![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামের মহানবী (সা.) যখন মদিনায় অবস্থান করছিলেন তখন সেখানকার জনসাধারণ তাঁকে অনুরোধ করল একটি সংবিধান রচনার জন্য যা কিনা হবে মদিনার শাসনতন্ত্র, তখনই রচিত হল মদিনা সনদ, পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান। মহানবী (সা.) দেখলেন মদিনাবাসীদের মধ্যে সবাই মুসলমান নন। সেখানে অন্য ধর্মেরও লোক আছে। মহানবী (সা.) সব নাগরিকের জন্য ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান উপহার দিলেন। এই হল মহানবীর (সা.) মদিনা সনদের চেতনা। মদিনা সনদ বিসমিলস্নাহ দিয়ে শুরু হয়নি। মদিনা সনদের মাধ্যমে মদিনার রাষ্ট্রধর্মও ইসলাম করা হয়নি।
আমাদের দেশে সংবিধানে বিসমিল্লাহ যোগ করেছে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। তিনি কি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এটা করেছিলেন ? না, বরং ভোটের রাজনীতিতে ধর্মপ্রাণ লোকদের বোকা বানানোর জন্য এটা করেছিলেন। অনুরূপভাবে কুখ্যাত লম্পদ সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছিলেন। এটাও ভোটের রাজনীতিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বোকা বানানোর জন্য। নাইলে এই দুই সামরিক শাসক এত ক্ষমতাধর হওয়া সত্ত্বেও তারা দেশটাকে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা দেননি কেন ? কারণ, তাদের দরকার জনগণকে বোকা বানানো, ইসলাম না।
সামরিক শাসকরা ধর্মীয় উপাদান সংবিধানে ঢুকিয়েছিলেন তারা নিশ্চয় মহানবীর (সা.) চেয়ে বড় ইসলামপ্রেমী নন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সেই '৭২-এর মূল সংবিধানে ফিরে যেতে চাই। এই সংবিধানে বিসমিলস্নাহ থাকা চলবে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়া চলবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাতিল হতে হবে।মদীনা সনদে মদীনা রাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করা হয় নাই। অথচ সেটা ছিল একটা ন্যায় নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত সকল সম্প্রদায়ের রাষ্ট্র।
আসেন, এবার দেখা যাক মদিনা সনদে কী ছিল । নিচে পুরো মদিনা সনদ।
মদিনার সনদ
৬২২ খ্রীস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনা নগরীতে হিজরতের করেন এবং মদীনা/মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। এসময় সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে ছিল গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ। তাই কলহে লিপ্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাতৃত্ব্য ও সম্প্রীতি স্থাপন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৪৭ ধারার একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে মদিনার সনদ নামে পরিচিত। এর প্রথম ১০ ধারায় বলা হয় যে, মুহাজির (দেশত্যাগী বা যারা মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছিল), বনু আউফ, বনু সাইদা, বনু হারিস, বনু জুশাম, বনু নাজ্জার, বনু আমর, বনু নবীত ও বনু আউস পূর্বহারে মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত নিয়মনীতি এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পণের মাধ্যমে বন্দীদের মুক্ত করবে। ১১ থেকে ২০ ধারায় মুসলমানদের পারষ্পরিক সম্পর্ক সম্পর্কিত আইন বিধৃত হয়। ২১ থেকে ২৬ ধারায় হত্যাকারীর শাস্তি, কোনো মুসলমান কোনো অন্যায়কারীকে আশ্রয় দিলে তার শাস্তি, কোনো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তার মীমাংসা পদ্ধতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদী বিষয়ক আইন সন্নিবেশিত হয়। ২৭ থেকে ৩৬ ধারায় সন্নিবেশিত হয় বিভিন্ন গোত্রের স্বরুপ সম্পর্কিত বিধান। পরবর্তী ধারাসমূহে যুদ্ধনীতি, নাগরিকদের ক্ষতির ক্ষতিপূরণ, নিজ নিজ ব্যয় নির্বাহ, এ সনদে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধে লিপ্ত হলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা, বন্ধুর দুষ্কর্ম, যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহ, নাগরিকের অধিকার, আশ্রয়দানকারী ও আশ্রিতের সম্পর্ক, নারীর আশ্রয়, সনদের স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশন্কা দেখা দিলে করণীয়, কুরাইশদের ব্যাপারে ব্যবস্থা, মদীনার উপর অতর্কিত আক্রমণ হলে করণীয় ইত্যাদী সন্নিবেশিত হয়। বিশ্বের ইতিহাসে এটিই প্রথম লিখিত চুক্তি ও সংবিধান। ঐতিহাসিক পি.কে. হিট্টির মতে-" Out of the religious community of all Madinah the later and largest state of Islam arose" অর্থ্যাৎ মদীনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে ইসলামী সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্হাপন করে। উক্ত সংবিধানে সকল পক্ষ মেনে নিয়ে স্বাক্ষর দান করেছিল।
মদীনা সনদের মূল বিষয়বস্তু ছিল:
১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।
২.হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।
৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবে না।
৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।
৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।
৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।
১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।
১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।
১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।
১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
ইউকি লিংক : Click This Link
৪নং, ৯নং এবং ১০নং ধারা কি ধর্মনিরপেক্ষ ধারা নয় ? ইসলাম ধর্ম নিজেই ধর্ম নিরপেক্ষ ।
ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যক্তি পর্যায়ে মানার দরকার নাই। এটা রাষ্ট্রের মূলনীতি । ব্যক্তি ধার্মিক হবে, রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। তার মানে হল রাষ্ট্র সকল ধর্ম এবং সম্প্রদায়কে সহাবস্থান করার নিশ্চয়তা দেবে। এটাই তো মদীনা সনদের মূল কথা। সে হিসেবে মদীনা রাষ্ট্রটি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
আজকে ধর্মের নাম দিয়ে জামাত-শিবির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এটা সরাসরি মদিনা সনদের বিরোধী। তাহলে তারা কিভাবে ইসলামী দল হয় ? তারা ইসলামী দল নয়। তারা মূলত ধর্ম ব্যবসায়ী। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজের ফায়েদা লুটছে।
আলেমদের হত্যা করার পরিকল্পনা কোন ইসলামী দল করতে পারে না। একমাত্র মুনাফেক ছাড়া কেউ এই কাজ করবে না।
তাদের দর্শন হল মওদুদীবাদ। মওদুদীবাদের সঙ্গে ইসলামের রয়েছে বিস্তর ফারাক।
ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link
জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link
কাজেই আজকে যারা মহানবী (সাঃ) রাষ্ট্র পরিচালনার মূল চেতনা থেকে সরে গিয়ে সংবিধানে বিসমিলস্নাহ অথবা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন তারা ধর্মীয় চেতনা থেকে তা করছেন না। যেসব সামরিক শাসকরা ধর্মীয় উপাদান সংবিধানে ঢুকিয়েছিলেন তারা নিশ্চয় মহানবী (সাঃ) এর চেয়ে বড় ইসলামপ্রেমী নন। কাজেই কেন এই মানুষগুলো ধর্মীয় উপাদান আমাদের সংবিধানে থাকা বা না থাকার বিষয় নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করছেন বা অতীতে করেছিলেন? একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় এই ভণ্ড রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় চেতনা থেকে সরে গিয়ে ধর্মকে শুধু ব্যবহার করতে চায়। কারণ সাধারণ মানুষকে ধর্ম দিয়ে সহজেই বিভ্রান্ত করা যায়। কাজেই এই উদ্দেশ্যে সংবিধানে বিসমিলস্নাহির রাহমানির রাহিম রাখার রাজনীতি ধর্মকে তথা বিসমিল্লাহকে আরো ছোট করছে। ধর্মের বেসাতি পরা এই ভণ্ড রাজনীতিবিদদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আর ন্যায্যতার স্বার্থে উচ্চকণ্ঠে সত্য উচ্চারণ করতে হবে। আমি মনে করি বাংলাদেশের সংখ্যাধিক্য মানুষ ন্যায্যতার পক্ষেই দাঁড়িয়ে এবং দাঁড়াবে। আমাদের শুধু দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে সাহসের সঙ্গে উচ্চস্বরে ন্যায্য কথা বলতে হবে।
অর্থাৎ ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। এটাই কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের মূল কথা। এটা মদিনা সনদেরও কথা। মদীনা সনদ একটি ধর্মনিরপেক্ষ সনদ। ইসলাম নিজেই একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্ম। কেউ যদি ইসলামকে সাম্প্রদায়িক ধর্ম বানায়, সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত।
আরেকটা কথা, মহানবী (সাঃ) এর চেয়ে কেউ যদি ইসলামকে বেশি ভালোবাসার ভান করে, সে একটা ভণ্ড। এই সব ভণ্ডদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। চিলে কান নিয়েছে শুনলে আগে কানে হাত দিন, চিলের পিছনে দৌড়াবেন না।
মদিনা সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে দেখতে পারেন : Click This Link
Click This Link
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সিবাক বলেছেন: মহানবী (সাঃ) কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেননি।
মদিনার সনদ - ব্যপারটা আপনি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেননি।
আপনি বেপারটা জোর করে নিজের মত করে, মনগরা বোঝাতে চেয়েছেন।
আপনি যা চিন্তা করেন তার থেকে মহানবী (সাঃ) অনেক উর্ধে।
নিশ্চয়ই মহানবী (সাঃ) সর্বোওম আদর্শ।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
নায়করাজ বলেছেন: আমি যেটা বলেছি, সেটা মদিনা সনদ থেকেই বলেছি।
মদিনা সনদ কি কোন রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেছে ?
মদিনা সনদ কি সকল ধর্মের সমান অধিকার দিয়েছে ?
মদিনা সনদ কি মদিনা রাষ্ট্রটিকে কেবল মুসলমানের রাষ্ট্র বলে ঘোষণা দিয়েছে ?
অন্য দিকে ...
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝানো হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করা। এক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে না। ধর্মনরপেক্ষতা সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধাণ্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণ এর নির্ভর করবে, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, "ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার"।
রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা হল ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন,যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইন জারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহবান জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে সেকুলারিজম অর্থে উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করা হয় না। উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা হল, রাষ্টে্র ধর্ম থাকবে তবে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না।
এখানে দেখেন : Click This Link
তাহলে মদিনা সনদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বহুরুপি জীবন বলেছেন: @ সিবাক আপনি কি বুঝেছেন আমাদের একটু বলেন না
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৮
সিবাক বলেছেন: বছর খানেক আগেও আমি যখন কোথাও "ধর্ম" শব্দটা দেখতাম, মেজাসটা এমনেই খারাপ হয়ে যেত আর ভাবতাম কি খালি ধর্ম ধর্ম করতেসে..
অধিকাংশ মানুষই এই ধারনা রাখে অথবা ভাবে, পরে দেখব আরকি, অথবা এটা নিয়ে কোন কিছু ভাবেই না।
ধর্ম নিয়ে এরকম চিন্তা-ভাবনা হয়তো ঠিক আছে,
কিন্তু যদি দ্বীন ইসলামের কথা আসে, আর হাদীস ও মূলত কোরআন আপনার জানা থাকে তাহলে আপনার চিন্তাধারার যথেষ্ট পরিবর্তন আনার জন্য তা যথেষ্ট।
অধিকাংশ মুসলমানেরই কোরআন-এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই,
আর তাই সৃষ্টি হচ্ছে জামায়েত-শিবির
-------------------------------
দ্বীন ইসলাম আমাদের জানায় প্রকৃত সত্য,
ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তির উপর ধর্মনিরপেক্ষতা, সেটা ঠিক আছে, আপনি ধর্ম মানেন কি না মানেন সেটা আপনার ব্যপার, যদিও সে অন্য ধর্মালম্বির হয়েও কোন ইসলাম প্রধান রাষ্ট্রে বসবাস করুকনা কেন, ইসলাম তার ধর্মের ব্যপারে কোন হস্তক্ষেপ করবেনা
'মদিনা সনদ'এ ঠিক এই ধর্মনিরপেক্ষতার কথাই বলা হয়েছে কিন্তু বিসদভাবে
কিন্তু কোন মুসলিম প্রধান দেশ, বাংলাদেশ, এখানে ধর্মনিরপেক্ষতার কোন স্থান নেই,
কারন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই ইসলামে যেভাবে দেশ পরিচালনা করতে বলা হয়েছে তা উপেক্ষা করা,
ইসলাম এটা সমর্থন করে না
ব্যক্তির উপর ধর্মনিরপেক্ষতা 'মদিনা সনদ'এ তাই বলা হয়েছে।
আপনর কাছে ধর্ম মানে হয়তো সুধু বিশ্বাস,
কিন্তু দ্বীন ইসলাম বিশ্বাসের উর্ধে এমন সত্য যাতে আমরা সর্মর্থন দেই।
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
নায়করাজ বলেছেন: মদিনা সনদের কোথায় ব্যক্তির উপর ধর্মনিরপেক্ষতা বলা হয়েছে ? রাষ্ট্রটাকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখা হয়েছে।
ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: ১০০% ভাগ একমত। আপনাকে ধন্যবাদ। ইসলামই পৃথিবীর সেরা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ এবং সেরা জীবন বিধান। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকা চলবে না। কারন-রাষ্ট্র কোন প্রাণি বা মানুষ নয়, রাষ্ট্র নামাজ পড়তে পারে না, রাষ্ট্র রোজা রাখতে পারে না ইত্যাদি, তাহলে রাষ্ট্র ধর্ম পালন করবে কিভাবে? অতএব রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ এ কথাটা অনুধাবন করেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), অথচ মূর্খরা তা বুঝতেই চায় না।
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
নায়করাজ বলেছেন: স্বয়ং ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ। ইসলামে সংখ্যালঘুদের সম্মান করা হয়েছে । ইসলামের সবাই সমান। তাহলে রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ - যা মদিনা সনদের পরিষ্কারভাবে আছে।
তারপর কেউ যদি বলে ইসলাম সাম্প্রদায়িক ধর্ম এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করে, সে ইসলামের বিধানই লংঘন করল এবং ইসলামকে ছোট করল।
Click This Link
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
সিবাক বলেছেন: যদি তাই বলেন তাহলে আল্লাহ'তালার নির্দেশ-ই আপনারা বাতিল করে দিচ্ছেন।
আপনারা আসলে জানেনই না 'কোরআন'এ কি বলা আছে।
জানুন কি বলা আছে কোরআন'এ,
আসলে গোড়ামির কারনেই, যদি ফেরেস্তাও সামনে হাজির হয় তারপরেও ইমান আনবেনা তারা, আর আল্লাহ'তালার সামনে হাজির হলে তো ফয়সালা হয়েই যাবে
আর অবস্যই আল্লাহ'তালা কারোর মুখাপেক্ষি নন। যাবতিয় সকল কিছুর উর্ধে আল্লাহ'তালার অবস্থান। আল্লাহ'তালাই সবকিছুর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, আর যাবতিয় সকল প্রসংসাই আল্লাহ'তালার জন্য।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
নায়করাজ বলেছেন: মদিনা সনদে আছে, এমন কিছুর উল্টা কি কোরানে আছে ? থাকলে দেখান। আয়াত উল্লেখ করে দিন। আসলেই জানতে চাই।
৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
শিপু ভাই বলেছেন:
ধর্ম মানুষের জন্য, রাস্ট্রও মানুষের জন্যই।
যেহেতু বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ মুসলমান তাই এখন আর "বিসমিল্লাহ" আর "রাস্ট্রধর্ম ইসলাম" বাদ দেয়া সম্ভব নয়। সরাসরি এটা অধিকাংশ মুসলিমের সেন্টিমেন্টে লাগবে।
কি দরকার???
এগুলো থাকলে সমস্যা কি???
যদি গনভোট হয় তাহলেওতো এগুলো টিকে যাবে।
৪,৯,১০ এগুলো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। এগুলো নিয়ে মুসলিমদের কোন আপত্তি নাই। কখনো মুসলমানরা বলে নাই যে এদেশে ওন্য ধর্মের কেউ থাকতে পারবে না।
সারা বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির উজ্জ্বল নিদর্শন আজকের এই বাংলাদেশ। মাঝে সাঝে কিছু বিক্ষিপ্ত অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে। কিন্তু তবুও আমরা সম্প্রিতির সাথেই বাস করছি।
১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
নায়করাজ বলেছেন: রাষ্ট্র সংখ্যাগরিষ্টের একার না, সংখ্যালঘুদের জন্য্ও রাষ্ট্র সমানভাবে থাকতে হয়। আর না হয় সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হতেই থাকবে। তারা দাঙ্গার শিকার হতেই থাকবে।
জিয়া কিংবা এরশাদ কেউই সৎ উদ্দেশ্যে এই কাজগুলি করেন নি। তারা নবীর চেয়ে বড় কেউ না। নবী যা করেননি, সেটা আমাদের করতে হবে কেন ? আপনি যদি নবীর আদর্শকে মানেন, তাহলে এগুলো মানতে সমস্যা কোথায় ? নাকি নবীর আদর্শকে বিকৃত করে আনন্দ পান ?
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করে। তার প্রমাণ আজকের বাংলাদেশ। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মসজিদকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষ হত্যা করার জন্য। অথচ যারা করছে তারা কিন্তু ধার্মিক না, ধর্ম ব্যবসায়ী।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
শফিক আলম বলেছেন: @সিবাক, আপনি ব্যাপারটাকে সংকুচিত অবস্থায় দেখতে চাইছেন। ইসলাম সবসময়ই একটা ব্যাপক অর্থ বহন করে। আর তাই ইসলাম ধর্ম কোন নির্দিষ্ট জাতি বা গোষ্ঠির জন্য আসে নি, এসেছে সমগ্র মানজাতির জন্য। আর তাই বলা হয়েছে "ইহা বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ ব্যতীত নয়।" (৩৮:৮৭/৬৮:৫২) আমাদের প্রিয় নবী (সা-ও তাই বিশ্বনবী। এবং এই কারনেই কোরআনে সহনশীলতার কথা বলা হয়েছে অসংখ্য জায়গায়। যে কোন কারনই হোক না কেন, কাউকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি, কিন্তু আল্লাহ্র উপার ছেড়ে দিতে বলেছেন। যেমন: "অতএব, যারা এই কালামকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি এমন ধীরে ধীরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাব যে, তারা জানতে পারবে না। (68 Al Qalam, Ayat 44)। আরও দেখুন, "অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা, *আপনি তাদের শাসক নন, *কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়, *আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন। *নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট, *অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।" (88 Al-Ghashiyah, Ayat 21-26) । আরও আছে, "হে বিশ্বাসীগন, এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস-বিদ্রূপ করো না।(৪৯:১১)।" এবং "যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, ওরা ঐ সমস্ত লোক যাদের জন্যে রয়েছে অভিসম্পাত এবং ওদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। (১৩:২৫)।" হুদাইবিয়ার সন্ধির কথাও আমাদের মনে রাখা উচিত এবং সেটাও কেবল শান্তি এবং ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই করা হয়েছিল। প্রিয় নবীর বিদায়ী ভাষনের কথাও আমরা কেউ বলি না। আমরা আসলে কোরআন-হাদিস সঠিকভাবে অনুসরন করি না ।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
নায়করাজ বলেছেন: ইসলাম উদার ধর্ম, কিন্তু কিছু সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে অশান্তি তৈরি করছে। ইসলাম তো সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত করেছে।
Click This Link
৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
শফিক আলম বলেছেন: আমার উপরোক্ত "emoticon" চিহ্নটি ইচ্ছাকৃত নয় অবশ্যই। সম্ভবতঃ ঃ) এই চিহ্নটার কারনে অটোমেটিক হয়েছে।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
নায়করাজ বলেছেন: ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন। Click This Link
ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link
জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link
জামাত শিবিরের অর্থনৈতিক শক্তি ভেঙ্গে দেন। ওদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করুন। ওদের প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। ওদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন না। বরং বিনিয়োগ বা অংশীদারিত্ব থাকলে প্রত্যাহার করুন। ইসলামী ব্যাংক থেকে সকল টাকা তুলে নিন। আপনার টাকা দিয়ে ওদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে দেবেন না।
নিচের লিংকে গিয়ে লেখাটা কপি/পেস্ট করুন। শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন। সবার সামনে ওদের মুখোশ খুলে দিন। জামাত শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে : Click This Link
ইসলামের কোথায় লেখা আছে গণহত্যাকারী, গণধর্ষণকারী, লুণ্ঠনকারীদের বিচার চা্ওয়া যাবে না ?
১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট হয়েছে ও সাথে অনেক কিছু জানলাম। সিবাক নীরব কেন? মহানবী(সঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে বড় কেউ ইসলামপ্রেমিক নেই। অথচ স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও লুইচ্চা এরশাদ তাঁদের থেকেও বড় ইসলাম প্রেমিক হয়ে গেছে!!!!!কী বিচিত্র সেলুকাস!!!
+++সহ প্রিয়তে।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
নায়করাজ বলেছেন: সিবাগ জাতীয় লোকজন হয় নিজে বিভ্রান্ত, না হয় অতি চালাক। তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে ফায়েদা লুটতে চায়।
ইসলাম কখনও মৌলবাদকে প্রোমোট করে না।
১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
মিষ্টিগল্প বলেছেন: উল্টো বুঝেছেন। এ সব বিষয় নিয়ে বিস্তর যদি পড়াশুনা না থাকে তবে নাক না গলানোই ভাল। মহানবী (স.) এর কথা ছিল, যাকে মুসলিম সরকারের পক্ষ হতে নিরাপত্তা দেওযা হয়েছে তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না এবং অন্যান্য নাগরিকের মত সে সাধারণ জীবন-যাপনের সুযোগ পাবে। কিন্তু শাসন ব্যবস্থা চলবে ইসলামি আইন অনুযায়ী। তথা ইসলামি বিরোধী কোন কাজ প্রকাশ্যে করা চলবে না, অন্যান্য ধর্মাম্বলীরা তাদের ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাবে কিন্তু এক্ষেত্রে ইসলাম ধর্ম সামাজিক শৃংখলা রক্ষায় যে আইন দিয়েছে তা লঙ্ঘন করা চলবে না তাই যদি সেই কাজ অন্য ধর্মের দৃষ্টিতে বৈধ হয়ে থাকে।
যেমন : মদপান ইসলাম ধর্মে হারাম। কিন্তু বেদু্ঈন আরবদের দৃষ্টিতে তা হারাম ছিল না। তো সেক্ষেত্রে তত্কালীন যুগে কি মহানবী (স.) বেদুঈনদেরকে মদ পানের অনুমতি দিয়েছিলেন? যদি দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ধর্ম নিরপেক্ষতার যে অর্থ করেছেন তা ঠিক। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ইসলামি ভূখণ্ডে একমাত্র ইসলামি আইনই প্রচলিত ছিল, অন্য কোন ধর্মীয় আইন নয়।
আমি জানি না বোঝাতে পারলাম কি না, তবে যারা সত্য সন্ধানী তাদের জন্য এ বিষয়ে এতটুকু বলাই যথেষ্ঠ।
কিন্তু একটি বাস্তব সত্য বিষয়ও তো আছে ,আমরা বাঙালী আমাদের মুখ দিয়ে একবার যদি কোন কথা বের হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে যদি সেটা ভূলও প্রমাণিত হয় সেটা কে আমরা মেনে নিতে পারি না।
'নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ আমাদের সকল কার্যক্রমকে দেখেন'।
২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
নায়করাজ বলেছেন: মদিনা সনদ নিজে কি ইসলামী আইন নয় ? সেই ইসলামী আইনেই তো অন্য ধর্মকে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে নাকি ? নাকি অন্য ধর্মের উপর আক্রমণ করাটাই ইসলামী আইন ?
ইসলামী রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি কী ?
১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
নদীর তীরে বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষ কোন ধর্ম এ না । নবিজি ইসলাম ধর্ম পালন করেছেন । তাইলে ধর্ম নিরপেক্ষ কিভাবে ?
ইসলাম রাষ্ট্র মানেনা ।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
নায়করাজ বলেছেন: ইসলাম রাষ্ট্র মানে না - এই কথা ঠিক না। বরং মদিনা সনদের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম ভিত্তি রচিত হয়।
১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
মিষ্টিগল্প বলেছেন: কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করাটা অবশ্যই অপছন্দনীয় কাজ। যদি কেউ শান্তিপূর্ণভাবে কোন মুসলিম দেশে নিজের ধর্ম পালন করে তবে সেক্ষেত্রে সে স্বাধীনতা পাবে এবং ঐ মুসলিম দেশের নাগরিক সে। আর তাই সাধারণ নাগরিকের মত সকল অধিকার সে ভোগ করবে। কিন্তু যে আইন প্রচলিত থাকবে তা হবে ইসলাম।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
নায়করাজ বলেছেন: একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। আজ আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতা বলে সব ধর্মের অধিকারের কথা বলছি - সেই অধিকার ইসলাম মদিনা সনদের মাধ্যমে বহু আগেই দিয়ে দিয়েছে। ইসলামী আইন অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্রে অন্য ধর্মের লোকেরা সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকার কথা।
কিন্তু জামাত শিবির ইসলামের নামে হিন্দুদের মন্দির ও ঘরবাড়ি জ্বালাচ্ছে। এরা ইসলামের অপব্যাখ্যা দেয়।
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
সিবাক বলেছেন: আপনি আসলে ইসলামের কিছুই জানেন না।
আপনি জানেন না জানেন মানেন না মানেন তাতে ইসলামের কোন কিছুই আসা জায় না।
ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবেই।
আল্লহুআকবার।
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
সিবাক বলেছেন: আর সেটা জামাত শিবির এর ইসলাম না,
আবার আপনার মত মনগরা ব্যক্ষা দেওয়া ইসলামও না,
প্রতিষ্ঠিত হবে মহানবীর আর্দশ, আল্লাহ'তালার মনোনিত দ্বীন ইসলাম।
লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লুলা।
১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: সিবাক বলেছেন: মহানবী (সাঃ) কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেননি।
মদিনার সনদ - ব্যপারটা আপনি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেননি।
আপনি বেপারটা জোর করে নিজের মত করে, মনগরা বোঝাতে চেয়েছেন।
আপনি যা চিন্তা করেন তার থেকে মহানবী (সাঃ) অনেক উর্ধে।
নিশ্চয়ই মহানবী (সাঃ) সর্বোওম আদর্শ।
সিবাক বলেছেন: আপনি আসলে ইসলামের কিছুই জানেন না।
আপনি জানেন না জানেন মানেন না মানেন তাতে ইসলামের কোন কিছুই আসা জায় না।
ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবেই।
আল্লহুআকবার।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
নায়করাজ বলেছেন: জ্বি, ইসলাম অনেক কঠিন জিনিস। এটা সবা্ই বুঝতে পারে না। কেবল বিশেষ জ্ঞানের কিছু মানুষ বুঝতে পারে। আমার মতো বোকা লোক কিভাবে বুঝবে ? আমাকে তো মহান আল্লাহতায়ালাই তৈরি করেছেন, নাকি ?
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
সিবাক বলেছেন: আপনি যে ভাবে চিন্তা করেন সেটা আমি বুঝতে পারছি, কয়েক বছর আগে আমিও এইভাবে চিন্তা করতাম, এমনকি কালেমা-টাও ঠিক মত বলতে পারতাম না,
আমি আছি, এটা সম্পুর্ন আমার নিজের ব্যপার, অন্য কোন involvements ছাড়া
আমার ঈমান যথেষ্ট মজবুত, আর এটা ভুং ভাং ধরনের কিছু বা সুধু কোন বিস্বাস, এই ধরনের কিছু না, আর চেষ্টা তো আছেই আদর্শ মুসলমান হওয়ার,
সে যাই হোক,
আমি আসলে বুঝতেই পারি না 'ইসলাম' ব্যপারটা কিভাবে বোঝাবো এইসব মানুষদের, অথচ সবকিছুই সুস্পষ্ট।
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
হাসান নাঈম বলেছেন: ৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।
এই নীতিটাকি আমরা মানছি? শুধুমাত্র এই একটা নীতি মেনে আমরা যদি সবদলের অপরাধীদের প্রতিহত করতে পারি - তাহলেই কিন্তু একটা শান্তিপুর্ণ সমাজ নির্মান করা যায়। কারণ ভাল-খারাপ সব দলেই আছে, কতিপয় মানুষের খারাপ কাজের জন্য পুরো দল-জাতি-গোত্রকে আক্রমণ করা হলে গোত্রীয় বা দলীয় সংঘাত কখনই শেষ হবে না।
১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
ইনফা_অল বলেছেন: লেখক বলেছেন: মদিনা সনদের কোথায় ব্যক্তির উপর ধর্মনিরপেক্ষতা বলা হয়েছে ? রাষ্ট্রটাকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখা হয়েছে।
ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।
-লেখক আপনি অনেক জ্ঞানী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনার এই কথাটা বুঝতেছি না যে'রাষ্ট্রটাকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখা হয়েছে"। কিভাবে ?
যেখানে মদিনা সনদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ধারাতেই বলা আছে ইসলামী রাষ্ট্র কথা এবং রাসুল (সা:. )"ইসলামী রাষ্ট্রে"র কথা যিনি এই ইসলামী রাষ্ট্র প্রধান থাকবেন।
মদীনা সনদের মূল বিষয়বস্তু ছিল:
১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।
২.হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
একরামুল হায়দার বলেছেন: অসাধারণ