নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন ছাত্র, যিনি শেখার মাঝেই আনন্দ খুঁজে পান

ইনজামাম ঊল হক নাভীন

নিজেকে নিয়ে কিছুই জানি না!

ইনজামাম ঊল হক নাভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাজলের ঘুম ভেঙেছে!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

কাজলের লাইফে এই মূহুর্তে অনেক সমস্যা চলছে।

গ্রেডের অবস্থা শোচনীয়। ২ এর ওপরেও উঠছে না।

ফোনটার বয়স ১ বছরের বেশী। ফ্রেন্ডদের সবার আপগ্রেডেড ফোন। সে আর মজা পাচ্ছে না এই ফোনে।

নেট চালানোর টাকা নাই। চাকরি পাচ্ছে না টিউশন পাচ্ছে না।

৬ ৭ টা টি শার্ট আর ৩ টা প্যান্ট আছে। রোটেশন করে পড়া লাগে। লজ্জার চূড়ান্ত। সবচে খারাপ অবস্থা হয় প্রেজেন্টেশনের সময়। চয়ন টা আছে বলে এখনো শু আর ভাল বেল্ট পাওয়া যায়। শার্ট আর প্যান্ট তো গত ৫ প্রেজেন্টেশন এ চেঞ্জ হয় নাই। যাতা ব্যাপার।

মাবাপ থেকে টাকা খুঁজলে যে কাহিনী শুরু হয়। মনে মনে গালি দিতে দ্বিধা বোধ হয় না।

সেঁজুতি গত সপ্তাহ থেকে প্রচন্ড ঝামেলা করছে। সম্পর্ক টা টিকবে না বোঝা যাচ্ছে। পরশু তো বলেই দিল, তোমাকে আমার আর ভাল লাগে না। চল আমরা একটা সুন্দির এন্ডিং করি। বাহ। এতদিন এতকিছু। বলল আর সুন্দর এন্ডিং হয়ে গেল। হয়ত তারও দোষ নাই। অন্ধকারের দিকে তো উইপোকাও যায় না। আর সে তো সৃষ্টির সেরা জীব। সে কেন কালো ভবিষ্যৎ আঁকড়ে ধরবে? তার তো আলো ঝলমল পৃথিবী আছে সামনে। মেয়েটাকে লাস্ট গিফট কবে দিয়েছিল, লাস্ট কবে খাইয়েছিল কিছুই মনে করতে পারে না কাজল। ছিঃ। এত অক্ষম প্রেমিক সে?

আজকে সব চিন্তা কাজলের মাথায় আসছে। সেঁজুতির ওই সুন্দর এন্ডিং এর টেক্সটা ওর মাথা ভেঙে দিচ্ছে। এত সমস্যা কেন থাকে লাইফে? সে এত অভাগা কেন? হাজার হাজার প্রশ্ন মাথায়।

মাথায় আপাতত আত্মহত্যা শব্দ টা ভো ভো করে ঘুড়ছে। এবার হয়েই যাবে মনে হয়। প্ল্যান করা যাক।

আকাশের দিকে তাকিয়ে নদীর পারে শুয়ে অনেক পরিকল্পনা হল কাজলের।

বাসায় পৌছে একটু অবাক কাজল। এত মানুষ কেন? কি হয়েছে এখানে?

কাজলের মামা দৌড়ে এসে কাজলকে বলে "ফোন বন্ধ কেন তোর সকাল থেকে?"

কাজল কখনো ওর শক্ত পোক্ত মামাকে কাঁদতে দেখেনি। আজ দেখছে। কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করা উচিত। তা না করে ও শুধু ওর মামার চোখ দেখছে। সামনের ঘরে কাজলের বাবা শুয়ে ছিল। সাদা একটা চাদর ওপরে। চারদিকে সবাই কাঁদছে। ওর মায়ের জ্ঞান নেই।

কাজল অবাক হয়ে লক্ষ্য করল ওর মধ্যে এখন কোন প্রেমিকার জন্য কষ্ট নাই। ওর মধ্যে ফোন টা আপগ্রেড করানোর চিন্তাও নেই। ওর মধ্যে সিজিপিএ ৪ পাওয়ার ইচ্ছাও নেই। কি কাপড় পড়ে আছে তার চিন্তা নেই। সে অবাক হয়ে ভাবছে এখন ওকে বকা দিয়ে কথা শুনায়ে সেমিস্টারের টাকাটা কে তুলে দিবে গম্ভীর মুখে? ১১ টা বেজে গেলে কে কল দিবে? কম সিজিপিএ পেলে কে খোটা দিবে? বাজার কে করবে? বাজারের টাকা টা কে দেবে? ওদের বাড়ীভাড়া কে দেবে? ওর ছোট বোনটার বিয়ে কে দেবে? ওদের পরিবার টা তো আজ....................................

অবাক চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে আছে কাজল। কাজলের বাবা ঘুমুচ্ছে। কিন্তু কাজলের যে আজ ঘুম ভেঙেছে!! শুভ সকাল কাজল।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: বাহ! কিন্তু সবকিছু কি এত সহজ?

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

অশোক বলেছেন: :(

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সিরামিকের পাত বলেছেন: লেখাটা ভালো।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

রক্ত পলাশী বলেছেন: শুভ সকাল কাজল !!?? :( :(

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০

ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: একদমি না। একটু মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা ছিল মাত্র ঘুমানো আবেগী মানুষদের

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০

ইনজামাম ঊল হক নাভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পাশে থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.