| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
"তুই কি মানুষ না আওয়ামী লীগ?", এমন কথাও আমাদের শুনতে হয়েছে!!!
ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামীলীগের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ভয়ংকর অধ্যায় নেমে এসেছিল বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে, যখন ক্ষমতার লালসায় আওয়ামী লীগ সভ্যতা ভব্যতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া, কথায় কথায় মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচার চালানো, বিরোধী দলের ওপর পাইকারি দমন-পীড়নের স্টিমরোলার ব্যবহার, অসংখ্য গুম-খুন, লাখ লাখ মিথ্যা মামলা, এবং অমানবিক অকথ্য নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তারা প্রতিষ্ঠা করেছিল ইতিহাসের এক ভয়াল ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন।
তখন সাধারণ মানুষের কোনো অধিকারই ছিল না। অপরাধী কোন দলের, তা যাচাই করে বিচার করা হতো। আওয়ামী লীগের সাঙ্গপাঙ্গরা খুন, ধর্ষণ কিংবা অন্যায় কর্মকাণ্ড করেও অনায়াসে পার পেয়ে যেত। আইন-আদালত তাদের টিকিটি পর্যন্ত ছুঁতে পারতো না; আদালত পরিণত হয়েছিল আজ্ঞাবহ দাসে। ভোটাধিকার ও নির্বাচনও পরিণত হয়েছিল এক প্রহসনে, রাতের ভোট, সাজানো ভোট, পাতানো নির্বাচন, যা তখন বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। দলীয় ষন্ডাপান্ডারা একের পর এক ব্যাংক দখল করে নিয়েছিল। বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করা হয়েছিল।
সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় ছিল তখন হাজারও নির্যাতন নীপিড়নের মুখেও মানুষের মুখ খোলার কোন উপায় ছিল না। প্রতিবাদের সকল পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় নামলেই হামলা গুলি, মুখ খুললেই মামলা মোকদ্দমা আইন আদালত শাস্তি, মুখ খুললেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো অপহরন গুম খুনের বিভীষিকা, মুখ খুললেই তাদেরকে ধরে নিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হতো দেশবিরোধী, জঙ্গি মঙ্গি, জামাআত, হরকতুল জিহাদ ইত্যাদি ভয়ঙ্কর তকমায়।
এই সময়টাতে সাধারণ মানুষের মনে আওয়ামী লীগের প্রতি এতটাই ঘৃণা জন্মেছিল যে, তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের আর মানুষ হিসেবে ভাবতেও চাইতেন না। সমাজে তখন বিদ্রুপের সুরে প্রায়ই শোনা যেত বিখ্যাত একটি বাক্য, “তুই কি মানুষ না আওয়ামী লীগ?”
এই কথাটি শুধুমাত্র একটি রসিকতা ছিল না; এটি ছিল ভয়ঙ্কর ক্ষয়িষ্ণু এক দুঃসময়ে নির্যাতিত জনগণের কান্না, ঘৃণা, ও প্রতিবাদের প্রতীক। আওয়ামী লীগের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে নিঃশব্দে উচ্চারিত সেই বাক্য যেন পরিণত হয়েছিল এই জাতির বেদনার প্রতিধ্বনিতে।
তবুও সত্য এটাই, যতই অপরাধী হোক, মানুষকে মানুষই ভাবা উচিত। আমরা তাদেরকে মানুষই মনে করি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি একেবারেই সঠিক বলেছেন। এগুলো সত্যিই চরম উদ্বেগজনক বিষয় ছিল। পুলিশ ও আইনের মিথ্যা ক্ষমতার ব্যবহার, হঠাৎ করে তুলে নিয়ে যাওয়া, মুক্তিপণের জন্য অন্যায় শর্ত আরোপ, এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক। আইসিটি বা সন্ত্রাস দমন মামলায় দিনের পর দিন জেলে রাখার বহু ঘটনা ঘটেছে তখন। এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে ক্ষমতা যখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়, তখন সাধারণ মানুষ সবচেয়ে ভুক্তভোগী হয়।
অবস্থা যে কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে গিয়েছিল তা আপনার মন্তব্যেই পরিষ্কার। বিএনপির নেতা মন্তব্য করার অপরাধে জেল পর্যন্ত খেটেছেন। এমন ঘটনা অহরহ ঘটেছে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার অপরাধে ৭ বছরের কারাদন্ড লাভ করেছেন এমন ঘটনাও দেখা গেছে। আপনি ঠিক বলেছেন, সামনের দিনে পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা বলা কঠিন। তবে এটা সত্যি, সুশাসন ও ন্যায়বিচার ছাড়া রাজনৈতিক ক্ষমতার এমন ব্যবহার সমাজের জন্য গভীর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আবারও ধন্যবাদ।
২|
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার রা ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্তই এখনকার আপনাদের মত করেই কথা বলত....তবে আওয়ামী লীগ ধুলায় মিশে যাওয়ার মত দল না....তারা ফিরে আসবে তখন আবার রাজাকার দের মত গুপ্ত আওয়ামী সেজে যত আকাম-কুকাম করে আওয়ামী ঘাড়ে চাপাবে
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আওয়ামী লীগের শুভ প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ।
৩|
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ইতর ইতরামি করে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন, সেটা আপনাকে দেখলেই বুঝা যায়।
৪|
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: এখন মব সৃস্টি করে যে ভাবে পথে ঘাটে হেনস্হা করছে, সেটা আপনাদের মত কুলসিত মননে সেটা ধরা পড়বে না..।আজ দেখলাম নাকে প্লায়ার্স দিয়ে চেপে ধরে নির্যাতন করছে....। মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরাচ্ছে....এগুলিকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে বলবেন না কিন্তু ১৬ বছর আগে ফেসবুক পোস্টের গল্প ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রচার করবেন.......আপনাদের আসল কারন ১৯৭১ আওয়ামী লীগের নেত্বত্তে হয়েছিল যাতে আপনাদে পেয়ারা পাকিস্হান পরাজিত হয়েছিল..এখন সেই পরাজয়ের শোধ নিচ্ছেন কিন্তু সরাসরি বলেন না সেটা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
পাকিস্তানের বদমায়েশি কখনো পছন্দ করি না। সুতরাং, ফালতু আলাপ আমার কাছে করে লাভ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ আমনে সাধারণ মানুষ হিসাবে দুইটা বিষয় খুব আতংক অনুভব করতাম। পুলিশ এতটাই পাওয়ার ফুল হয়ে গিয়েছিলো যে কোনো অজুহাতে তুলে নিয়ে যেত, টাকা দাবী করতো, অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের নারী সদস্যের অনৈতিক প্রস্তাব দিতো ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে(বডি বিল্ডার ফারুক মারডার কেইস)। আর হলো আইসিটি কিংবা সন্ত্রাস দমন মামলায় দিনের পর দিন জেলে ঢুকিয়ে রাখা।

বিএনপির লক্ষীপুরের নেতা এ্যানি একবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে কটাক্ষ করে বলেছেন তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। শেখ হাসিনা কি তবে যুবতী নারী? এই কারণে উহাকে জেল খাটতে হয়েছিল। সামনের দিনে আবার কোনটা ফিরে আসে কে জানে।