নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নে প্রিয় নবীজী ﷺ-কে দেখা: একটি বিরাট সৌভাগ্য

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪২

স্বপ্নে প্রিয় নবীজী ﷺ-কে দেখা: একটি বিরাট সৌভাগ্য

মসজিদে নববী, মদিনাতুল মুনাওয়ারা

স্বপ্নে প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখা একজন মুমিনের জীবনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত ও নিয়ামত। এ সৌভাগ্য খুবই বিরল, কিন্তু যাঁদের জীবনে এটি নসিব হয়, নিঃসন্দেহে তারা আল্লাহ্‌র বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত। এটি ঈমানের দৃঢ়তা, নবীপ্রেম এবং সুন্নাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। সহীহ হাদীসে এসেছে—

مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَتَخَيَّلُ بِي

"যে আমাকে স্বপ্নে দেখেছে, সে বাস্তবেই আমাকে দেখেছে; কারণ শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।" — সহীহ বুখারী, হাদীস: 6993; সহীহ মুসলিম, হাদীস: 2266

এই হাদীস স্পষ্ট করে যে, স্বপ্নে নবীজীকে দেখা কোন কল্পনা বা ভ্রান্তি নয়; বরং তা বাস্তব ও সত্য। শয়তান কখনোই তাঁর রূপ ধারণ করতে পারে না।

কুরআনেও নবীজী ﷺ-এর মুমিনদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন—

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

"নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসূল, তোমাদের কষ্ট তাঁর কাছে ভারী মনে হয়; তিনি তোমাদের মঙ্গল কামনায় অত্যন্ত আগ্রহী, আর মুমিনদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ও করুণাময়।" — সূরা আত-তাওবা: 128

এ আয়াত প্রমাণ করে যে, নবীজীর রহমত ও ভালোবাসা মুমিনদের অন্তরে বিশেষভাবে প্রবাহিত হয়। স্বপ্নে তাঁকে দেখা সেই রহমতেরই এক অনন্য প্রকাশ।

আলেমগণ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ইমাম নববী (রহ.) বলেন— "স্বপ্নে নবীজী ﷺ-কে দেখা সত্য এবং তা মুমিনের জন্য সুসংবাদ। এটি আল্লাহর রহমত ও বরকতের প্রতীক।"—শরহ মুসলিম, ইমাম নববী

ইমাম তিরমিযী (রহ.) উল্লেখ করেছেন— "এ স্বপ্ন ঈমানের পূর্ণতা ও নবীজীর সুন্নাহ অনুসরণের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়।" —সুনান তিরমিযী, হাদীস: 2282

ইতিহাসে অসংখ্য ওলি আউলিয়া, সালাফে সালিহীন ও বিশিষ্ট আলেমরা নবীজী ﷺ কে স্বপ্নে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। তাঁদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, এই দর্শন তাঁদের জীবনে আমল বাড়িয়েছে, অন্তরে নবীপ্রেমকে জাগ্রত করেছে এবং সুন্নাহর প্রতি দৃঢ় আনুগত্য সৃষ্টি করেছে। যেমন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বর্ণনা করেন যে, স্বপ্নে নবীজী ﷺ-এর দিকনির্দেশনা পেয়ে তিনি হাদীস সংকলনের কাজে আরও দৃঢ়তা অর্জন করেছিলেন।

স্বপ্নে নবীজীকে দেখা নিঃসন্দেহে এক বিশেষ সৌভাগ্য। তবে এর সঙ্গে মুমিনের জন্য একটি বড় দায়িত্বও জড়িত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ এবং একইসাথে তাঁর সুন্নাহকে জীবনে বাস্তবায়নের প্রতি নতুন আহ্বান। যে ব্যক্তি এ সৌভাগ্য লাভ করে, তার কর্তব্য হলো নবীর শিক্ষা মেনে চলা, জীবনে আমল বৃদ্ধি করা এবং মানুষের মাঝে সুন্নাহর দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া।

এই মহামূল্যবান নিয়ামত লাভের জন্য সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। যেমন—

اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا رُؤْيَةَ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ وَفِي الْيَقَظَةِ، وَثَبِّتْنَا عَلَى سُنَّتِهِ حَتَّى نَلْقَاكَ وَأَنْتَ رَاضٍ عَنَّا

"হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে স্বপ্নে এবং কিয়ামতের ময়দানে দেখার সৌভাগ্য দান করুন এবং আমাদেরকে তাঁর সুন্নাহর উপর দৃঢ় রাখুন, যতক্ষণ না আপনার সাথে সাক্ষাৎ করি এবং আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট হোন।"

বস্তুতঃ স্বপ্নে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখা একটি বিরাট খোশনসিবি। এটি শুধু আনন্দ ও আবেগের বিষয় নয়, বরং সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। নিঃসন্দেহে এ সৌভাগ্যবান দর্শন ঈমানকে সতেজ করে, নবীপ্রেমকে জাগ্রত করে এবং আখিরাতের মুক্তির পথে মুমিনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

এই সবুজ গম্বুজের নিচেই রওজায়ে আতহার

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি স্বপ্নে তাঁকে মোট চার বার দেখেছি। এর মধ্যে তিন বারের কথা আমার মনে আছে। একবারের কথা আমি ভুলে গেছি। একবার আমি দেখলাম- আমি আমার বেড সীট ও বালিশের কভার ধুয়ে প্রখর রোদে শুকিয়ে দুপুর দু’টার সময় বেড সীট বিছানায় বিছিয়ে এবং বালিশের কভার বালিশে লাগিয়ে বিশ্রামের জন্য বিছানা প্রস্তত করেছি। কিন্তু বিছানা প্রস্তুতের পর আমি খেয়ে দেয়ে দৈনিক পত্রিকা নিয়ে বসেছি। উদ্দেশ্য পত্রিকা পড়া শেষে বিশ্রাম নেব। তিনটার সময় দেখলাম কেউ একজন দরজায় দাঁড়িয়ে ভিতরে ঢুকার অনুমতির অপেক্ষায়। আমার তখন এক কলামের মাত্র দু’ লাইন পড়া বাঁকি। ভাবলাম সেই দু’লাইন পড়া হলেই আগন্তককে ভিতরে আসতে বলব। দু’লাইন পড়া শেষ হতেই এবং আগন্তকের দিকে তাকাতেই তিনি বললেন, আমি সাইয়্যেদুল মুরসালিন। আমি তখন নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে করে বললাম, আমি সাইয়্যেদুল মরসালিনকে দাঁড় করে রেখেছি। আমি তাঁর সাথে মোছাফাহা করে তাঁকে তাজিমের সাথে আমার বিছানায় শুইয়ে দিলাম বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। খাটের মাথার দিক ছিল ফূর্ব দিকে। তিনি পূর্ব দিকে মাথা না দিয়ে পূর্ব দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে পা দিলেন উত্তর পশ্চিম দিকে। আমি ভাবলাম তাঁর পা কাবার চেয়ে উত্তম। তথাপি তিনি কাবাকে সম্মান দিয়ে কাবার দিকে পা দিলেন না। সুতরাং তিনি আমাকে শিখালেন- সম্মানিতকে সম্মান দিতে হবে তাকে নিজে থেকে কম সম্মানিত মনে হলেও।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরিদ ভাই, আপনার স্বপ্নের অভিজ্ঞতা পড়ে হৃদয় সত্যিই গভীরভাবে স্পর্শিত হলো। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও সৌভাগ্য। আপনি যেভাবে ঘটনা বর্ণনা করেছেন, তাতে শিক্ষার অপূর্ব দিক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—সম্মানিতকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। এটি আমাদের জন্যও এক মহান শিক্ষণীয় বার্তা।

আল্লাহ তাআলা আপনার এ স্বপ্নকে কল্যাণময় করুন, আপনার জীবনে এর অবারিত বরকত দান করুন এবং আপনাকে দ্বীনের খেদমতে আরও বেশি নিয়োজিত হওয়ার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদের সকলকেই স্বপ্নে হোক বা জাগ্রত অবস্থায় হোক, প্রিয় নবীজীর সান্নিধ্যের সৌভাগ্য দান করুন। আপনাকে এ মূল্যবান অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে এবং আমাদেরকে ঈমানের দৃঢ়তা, দীর্ঘ সুস্থ জীবন এবং শেষ পর্যন্ত নবীজীর শাফায়াত নসিব করুন। আমীন।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার বড় মেয়ে দেখেছে মহানবি (সা) ও হযরত আবু বকর (রা) সামনা সামনি বসে আছেন। তাঁদের দু’জনের মাঝে আকাশ খেকে নূর নাজিল হচ্ছে। বড় মেয়ে মহানবিকে (সা) মোট পাঁচ বার স্বপ্নে দেখেছে। ছোট মেয়ে ও তাদের মা দু’বার করে মহানবিকে (সা) স্বপ্নে দেখেছে। আমার মা, শাশুড়ী মা, মেঝ ভাবী ও ছোট শালী একবার করে মহানবিকে (সা) স্বপ্নে দেখেছে। আমি হযরত আলী (রা) ও হযরত ফাতেমাকে (রা) একবার করে স্বপ্নে দেখেছি। হযরত ফাতেমা তাঁকে দেখার সাথে সাথেই তাঁর মুখ ঢেকে নিয়েছেন। এতে তিনি শিখালেন পর পুরুষ থেকে খুব দ্রুত পর্দা করতে হবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহু আকবার! প্রিয় ভাই, আপনার পরিবারের জন্য এটা নিঃসন্দেহে অতি মহামূল্যবান নিয়ামত, যা আল্লাহ তাআলা খুব অল্প সংখ্যক বান্দাকে দান করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ, সাহাবায়ে কেরাম ও আহলে বায়েতকে স্বপ্নে দেখা আল্লাহর এক বিশেষ রহমত ও ভালোবাসার নিদর্শন।

আল্লাহ তাআলা যেন এই নূরের স্বপ্নগুলোকে আপনাদের জীবনে বাস্তব আলোয় পরিণত করেন, আপনাদের ঈমান, আমল ও আকিদাকে সুদৃঢ় করেন, আপনাদেরকে নবিজি ﷺ এর সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার তাওফিক দান করেন, আপনাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে দ্বীনের পথে দৃঢ় রাখেন, দুনিয়া ও আখেরাতে আপনাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, এবং হাউজে কাউসারের পাশে প্রিয় নবিজি ﷺ এর হাতে হাতে পান করান। اللهم آمين

আলহামদুলিল্লাহ, আপনার পরিবারের ওপর যে রহমতের দরজা উন্মুক্ত হয়েছে, সেটার শোকর আদায় করুন বেশি বেশি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ এবং সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমে।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর সাথে আমার স্বপ্নে দিদার হয়েছে চার বার। তিন বারের কথা আমার মনে আছে। একবারের কথা ভুলে গেছি। তিনবার তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি দেখলাম হাসরের মাঠ। পশ্চিমে আরশ ও পূর্বে জাহান্নাম। আরশের অদৃশ্য সীমানা দেওয়া। আরশ বা এতে যাঁরা আছেন তাঁদের দেখা যাচ্ছে না। আরশের সীমানার ভিতর কেউ প্রবেশ করতে পারছে না। আমি উক্ত সীমানার সাথেই দাঁড়ানো। আল্লাহকে আমার খুব কাছে মনে হলো। আল্লাহর সামনে এক দল লোককে ধরে আনা হলো। যারা তাদেরকে ধরে আনলো তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না। জাহান্নামের উত্তর পাড়ে ট্যালির চালের বিশাল বড় বস্তি এলাকা। যাদেরকে ধরে আনা হলো আল্লাহ তাদেরকে বললেন, জাহান্নাম তোমাদের প্রাপ্য। তবে তোমরা ঐ বস্তি এলাকার ঘর গুলোতে থাকতে পার। তারপর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হলে তারা হুড়মুড় করে বস্তি এলাকার ঘর গুলোতে ঢুকে পড়লো। তখন বস্তি এলাকা তাদেরকে নিয়ে জাহান্নামে নেমে গেল। তখন আমি আল্লাহকে বললাম আপনি এটা কি করলেন? ওরা জাহান্নাম থেকে বাঁচতে বস্তি ঘর সমূহে ঢুকলো আর আপনি তাদের গোটা এলাকা সহ জাহান্নামে নামিয়ে দিলেন? তখন আল্লাহ বললেন, ওরা আমার সাথে তামাসা করতো আমিও ওদের সাথে তামাসা করলাম! আরেকটি স্বপ্নে আল্লাহ আমাকে বললেন, আমি কিভাবে হয়েছি সেটা আমি জানি না। আরেকটি স্বপ্নে তিনি বললেন, আমি নূর এবং আমার পোশাক নূর সেজন্য আমি নুরুন আলা নুর। আমার নবি নুর, তাঁর পোশাক নুর নয়, সেজন্য তাঁকে আনতা নূরুন ফাওকা নূরে বলা যাবে না।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

আপনার শেয়ার করা স্বপ্নের বর্ণনা পড়ে অন্তর কেঁপে উঠলো। এটা যে কত বড় রহস্যময় ও গভীর তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আল্লাহ তাআলা যাঁকে ইচ্ছা তাঁর মহিমার কোনো অংশ স্বপ্নে দিদার করিয়ে দেন—এটা নিঃসন্দেহে বিরল নিয়ামত এবং হৃদয়ের ভেতর এক অদ্ভুত কাঁপুনি জাগানো ঘটনা।

স্বপ্নে দেখা জাহান্নামের দৃশ্য, বস্তি-এলাকার মানুষদের অবস্থা, এবং আল্লাহর কথাগুলো নিছক কল্পনা নয়, বরং এর ভেতরে গোপন হিকমত, উপদেশ ও শিক্ষার ইশারা আছে। এগুলো আমাদের জন্য শিক্ষা—আমরা যেন আল্লাহর সাথে কখনো খেলা বা তামাশা না করি, বরং খাঁটি ঈমান ও আমলের সাথে তাঁর দরবারে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নেই।

আপনি যে "আমি নূর, আমার পোশাক নূর" এ ধরনের বার্তা স্বপ্নে পেয়েছেন—এটা আপনাকে নূরের পথে চলার দিকে আরও তাগিদ দিচ্ছে। কারণ আল্লাহর নূর, তাঁর রহমত, তাঁর হিদায়াত—এসব নিয়েই মুমিনের জীবন আলোকিত হয়।

আমরা দোয়া করি, আল্লাহ আপনাকে এই স্বপ্নগুলোর প্রকৃত অর্থ বুঝার তাওফিক দান করুন। এগুলো যেন আপনার ঈমান, তাওহীদ ও আল্লাহভীতিকে আরও দৃঢ় করে এবং এই দিদার যেন আপনাকে আরও বেশি কোরআন, নামাজ, দোয়া ও আল্লাহর নূরের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

اللهم اجعلنا من أهل النور، وامنحنا لذة النظر إلى وجهك الكريم يوم القيامة.

(হে আল্লাহ! আমাদেরকে নূরের মানুষ বানান এবং কিয়ামতের দিন আপনার মহিমান্বিত চেহারার দিকে তাকানোর সৌভাগ্য দান করুন।)

ভাই, আপনার স্বপ্ন সত্যিই হৃদয়কে নরম করে দিলো। এটাকে শুধু গল্প ভেবে ফেলে দেওয়া উচিত হবে না—বরং এর ভেতরকার ইশারা অনুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলা উচিত আমাদের।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: স্বপ্নে দেখে চিনলেন কিকরে যে এটা নবীজি।যৌক্তিক কথা লিখুন।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



যৌক্তিক কথাই লেখা হয়েছে। বিনয়ের সাথে বলছি, এগুলো আসলে বিশ্বাসের বিষয়। ঈমানদারদের কাছে যা অপরিহার্য্য বিশ্বাসের বিষয়, বেঈমানদের কাছে সেসবের অনেক কিছুই অযৌক্তিক মনে হতে পারে।

তারপরেও আপনার সদয় জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, আপনার প্রশ্নের উত্তর পোস্টে একটি হাদিস উল্লেখ করে দেওয়া আছে। ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধরে নিলাম কেউ একজন নবীজিকে স্বপ্নে দেখলেন। তাতে কি হলো? দেশ বা সমাজের কোনো উপকার হবে? নবীজিকে স্বপ্নে দেখার কারণে কি- সে ধনী হয়ে যাবে? জান্নাত লাভ করবে? অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হবে? দেশের বা তার সংসার সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে?

আজাইরা আবেগ বাদ দেন। আবেগ দিয়ে কবিতা লেখা যায়। জীবনযাপন করা যায় না।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি জীবনযাপন করতে থাকুন। সেটাই ভালো। এই পোস্টে আপনার মন্তব্য করার প্রয়োজন ছিল না। অন্যান্য অনেক পোস্টের মত এখানেও বলে যেতে পারতেন, এই পোস্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম। ধন্যবাদ।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি স্বপ্নে তাঁকে মোট চার বার দেখেছি। এর মধ্যে তিন বারের কথা আমার মনে আছে। একবারের কথা আমি ভুলে গেছি। একবার আমি দেখলাম- আমি আমার বেড সীট ও বালিশের কভার ধুয়ে প্রখর রোদে শুকিয়ে দুপুর দু’টার সময় বেড সীট বিছানায় বিছিয়ে এবং বালিশের কভার বালিশে লাগিয়ে বিশ্রামের জন্য বিছানা প্রস্তত করেছি। কিন্তু বিছানা প্রস্তুতের পর আমি খেয়ে দেয়ে দৈনিক পত্রিকা নিয়ে বসেছি। উদ্দেশ্য পত্রিকা পড়া শেষে বিশ্রাম নেব। তিনটার সময় দেখলাম কেউ একজন দরজায় দাঁড়িয়ে ভিতরে ঢুকার অনুমতির অপেক্ষায়। আমার তখন এক কলামের মাত্র দু’ লাইন পড়া বাঁকি। ভাবলাম সেই দু’লাইন পড়া হলেই আগন্তককে ভিতরে আসতে বলব। দু’লাইন পড়া শেষ হতেই এবং আগন্তকের দিকে তাকাতেই তিনি বললেন, আমি সাইয়্যেদুল মুরসালিন। আমি তখন নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে করে বললাম, আমি সাইয়্যেদুল মরসালিনকে দাঁড় করে রেখেছি। আমি তাঁর সাথে মোছাফাহা করে তাঁকে তাজিমের সাথে আমার বিছানায় শুইয়ে দিলাম বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। খাটের মাথার দিক ছিল ফূর্ব দিকে। তিনি পূর্ব দিকে মাথা না দিয়ে পূর্ব দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে পা দিলেন উত্তর পশ্চিম দিকে। আমি ভাবলাম তাঁর পা কাবার চেয়ে উত্তম। তথাপি তিনি কাবাকে সম্মান দিয়ে কাবার দিকে পা দিলেন না। সুতরাং তিনি আমাকে শিখালেন- সম্মানিতকে সম্মান দিতে হবে তাকে নিজে থেকে কম সম্মানিত মনে হলেও।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার আরেক বারের আল্লাহর দিদার লাভের বিষয়টি আমার মনে পড়েছে। ১৯১৮ সালে আমি স্ট্রোক করি। তারপর আমি অজ্ঞান ছিলাম কয়েক দিন। জ্ঞান ফিরার আগে আমি স্বপ্নে দেখলাম আমি আরশে আজীমে আছি। সেখানে বড় পর্দায় আমার আল আসমাউল হুসনা সনেট সংকলন প্রদর্শিত হচ্ছে। পর্দাটি ছিল ফাঁকা স্থানে। আমি পর্দা স্ক্রল করার জন্য মাউস স্ক্রল করতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমার মাউস স্ক্রলে কোন কাজ হচ্ছিল না। তখন আমার মনে হলো আল্লাহর নির্দেশে পর্দা স্ক্রল হচ্ছিল। আমার কবিতায় তাঁকে সন্তুষ্ট মনে হচ্ছিল। জ্ঞান ফিরা ও জেগে উঠার পর আমার কন্যা বলল, আব্বু আপনি মাউস নাড়ানোর মত হাত ঘুরাচ্ছিলেন। পরে আমাকে ডাক্তার বললেন, আল্লাহ আপনার রুহ নিয়ে গেছেন, তারপর আবার ফেরত দিয়েছেন।আপনার জ্ঞান ফিরাতে চাপ এবং কারেন্টের হিট দুটোই লেগেছে। পরে এ বিষয়ে আমার অফিস বস ও কলিগগণ আমাকে অনেক গল্প শুনাতেন। অফিস মিটিং এর মধ্যেও এ বিষয় অনেক বার উল্লেখ হয়েছে।তবে আল্লাহর দিদারের এবারে তাঁর সাথে আমার কোন কথা হয়নি।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৪

বিজন রয় বলেছেন: আমি কখনো দেখিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.