নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের ভূমিধ্বস বিজয় এবং ছাত্রদলের ভরাডুবি: একটি বিশ্লেষণ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের ভূমিধ্বস বিজয় এবং ছাত্রদলের ভরাডুবি: একটি বিশ্লেষণ

ঢাকা পোস্ট অনলাইন থেকে সংগৃহিত।

নদীর এপাড় ভাঙ্গে, ওপাড় গড়ে—নদীর চিরকালীন খেলা এটাই! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এই খেলা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পলাতক দোসরদের মুখে ঝাঁঝালো চপেটাঘাতের মতো এসে পড়েছে। একদা কোণঠাসা, নির্যাতিত, অপবাদে জর্জরিত ইসলামী ছাত্রশিবির আজ ডাকসু নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় নিয়ে এসেছে। ফ্যাসিবাদী ছায়া ধুলোয় মিশে গেছে, ক্যাম্পাসে বইছে নতুন হাওয়া। তবে এই বিজয়ে উল্লাসের কিছু নেই, বরং এটাই ছিল শিবিরের পাওনা—তাদের ধৈর্য আর ত্যাগের ফল। শিবিরের বিজয়ে আনন্দিত হয়ে আমি হাসিনি, তবে যারা গর্তে লুকিয়ে এখনও ফ্যাসিস্টদের ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে, তাদের মনে কী ঝড়টাই না বয়ে চলেছে, সেটা ভেবে ক্ষানিকক্ষণ না হেসে পারিনি!

যাই হোক, একসময় শিবিরের নাম শুনলেই আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা ঘেউ ঘেউ করে উঠতো। শিবিরের নামে অপবাদে তারা ছাত্র হত্যা এবং নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। শিবির আখ্যায়িত করে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রাতভর নির্মম নির্যাতনে শহীদ করেছে ছাত্রলীগের খুনিরা! শিবিরকে ‘ভিলেন’ বানিয়ে নিজেদের ‘হিরো’ ভাবলেও, তারা ছিল ফ্যাসিবাদী ডাকাত, ক্যাম্পাসকে তারা লুটের ময়দান বানিয়েছিল। এখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, তাদের নেতা-সন্ত্রাসীরা দেশে-বিদেশে পলাতক। তাদের ‘লীগ’ এখন ‘লুজার্স লীগ’। শিবির ফিনিক্সের মতো উঠে এসেছে, আর ফ্যাসিস্টদের ছায়া ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে। হায়রে পলাতক দোসররা, তোমাদের ‘ফ্যাসিজম’ এখন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে!

ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট টর্নেডো তুলেছে, ফ্যাসিস্টদের স্বপ্ন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে শিবির জয়ী হয়েছে। ভিপি, জিএস এবং এজিএসসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদের ৯টিই তাদের দখলে। পাশাপাশি, ১৩টি সদস্যপদের ১১টিতেও তারাই জয়ী হয়েছে। ২৮টি পদের বাকি ৫টি পদ স্বতন্ত্রদের, কিন্তু ছাত্রলীগের নাম-নিশানা নেই। থাকবে কীভাবে? তারা তো মাঠেই নেই। কারণ, বিস্তর অপকর্মের দায় নিয়ে তারা তো এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন!

আর ছাত্রদল? তারা অংশ নিয়েও একটি পদে জয়ী হতে পারেনি। অতি আত্মবিশ্বাসে ভর করে, গণতন্ত্রের চর্চা না করে, আদর্শহীন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হলে এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমনকি, ভিপি প্রার্থীকে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন উপাচার্যকে তিনি ধমক দিয়ে কথা বলছেন। এটাই কি ছাত্রদলের আদর্শ? এটাই যদি তাদের আদর্শ হয়ে থাকে, তাহলে ধরেই নেওয়া যায়, এই আদর্শের কারণেই তারা হেরেছে। এ যেন ক্রিকেটে অলআউট দলের বিশ্বকাপ জয়—কিন্তু এখানে ফ্যাসিস্টরা আর ছাত্রদল ট্রেনের নিচে পড়ে ‘ট্র্যাক’ হারিয়েছে!

পলাতক ফ্যাসিস্টরা আজ কোথায়? নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও কোনো নির্জন, নিরিবিলি এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহায় লুকিয়ে, শিবিরের বিজয় শুনে বিষম খেয়ে কাশছে! ক্যাফেটেরিয়ায় ‘বিজয়ের শরবত’ বিক্রি হবে, ফ্যাসিস্টরা যেন অ্যাসিড গিলেছে। আরমান হোসেন মাঠে গোল উৎসব করবেন, পলাতকরা ‘গোল’ হারিয়েছে। আসিফ আব্দুল্লাহ বাসে ‘শিবির ডিসকাউন্ট’ দিলে, ফ্যাসিস্টরা পাবেন ‘জেলের টিকিট’। এম এম আল মিনহাজ ক্যাম্পাস সবুজ করবেন, আর ফ্যাসিস্টরা কালো অতীতের ধোঁয়ায় ডুবে থাকবেন। হায়রে দোসররা, তোমাদের ‘লীগ’ এখন ‘লুজার্স লীগ’!

শিবিরের উত্থান কি শুধুই ফ্যাসিস্টদের পতনের ফল? না, এর পেছনে রয়েছে শিবিরের ত্যাগ এবং ধৈর্য্য। বলা চলে, ফ্যাসিস্টদের হত্যা-নির্যাতনের ইতিহাস বুমেরাং হয়ে ফিরেছে। শিক্ষার্থীরা শিবিরের উপরে ভরসা রেখেছে, কারণ ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল দুঃস্বপ্ন। শিবিরের দায়িত্ব এই ভরসাকে রক্ষা করা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা—যা ফ্যাসিস্টরা কখনো চায়নি। ছাত্রদলেরও শিক্ষা নেওয়ার সময় এখনই, চাঁদাবাজি, মাস্তানি এবং ধান্ধাবাজি ছাড়ারও তাদের এটাই মোক্ষম সময়, নইলে তাদের ভাগ্যে ‘পলাতক লীগ’ এর পরিণতি অপেক্ষা করছে!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবচেয়ে ভালো দিক হলো ইলেকশনের ফলাফল সবাই মেনে নিয়েছে । আশা করি জাতিয় ইলেকশন ও সবাই ফলাফল মেনে নিবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ। জয় পরাজয় মেনে নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এটা সভ্যতা এবং সহনশীলতার অংশ। আশা করি জাতীয় নির্বাচনেও সবাই একইভাবে ফলাফল মেনে নেবে।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: বিজয়ী শিবির, উচ্ছ্বসিত শিবির

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে আসার জন্য। এমন ভূমিধ্বস বিজয়ের পরেও তারা সীমা লঙ্ঘন করছে না, এটাও একটা ভালো দিক। ভালোকে ভালো বলতেই হবে। তাতে নিন্দুক আর ফ্যাসিবাদের উচ্ছিষ্টভোগীদের যতই খারাপ লাগুক।

প্রথম আলো অনলাইন জানিয়েছে, এই বিজয় উপলক্ষ্যে শিবির কোন আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা কিংবা বা র‌্যালি আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার জন্য সারা দেশে তাদের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে। এগুলোর পরিবর্তে শিবির ভিন্ন কিছু কর্মসূচি ঘোষনা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে, শুকরিয়া আদায় করে দোয়া মাহফিল ও শব্বেদারি (নৈশ ইবাদত)।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



শিবির কখনো নির্যাতীত হয়নি; তারা ৭১'এর গণহত্যার জল্লাদ, পরাজিত হয়েছিলো; আবারো পরাজিত হবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এখন যারা ছাত্রশিবির করে এদের জন্ম ৭১ এর অনেক পরে। শিবির কবে পরাজিত হবে সেই চিন্তা পরে করেন। আগে নিজের প্রিয় ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীকে গর্ত থেকে বের করার উপায় নিয়ে ভাবুন। ছাত্র জনতা জেনারেশন মেনারেশন গোনায় ধরবে না, জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্তু এই দেশে কোনো খুনির ঠাঁই হবে না। বুঝতে পারছেন???

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

নতুন বলেছেন: দেশে এখন জুম্মাবাদ মিছিল করে তৌহীদি জনতা কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার মতন ধর্মীয় জ্ঞানের লেভেলে পৌছে গেছে।

সেখানে শিবিরের পক্ষে ভোট পোলাপাইন দিতেই পারে। B-))

তবে একটা জিনিস ভালো যে সুস্ঠ ভোট হইছে। সবাই মাইনা নিতেছে।

এখন শিবির এই নিবাচনের পরে জামাতের রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে। তাই এখন তারা তাদের রং দেখাবেনা। ;)

এখন আপনি যদি নতুন ভিপি কে একটা থাপ্পর ও মারেন তিনি আরেকটা গাল পেতে দেবে। জামাতী ইমেজ নস্ট করবেনা। B-))

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



লাশ পুড়িয়ে ফেলা অন্যায়। ভোট কে কাকে দিবে, সেটা যার যার পছন্দের বিষয়। ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, এটা অবশ্যই ভালো একটা নজির। শিবির বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের দীর্ঘ বছরগুলোতে দেশে কি ছাত্রলীগের মত চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন, খুন খারাবিসহ নানাবিধ আকাম কুকাম করে বেরিয়েছিল? সেটা তো দেখা যায়নি। সুতরাং, তাদের নতুন করে ভালো সাজার দরকার নেই তো।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০২

বাকপ্রবাস বলেছেন: হিংস্র বাম আর লীগদের যন্ত্রণায় বেশ মজা লাগছে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ,
আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।

মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ। দেখতেই তো পাচ্ছেন, উহাদের জ্বলে যাচ্ছে। এখানেও একজনের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:


@বাকপ্রবাস,

নিজ পরিবার ও মেয়েদের থেকে দুরে আছেন, এই রকম মজার দরকার আছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি পরিবারের সাথে আছেন তো? আপনার উচিত ছিল, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া কিছু লোককে আপনার বাসায় আশ্রয় দেওয়া। আপনি নিশ্চয়ই তা দেননি।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

লুধুয়া বলেছেন: রাজাকারের দল ক্ষমতায় আসলো

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



তাতে আপনি অনেক আনন্দিত!

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কি খুশি!!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ফ্যাসিবাদের কালোছায়া মুক্ত স্বদেশ। নিঃশ্বাস নিতে পারছে মানুষ। এমন একটি সুষ্ঠু ভোট আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ভোটচোরেরা স্বপ্নেও দেখাতে পারতো না জাতিকে। এটাতেই আনন্দ।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১

মেঘনা বলেছেন: এনসিপি নেতৃবৃন্দ যে রাজনৈতিক মাঠে নিছক শিশু এবং ৫ই আগষ্টের বিপ্লবের সম্মুখসারীর পুতুল ডাকসু নির্বাচনে শিবির ও ছাত্রদলের আধিপত্য আবার সেটা প্রমাণ করলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



একদম ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে তাদের জন্য।

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২

রাজীব নুর বলেছেন: জামাত নীল নকশা করেছে, সেই ন অকশা অনুযায়ী সব কিছু হচ্ছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



নীল নকশা আর লাল নকশা যা-ই বলেন, আপনার প্রিয় ফ্যাসিবাদীদের যদি রাজনীতিতে আসতে হয় এই দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ২০২৪ এর গণহত্যার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। আদালতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে রাষ্ট্রীয় বিধি অনুযায়ী বিচার আচার মেনে তবেই আসতে হবে। তা ছাড়া, অন্য কোন পথ আপাততঃ খোলা নেই।

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আওয়ামী লীগ বের হচ্ছে ক্রমেই; তাদেরকে টিকতে হবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ধন্যবাদ। আপনি খুব সুন্দর বলেছেন। গর্ত থেকে বের হলেই প্রত্যেকটাকে ধরে ধরে জায়গামত পোস্টিং দেওয়া হোক এবং তারা যেন সেখানে টিকে থাকতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত খানা-খাদ্য, ডিম থেরাপিসহ কোন আয়োজনে যেন ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করা একান্তভাবেই উচিত। সরকারের এগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। তাদের অধিকার বলে কথা!

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: নীল নকশা আর লাল নকশা যা-ই বলেন, আপনার প্রিয় ফ্যাসিবাদীদের যদি রাজনীতিতে আসতে হয় এই দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ২০২৪ এর গণহত্যার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। আদালতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে রাষ্ট্রীয় বিধি অনুযায়ী বিচার আচার মেনে তবেই আসতে হবে। তা ছাড়া, অন্য কোন পথ আপাততঃ খোলা নেই।

হে হে! শিবিরের অপকর্মের কথা তুললেই বদ্দার মহৌষধি উত্তর - "২৪ এর ফ্যাসিস্ট! তাদের বিচার চাই!"

২০২৪-কে একপেশে "গণহত্যা" আখ্যা দেওয়া আসলে রাজনৈতিক টোটকা। প্রথমে "গনহত্যার মতো" বড় বড় শব্দ ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরে জাতিসংঘও ভাষা নরম করে "সহিংসতা, প্রাণহানি, অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ" বলতে বাধ্য হয়েছে এবং বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোও সেই লাইনই ধরেছে। এটা প্রমাণ করে বিষয়টা এখনও বিতর্কিত, চূড়ান্ত নয়। বিচারের আগেই সব দায় চাপিয়ে "ক্ষমা চাইতে হবে" বলা ন্যায়বিচারের পথ নয়, এটা আদালতের জায়গায় রাজনৈতিক ফিল্টার বসানোর শামিল।

বিতর্কিত না হলে জুলাই সনদ নিয়ে আপনারা এতো কামড়া-কামড়ি করতেন না। আজ নয়তো কাল "বাংলাদেশ বিপক্ষের মানুষদের উচ্ছেদ করা হবে" আর সেটা আম-জনতাই করবে। বাংলাদেশের ইতিহাস তাই বলে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



"মাথা পাগলা" নিক নিলেও আসলে কিন্তু মনে হচ্ছে না, আপনি অতটা মাথা পাগলা! তবে আপনার বক্তব্যে একেবারে খোলাখুলি ধরা পড়ে গেছে – আপনি আসলে “বিতর্ক” শব্দের আড়ালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পাপ ঢাকতে চাইছেন।

জাতিসংঘ নরম ভাষা ব্যবহার করেছে বলে বগল বাজানোর কিছু নেই। তারা কূটনৈতিক কারণে নরম ভাষা ব্যবহার করেছে, দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য নয়। বিশ্ব রাজনীতিতে এমন নরম ভাষা নতুন কিছু নয়—রুয়ান্ডা থেকে বসনিয়া, সবখানেই প্রথমে “সহিংসতা” বলা হয়েছিল, পরে ইতিহাস এগুলোকে গণহত্যাই আখ্যা দিয়েছে।

আপনি বলছেন—“বিচারের আগেই দায় চাপানো অন্যায়।” কিন্তু ২০২৪-এর ঘটনায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বিভিন্ন বাহিনী আর অবৈধ অস্ত্রধারীদের গুলিতে শত শত ছাত্র-জনতা, শিশু-যুবা-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ মারা গেল, গুম-গ্রেফতারে ভরে উঠল কারাগারগুলো—এসব প্রমাণ আদালতে তোলা যাবে না? এসব ভয়ঙ্কর এবং গুরুতর হত্যাযজ্ঞের মত বিভৎস অপরাধের বিচার তো শুধুমাত্র আওয়ামী দোসররাই চায় না। মনুষত্ববোধসম্পন্ন প্রতিটি মানুষই এর বিচার চায়।

“জুলাই সনদ” নিয়ে বিতর্কই আসলে প্রমাণ করে অপরাধীরা দোষ ঢাকতে মরিয়া। আর আপনার “আম-জনতা উচ্ছেদ করবে” বুলি আসলে ফ্যাসিস্টদের পুরোনো ভয় দেখানো কৌশল। ইতিহাস বলছে—বাংলাদেশে জনগণ কখনো দালালদের বাঁচায়নি। ’৭১-এ যেমন অপরাধীদের বিচার হয়েছে, তেমনি ২০২৪-এর রক্তের হিসাবও একদিন হবে।

আপনি যতই “বিতর্ক” বলে ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দায় মুছে যাবে না। জনগণ এই দায় শোধ নেবে—আদালতেও, ইতিহাসেও।

পুনশ্চঃ "মাথা পাগলা" নিকের আড়ালে আপনাকে কিন্তু ভালো লোক, মানে, সুস্থ মানুষই মনে হয়েছে। শুভকামনা জানবেন।

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




'দেখো আফগানে, আরাকানে, ফিলিস্তিনে,
কত রক্ত ঝড়ে, কত কাশ্মীরে, ওরে মুসলিম!'

আফগান মুক্ত। এখন বাকিগুলোর পালা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ঠিক বলেছেন, পশ্চিমা আগ্রাসনের দীর্ঘ কালো ছায়া থেকে অবশেষে আফগানিস্তান মুক্ত হলেও এখনও ফিলিস্তিন, আরাকান, কাশ্মিরসহ বহু স্থানে নিপীড়িত, নির্যাতিতদের মুক্তির ক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তাদের প্রতি বিশ্ব মানবতা দায় এড়াতে পারে না। অধিকার বঞ্চিত প্রতিটি মানুষ ফিরে পাক, এটাই আমাদের চাওয়া।

পোস্টের আলোচ্য ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বললেন না যে!

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই বিশ্লেষণটি অত্যন্ত সঠিক।

শিবির নাম দিয়ে কুকুর-লীগের গুণ্ডাগুলো যেদিন আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল, সেদিনই এই গুণ্ডাবাহিনীর কর্মফল লেখা হয়ে গিয়েছিল। কুকুর-লীগ নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মনে যে প্রচণ্ড ভয় এবং বীভৎস স্মৃতি তৈরি হয়েছে, সেটাই আজ ডাকসু নির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছে।

আর দুদিন আগেও কুকুর লীগের দাবড়ানিতে ব্যস্ত থাকা অশিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী ভান করা, নব্য মস্তান ছাত্রদলের প্রসঙ্গেও আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় শ্রাবণধারা,

আপনার সমর্থন আর সঠিক পর্যবেক্ষণ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আবরার ফাহাদের মতো নির্মম হত্যাকাণ্ডে যে ভয় ও ঘৃণা তৈরি হয়েছিল, সেটাই আজ ছাত্রসমাজের ভোটে ও প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আপনি যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, তা কেবল বাস্তবতাকেই প্রতিফলিত করে না, বরং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনাও দেয়।

কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০৫

মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: "মাথা পাগলা" নিক নিলেও আসলে কিন্তু মনে হচ্ছে না, আপনি অতটা মাথা পাগলা! তবে আপনার বক্তব্যে একেবারে খোলাখুলি ধরা পড়ে গেছে.......

একজন দলকানা হিসেবে আপনি খোলাখোলি কিছু ধরতে পেরেছেন বলে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ দুর্বল যুক্তির স্বাক্ষর। আপনি আক্রমণ করেন, প্রমাণ দেখান না - এটাই আপনার অজুহাত যেমন আপনাকে শিবিরের অপকর্মের কথা জিগাস করলে "২০২৪ ফ্যা..." বলেন।। বিচার না করে লেবেল দেওয়া আপনাদের রাজনৈতিক কৌশল, দূর্বলতার পরিচয়।

রুয়ান্ডা-বসনিয়া উদাহরণ টেনে আপনি আসলে নিজেকেই ফাঁসাচ্ছেন - ওখানে শুরুতেই "সহিংসতা" বলা হয়েছিল, পরে আদালত প্রমাণ এনেছিল। তাহলে আপনারা কেন আগে থেকেই রাজনৈতিক টোটকা বানিয়ে "গণহত্যা" সিল মেরে দিচ্ছেন? গালাগালি নয়, প্রমাণ দিন। রুয়ান্ডা-বসনিয়ার মতো এখানেও আদালতই চূড়ান্ত রায় দেবে - রাজনৈতিক লেবেল ঝুলিয়ে ন্যায়বিচার ঢেকে রাখা যায় না। বিচারের আগে ক্ষমা চাইতে বলাটা আসলে ফ্যাসিস্টদেরই কৌশল - প্রতিপক্ষকে আগে থেকেই অপরাধী বানিয়ে দেওয়া।

"৭১-এ যেমন অপরাধীদের বিচার হয়েছে, তেমনি ২০২৪-এর রক্তের হিসাবও একদিন হবে।"

৭১-এর বিচার হয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের, যারা সরাসরি পাকিস্তানি সেনাদের সাথে থেকে মানুষ হত্যা করেছিল। সেই বিচার করেছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। আর জামাত-শিবিরই ছিল সেই অপরাধীদের আঁতুড়ঘর। আপনাদের মুখে এখন ন্যায়বিচারের বুলি শুনতে সত্যিই মজা লাগে! আর এই আপনারা এখন একাত্তরের বিচারে সহমত পোষন করেন আবার জামাত-শিবিরও সাপোর্ট করেন! কি এক্টা অবস্থা। ২০২৪-এ ক্যু হয়েছে, আম্রিকার হাত আছে - এর পক্ষে তো অনেক যুক্তি আছে সেগুলো ভুল না ঠিক তা তো এখনো প্রমানিত হয়নি। সাবধান থাকবেন - কালের বিচারে ২০২৪-এর হিসাব মেলাতে গিয়ে যেন উল্টো আপনাদের দিকেই ধাক্কা না লাগে।

১ বছরের উপর হয়ে গেলো হাসিনার বিচার নিয়ে আপনাদের এতো উদাসীনতা কেন, নাকি চাঁদাবাজি, মববাজি করে সময় পাচ্ছেন না? বিচার ছাড়াই বয়ান দিয়ে দিচ্ছেন। হাসিনার আমলে তো আদালতের রায় মেনে সব রাজাকারদের বিচার হয়েছে আর এইদিকে আদালতের রায় না শোনার আগেই আপনারা হাসিনার সব বিচার করে ফেলেছেন - হাতের কাছে পেলেই হলো গনপিটুনিতে মারবেন!

আপনি যতই “বিতর্ক” বলে ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দায় মুছে যাবে না। জনগণ এই দায় শোধ নেবে—আদালতেও, ইতিহাসেও।

দায় চাপিয়ে দিলে ন্যায় হয় না আদালতই চূড়ান্ত রায় দেবে, আপনাদের স্লোগান নয়। আর ফ্যাসিবাদ কি তার সংজ্ঞা কি ভালোমতো পড়ে বুঝে, তারপর বলবেন। বাংলাদেশে সব আমলেই ফ্যাসিবাদ এবং গনতন্ত্র দুটোই এক সাথে হাইব্রিড রেজিম শাসনে চলে এসেছে এবং ভবিষ্যতে এটাই চলবে। নির্বাচন, সংসদ, সংবিধান যেমন আছে তেমনি প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী মত দমন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, নেতাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সহিংসতা ইত্যাদিও আছে। এমন না যে শুধু হাসিনার আমলেই এগুলো হয়েছে, পূর্বে যারা ছিলো.. মুজিব-জিয়ার আমল - সব আমলেই ছিল।

আর একটা কথা মনে রাখবেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে "ফ্যাসিস্ট" থেকে রাজাকার/লেজাকার শব্দটা হাজার গুনে খারাপ শব্দ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার বক্তব্যের জন্য।

কথায় যতই ঘোরপ্যাঁচ খেলার চেষ্টা করেন লাভ নেই, আসল বিষয়টা খুব স্পষ্ট— ব্যক্তিগত আক্রমণ আর রাজনৈতিক লেবেল দিয়ে মূল অন্যায় আড়াল করা যায় না। “ফ্যাসিস্ট” শব্দের সংজ্ঞা আমি ভালোভাবেই জানি, আর সেটি শুধু বইয়ের পাতায় নয়, বাস্তব রাজনীতিতেও দেখি।

আপনি বলছেন—সব আমলেই ফ্যাসিবাদ ছিল। তাহলে কেন জনগণের কণ্ঠ রোধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনকে দলীয়করণ—এসবের দায় আওয়ামী লীগের আমলে বহুগুণ বেড়েছে, এগুলো দিনের আলোর মত পরিষ্কার, অস্বীকার করতে পারবেন? আমি জানি, একদমই পারবেন না। সত্য হলো—আওয়ামী লীগ শুধু ফ্যাসিবাদকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।

রুয়ান্ডা–বসনিয়ার উদাহরণকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে উল্টো নিজেকে গর্তে ফেলেছেন। ওখানে আদালত প্রমাণ এনেছিল, তাই গণহত্যা স্বীকৃত হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে—বাংলাদেশেও যখন এসব অপরাধের বিচার হবে, তখন আপনারা কীভাবে দায় এড়াবেন? আদালতের আগে থেকেই রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে অপরাধী বানানোটা আওয়ামী লীগেরই চিরাচরিত কৌশল।

আর “রাজাকার” ট্যাগ দিয়ে মানুষকে গালি দেওয়া—এটাই আওয়ামী রাজনীতির দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। আপনারা জানেন, যুক্তি বা প্রমাণ নেই, তাই শুধু লেবেল ঝুলিয়ে দেন। কিন্তু মনে রাখবেন—ইতিহাসে এবং আদালতে জনগণের রায়ই শেষ কথা, দলীয় মিথ্যা, অপতথ্য বা মনগড়া স্লোগান নয়।

তাই আপনাদের মতো দলকানা যারা প্রতিটি সমালোচনাকে “রাজাকার” বানাতে চান, তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই—
ফ্যাসিবাদের দায় এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
জনগণই শেষ পর্যন্ত হিসাব নেবে।

ধন্যবাদ।

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি এখনো দেখি শিবিরের পোলাপাইন নিজেদের শিবির পরিচয় দিতে এখনো লজ্জাবোধ করে এর কারণ কি?
রাজাকার শব্দ এখন একটা এওয়ার্ড বললেও তারা জামায়েত শিবিরকে রাজাকার বলতে নারাজ!
৫ আগষ্টের পূর্বে আপনার পোস্ট এবং montby যথেষ্ট সুন্দর ও শালীন ছিল কিন্তু এখন অনেকটাই সেই রকম নেই এর কারণ কি?
জামায়াত শিবিরের ৫৩ বছর লেগেছে এমন ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে, আওমীলীগ প্রাসংগিক হতে কেমন সময় লাগতে পারে বলে মনে হয় আপনার?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি এখনো দেখি শিবিরের পোলাপাইন নিজেদের শিবির পরিচয় দিতে এখনো লজ্জাবোধ করে এর কারণ কি?

-আমার মনে হয়, এর পেছনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকির মিশ্রণ থাকতে পারে। দীর্ঘ বছর যাবত তাদেরকে একতরফা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের কারণে তাদের ভেতরে এমন এক ধরণের হীনমন্যতা তৈরি হয়েছে যা তাদেরকে আত্মপরিচয় লুকিয়ে রাখতে উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া, তাদের হয়তো নিজ দলীয় ১৯৭১-এর ভূমিকা এখনো মনে পড়ে, যা তারা মুছে ফেলতে পারেনি। রাজাকার বললে নারাজ হয় কারণ এটা তাদের জন্য অপমানজনক, এমনকি 'অ্যাওয়ার্ড' হলেও—এটা তাদের অস্তিত্বের লজ্জার কারণ।

৫ আগষ্টের পূর্বে আপনার পোস্ট এবং montby যথেষ্ট সুন্দর ও শালীন ছিল কিন্তু এখন অনেকটাই সেই রকম নেই এর কারণ কি?

-পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। তবে আমার তো মনে হয় না, আমার পোস্ট বা মন্তব্যে তেমন বড় কোন পরিবর্তন এসেছে। অবশ্য এটা ঠিক যে, আগে রাজনৈতিক পোস্ট তেমন একটা লেখা হতো না, অথবা খুবই কম লেখা হতো, এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটার পরিমান কিছুটা বেড়েছে। এটা দেশের স্বার্থে, মানুষের অধিকারের চিন্তায়।

জামায়াত-শিবির ৫৩ বছর ধরে নিজেদের মেলে ধরেছে — আওয়ামী লীগের 'প্রাসঙ্গিকতা' বা একইভাবে প্রকাশ পেতে কত সময় লাগতে পারে?

-আপনার এই প্রশ্নটা তুলনামূলক ও কন্ডিশনাল। সরাসরি সময়সীমা বলা কঠিন, কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকৃতি, ক্ষমতার ধরন ও শাসন-প্রচলন আলাদা। তবে কিছু উল্লেখ করার মত পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা যায় যেমন:

জামায়াত-শিবির ধর্মীয়-ইডিয়োলজিক্যাল নেটওয়ার্ক আর দীর্ঘমেয়াদি সংগঠনিক কাজের ওপর দাঁড়িয়েছে; তাদের ‘উদ্ভব’ ধীরে ধীরে সামাজিক ও ধর্মীয় নেটওয়ার্কে মিশে গেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ হলো ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত ছিল। এটি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। যা হোক, আওয়ামী লীগের প্রাসঙ্গিক হতে ২০-৩০ বছর লাগতে পারে—যদি তারা নিজেদের এবং দলের ভেতরে সত্যিকারের সংস্কার করে এবং জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে।

শুভকামনা।

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছাত্ররা ভোটি দিয়ে শিবিরকে নির্বাচিত করেছে কিন্তু শিবিরের জয়লাভে উহাদের পশ্চাৎ দেশে চুলকানীর কারণ কী?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



একেবারেই যৌক্তিক কথা। এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছে অবশ্যই আশা করা যায়। কিন্তু কেউ দিবে বলে মনে হয় না। ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে এই কথা সেই কথা বলবে হয়তো। যুক্তিতে না পারলে তখন ধান ভানতে শীবের গীত গাইবে - এটাই তো স্বাভাবিক।

১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কথায় যতই ঘোরপ্যাঁচ খেলার চেষ্টা করেন লাভ নেই, আসল বিষয়টা খুব স্পষ্ট— ব্যক্তিগত আক্রমণ আর রাজনৈতিক লেবেল দিয়ে মূল অন্যায় আড়াল করা যায় না। “ফ্যাসিস্ট” শব্দের সংজ্ঞা আমি ভালোভাবেই জানি, আর সেটি শুধু বইয়ের পাতায় নয়, বাস্তব রাজনীতিতেও দেখি।

আমার কথায় কোন প্যাঁচ নাই, যা বলেছি ডাইরেক্টলি বলেছি। কোন উদাহরন টেনে ২০২৪ এর ঘটনার জন্য হাসিনাকে ভালো বা খারাপ বলিনি। বলেছি আদালতে বিচার-রায় না মেনে হাসিনা স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট, গনহত্যা বলাটা রাজনৈতিক কৌশল। মুখে বলেন হাসিনার বিচার চান, কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে জুলাই সনদের বৈধতার জন্য আন্দোলন-মিছিল করেন। কখনো শুনি নাই হাসিনার বিচার চেয়ে আন্দোলন-মিছিল করতে। নিজেদের দোষ-ত্রুটি ঢাকার জন্য যদি বুঝেও না বোঝার ভান করেন, তর্ক করার জন্য কথা বলেন তাহলে কিছু করার নেই।

ফ্যাসিবাদ আর গনহত্যার মানে জানেন বলে মনে হয় না। রুয়ান্ডা ও বসনিয়ায় প্রায় ৮ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং নিহতরা ছিল নির্দিষ্ট জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষ তাই সেগুলোকে গণহত্যা বলা হয়েছে। আর গনহত্যার সবচেয়ে ভালো উদাহরন হচ্ছে ৭১ - এর গনহত্যা যেখানে জামাত-শিবিরের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

কিন্তু ২০২৪-এ বাংলাদেশে নিহত হয়েছে হাজারেরও কম, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী, বিরোধী দলের কর্মী, পুলিশসহ বিভিন্ন পক্ষের লোকজন ছিল। এই কারণেই জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো শুরুতে "গণহত্যা" শব্দ ব্যবহার করলেও, পরে সেটি প্রত্যাহার করতে "বড় ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা" বা "রাষ্ট্রীয় দমন" বলতে বাধ্য হয়েছে। কারণ এখানে এখনো কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে রাষ্ট্র কোন নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম, বর্ণকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

লেজাকার ট্যাগ দিতে চাইবো কেন? জামাত-শিবির তো লেজাকার থাকতেই পছন্দ করে। যখনই সুযোগ পায় ৭১ কে ছোট করে দেখার প্রয়াস চালায়। তারা ৭১ - এ খুন-ধর্ষণ যা করেছে সেটা সঠিক বলেই তারা মনে করে। ৮ বছরের বাচ্চা থেকে ৮০ বছরের বয়স্ক মহিলারাও ধর্ষণ ও খুনে শিকার হয়েছিলো। এগুলো সাপোর্ট দিতে আপনার লজ্জা লাগে না?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মাথা পাগলা,

২০২৪-এ কয়েকশো থেকে প্রায় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে সব পক্ষের লোকজনই থাকা অস্বাভাবিক নয়। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রথমে “গণহত্যা” বললেও পরে প্রমাণের অভাবে “বড় রাজনৈতিক সহিংসতা” বা “রাষ্ট্রীয় দমন” শব্দ ব্যবহার করেছে।

তবে ৭১-এর গণহত্যা ও ধর্ষণকে ছোট করে দেখার বা ন্যায্যতা দেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই—এটা নৃশংস অপরাধ। ন্যায়ের পথে আসতে হলে আবেগ নয়, প্রমাণ-ভিত্তিক বিচারই একমাত্র সমাধান।

৭১ এর ঘটনাগুলোকে আমি কোথায় সাপোর্ট দিলাম? আপনার মাথায় কি সত্যি সত্যিই পাগলামো আছে? বানিয়ে বানিয়ে কথা বলছেন কেন? গায়ে পড়ে ঝগড়া করার উদ্দেশ্য থাকলে অন্য কোথাও চেষ্টা করুন, প্লিজ। অনর্থক ফালতু কমেন্ট না করতে অনুরোধ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.