![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইরাব অনেক সময় ধরে তার নিজের ছায়ার দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ হয়ে। দেখে মনে হয় কত রুপবান তরুণের ছায়া। এমন কি ভুল হত যদি সে এই ছায়াটার মত রুপবান হত ! বিধাতার প্রতি অভিমান হচ্ছে এখন।
আজ অনেক বড় একটা ঘটনা ঘটল ভার্সিটিতে। এটা ঘটানোর কোন দরকার ছিল না। ইরাব এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না তার মত একটা ছেলে কিভাবে এটা করে বসল । সে মনে মনে ইশানাকে চাইত ঠিকই কিন্তু এভাবে আজ যা করল তা করাটা কি ঠিক হল? আজ সকালে রেহান নামের বড় ভাই ইশানাকে খারাপ একটা মন্তব্য করেছিল । কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ইরাব চড় বসিয়ে দিল রেহান ভাইকে । এরপর রেহান ভাই প্রতিবাদ করার আগেই ইশানা ঐ বড় ভাইকে বলে উঠল আপনার সুন্দর মুখটা কত ময়লা হয়ে গেছে আগে ওটা ঠিক করুন প্লিজ , হাতটাও ময়লা করতে চান কেন! হাসাহাসি শুরু হল কালো ইরাবকে নিয়ে। কথাটা শুনে ইরাবের মাথায় বাজ পড়ল । নিজের রং নিয়ে এমন বাজে কথা সে আগেও শুনেছে। এর আগে শুনলেও তা কখনোই গায়ে নেয় নি সে। আজ তাকে ইশানার মুখে শুনতে হল ।
সে এখনো অবাক হয়ে বসে আছে ভার্সিটির সামনেই । দুঃখ পাওয়া এখনো শুরু হয় নি , অবাক হওয়ার পর্যায়টি সে এখনো পার করতে পারছে না । তারপরই না দুঃখ।
এই মেয়েটার সাথে কিভাবে কথা বলা যায় তা নিয়ে ১ বছর ভেবেছে ইরাব । সেই ১ম বর্ষ থেকে । পরের বর্ষ গেল প্ল্যান করতে করতে । কাজে নামার আগেই একি ধাক্কা । অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থেকে ঘরে ফিরলো সে। পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে ভাবতে হবে তার । এসব নিয়ে না বিলাসিতা তার মানায় না। তারপরও এই চিন্তা ঘুরপাক খায় তার মাথায়। পরদিন সে চিন্তা করল ইশানাকে সরি বলবে । রেহান ভাই অন্যায় করেছে তাকে ইরাব ভুলেও সরি বলবে না। ইশানার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলিয়েছে এজন্য সরি বলবে সে। একটা চিঠি লিখল ইরাব, যেখানে শুধু একবার সরি লেখা। চিঠিটা সে মামার দোকানের মন্টুকে দিয়ে ইশানাকে দিল। তারপর আর কখনো ইশানার সামনে যায় নি ইরাব । কয়েকমাস পর খবর আসল ইশানার বিয়ে । বিয়েবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইরাব । অনেকদিন পর তার চোখে পানি আসল । বিয়েবাড়ির সামনে আড়ালে একটা গাছের পাশে বসে কাঁদা শুরু করল ইরাব । জীবনে কিছু চায় নি সে ওভাবে। এই মেয়েটাকে চেয়েছিল শুধু।
একটু পরেই কাঁধে হাতের স্পর্শ পেল ইরাব । ইশানা দাঁড়িয়ে আছে।
"তুমি শুধু সরি লিখেছ , ভালবাসি লিখবা না গাঁধা? মেয়েরা আগে বলে ভালবাসার কথা? এখন কি গাঁধার মত তাকায় থাকবা নাকি কাঁদবা নাকি আপুর বিয়েতে যাবা? জ্বী আপুর বিয়ে , আমার না , শামিম মিথ্যা বলেছিল তোমাকে।"
ইরাব শুধু ইশানাকে দেখছে, সে পৃথিবীতে আছে কিনা তার সন্দেহ হচ্ছে ! কি সুন্দর মাথা ঝাকিয়ে কথা বলছে মেয়েটা। রেহান ভাই দাঁড়িয়ে আছে পাশে।
"আর এটা হল আমার সবচে প্রিয় খালাত ভাই, রেহান ভাই । তোমাকে ভালবাসি বলার পর সে তোমাকে পরীক্ষা করতে চেয়েছিল । অনেক কঠিন পরিক্ষা হয়ে গেল না? যাই হোক পূর্ণ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন আপনি। ভাইয়া এই গাঁধাটা কান্না থামায় না কেন? "
রেহান ভাই এর সামনেই ইরাব জড়িয়ে ধরল ইশানাকে।
"ভালবাসার রং তাহলে কালো রং কে হারাতে পারে?" কেঁদে কেঁদেই প্রশ্ন করল ইরাব । ইশানা চুপচাপ ধরে থাকল ইরাবকে।
ভালবাসার রং ছড়িয়ে পড়ল বিয়েবাড়ীর সামনের গাছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো হইসে গপ
ঈদের শুভেচ্ছা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০০
ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। দেরি হবার জন্য ক্ষমা চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
আরজু পনি বলেছেন:
বাহ্ মধুরেণ সমাপয়েৎ।