![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ন" আমার ফেসবুক অথবা বাস্তব জীবনের বন্ধু ছিল না। আমার খুব কাছের বন্ধু "জ"এর বন্ধু ছিল ও। সেই সূত্রেই ওর সাথে পরিচয়, কথা বলা। ভারী প্রাণোচ্ছল হাসিখুশি মেয়ে। অপরিচিত আমার সাথেও ফেসবুকে আড্ডা জমিয়ে ফেলেছিল। ছিল বলছি কারণ আজ বিকালে "জ" জানালো, সেই বড় বড় চোখের ভালমানুষ "ন" আত্মহত্যা করেছে। সেই থেকে আমার অদ্ভুত শূন্য এক অনুভূতি হচ্ছে। কিছুতেই ধাতস্ত হতে পারছিনা আমি। স্বল্প পরিচিত চমৎকার মেয়েটির জন্য বারবার চোখ ভিজে উঠছে। ওর মনে কিসের এতোটা গাঢ় বিষণ্ণতা ছিল?!
আরো কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা শুনেছি বিগত ২/৩ বছরে। আজকে মনে হল এই বিষয়ে কয়েকটি কথা না বললেই নয়।
আত্মহত্যা মানুষ জীবনের কোন পর্যায়ে এসে করে অথবা করতে বাধ্য হয় সেটা আমি এখন পরিষ্কার বুঝি। এতো যত্নের আর মূল্যবান জীবন কতোটা অভিমানে মানুষ শেষ করে দেয়! আমার নিজের জীবনেই বেশ কিছু ঘটনা আছে যার প্রতিটার জন্য আলাদাভাবে আত্মহত্যা করা যায়। কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে ইস্পাতের মতো স্নায়ু নিয়ে স্বার্থপর আমি দিব্যি বেঁচে-বর্তে আছি। আর থাকবো নাই বা কেন। ঈশ্বর আমাকে সুন্দর পৃথিবীতে মূল্যবান একটি জীবন দিয়েছেন, অন্যের জন্য অথবা হার মেনে বিদায় নেবো কেন?
কতকিছু দেখার আছে, কত পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর-মহাসাগর, অরণ্য-মরুভূমি ... বেঁচে থাকার জন্য বই আছে, সঙ্গীত আছে, শিশুর হাসি আছে, পাখি-ফুল-পূর্ণিমা-অনন্তনক্ষত্রবীথি আছে, হাসি-কান্না-ভালোবাসা-ঘৃণা-আনন্দ আছে। এতো এতো কিছু ছেড়ে হটাৎ চলে যাওয়া যে বড় বেশি বোকামি।
আমার গণ্ডি খুবই সীমিত। তাও আমি ফেসবুকের সকল বন্ধুদের হাতজোর করে অনুরোধ করছি, জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকবেই কিন্তু আত্মহত্যার ইচ্ছা হলে দয়া করে এবং দয়া করে কাছের কাউকে সেটা জানাবেন।
মা অথবা ছোট ভাইবোনগুলোকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলুন, শিশুর হাসি দেখুন, ধুরছাই বলে গিয়ে সাগর দেখে আসুন, জীবনানন্দ পড়ে ফেলুন, চিৎকার করে দুদিন নাহয় কাঁদুন ইত্যাদি ইত্যাদি যা যা ইচ্ছা হয় করুন। শুধু বেঁচে থাকবেন। বেঁচে থাকাটাই আসল। সব ধ্বংসের আগে একবার একটা শেষ সুযোগ নিজেকে দিয়েই দেখুন।
কেন যেন শুধু মনে হচ্ছে ইশ, "ন" একবার আমাকে একটু বলতো। একবার!
ওর মাথায় হাত রেখে মিথ্যা করেই নাহয় বলতাম,"ধুর পাগলী! আর কেউ থাকুক না থাকুক, আমি তো তোমার সাথে আছি।"
আমার এই সামান্য মিথ্যা টুকুই হয়তো একটা মানুষকে বাঁচিয়ে দিতো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০০
নাজিয়া লিসা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু : অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। সম্মানিতবোধ করছি। দোয়া করবেন আমার জন্য। ভালো থাকবেন। :-)
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৪
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: “বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার অনুভবের প্রতি সম্মান জানাতেই লগিন করলাম। মানুষের প্রতি এমনি দরদ, অনুভব আর ভালবাসা বেঁচে থাকুক আজীবন! ”
সহমত ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০১
নাজিয়া লিসা বলেছেন: অদ্ভুত_আমি : ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। :-)
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার অনুভবের প্রতি সম্মান জানাতেই লগিন করলাম। মানুষের প্রতি এমনি দরদ, অনুভব আর ভালবাসা বেঁচে থাকুক আজীবন! ”
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০২
নাজিয়া লিসা বলেছেন: বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় : ধন্যবাদ। :-)
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
এফেমেরাল ইটার্নিটি বলেছেন: বলানেই কিছুই.........
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
নাজিয়া লিসা বলেছেন: -
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩
মহামানব রেহান বলেছেন: চমত্কার পোস্ট । পড়ে ভালো লাগলো ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৩
নাজিয়া লিসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কতকিছু দেখার আছে, কত পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর-মহাসাগর, অরণ্য-মরুভূমি ... বেঁচে থাকার জন্য বই আছে, সঙ্গীত আছে, শিশুর হাসি আছে, পাখি-ফুল-পূর্ণিমা-অনন্তনক্ষত্রবীথি আছে, হাসি-কান্না-ভালোবাসা-ঘৃণা-আনন্দ আছে। এতো এতো কিছু ছেড়ে হটাৎ চলে যাওয়া যে বড় বেশি বোকামি ..
তবু কিছূ মানুষ সেই বোকামোটা করে!
আপনার অনুভবের প্রতি সম্মান জানাতেই লগিন করলাম। মানুষের প্রতি এমনি দরদ, অনুভব আর ভালবাসা বেঁচে থাকুক আজীবন!