| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
অপদার্থ ট্রাম্প এখন মিটিংয়েও ঘুমান: পতন কি অত্যাসন্ন?
ট্রাম্প এর ঘুমন্ত ছবিটি প্রথম আলো অনলাইন থেকে সংগৃহিত।
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় প্রবেশের মাত্র দশ মাসের মধ্যে তাঁর প্রশাসন একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে। এই সময়কালে ট্রাম্পের নেতৃত্বকে চিহ্নিত করেছে অযৌক্তিক নীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধ্বংসাত্মক ক্ষয় এবং ব্যক্তিগত অহংকারের প্রকাশ। সাম্প্রতিককালে ওভাল অফিসে একটি সাধারণ ঘোষণার সময় তাঁর ঘুমন্ত অবস্থার চোখ বন্ধ থাকা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে, যা তাঁর কার্যদক্ষতা, স্বাস্থ্য সক্ষমতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনা কেবল একটি ছবির মতো অতি সাধারণ কোনো বিষয় নয়; এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের অপকর্মের একটি প্রতীকী প্রতিফলন, যা আমেরিকার অর্থনীতি, কূটনীতি এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে।
৬ নভেম্বর, ২০২৫ ওভাল অফিসে ওজন কমানোর জনপ্রিয় ওষুধগুলোর দাম কমানোর ঘোষণায় অংশ নেওয়ার সময় ঘুমিয়ে পড়ার কারণে ট্রাম্পের চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মাঝে মাঝে চোখ কচলানোর দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে একজন অতিথির অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় সকলে তাঁর চারপাশে ছুটে যায়, কিন্তু ট্রাম্প নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতি উপেক্ষা করেন। এই ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচকরা তাঁকে "ঘুমন্ত প্রেসিডেন্ট" বলে উপহাস করেছেন, যা তাঁর ৭৯ বছর বয়সী শরীরের দুর্বলতা এবং নেতৃত্বের অক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনকি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গ্যাবিন নিউসমের মতো রাজনৈতিক নেতারাও এটিকে "ডোজি ডন ইজ ব্যাক" বলে কটাক্ষ করেছেন। এই ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত লজ্জার নয়; এটি প্রমাণ করে যে, ট্রাম্পের প্রশাসন এখন একটি অকার্যকর যন্ত্রের মতো চলছে, যেখানে জরুরি পরিস্থিতিতে পর্যন্ত সহানুভূতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দিক হলো তাঁর শুল্ক নীতি, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতায় ফিরে এসেই তিনি আন্তর্জাতিক জরুরি অধিকার আইন (IEEPA) ব্যবহার করে সকল দেশের উপর ইচ্ছেমতো শুল্ক আরোপ করেন, যা ৫ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়। এই নীতি শুধু অন্যান্য দেশগুলোর সাথে আমেরিকার সম্পর্ককে তলানিতেই নামায়নি, নিজের দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতাকেও ধ্বংস করেছে। ২০২৫ সালে এই শুল্কের ফলে ফেডারেল কর আয় ১৬২.৯ বিলিয়ন ডলার বাড়লেও, এটি ১৯৯৩ সালের পর সবচেয়ে বড় কর বৃদ্ধি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমেরিকান ভোক্তাদের পণ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে, এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই শুল্কের বৈধতা নিয়ে মামলা চলছে, যেখানে বিচারকরা ট্রাম্পের এই "পারস্পরিক শুল্ক"কে অসাংবিধানিক বলে সমালোচনা করেছেন। এই নীতি কেবল অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিকভাবেও বিপজ্জনক, এটি চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধকে পুনরায় উস্কে দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করেছে।
বিদেশী নীতিতে ট্রাম্পের অপকর্ম আরও স্পষ্ট। পানামা খালের কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি একের পর এক হুমকি দিয়েছেন, চীনের প্রভাব এবং উচ্চ ফি-এর ভুয়া অভিযোগ তুলে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ তিনি সরাসরি বলেন, "আমরা খাল ফিরিয়ে নেব, অথবা কিছু করব।" এই হুমকি পানামার অর্থনীতিকে বিপন্ন করেছে এবং লাতিন আমেরিকায় আমেরিকার ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একইভাবে, প্রতিবেশী কানাডাকে "৫১তম রাজ্য" বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বাণিজ্য যুদ্ধকে উস্কে দিয়েছেন। সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ সামরিক কর্মকর্তাদের সামনে বলেন, "কেন কানাডা আমাদের দেশে যোগ দিচ্ছে না? ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক।" এই মন্তব্য কানাডার পর্যটন এবং বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এটিকে "বাস্তব সত্য" বলে উল্লেখ করেছেন। গ্রিনল্যান্ডের ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের পুরনো অভ্যাস ফিরে এসেছে, মে ২০২৫-এ তিনি অ্যানেক্সেশনের সম্ভাবনা অস্বীকার করেননি, এবং কংগ্রেসে "রেড, হোয়াইট অ্যান্ড ব্লুয়েল্যান্ড" নামে একটি বিল পাস হয়েছে যা ডেনমার্কের সাথে কেনার আলোচনা অনুমোদন করে। ট্রাম্পের এই জোরজবরদস্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আমেরিকাকে আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে চিত্রিত করেছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অপকর্ম হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। জুন ২০২৫-এ ইসরায়েলের ইরানের উপর অকারণে বোমা হামলা (১৩ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত "টুয়েলভ-ডে ওয়ার") আমেরিকার নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে হয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে, কিন্তু পরে স্বীকার করা হয় যে ২১ জুন আমেরিকান যুদ্ধবিমান এবং সাবমেরিন ইরানের তিনটি নিউক্লিয়ার সাইটে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু এই হামলায় ইরানের হাসপাতাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়েছে। ট্রাম্পের এই অ্যাডভেঞ্চারিজম, মিথ্যা-ধোকা-প্রতারণা মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, এবং আমেরিকার নাগরিকদের জন্য নতুন বহুমাত্রিক ঝুঁকি তৈরি করেছে।
ট্রাম্পের অপকর্মের তালিকায় যোগ হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারি এবং চলমান মামলা-মোকদ্দমা, যা তাঁর নৈতিকতা এবং নেতৃত্বের মর্যাদাকে আরও কলুষিত করেছে। কমপক্ষে ২৭ জন মহিলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি থেকে যৌন নির্যাতন পর্যন্ত অভিযোগ করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ই. জিন ক্যারলের মামলা। ২০২৩ সালের একটি বিচারে ট্রাম্পকে যৌন নির্যাতনের জন্য দায়ী সাব্যস্ত করা হয়, এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে $৮৩.৩ মিলিয়ন ডলারের ডিফ্যামেশন জরিমানা আপিল কোর্টে আপহোল্ড হয়েছে। সাম্প্রতিককালে, ১১ নভেম্বর, ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টে $৫ মিলিয়নের সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ ভার্ডিক্ট ফেলাতে অ্যাপিল করেছেন, যাতে তিনি বিচারাধীনের সিদ্ধান্তকে 'অসম্ভব' বলে অভিহিত করেছেন। এই মামলাগুলো শুধু ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবন নয়, তাঁর প্রশাসনের নীতিগুলোকেও প্রভাবিত করছে, যেমন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ননপ্রফিট সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে চলমান লিগ্যাল লড়াই। এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি, পাসপোর্ট পলিসি এবং SNAP বেনিফিটস সাসপেনশন নিয়ে একাধিক মামলা চলছে, যা তাঁর প্রশাসনকে আইনের চাপে ফেলেছে।
এই অপকর্মের ফিরিস্তি দেখিয়ে দেয় যে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট অধ্যায়। তাঁর একের পর এক গোয়ারতুমি এবং অহংকার শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নয়, নিজের দেশের জনগণকেও যন্ত্রণার ভেতরে ফেলে দিয়েছে। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সমর্থন হারিয়ে যাচ্ছে, এবং সাম্প্রতিক মধ্যবর্তী নির্বাচনগুলো এর স্পষ্ট প্রমাণ। গত ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে জোহরান মামদানির অভাবনীয় বিজয় ট্রাম্পের MAGA এজেন্ডাকে কঠোর ধাক্কা দিয়েছে; এই ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট, যিনি প্রথম মুসলিম এবং দক্ষিণ এশীয় মেয়র হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছেন, রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়া এবং প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করেছেন। এই বিজয় যুবক ভোটারদের শক্তির প্রতীক, যা ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবির সাথে মিলে দলীয় অস্থিরতা বাড়িয়েছে। একইভাবে, প্রায় একই সময়ে নিউ জার্সি এবং ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা বিজয়ী হয়েছে, নিউ জার্সিতে মিকি শেরিল (D) জ্যাক সিয়াটারেলি (R)-কে হারিয়ে রাজ্যের গভর্নর অফিস ডেমোক্র্যাটদের হাতে রেখেছেন, এবং ভার্জিনিয়াতে অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার (D) উইনসাম আর্ল-সিয়ার্স (R)-কে পরাজিত করে রাজ্যের প্রথম মহিলা গভর্নর হয়েছেন।
এই ফলাফলগুলো ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় পরীক্ষায় রিপাবলিকানদের পরাজয় নিশ্চিত করেছে, যা ২০২৬-এর মিডটার্মের পথ প্রশস্ত করেছে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত এই নীতিগুলোকে বাতিল করতে পারে। প্রশ্ন হলো, পাগলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় কি সত্যিই ফুরিয়ে এসেছে? আমেরিকা এই অন্ধকার থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে, কিন্তু ট্রাম্পের অপকর্মের ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
রেফারেন্স:
MSNBC: "Lawrence O'Donnell: Photo of Trump guest collapsing in Oval Office" (৭ নভেম্বর ২০২৫)
Yahoo: "This Wild Picture Of Donald Trump After Someone Collapsed In The Oval Office" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
Times of India: "'Dozy don is back': Photos of President Trump closing eyes in Oval Office" (৮ নভেম্বর ২০২৫)
Snopes: "Photo shows Trump looking on as man fainted during White House" (৮ নভেম্বর ২০২৫)
Hindustan Times: "Trump health concerns resurface after photo shows POTUS 'freeze'" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
Politico: "Trump continues to fume about Canada amid escalating trade battle" (২৪ অক্টোবর ২০২৫)
CBC: "Trump again floats Canada joining the U.S. as the 51st state" (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
CNN: "Trump reiterates threat to retake Panama Canal" (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
Carnegie Endowment: "The Crisis Trump Is Causing in Panama" (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
Wikipedia: "Proposed United States acquisition of Greenland" (২০২৫)
CNN: "June 24, 2025 – Israel-Iran conflict" (২৪ জুন ২০২৫)
New York Times: "Trump Claims Success After Bombing Key Iran Nuclear Sites" (২৭ জুন ২০২৫)
Reuters: "Iran strikes Israeli hospital; Trump to decide on US role" (১৯ জুন ২০২৫)
New York Times: "Highlights of the Supreme Court Arguments on Trump's Tariffs" (৫ নভেম্বর ২০২৫)
Tax Foundation: "Trump Tariffs: Tracking the Economic Impact" (২০২৫)
CNN: "Takeaways from the Supreme Court arguments on Trump's global tariffs" (৫ নভেম্বর ২০২৫)
BBC: "Zohran Mamdani seals remarkable victory - but real challenges await" (৫ নভেম্বর ২০২৫)
CBS News: "Zohran Mamdani claims victory in NYC mayor's race" (৫ নভেম্বর ২০২৫)
NPR: "Zohran Mamdani wins NYC mayoral race" (৫ নভেম্বর ২০২৫)
CBS News: "Democrats sweep key races in 2025 elections" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
MSNBC: "Trump wasn't on the ballot on Tuesday — but still took a major loss" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
NPR: "New Jersey governor race: Live 2025 election results" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
NBC News: "New Jersey Governor Election 2025 Results: Mikie Sherrill Wins" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
NBC News: "Virginia Governor Election 2025 Results: Abigail Spanberger Wins" (৬ নভেম্বর ২০২৫)
ABC News: "Trump asks Supreme Court to throw out E. Jean Carroll's $5 million verdict" (১১ নভেম্বর ২০২৫)
The Hill: "Trump asks Supreme Court to toss E. Jean Carroll sex abuse verdict" (১১ নভেম্বর ২০২৫)
Le Monde: "US court upholds $83.3 million penalty on Trump for sexual assault defamation case" (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
Al Jazeera: "US court upholds sexual assault defamation order against Trump" (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
Ms. Magazine: "How E. Jean Carroll Fought Trump in Court—And Won" (১৫ আগস্ট ২০২৫)
Reuters: "Major cases involving Trump before the US Supreme Court" (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
এত কান্নাকাটির কিছু নেই। অসত্য কিছু বলা হয়নি। রেফারেন্স আছে।
২|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
নতুন বলেছেন: রানু ভাই আপনি আর গাজী ভাই যে আমেরিকার নামে অপবাদ দিলেন যে তারাই কু করে হাসিনাকে সরিয়েছে আর শেখ হাসিনা তা অস্বিকার করলো??? সেটা কি আপনারা সত্য প্রচার করেছেন?
না কি শেখ হাসিনা আপনাদের বলেছেন ডাবল স্ট্রান্ডাড প্লে করার জন্য। যে আপনারা আমেরিকাকে দায়ী করবেন আর উনি মিথ্যা বলে আমেরিকার কাছে ভালো হবেন?
তাহলে এখানে মিথ্যাবাদী কে? আপনারা না কি শেখ হাসিনা!!! আপনারা তো মিথ্যা বলতে পারেন না
তাহলে মিথ্যা অবশ্যই শেখ হাসিনা বলেছেন।
আপনাদের নেত্রী এতো পচা যে এমন বিষয়ে মিথ্য বলে??? ![]()
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
নতুন ভাই, এইটা আপনি কী করলেন!!! ইরাম মুখের উপরে সত্য ফাঁস করতে হয়!!!
ধন্যবাদ।
৩|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬
অপলক বলেছেন: ট্রাম্প কে নিয়ে আমি যখন নিচের লেখাটা লিখেছিলাম, তখনও হলুদ সাংবাদিকদের গা জ্বলে গিয়েছিল।
সেই পুরনো ব্লগের লিঙ্ক এখানে...পরবর্তী মেয়াদেও ট্রাম্প থাকুক
৪|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
জুল ভার্ন বলেছেন:
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যা ঘটছে তা শুধু একজন নেতার ব্যর্থতার গল্প নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতিতে দায়িত্বহীনতার বিপর্যয়কর উদাহরণ। ঘুমন্ত ছবি বা ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারি নিছক বিনোদনের উপাদান মনে হতে পারে, কিন্তু এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক উত্তেজনা এবং নৈতিক শূন্যতার ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। একজন রাষ্ট্রপ্রধান যখন ব্যক্তিগত অহংকারকে রাষ্ট্রনীতির ভিত্তি বানান, তখন তার দাম শুধু আমেরিকাকেই নয়, পুরো বিশ্বকে দিতে হয়।
অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা, নিযুক্ত নীতির বিশৃঙ্খলা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অবনতির সঙ্গে ট্রাম্পের সময়কে আজ ইতিহাসের সবচেয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন অধ্যায়গুলোর একটি বলেই মনে হয়। তবে আশার বিষয়- নাগরিকদের ভোট, আদালতের রায় এবং তরুণদের নতুন রাজনৈতিক জোয়ার প্রমাণ করছে যে গণতন্ত্র শেষ পর্যন্ত তার নিজের পথ খুঁজে নেয়।
ট্রাম্প হয়তো ক্ষমতায় আছেন, কিন্তু তার সময় স্পষ্টতই শেষের দিকে- এটি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
৫|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২১
কালো যাদুকর বলেছেন: আপনার অভিযোগুলো রেফারেন্স দিয়ে লিখেছেন এটা ভাল। অভিযোগ গুলো বাস্তবতা। প্রশ্ন হলো, সে তো ভোটে জিতেই ক্ষমতা পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার কাজগুলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। কাজেই আগে নারীঘটিত যেটা করেছে সেটা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন না।
মূলত অর্থনীতি ও যুদ্ধ এই দুটি বিষয়ে আপনি যেটা বলেছেন সেটার জন্য ইন্ডিরেক্ট ভাবে আমেরিকান সাধারণ মানষকে জিজ্ঞাসা করলে তারা একমত হবে। এখন কি আমরা বলতে পারি যে আজকে পৃথিবীতে যঅর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আসলে আমেরিকান মানুষের জন্যই হচ্ছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের মুখ আছে। ল্যাপটপ আছে। কি বোর্ড আছে। তাই যা খুশি বলে দেন। দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। নেই কোনো আইন। তাই যে কাউকে যা খুশি বলে দিতে পারেন।