![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশীরা নিজেদের গৌরবের খবর রাখেনা। এত বড় গৌরব কোন জাতির ইতিহাসে ঘটলে সোনার অক্ষরে লিখিত থাকত। ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিশ্রুত ইমাম মাহাদী হবার দাবী নিয়ে জুহাইমান আল ওতাইবি নামের এক ভণ্ড ও তার দলবল মসজিদুল হারাম ও কাবা শরীফ দখল করে নেয়। হাজারো হাজীকে তারা জিম্মি করে। সৌদি সেনাবাহিনীর সাথে মসজিদুল হারামের দখল নিয়ে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ চলতে থাকে।
এমন অবস্থা কয়েকদিন যাবত চলতে থাকে। কিন্তু পবিত্র কোরআনে মক্কা নগরীতে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সংঘাত ও রক্তপাতকে নিষিদ্ধ করায় সৌদি সামরিক বাহিনী ও তাদের সাথে যুক্ত হওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এসএসজি কমান্ডো ফৌজ কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারছিল না। এমতাবস্থায় প্রখ্যাত আলেম আবদুল আজিজ ইবনে বাআযের নেতৃত্বে সৌদি উলেমাগণ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে সৌদি ও পাকিস্তানী বাহিনীকে বলপ্রয়োগ ও রক্তপাতের মাধ্যমে বায়তুল্লাহ মুক্ত করার অনুমতি দিয়ে ফতোয়া জারি করে।
প্রচন্ড যুদ্ধ সংগঠিত হয় এক পর্যায়ে জুহাইমান এর অনুসারীরা দলবল নিয়ে অবস্থান নেয় হারাম শরীফের ভু গর্ভস্থ অংশে। একটি মাত্র দরজা থাকায় আর ভেতরে অবস্থান করার কারনে জুহাইমান ভালো অবস্থান নেয় কোন সৈন্য ভেতরে ঢুকতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার পরামর্শ(এ ব্যাপারটা মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে ব্যাক্তি নাম প্রকাশ যেন না হয় তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে তার নাম প্রকাশ করা হয় নি) হারাম শরীফের ভু-গর্ভস্ত অংশের অভ্যন্তর ভাগ পানি দিয়ে অর্ধপূর্ণ করে দেয়। অতঃপর পানিতে বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে জুহাইমান বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে।
পানির মধ্যে অবস্থান করায় এং পানিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হওয়ায় জুহাইমান বাহিনী তাদের স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বৈদ্যুতিক শকে জীবিত সকলের দেহ কালো বর্ণ ধারন করে যা তাদের ছবিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। ক্ষনস্থায়ী যুদ্ধে পরাজয় হয় জুহাইমান এবং তার বাহিনীর। মৃত্যু হয় কথিত ইমাম মাহদী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল কহতনীসহ জুহাইমান আল ওতাইবির অসংখ্য সহযোগীর। আহতবস্থায় আটক করা হয় হারাম শরীফ জিম্মি ঘটনার খলনায়ক বিপদগামী যুবক জুহাইমান আল ওতাইবি এবং তার প্রায় সত্তরজন সহযোগীকে। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে কেটে যায় দুই সপ্তাহ। কষ্ট হলেও মেনে নিতে হচ্ছে এই সময়ে পবিত্র হারাম শরীফে কোন মুসল্লী প্রবেশ করতে পারে নি, আযানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসেনি ক্বাবা শরীফের সুউচ্চ মিনার থেকে, দুই সপ্তাহ ক্বাবা শরীফে কোন নামাজ হয়নি, হয়নি কোন তাওয়াফ। এই ঘটনা সেসময় মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। পরের বছর কাবা ঘর পরিস্কারের সময় প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বায়তুল্লাহতে হাজির হন। কাবার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব তারা সকলে ভাগ করে নেন।
জিয়াউর রহমানের ভাগে পড়ে কাবার পবিত্র মেঝের একাংশের পরিস্কারের দায়িত্ব। তিনি নিজের রুমাল জমজমের পানিতে ভিজিয়ে কাবার মেঝে মোছেন। এতো মর্যাদাবান সম্মান পেয়ে জিয়া দেশে ফিরেই আরাফাতের ময়দানে বনায়ন করতে ২০০০০ নিমগাছের চারা পাঠিয়ে দেন সৌদি আরবে। শুধু তাই নয়, সৌদি সরকার নিমগাছের উৎপাদন জারি রাখতে সেদেশে অনেক নার্সারি স্থাপন করেছে। জিয়াউর রহমান তৎকালীন সৌদি বাদশাহ খালেদ ইবনে আবদুল আজিজকে আনুষ্ঠানিক পত্র মারফত অনুরোধ করেছিলেন যেন আরাফাতের নিমগাছের পরিচর্যার ভার সৌদি প্রশাসন প্রবাসী বাংলাদেশীদের হাতেই অর্পণ করে।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত এসব নিমগাছের রক্ষণাবেক্ষণে আরব প্রবাসী বাঙালিরাই নিয়োজিত আছে। সৌদি সরকার কতৃক স্থাপিত নার্সারি সমূহতেও বাঙালিরাই কর্মরত। সবচেয়ে অসাধারণ তথ্য হচ্ছে এই গাছ সেখানে কেবল নিমগাছ নামে পরিচিত নয়, এগুলোকে 'জিয়া দরখৎ' বা জিয়া গাছ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। যেখানে আমাদের সকলের হাশর হবে সেই ময়দানকে ছায়াদার করতে বাংলাদেশ উদ্যোগী হয়েছে। এর বরকতে হলেও আল্লাহ এদেশকে রক্ষা করুন, এদেশের সম্পদে প্রাচুর্য দান করুন, এদেশের মুসলিম নামধারীদের অনুগত বান্দা হবার তৌফিক দান করুন...। আমীন।
২| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজতন্ত্রের পতন হওয়ার দরকার ছিল।
আপনার ভাবনা ক্রীতদাসের ভাবনার মতো।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
নৈশ শিকারী বলেছেন: মানুষিক বিকার গ্রস্থ রোগীর মতো কথা বলেন কেন? রাজ্য যেভাবেই পরিচালনা করা হোক না কেন তা জনগনের স্বার্থে, জনগন যদি রাজতন্ত্রে সুখী হয় আপনার সমাস্যা কি? আমাদের দেশতো গণতান্ত্রিক দেশ তাহলে আমাদের দেশের শান্তি কোথায়? #চাঁদ গাজী
৪| ১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ #তানভীরএফোওয়ান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: যাজকাললাহু খাইরান।প্রিয়তে...........+++++++++