নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Be Brave,Be Original,Be Anon

নিয়াজ ইরফান

Be Brave,Be Original,Be Anon

নিয়াজ ইরফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ ও দর্শন

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৭

কারও ধর্ষণে শান্তি আর কারও দর্শনে ।

বর্তমানে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ আর দর্শন এক ধরনের আর্ট বলা যেতে পারে । এই আর্টের মধ্যে দর্শন কেবল দেখাদেখির মাঝেই সীমাবদ্ধ । আর ধর্ষণের ক্ষেত্রে কেবল দেখাদেখির মাঝে সীমাবদ্ধ নয় । এটাতে দেখাদেখি গড়িয়ে করা অবধি চলে । সোজা বাংলায় বলতে গেলে,কেউ দেখে শান্তি পায় আর কেউ করে শান্তি পায় ।

ধর্ষণ আর দর্শন এক ধরনের মানসিক বিকৃতি । অপসংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে না চলা এর মূল কারণ হলেও আরও অনেক কারণ আছে ।

যৌনতা একটি সাধারণ বিষয় হলেও মানসিক বিকৃতি একে এক ধরনের আর্টে পরিণত করছে । লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে,দেশের কোথাও না কোথাও নারী ও শিশুরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে । এর মূল কারণ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চলা । এতক্ষণে নিশ্চয় ভাবছেন,আমি নারীদের পর্দা নিয়ে কথা তুলব ! তবে সত্য এটায় যে,শুধুমাত্র পর্দা করে ধর্ষণকে ঠেকানো যাবে না । যেখানে পাঁচ বছর বয়সী শিশু নিরাপদ নয়,সেখানে আপনি পর্দার প্রশ্ন তুলতে পারেন না । নারীর পর্দা করা ফরয । পুরুষের পর্দা করা ফরয নয় কি ?

কথা উঠতে পারে,ধর্ষণ এক ধরনের যৌনতা । একজন ধর্ষক বলতেই পারে,নারীর পোশাক-পরিচ্ছদে তার যৌনতা অনুভব হয়েছে বলেই সে ধর্ষণ করেছে । তবে এক্ষেত্রে ধর্ষকের কথা পুরোপুরি ভিত্তিহীন । কেননা,ধর্ষণে কোন যৌনতা নেই । এক্ষেত্রে ধর্ষণ হলো এক ধরনের ভায়োলেন্স । ধর্ষণের মধ্যে আদৌ কোন সেক্সোয়াল আনন্দ পাওয়া যায় না । বরং,একজন নারীর স্বকীয়তা,ইজ্জত,সম্মান ও ভার্জিনিটি হরণের আনন্দ পাওয়া যায় । চোর-ডাকাত যেমন সম্পত্তি হরণের মধ্য দিয়ে আনন্দ পায়,তেমনি একজন ধর্ষক একজন নারী বা শিশুর ইজ্জত হরণের মাধ্যমে আনন্দ পায় ।

স্বাভাবিকভাবে একজন নারীর শারিরীক গঠন দেখে আপনার মনে যৌনতা অনুভব করতেই পারেন । তবে তাই বলে যে,আপনার ধর্ষণ করতে হবে এমনও তো না । একজন নারীকে দেখে যৌনতা অনুভব করা মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু পাঁচ বছর বয়সী কিংবা নয় বছর বয়সী শিশুকে দেখে আপনি যৌনতা অনুভব করার কোন প্রশ্নই উঠে না । এক্ষেত্রে বলাই যায়,আপনার মানসিক বিকৃতি এর মূল কারণ ।

আপনি যদি যৌনতা অনুভব করেন তার জন্যে আপনার স্ত্রী রয়েছে । আর আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন,তবে বিয়ে না করা পর্যন্ত আপনার অপেক্ষা করা উচিত । আপনার যৌনতার জন্যে কোন নারী বা শিশুর উপর মানসিক ও শারিরীক অত্যাচার কখনো সহ্য করা যায় না ।

আর বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় দর্শনের মাত্রাও দিন দিন বেড়ে চলেছে । সেক্ষেত্রে,আপনি আর আমি দর্শনে নিজেদের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য যে মাস্টারবেট করি তাও এক ধরনের মানসিক বিকৃতি । কারণ,আরেকজনের যৌনতা প্রকাশের মাধ্যমে আপনি নিজেও যৌনতা অনুভব করছেন । তাতে করে আপনার নারী লোভ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক । আর নারী লোভ বাড়ার ফলে আপনারও এই ধরনের আনন্দ পাওয়ার ইচ্ছে হবে । যার ফলাফল হতে পারে কোন নারী বা শিশুর উপর যৌন হয়রানি ।

অন্যদিকে আমাদের বিচার ব্যবস্থার অবস্থা এমন যে,যদি তুমি ক্ষমতাধর হও তবে তুমি ধর্ষণে সেন্ঞ্চুরী করো । তোমাকে বাঁচানোর মালিক আমরা । বলা বাহুল্য,যতদিন পর্যন্ত দেশের বিচার ব্যবস্থা ঠিক হবে না,মানুষ আইন ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবে না,ততদিন পর্যন্ত ধর্ষণ ঠেকানো যাবে না । আর যতদিন পর্যন্ত ওয়েবসাইট ব্যবহারে ও অপসংস্কৃতি রোধে সরকার ব্যবস্থা নিবে না,ততদিন পর্যন্ত দর্শন ঠেকানো যাবে না ।

মনে রাখবেন,একজন নারী আপনার মা,আপনার বোন,আপনার বন্ধু,আপনার স্ত্রী । সম্মান করুন তাদের ।

নিজেকে সংযত রাখুন,নিজের দৃষ্টিকে সংযত রাখুন ।

মানুষ বদলাবে,দেশ বদলাবে ।।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪০

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: অন্যদিকে আমাদের বিচার ব্যবস্থার অবস্থা এমন যে,যদি তুমি ক্ষমতাধর হও তবে তুমি ধর্ষণে সেন্ঞ্চুরী করো । তোমাকে বাঁচানোর মালিক আমরা । বলা বাহুল্য,যতদিন পর্যন্ত দেশের বিচার ব্যবস্থা ঠিক হবে না,মানুষ আইন ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবে না,ততদিন পর্যন্ত ধর্ষণ ঠেকানো যাবে না । আর যতদিন পর্যন্ত ওয়েবসাইট ব্যবহারে ও অপসংস্কৃতি রোধে সরকার ব্যবস্থা নিবে না,ততদিন পর্যন্ত দর্শন ঠেকানো যাবে না ।--এটাই চিরন্তন সত্যি। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১২

নিয়াজ ইরফান বলেছেন: জ্বী

২| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫১

আলোকিত চিন্তা বলেছেন: ঠিক, কিন্তু পরিপূর্ণ সমাধান হচ্ছে নারীদের পর্দা করা এবং নারী স্বাধীনতার ও সমান অধিকারের কথা বলে নারীদের সব স্তরে নিয়ে আসা উচিত না। আর যারা ধর্ষক তাদের কি আসলে দোষ! একজন পুরুষ যদি বিবাহিত থাকে, তাহলে ধর্ষণ করার প্রয়োজন কী? বিবাহিত পুরুষের মাধ্যমে ধর্ষণ সংখ্যা খুবই কম.. যুবক ছেলেদের মাধ্যমে ধর্ষণ সংখ্যা অধিক। এর কারণ, হচ্ছে প্রেম নামক এক ধরনের ব্যাপার আছে, সেটা প্রযোজ্য করে দেওয়া আর মিডিয়াতো প্রেমের নামে নোংরামি শিখাচ্ছেই... একজন যুবক তার পড়ালেখা শেষ করতে প্রায় ২৫-২৮ বছরের হয়ে যায়। তারপর চাকরি খোজা, তারপর বিয়ের চিন্তা! সুতরাং একজন যুবক বিয়ে করতে পারছে না তখনই, যখন সে ঠিকমতো জব পাচ্ছে না এবং পড়ালেখা দিয়েই তার অনেক বছর চলে যায়। তাহলে ১৩-৩০/৩৩ বছরের যে সময়, এই সময়ে তারতো একটা যৌন চাহিদা বলে ব্যাপার আছে। সেটাতো তাকে মিটাতে হবে... এজন্য কিছু যুবক তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ও কিছু যুবক বিভিন্নভাবে তাদের চাহিদাগুলো পূরন করে। তাহলে, সমস্যাটা নারী ও পুরুষ উভয়েরই আছে... আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে পর্ণগ্রাফি available করে দেওয়া ও মিডিয়াতে যৌন সুরসুরি দেওয়া।

তাহলে, দোষ কার????

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৫

নিয়াজ ইরফান বলেছেন: যৌন চাহিদা থাকলেই যে ধর্ষণ করতে হবে,এমন কোন নিয়ম কিন্তু নেই । যৌন চাহিদা মেটানোর জন্যে পতিতালয় আছে
তবে আপনার বাকি কথাগুলোর সাথে আমি একমত ।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৬

নিয়াজ ইরফান বলেছেন: সত্যি বলতে,দোষ যকলেরই আছে । কেবল সচেতনতাই পারে এসবকে মোকাবিলা করতে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.