নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন ছাত্র, যিনি শেখার মাঝেই আনন্দ খুঁজে পান

ইনজামাম ঊল হক নাভীন

নিজেকে নিয়ে কিছুই জানি না!

ইনজামাম ঊল হক নাভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন করবেন সংগঠন?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

আমাদের দেশে এখন বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী এবং অমুনাফভোগি সংগঠন কাজ করছে। অল্প পরিসর থেকে শুরু করে ব্যাপক আকারে কাজ করে চলেছে এসব সংগঠন। এক সময় তরুণ তরুণীরা শুধুমাত্র রেড ক্রিসেন্ট, বি এন সি সি বা স্কাউটিং এর মত সামাজিক কাজ করে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তারা ছড়িয়ে পড়েছে অনেক বিস্তৃত আকারে এবং বিভিন্ন ফরম্যাটে। এখনকার তরুণ তরুণীরা কাজ করছে পথশিশু , প্রতিবন্ধী , স্কিল ডেভেলপমেন্ট , নেতৃত্ব চর্চা, শিল্পচর্চা সহ বিভিন্ন জায়গা তে। সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্দ্যেগে গড়ে উঠা এসব সংগঠনে তারা কাজ করছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। কোন ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা করে কিংবা আয় উপার্জন, সুনামের আশায় তারা এসব করছে না। গত কয়েক বছরে এসকল সংগঠনের প্রাপ্তি দেখার মত।



দেশব্যাপী এসব কাজ শুরু হলেও এখনও বেশিরভাগ তরুণ তরুণীরা এতে যুক্ত হচ্ছে না। অনেকেই এখনও ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনার মারপ্যাঁচ থেকে বেরুতে পারছেন না। অনেকে চিন্তা করছেন এসব কাজ করে আমার লাভ কি? আমি কেনই বা এসবে যোগ দিব? এরচে তো আমি আমার এই সময় আয় উপার্জনে কাজে লাগাতে পারি!! তাদের জন্যই মূলত লিখতে বসা।



আচ্ছা আপনি যদি এখন একটা বিয়ের আয়োজন করেন, আপনার পরিবারেরই। আপনাকে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?

সর্বনিম্ন মূল্যে সবচে ভাল জিনিস গুলো যোগাড় করা

সব প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় করা এবং তা সঠিক জায়গা অনুযায়ী পাঠানো।

বিয়ের ক্লাব ঠিক করা, সাজগোজ, আলোকসজ্জা কেমন হবে তা ঠিক করে নেয়া।

অতিথি তালিকা তৈরি এবং কবে কাকে কিভাবে দাওয়াত দিবেন তা আগে থেকে ঠিক করা।

বিয়ের দিন কে কোন জায়গায় কাজ করবে তা ঠিক করে দেয়া,

যারা যারা বিয়ের দিন খাবার তৈরি , খাবার পরিবেশন ইত্যাদি কাজ করবে তাদের দিয়ে ঠিক ভাবে কাজ করিয়ে নেয়া।

বিয়ে অনুষ্ঠান চলাকালিন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য চাপের ভেতরেও তৈরি থাকা।

অনুষ্ঠান শেষ হবার পর সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নেওয়া , ফেরত নেওয়ার কিছু থাকলে তা খুঁজে নেওয়া।


অতি সংক্ষেপে এটাই হল একটা বিয়ে আয়োজনের কাজ। খেয়াল করলে দেখবেন এসব কাজ করতে আপনার যে যোগ্যতাগুলো লাগবে তা হল, পরিকল্পনা , সংগঠন করা, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, দলগত কাজ, নিয়ন্ত্রন দক্ষতা ইত্যাদি। এসব কিছুই আপনি শিখতে পারবেন সংগঠন করলে। প্রত্যেকটি সংগঠনে যখন প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়, তখন এই সব কাজই করতে হয় ঘুরে ফিরে। ফলে দিন দিন বাড়ে আপনার আন্তঃ দক্ষতা। শুধু তাই নয়, এসব কাজ করার সময়ে আপনার সাথে শখ্য গড়ে উঠবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে, জানতে পারবেন প্রত্যেকটা ছোটখাটো জিনিস কোথায় পাওয়া যায় সবচে কম মূল্যে, বিভিন্ন কাজে সাহায্য পাবেন এসব মানুষের।



শুধু কি বিয়ে আয়োজনেই কাজে আসবে আপনার এসব গুণাবলি? আপনি যখন চাকুরীক্ষেত্রে যাবেন , ব্যবসায় করবেন, তখনও কি এসব আপনার কাজে আসবে না? এসব গুণাবলির ফলে আপনি আরও দ্রুত এগিয়ে যাবেন কর্মক্ষেত্রে , তাই না?

এতক্ষন প্রফেশনাল কথাবার্তা বললাম , এবার আসল কথা বলি, আপনার একটা ছোট্ট ভাল কাজ যখন দেশের জন্য অবদানে কাজে লাগবে, একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে ঐ সুখ কি আপনি কোটি টাকায় কিনতে পাবেন?



একজন সংগঠন করা মানুষ কিন্তু কখনও বখে যায় না, মাদকাসক্ত হয় না, কেন জানেন? তাদের কোন দুঃখ থাকে না, তারা চাইলেও একা থাকতে পারে না, হতাশা তাদের ছুতে পারে না। তারা সুখি ও সৃজনশীল হয়ে উঠে নিজের অজান্তে।

তবে কেন এখনও সি ও সি লেভেল বাড়িয়ে, রেস্টুরেন্টে বিল তুলে, দিনরাত সিগারেট ফুঁকে, প্রিমিয়ার লীগের গোল গুনে জীবন পার করে দিচ্ছেন? আসুন সুখিদের মিছিলে !! আসুন একসাথে দেশকে উপরে নিয়ে যাই !!

পরবর্তী লেখাতে কোন সংগঠন করবেন, অধিক সংগঠন করা উচিত কিনা, এ বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব। সমালোচনা করতে ভুলবেন না। বিদায়

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। কিন্তু
"অনেকে চিন্তা করছেন এসব কাজ করে আমার লাভ কি? আমি কেনই বা এসবে যোগ দিব? এরচে তো আমি আমার এই সময় আয় উপার্জনে কাজে লাগাতে পারি!!" -- এটাই মূল সমস্যা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৫

ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: এজন্যেই আসলে অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজের "লাভ" কি তা দেখালাম। ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: একজন সংগঠন করা মানুষ কিন্তু কখনও বখে যায় না, মাদকাসক্ত হয় না, কেন জানেন? তাদের কোন দুঃখ থাকে না, তারা চাইলেও একা থাকতে পারে না, হতাশা তাদের ছুতে পারে না। তারা সুখি ও সৃজনশীল হয়ে উঠে নিজের অজান্তে।
.................আসুন সুখিদের মিছিলে !! আসুন একসাথে দেশকে উপরে নিয়ে যাই !!
চমৎকার বলেছেন
পরবর্তী পোষ্টের প্রতীক্ষায় রইলাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য। পাশে থাকবেন।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, সবাই এরকম করে ভাবলে সমাজ বদলে যেতে বাধ্য। সমস্যা হলো বেশীর ভাগ মানুষ লাভ-লোকসান হিসেব করে টাকার অঙ্কে। প্রকৃতপক্ষে কিসে লাভ কিসে ক্ষতি খতিয়ে দেখে না। সুখ, শান্তি, বিলাসিতা এগুলোর মধ্যে পার্থক্য করেতে শিখলেই প্রকৃত লাভ-লোকসান হিসেব করতে শিখবে।
প্রয়োজন সামাজিক সংগঠন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০১

ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: ধন্যবাদ। অদূর ভবিষ্যতে সব পরিবর্তন হবে, এই আশায় আছি :)

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন:


মহিষবাথান কিশোর কুঁড়ি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.