তালিকার বক্তার সংখ্যায় নেটিভ (L1) এবং নন-নেটিভ (L2) উভয়ই অন্তর্ভুক্ত, যা মোট ব্যবহারের প্রতিফলন করে। শুধু নেটিভ বক্তাদের হিসাবে ক্রম পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন ম্যান্ডারিন ইংরেজিকে ছাড়িয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলার ২৭৩ মিলিয়ন বক্তার মধ্যে ২৪২ মিলিয়ন নেটিভ বক্তা। বিপন্ন ভাষা এবং দেশভিত্তিক ভাষার সংখ্যা Ethnologue (২০২৩) এর তথ্যের ভিত্তিতে নির্ভুল করা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ভাষার পরিসংখ্যানের সবচেয়ে প্রামাণিক উৎস। ভারতে গত ৫০ বছরে ২৩০টি ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার দাবি কিছু সূত্রে পাওয়া গেলেও Ethnologue-এর সরাসরি সমর্থন নেই, তাই এটির যাচাই প্রয়োজন।
১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ভাষার বৈচিত্র্য যেমন মানব সভ্যতার এক অনন্য সম্পদ, তেমনি একটি সার্বজনীন ভাষার ধারণাও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ—বিশ্বের মানুষের পারস্পরিক বোঝাপড়া সহজ করতে পারে। কিন্তু একটি সার্বজনীন ভাষার ধারণাটি কল্পনায় চিন্তা করা গেলেও সুবিশাল এই পৃথিবীর বাস্তবতার আলোকে মোটেই সম্ভব নয়। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮
ফেনিক্স বলেছেন:
পৃথিবীতে ৭ হাজারের বেশী যে ভাষা আছে, ইংরেজী যে ১নং'এ আছে, তা আপনি কিভাবে জেনেছেন, কুরানের আয়াত থেকে?
হযরত আদমকে আল্লাহ কোন ভাষা শিখায়েছিলেন, উহা কোরানে আছে?
ভাষা আল্লাহ শিখায়েছে, নাকি মানুষ নিজের প্রয়োজনে নিজেরা সৃষ্টি করেছে?
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধর্ম ও ঈমানবিষয়ক বিষয়ে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে যখন কেউ প্রশ্ন তোলে, তখন সেটা প্রশ্ন নয়, মূলত ঈমানের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথমত, কুরআনুল কারিমে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:
"আর তিনি (আল্লাহ) আদমকে সমস্ত ‘নাম’ শিক্ষা দিলেন..." -সূরা আল-বাকারা, আয়াত ৩১
তাফসির অনুযায়ী, এই ‘নাম’ বলতে ভাষা, শব্দ, অর্থাৎ জ্ঞানের মৌলিক উপকরণ বোঝানো হয়েছে। এখানে এটা স্পষ্ট যে, ভাষার ভিত্তি ও সূচনা মানবজাতিকে আল্লাহর দান।
দ্বিতীয়ত, পৃথিবীতে আজ ৭ হাজার ভাষা থাকলেও এগুলোর উৎপত্তির শিকড় এক প্রাথমিক ভাষাতেই গাঁথা, যা কালের বিবর্তনে বিভাজিত হয়েছে। আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের অনেক গবেষণা এ ধারণাকেই সমর্থন করে।
তৃতীয়ত, আপনি যদি প্রশ্ন করেন ইংরেজি ১ নম্বরে আছে কিভাবে জানলাম—তাহলে বলি, এটা ধর্মীয় নয়, পরিসংখ্যানগত বা ভাষাতাত্ত্বিক প্রশ্ন। ভাষার বিস্তার, যোগাযোগ, ইন্টারনেট ব্যবহার, একাডেমিক গুরুত্ব ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ইংরেজিকে আধুনিক যুগে সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা হিসেবে ধরা হয়।
চতুর্থত, আপনি যদি প্রশ্ন করেন, “ভাষা আল্লাহ শিখিয়েছে নাকি মানুষ সৃষ্টি করেছে”—তাহলে এটা সরলভাবে বলি:
মানুষ কিছুই নিজে সৃষ্টি করতে পারে না। মানুষ আবিষ্কার করে, সংস্কার করে, কিন্তু সৃষ্টি আল্লাহর কাজ। ভাষাও তাই। মানুষের মুখে উচ্চারণযোগ্য ক্ষমতা, মননে চিন্তা করার ক্ষমতা এবং অর্থ প্রকাশের উপায় আল্লাহরই দান। মানুষ কেবল তা ব্যবহারের মাধ্যমে ভাষা বিকাশ করেছে।
আপনার প্রশ্নগুলো যদি সত্য জানতে চাওয়ার আন্তরিকতা থেকে করা হতো, তাহলে উত্তর পেতে আপনি কখনোই আল্লাহ বা ধর্মকে বিদ্রুপ করতেন না।
আপনাকে আল্লাহ হেদায়েত দান করুন। আমরা আলোচনায় আসতে রাজি, কটাক্ষে নয়।
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
হযরত আদম (আ.) কোন ভাষা শিখেছিলেন, কুরআনে তা বলা আছে কি না?
এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, সরাসরি ভাষার নাম উল্লেখ নেই। তবে কুরআনে সূরা বাকারা ২:৩১ আয়াতে বলা হয়েছে:
“আর আল্লাহ আদমকে সমস্ত নাম শিক্ষা দিলেন…”
(وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا)
এই আয়াত থেকে ইসলামী চিন্তাবিদরা ধারণা করেন, ভাষা বা নামকরণের জ্ঞান মানুষকে সৃষ্টিগতভাবে আল্লাহ দিয়েছেন। কিন্তু সেটি আরবি, হিব্রু, বা অন্য কোন নির্দিষ্ট ভাষা ছিল কি না—তা বলা হয়নি।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ভাষা আমার মনে হয় চাইনিজ ভাষা, ওরা নিজেরা যেমন মন অন্য ভাষা শিখতে চায় না আবার অন্যরাও সাবলীলভাবে চাইনিজ ভাষা উচ্চারণ করতে পারে না। সবমিলিয়ে বেশ কঠিন একটি ভাষা।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে- পরকালে ফরেশতাগণ চাইনিজদের সাথে কি চাইনিজ ভাষায় কথা বলবেন না আরবীতে?
বাঙালাী বা বাংলা ভাষায় কোন নাবী রাসুল পৃথিবীতে এসেছিলেন কি না?
ধন্যবাদ।
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ভাষা আমার মনে হয় চাইনিজ ভাষা
-সহমত পোষন করছি। জীবনে শত শত চাইনিজের সঙ্গে ওঠাবসার সুবাদে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় আমিও মনে করি, তাদের ভাষাটি সত্যিই ‘দাঁতভাঙা’—শিখতে ও উচ্চারণে বেশ কঠিন।
১. পরকালের ভাষা: ইসলামি আকীদা অনুযায়ী, কবরের প্রশ্ন, হাশরের মাঠে বিচার, কিংবা জান্নাত-জাহান্নামের ক্ষেত্রে যে ভাষা ব্যবহৃত হবে—সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে কুরআন বা সহীহ হাদীসে কোনো নির্দিষ্ট ভাষার কথা বলা হয়নি।
তবে অধিকাংশ ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলেমগণ মনে করেন—আরবি হবে পরকালের "প্রধান ভাষা", কারণ:
কুরআন আরবিতে অবতীর্ণ।
রাসূল (সা.) আরবি ভাষাভাষী ছিলেন।
জান্নাতবাসীরা আরবিতে কথা বলবে—এমন ধারণা কিছু বর্ণনায় পাওয়া যায়, তবে তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
কিন্তু মূল বিষয় হলো: পরকালে ভাষাগত কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না, বরং সকলেই বুঝতে পারবে এবং বুঝাতে পারবে। এটি হবে আধ্যাত্মিক ও প্রতীকী উপলব্ধির জায়গা। অর্থাৎ, চাইনিজ হোন, বাঙালি হোন বা আফ্রিকান—ফেরেশতা যা বলবেন, সবাই সেটা নিজ নিজ ভাষার মতো করে বুঝে নেবেন।
২. বাংলাভাষী নবী: কুরআনে সরাসরি কোনো বাংলাভাষী নবীর নাম উল্লেখ নেই। তবে কুরআনে বলা হয়েছে, “আমি প্রত্যেক জাতির জন্য একজন বার্তাবাহক প্রেরণ করেছি”। সুতরাং, ধরে নেওয়া যায় বাংলার জন্যও কোনো নবী পাঠানো হয়েছিল, যদিও তাঁর পরিচয় আমাদের অজানা।
সুন্দর প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮
ফেনিক্স বলেছেন:
আপনি আসলে গার্বেজ ছাড়া অন্য কিছু লিখতে জানেন না।
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
@ফেনিক্স, পরিষ্কারভাবেই বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছেন। কিন্তু দুঃখিত! আপনার সাথে ঝগড়া করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি সবসময়ই সীমালঙ্ঘনকারী। "আমি গার্বেজ ছাড়া অন্য কিছু লিখতে জানি না" - মন্তব্যটিও তার একটি প্রমান।
৫| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫
ফেনিক্স বলেছেন:
ভাষা সম্পর্কে আপনি ব্লগে গার্বেজ ধারণা দিচ্ছেন; মানুষ নিজ চেষ্টায় নিজকে প্রকাশ করতে গিয়ে "ভাষা আবিস্কার" করেছে; নবী আরবী ভাষায় কথা বলতেন বলে, তিনি আরবীতে কুরান লেখায়েছেন; কোরানে আবার ভাষা নিয়ে কিসের আলোচনা?
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
ফেনিক্স সাহেব, আপনার মন্তব্য তথ্যভিত্তিক নয়। সংক্ষেপে কিছু যুক্তি দিচ্ছি:
ভাষা মানুষের আবিষ্কার নয় — কুরআনে বলা হয়েছে,
"তিনি মানুষকে ভাষা (বক্তব্য) শিখিয়েছেন" (সূরা আর-রহমান: ৪)।
অতএব, ভাষা আল্লাহর দান।
কুরআন আরবিতে কেন? —
"আমি প্রত্যেক রসূলকে তার কওমের ভাষায় পাঠিয়েছি" (সূরা ইব্রাহীম: ৪)।
অর্থাৎ বুঝার সুবিধার্থে আরবীতে।
ভাষা নিয়ে কুরআনের আলোচনা আছে? —
"তোমাদের ভাষা ও বর্ণের পার্থক্য তাঁর নিদর্শন" (সূরা আর-রূম: ২২)।
ভাষা আল্লাহর সৃষ্টি ও নিদর্শন।
আপনার দাবিগুলো কুরআনের আলোকে ভ্রান্ত। ভাষা আল্লাহর দেওয়া, কুরআনে এর স্পষ্ট আলোচনা আছে। আপনি জানেন না এটা আপনার অজ্ঞতা।
৬| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
ফেনিক্স বলেছেন:
মানুষ ৪/৫ বছর আগে হিন্দি চালু করলো, আপনি কিসব গার্বেজ ছাড়েন সব বিষয়ে!
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
হ, হাঁচাই কইছুইন। তয় ৪/৫ বছর আগে না, হিন্দি ভাষা ২/৩ বছর আগে চালু হইছে! আর এইটা তো আপনিই চালু করছিলেন! তাই না?
৭| ১৩ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২
ফেনিক্স বলেছেন:
মন্তব্য #৬, টাইপো:
মানুষ ৪/৫ *শত বছর আগে হিন্দি চালু করলো, আপনি কিসব গার্বেজ ছাড়েন সব বিষয়ে!
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আর টাইপো মাইপো দিতে হবে না! ইহা সবাই ইতোমধ্যেই বুঝে গেছেন যে, হিন্দি ভাষার আপনিই জনক!!!
৮| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
ফেনিক্স বলেছেন:
নবী আরবী জানতেন, উনি যা বলেছেন, মানুষ মনে রেখেছিলো; ইহাই কুরান।
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
কুরআন কেবল নবীর কথা নয়; এটি আল্লাহর ওহি, যা জিবরাঈল (আ.)-এর মাধ্যমে নাজিল হয়েছে। সাহাবিরা তা মুখস্থও করেছিল, লিখেও রেখেছিল। কুরআন সংরক্ষনের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন আল্লাহ তাআলা (সুরা হিজর: ৯)। তাই“মানুষ মনে রেখেছিল, ইহাই কুরআন” — এ বক্তব্য ভুল।
৯| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফেনিক্স @মানুষ ভাষা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু মানুষকে কে সৃষ্টি করেছে?
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রশ্নের উত্তরে বড়জোর হয়তো বানর পর্যন্ত যাবে!
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভাষা হলো মানুষের কথা বলার মাধ্যম। আল্লাহ আদম (আ.)-কে ভাষা শেখিয়েছেন — এটা ধর্ম বলে। বিজ্ঞান বলে, মানুষ ধীরে ধীরে ভাষা শিখেছে, সময়ের সঙ্গে মস্তিষ্ক ও দেহ উন্নত হয়েছে। আবার কেউ বলেন, মানুষ প্রকৃতির শব্দ অনুকরণ করে ভাষা তৈরি করেছে এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভাষা প্রয়োজন হয়েছে।
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আদম (আ.)-কে ভাষা আল্লাহ নিজে শিখিয়েছেন (সুরা বাকারা: ৩১)। এটি মানুষের শেখা নয়, আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান। বিজ্ঞান ভাষার উৎস নিয়ে শুধু অনুমান করে, নিশ্চিত প্রমাণ দেয়নি। তাই কুরআনের বক্তব্যই নির্ভরযোগ্য ও পূর্ণ।
আপনি সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। যুক্তিপূর্ণ আলোচনা সারা দিন করা যায়। কিন্তু পছন্দের বিপক্ষে গেলেই "গার্বেজ" বলা মানসিক অসুস্থতার লক্ষ্মণ।
১১| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করা অনেকের মধ্যে একটা সাধারণ প্রবণতা চোখে পড়ে : তারা বিজ্ঞান এবং স্রষ্টাকে যেন দুইটি আলাদা সত্তা হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। বিজ্ঞানকে দেখা হয় নিছক একটি মানবিক চেষ্টার ফল হিসেবে, আর স্রষ্টাকে দেখা হয় একান্তভাবে আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় পরিসরে। কিন্তু আসলে কি তারা সত্যিই আলাদা?
একটু গভীরভাবে ভাবলেই দেখা যাবে—বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করছে মানুষ, আর মানুষকেই সৃষ্টি করেছেন সেই স্রষ্টা। সুতরাং বিজ্ঞান, যে কিনা মানুষ দ্বারা পরিচালিত, শেষ পর্যন্ত তো সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনারই একটি প্রকাশ। স্রষ্টা মানুষকে যেমন বুদ্ধি দিয়েছেন, তেমনি দিয়েছেন অনুসন্ধানী মন, প্রশ্ন করার ক্ষমতা, আর জগৎকে জানার আগ্রহ—এই সবই তো বিজ্ঞানচর্চার মূল উপাদান।
অতএব, বিজ্ঞান ও স্রষ্টা দুই বিপরীত নয়—বরং বিজ্ঞান তো সেই স্রষ্টার সৃষ্টির অন্তর্গত নিয়মকানুনকে জানারই এক মাধ্যম। এখানেই সমস্যার সমাধান। দ্বন্দ্ব নয়, এখানে রয়েছে এক গভীর সংযোগ।
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এমন গভীর ও ভাবনাপ্রসূত বক্তব্যের জন্য। আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন—বিজ্ঞান ও স্রষ্টা পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং পরিপূরক। মানুষকে যে জ্ঞান, বুদ্ধি, অনুসন্ধিৎসা ও প্রশ্ন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে—এই সবই স্রষ্টার দান, যা দিয়ে মানুষ তাঁর সৃষ্টিজগৎ অন্বেষণ করে। বিজ্ঞান হলো সেই নিয়ম-কানুন জানার একটি উপায়, যা স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিতে সংযুক্ত করেছেন। তাই প্রকৃতপক্ষে এখানে কোনো দ্বন্দ্ব নেই—আছে এক গভীর ঐক্য ও সংযোগ।
১২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
ফেনিক্স বলেছেন:
কুরানে কোন জ্ঞান নেই, জ্ঞান মানুষের ভাবনাশক্তি। মুসলমানেরা পরাজিত হচ্ছে জ্ঞানের অভাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আমার মতে পৃথিবীতে এত ভাষা থাকা উচিত নয়। শুধুমাত্র একটি সার্বজনীন ভাষা থাকলে ভালো হত।