![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কিছু নিয়ে তামাসা নয়, মানুষ যখন চরম অপরাধ করে ফেলে, তখন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তার ফল দেখান
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।
আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়া আসমানীদের চলে।
পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
নীল কান্না বলেছেন: ধন্যবাদ http://www.somewhereinblog.net/blog/akmkarim
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩২
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
এ কবিতাটি এখনও আমার মুখস্ত আছে।
এটি ক্লাস ফোরে ১৯৭০ সালে বাংলা পদ্যে আমাদের পাঠ্য ছিল।
আজ থেকে ৪৫ বছর আগে আমদের মুখস্থ করতে হত।
জানিনা অন্য সহপাঠিদের মুখস্ত আছে কিনা, কিন্তু আমার আছে
কারন আমার অন্তর থেকে ভালো লাগা একটি কবিতা।
অভিন্দন কবিতাটি পোষ্ট দেয়ার জন্য।