![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমারে তুমি অশেষ করেছো, এমনি লীলা তব— ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ, জীবন নব নব
প্রায় দু’মাস পর গ্রামের বাড়ি গিয়েছি, তবে ঈদ করার উদ্দেশ্য ছিল না। আব্বার একটা কাজ ছিল, সেটা করতে গিয়েই আটকে পরা। কাজটা শেষ হল বৃহস্পতিবার, পরের দিন ঈদ! এমনিতেই বার-তারিখ মনে থাকে না, বিশেষ করে অনার্সে ভর্তি হবার পর থেকে।
বিকেলবেলা বাসে ওঠার পর থেকেই অসময় শুরু হয়েছিল। পেছনের সিটে একটা মেয়ে বসেছে। সে বোধ হয় সোহানের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। সরল বাক্যে কথা বলতে পারে না— এই ধারণা থেকেই এ’রকম মনে হল। ফোনে তার কথাবার্তা নিম্মরুপঃ ‘জানো ? বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিকসা নিয়েছি, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের ওদিকে নামলাম ; রিকশাওয়ালাটা একটু বৃদ্ধ কিন্তু সে আমার দিকে বদনজরে তাকাচ্ছিল’।
[ নোটঃ যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। ]
চাঁদগাঁও থেকে পটিয়া শান্তিরহাট পর্যন্ত সে এভাবেই ফোনে কথা বলছিল। বাসে উঠার পর হেডফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পুরোটা সময় এটা সহ্য করতে হয়েছে। উল্লেখ্য, এতোটা পথ যেতে মাত্র চারঘণ্টা লেগেছিল! আমার সামনের সিটে একজন মানুষ বসেছে। লোকটি বোধ হয় ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করেন। তিনি যতোগুলো গরু দেখেন, তার দাম জিজ্ঞেস করেন। এক ক্রেতা ছোটখাটো একটা গরু কিনেছে, একটু বেশী দামেই। লোকটি তাকে বললেন, ‘ভাই ছাগলটা কতো দিয়ে কিনেছেন ?’ তখন ঐ ক্রেতার মুখটা দেখার মতো ছিল!
সকালে কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছিলাম—এটা চিন্তা করছি, এমন সময় বাস তার যাত্রা শেষ করল কিছু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে। মাঝরাস্তায় প্রচুর যাত্রী দেখে একটা মাইক্রোবাস উৎফুল্ল হয়ে গতি থামাল। জোরে দরোজা খোলার কারণে দরোজাটা খুলে রাস্তায় পরে গেলো। আরেকটি মাইক্রোবাসে করে গন্তব্য কেরানিহাট। অতপরঃ সেই দরোজা খুলে যাওয়া গাড়িতে করে আমিরাবাদ। বাড়িতে পৌছতে রাত ১২টা পেরিয়ে গেলো।
এক কাপড়ে গিয়েছিলাম, ঈদের নামাজ পড়লাম ইমুর পাঞ্জাবী পরে। মাংস কাঁটা-কুটির সময় সিয়াম (বয়স ৭) আমাকে জানাল, 'ভাইয়া, তুমি কোন কাজের না।' কথাটা সত্যি, আমার অলস সময় কাটাতে ভালো লাগে। বয়স কী কিছু হয়েছে ? ইদানীং বাসায় বসে থাকতেও ভালো লাগছে।
গ্রামে নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল, কিছুতেই চেক ইন দিতে পারছিলাম না। রনি ভাইকেও বলা হল না, তুমি তো অনেক সেলফি তুলো এবার একটা কাউফি দাও—কাকে বেশী হ্যান্ডসাম লাগে দেখি! বলা হলো না, তিনি সালামি তোলা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ভবিষ্যতে বারাক ওবামাও ওনাকে সালামি দেবার সম্ভাবনা আছে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: দিনলিপির আকারে গল্প বলা যেতে পারে। এ'রকম কিছু চিন্তা করছি। দেখা যাক, কতোটা হয়। গল্প লেখায় পরিশ্রম আছে, অনেক পরিশ্রম। বিশেষ করে ছোটগল্প। একই লাইন বারবার পড়তে হয়। অনেক কাটাকুটি তো আছেই, শুধু যথাযথ রূপ দেয়ার জন্যই করতে হয়। তবুও ছোট গল্প লেখার চেষ্টা করি। রবীন্দ্রনাথ ছোট গল্প লিখে আমার সর্বনাশ করে গেছে।
আপনার লেখায় রসবোধ চমৎকার ভাবে ধরা দেয়। তাই টেনেটুনে না লেখাই ভালো। ভালোভাবেই লিখবেন। ব্লগে এসেছি এক মাসও হয়নি, এর মধ্যেই আপনি আমার অতি প্রিয় লেখকদের একজন। শুভেচ্ছা নেবেন।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিজন ভাই, লেখাটি পড়ার জন্য।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: মন্দ না/। চালিয়ে যান.।.।.।.।।।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: মন্তব্য আরও একটু স্পষ্ট হলে ভালো লাগত, যা হোক, শুভেচ্ছা নেবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লাগছিলো পড়তে!
আমি তো ভেবেছিলাম গল্প! আমি হলে টেনেটুনে একটা গল্প দাঁড় করিয়ে ফেলতাম