নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল জ্ঞানের ঝাঁপি: গুগল, চ্যাটজিপিটি, আর ইউটিউব নির্ভর আমাদের জীবন!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

ডিজিটাল জ্ঞানের ঝাঁপি: গুগল, চ্যাটজিপিটি, আর ইউটিউব নির্ভর আমাদের জীবন!

ছবি: অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ভূমিকা: ডিজিটাল লাইব্রেরির পাগলা দরোয়ান!

কল্পনা করুন, পৃথিবীর সব জ্ঞান একটা বিশাল ডিজিটাল লাইব্রেরিতে জমা। আর এই লাইব্রেরির দরোয়ান হিসেবে আছে আমাদের প্রিয় ত্রয়ী—গুগল দা, চ্যাটজিপিটি ভাই, আর ইউটিউব মামা! আমরা তাদের কাছে এমন সব প্রশ্ন ছুঁড়ি, যেন তারা কোনো জাদুকর। কেউ জিজ্ঞেস করে, “পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসবে?” কেউ বলে, “মাথা ব্যথা মানে কি ব্রেন টিউমার?” আর কেউ টিকটকে সার্চ করে, “এক রাতে কীভাবে কোটিপতি হব?” তিনজনেই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়ে বলে, “আরে ভাই, একটু ভেবে প্রশ্ন করো!” আজ চলুন, এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে চক্কর দিয়ে আসি, আর সঙ্গে কুড়িয়ে নিই একটু আধটু জ্ঞানও!

প্রথম দৃশ্য: “মাথা ব্যথা, আমি কি মরে যাচ্ছি?”

মাথা ব্যথা হলেই আমরা কী করি? ডাক্তার? ওফ, সেটা তো পুরনো আমলের ফ্যাশন! এখন তো সোজা গুগল দা’র কাছে: “মাথা ব্যথা = ব্রেন টিউমার?” গুগল দা চশমা ঠিক করতে করতে বলে, “বাবু, তুমি গতকাল রাতে টিকটক স্ক্রল করেছ চার ঘণ্টা, এটা টিউমার না, চোখের ব্যাটারি লো!” তবু আমরা থামি না। চ্যাটজিপিটি ভাইয়ের কাছে যাই: “মাথা ব্যথার কারণ কী?” সে ফটাফট বলে, “হতে পারে স্ট্রেস, ডিহাইড্রেশন, বা কম ঘুম।” কিন্তু আমরা তখন ইউটিউব মামার ভিডিওতে ঢুকে পড়ি, যেখানে একজন বলছে, “মাথা ব্যথা? কাঁচা রসুন খাও, সব ঠিক!” ফলাফল? কপাকপ কয়েকটি রসুন খেয়ে পেট খারাপ আর রসুনের গন্ধে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া!

আমার বন্ধু রাকিব তো আরেক কাণ্ড করলো। গুগল দা’কে জিজ্ঞেস করলো, “কাঁচা আলু খেলে ওজন কমে?” গুগল দা একটা ব্লগের লিঙ্ক ধরিয়ে দিল। রাকিব তিনদিন ধরে প্রায় কেজি তিনেক কাঁচা আলুর দফারফা করে অবশেষে হাসপাতালে! পরে চ্যাটজিপিটি ভাই বললো, “আলু কাঁচা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, ভাই!” আর ইউটিউব মামা একটা ভিডিও দেখাল, যেখানে কেউ একজন বলছে, “আলু ভেজে খাও, মজাও হবে!” এই যে তাড়াহুড়ো, এটাই আমাদের বিপদ!

দ্বিতীয় দৃশ্য: হাসির সার্চ, পাগলা উত্তর!

এই তিন দরোয়ানের কাছে আমরা এমন সব প্রশ্ন ছুঁড়ি, যেগুলো শুনলে তারা হাসতে হাসতে লুটোপুটি খায়। একবার কেউ একজন গুগল দা’কে জিজ্ঞেস করল, “How to become rich in 7 days without work?” গুগল দা হেসে বলল, “আমি তো লাইব্রেরিয়ান, লটারির দোকানদার না!” তবু একটা লিঙ্ক দিল, যেখানে লেখা, “ক্রিপ্টো কিনুন!” চ্যাটজিপিটি ভাই বলল, “ধৈর্য ধরে কাজ করো, ধনী হওয়ার শর্টকাট নেই।” আর ইউটিউব মামা একটা ভিডিও দেখালো, যেখানে একজন বলছে, “আমার কোর্স কিনো, কোটিপতি হও!” ফলাফল? কোর্স কিনতে কিনতে পকেট ফাঁকা!

আরেকজন টিকটকে সার্চ করল, “Exam Question Paper Leak 2025 PDF Download”। গুগল দা হেসে বলল, “আমি কি প্রশ্নপত্র ফাঁস করার ফ্যাক্টরি?” চ্যাটজিপিটি ভাই বলল, “পড়াশোনা করো, ভাই, আমি শুধু বুঝিয়ে দিতে পারি।” আর ইউটিউব মামা একটা ভিডিও দিল, যেখানে কেউ বলছে, “পরীক্ষায় পাসের সিক্রেট ট্রিক!” ক্লিক করতেই দেখা গেল, “পড়তে হবে!” আমরা হাসি, কিন্তু বুঝি—অতি আশায় অদ্ভুত সার্চ করলে মজা হয়, তবে সঠিক উত্তর মিসও হয়।

তৃতীয় দৃশ্য: ডিজিটাল ক্লাসরুমে শিক্ষা

এবার এই ত্রয়ীর ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ি, চলুন। গুগল দা, চ্যাটজিপিটি ভাই, আর ইউটিউব মামা তিনজনেই দারুণ শিক্ষক, কিন্তু একটু চালাকিও করেন মাঝে মাঝে। গুগল দা বলেন, “আমি লিঙ্ক দেব, তুমি যাচাই করো।” চ্যাটজিপিটি ভাই বলেন, “আমি বুঝিয়ে দেব, তবে সোর্স চেক করো।” আর ইউটিউব মামা বলেন, “ভিডিও দেখো, তবে কমেন্ট পড়ে বোঝো কে ঠিক!” আমরা তো তাড়াহুড়োয় যা পাই, তাই বিশ্বাস করি।

ধরুন, আপনি সার্চ করলেন, “কীভাবে দ্রুত ঘুমাতে হয়?” গুগল দা একটা লিস্ট দিল—"গরম দুধ পান করো, ধ্যান করো আর ফোনটা দয়া করে বন্ধ করো"। চ্যাটজিপিটি ভাই বলল, “ঘুমের রুটিন করো।” কিন্তু ইউটিউব মামার ভিডিওতে কেউ একজন বললো, “রাতে কেক খাও, ঘুম পড়ে যাবে!” এখন কোনটা শুনবেন? আমার খালাতো ভাই রনি তো ইউটিউবের পরামর্শে পেঁয়াজের রস মাথায় ঘষে চুল গজানোর চেষ্টায় জীবন প্রায় বরবাদ করে দিল। ফলাফল? পেঁয়াজের দুর্গন্ধে পুরো বাড়ি বেশামাল অবস্থা! তিনজনেই হেসে বললেন, “আমরা তো পথ দেখাই, তুমি বুঝে নাও!”

শিক্ষাটা তাহলে কী? শিক্ষা হচ্ছে, এই ত্রয়ীর উত্তর যাচাই করতে হবে। সরকারি ওয়েবসাইট, নামকরা জার্নাল, বা বিশ্বস্ত চ্যানেল দেখুন। একই তথ্য তিন জায়গায় মিলিয়ে নিন। আর স্বাস্থ্য বা আইনের ব্যাপারে এদের গুরু বানাবার আগে কয়েকবার ভেবে নিন। মাথা ব্যথা হলে ডাক্তার, আইনি সমস্যা হলে আইনজীবী। গুগল দা বলেন, “আমি সব জানি না, আমি শুধু লিঙ্ক দেখাই!” চ্যাটজিপিটি ভাই বলেন, “আমি বুঝিয়ে দিই, তবে আমারও ভুল হয়!” আর ইউটিউব মামা বলেন, “ভিডিও দেখো, তবে লাইক-কমেন্ট চেক করো!”

চতুর্থ দৃশ্য: হাসির সার্চ, পাগলা ফলাফল

এবার হাসির পালা। আমরা কীইবা সার্চ করি না! আমার বন্ধু রাশেদ টিকটকে সার্চ করল, “Can I eat raw potato to lose weight?” ইউটিউব মামা একটা ভিডিও দিল, যেখানে লেখা, “কাঁচা আলুতে স্টার্চ বেশি, ওজন বাড়বে!” তানিয়া হতাশ হয়ে চ্যাটজিপিটি ভাইয়ের কাছে গেল। সে বলল, “কাঁচা আলু ঝুঁকিপূর্ণ, ভাজা খাও!” আর গুগল দা একটা ব্লগ দিল, যেখানে লেখা, “আলু সিদ্ধ খাও!” তানিয়া শেষে বলল, “তোমরা আমার ডায়েট প্ল্যানটাকেই ভেস্তে দিলে!”

আরেকবার আমার মামা গুগল দা’কে জিজ্ঞেস করলেন, “How to convince wife to buy new TV?” গুগল দা একটা ফোরামের লিঙ্ক দিল, যেখানে লেখা, “মিষ্টি কথা বলো, রান্নাঘরে সাহায্য করো!” চ্যাটজিপিটি ভাই বলল, “বাজেট বুঝিয়ে বলো।” আর ইউটিউব মামার ভিডিওতে কেউ একজন বললো, “টিভির দাম কমে গেলে কিনো!” মামা বললেন, “তোমরা তিনজনেই মামীর দলে!” এই হাসির মাঝে শিক্ষা একটাই—প্রশ্নটা ঠিকভাবে করতে হবে। যেমন, “মাথা ব্যথার কারণ site:*.edu” লিখলে গুগল দা ভালো লিঙ্ক দেবে। চ্যাটজিপিটি ভাইকে বলুন, “বিস্তারিত বুঝিয়ে দাও।” আর ইউটিউব মামার ভিডিওতে কমেন্ট পড়ে বুঝুন কে ঠিক।

উপসংহার: হাসুন, শিখুন, সার্চ করুন!

গুগল দা, চ্যাটজিপিটি ভাই, আর ইউটিউব মামা আমাদের জ্ঞানের পথপ্রদর্শক, কিন্তু জাদুকর নন। তাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করলে হাসি, মজা, আর শিক্ষা তিনটাই পাবেন। তাই পরের বার সার্চ করার আগে একটু ভাবুন। মাথা ব্যথা হলে পানি খান, ডাক্তারের কাছে যান। আর যদি কোনো অদ্ভুত সার্চ করে থাকেন, যেমন “কীভাবে ভূতের ভয় কাটানো যায়?” বা “টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় কী?”, তাহলে কমেন্টে শেয়ার করুন। আমরা দেখব কার সার্চ সবচেয়ে মজার! আর হ্যাঁ, এই ত্রয়ীকে বলে দিন, “ধন্যবাদ, তোমরা আমাদের হাসিয়েছ, শিখিয়েছ, এবার একটু চা খাও!”

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আসলে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে হাসি, মজা, শিক্ষা সবই পাওয়া সম্ভব।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না জানার কারণে কেউ কেউ উল্টো বিপত্তির মুখেও পড়েন।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

অরণি বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই সুন্দর।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রশংসাসূচক গভীর আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যটি সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে গেল। এমন সংক্ষিপ্ত কিন্তু চমৎকার একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। যেখানেই থাকুন, শুভকামনা সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.