![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিউটন। ছোট্টবেলায় অ্যাপ্লাইড ফিসিক্সপড়ুয়া এক কাজিন আমাকে এই নামে ডেকেছিল, তখন থেকে সবাই আমাকে এই নামেই ডাকে। আমার অবশ্য ভালই লাগে নামটা। নামটা বৈজ্ঞানীক ভাব বহন করলেও কাজে কিন্তু উলটা। বিজ্ঞান নামের বিশেষ জ্ঞানের প্রতি আমার একটুও আগ্রহ নাই। একটা মাত্র জীবন নিয়ে পৃথিবীতে এসে এই যন্তর-মন্তর বিজ্ঞান (বিশেষ জ্ঞান) এর উপর বিশেষভাবে জ্ঞানার্জন করে নিজেকে যন্ত্র বানিয়ে রাখার পক্ষপাতি আমি না। আগ্রহ আছে ফিলসফি, সাইকলজি আর এই টাইপের বিষয়গুলোতে। মানুষকে (মানুষের মন, চিন্তা-চেতনা এবং লিমিটেশন গুলোকে) জানার ইচ্ছে অনেক। আমার মনে হয় আমি ইন্ট্রোভার্ট আর এক্সট্রোভার্ট দুইটার মাঝামাঝি টাইপের। কারন কথা বেশি বলি আবার উল্টা-পাল্টা কাজ করতে মজা পাই, মানুষ কি ভাবে তাতে খেয়াল খুব কম, এটা হল এক্সট্রোভার্টের দিক। আর ইন্ট্রোভার্ট বললাম কারন কারন আমার মধ্যে যে সুপ্ত মানুষটা ওটা শুধু কল্পনা করেই জীবনটা পার করে দিতে চায়, স্বপ্ন দেখে, সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে। আমার বন্ধুসংখ্যা খুবই কম, তবে ওদের প্রতি আমার সহানুভুতি আর রেস্পন্সিবিলিটি অনেক বেশি। যখন মন খারাপ হয়ে যায়, তখন একা একা করিডরে বসে গীটার বাজাই। মনে একটা সংগ্রামী চেতনা আছে। বৈশম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। কবিতা লিখি। যখন যা মনে হয় তখন তা লিখে ফেলি, এই হল আমার কবিতা। গান ভিষণ ভালবাসি। মডার্ন জেনারেশনের পলাপাইন থেকে হয়ত একটু পিছিয়েই আছি, কারণ হেড ব্যাংগিং হেবি-মেটাল গান ভাল লাগে না। সফট ক্লাসিকাল ভাল লাগে। শ্রীকান্তকে ভীষণ শুনি। হৈমন্দ্রিলা নামে একজন মনের মানুষও আছে। নামটা অবশ্য আমারই দেয়া, মানুষটাও আমারই তৈরি। বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকি। এলোমেলো জীবণ কাটে। ঢাকায় ভাইয়ার বাসা আছে, ওখানেও থাকতে পারতাম, তখন হয়তো নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারতাম না। অবশ্য মানুষ এর সংগা ম্যান-টু-ম্যান ভেরি করে। অনেক লিখেছি, এখন খেতে যাব। হলের ডাইনিং আবার বন্ধ হয়ে যাবে। ফেসবুকেও আমার ফেস দেখা যায়।
প্রতিটি মানুষের মনে
একটা অবুঝ আবেগ থাকে
যাকে বেধে রাখা যায় না কোনোকিছু দিয়ে।
প্রতিটি স্বপ্নের পেছনে কিছু স্বৃতি থাকে
হয়তো বা অনাবিষ্কৃত।
প্রতিটি প্রেরণার সম্মুখে কিছু সফলতা
আর প্রতিটি সফলতার পশ্চাতে কিছু ব্যর্থতা
চিরকাল বেধে রাখে বাসা।
প্রতিটি মানুষ একবার বিষন্ন হয়
ত্রিশুলের অগ্রপ্রান্তে ঠেকিয়ে রাখে মাথা,
দুই হাত বেঁধে রেখে কচিকাটা করে দেয়,
বিকৃত করে দেয় বিবেকের বস্ত্র।
হয়ত বা প্রতিটি ফুলের গোত্রে থাকে কাঁটা
কখনো দৃশ্যমান
আবার কখনো কল্পনাতীত অস্পষ্ট।
প্রতিটি সুগন্ধে থাকে মোহ
প্রতিটি কবিতায় থাকে জীবন
কখনো সে জীবন অর্থবহ এক একটা উক্তি
কখনো বা নিরর্থক ছুটে চলা
অসীম গোধুলীতে মরিচিকা নিলীমার খোঁজে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৪৪
নিউটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শোশমিতা। তুমি আমার অনেক কাছের পাঠক।
ভাল থেকো।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:১৮
নিমা বলেছেন: মুগ্ধপাঠ .....................অসাধারন লেখেন আপনি
সত্যি অসাধারন
২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:৪৬
নিউটন বলেছেন: আপনার প্রেরনায় আমি মুগ্ধ। আমার ব্লগে স্বাগতম। প্রোফাইল পিকচারটা ভালো লাগল। ভাল থাকবেন।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২০
জুন বলেছেন: তুমি কি করে যে এত সুন্দর কবিতা লিখতে পারো ভাবতেও আমি অবাক হয়ে যাই নিউটন।
কি তোমার বাক্য বিন্যাস কি শব্দের চয়ন সত্যি অপুর্ব।
কোনো কাঠিন্য নেই ,নেই কোনো দুর্বোদ্ধ্যতা।
তার জন্যই তুমি ব্লগে আমার ওয়ান অফ দ্য ফেভারিট।
প্লাস++
২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৫৯
নিউটন বলেছেন: ওয়াও, তোমার প্রসংশাই তো যেন একটা জীবন্ত কবিতা।
অনেক ধন্যবাদ জুন।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৩
জুন বলেছেন: স এন +জি=সং ----
জ+ঞ=জ্ঞা
এবার পারবে তুমি ???
২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৫৭
নিউটন বলেছেন: সজ্ঞা সজ্ঞা সজ্ঞা।
অনেক ধন্যবাদ জুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:০৩
শোশমিতা বলেছেন: চমৎকার ভালো লাগলো +