নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উদ্বাস্তু নিশাচর

উদ্বাস্তু নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

X(

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

ভারতীয় মিডিয়াগুলির নোংরামি আজকাল চরমসীমায় উঠেছে..। কোনো সুস্থ মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ মিডিয়াগুলি চালায় বলে মনে হয়না...। বেশ্যাবৃত্তির খোলা মঞ্চ ছাড়া কিছু মনে হয়না..একটা ফোনের অ্যাডে দেখলাম বাবামার অনুপস্থিতির সুযোগে একটা মেয়ে বাসায় প্রেমিকের সাথে নিষিদ্ধ সম্পর্কে মত্ত হয়েছে, হঠাত বাবা এসে পড়ায় চরিত্রবান কন্যার প্রেমিক দরজার পেছনে... হঠাত প্রেমিকের ফোন আসায় কন্যার বাবা তাকে ধরে ফেলে এবং তিনি কন্যার অধঃপতনের উপর দৃষ্টিপাত না করে দৃষ্টিপাত করেন কন্যার প্রেমিকের ফোনের উপর...। আনন্দে বত্রিশখানা হয়ে যান কমদামের এতসুন্দর ফোন দেখে...। বডি স্প্রের অ্যাডগুলার ত প্রশংসার ভাষাই নাই..। অ্যাডগুলার মেয়েদের বেশ্যা হয়ত বলা যা্য়না..বেশ্যা ত পেটের জ্বালায় হওয়া দেহপসারিনীদের বলে..। তাদের কি বলে আমার জানা নেই..। একটা বডি স্প্রের অ্যাডে ত স্প্রের লাকি উইনারদের বিনা দামে সানি লিওনের মত উচ্চদামের বেশ্যাদের সাথে ব্যাভিচারের অফার দেয়া হয়... নোংরা কুরুচিপূর্ণ কিছু কথা,দৃশ্য কত সহজ,সাবলীল, কত সাধারণ ভাবে দেখানো হয় ... এইগুলাই আমাদের দেশের কিছু মানুষ পরিবারসহ নিয়মিত দেখে... আচ্ছা, তাদের স্বাধীনতায় ত কোন নারীর ইজ্জত যায়নি, গিয়েছিল ত আমাদের স্বাধীনতায় .. আমরা কি করে দেখি এগুলো? হিন্দি চ্যানেলগুলো পাল্টানোর সময় একবারও ফেলানিদের কথা মনে পড়েনা? গুন্ডে নামের কিছু রক্তস্নাত ইতিহাস বিকৃতকারী ফ্লিম দেখে রাগ লাগেনা? ভারতীয় পণ্য কেনার সময় ফেলানীদের লাশ চোখে ভাসেনা? .... আরে পাকিস্থান ভারতের চাইতে অনেক ভালো, তারা ত সামনে থেকে বাশ মারছিল, আর ভারত বাশ মারছে পেছন থেকে..। আর আমরা হুঙ্কার মারা ত দূর, মজা করে স্টার জলসার সামনে বসে বাশ খাচ্ছি ...। আমাদের নিজস্ব একটা সংষ্কৃতি আছে, ইতিহাস আছে, ভাষা আছে, আমাদের আছে যা কিছু শ্রেষ্ঠ .... আমরা একদিকে পতিতালয় উচ্ছেল করছি আর একদিকে টিভির সামনে বসিয়ে ঘরের মেয়েদের পতিতাবৃত্তি শেখাচ্ছি... কি লাভ হচ্ছে এতে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বার্নি কোশ্চেন!

উত্তর দেবার কেউ নাই!

সুশীল হতে হলে যে উত্তর দেয়া মানা!!!!!! X( X(

স্বকীয়তা স্বাতন্ত্র সব গুলিয়ে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক মোসাহেবী, পরনির্ভরশীলতায়!

তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় বা সরকারের নিরবতাতো অপসংস্কৃতিকে উস্কে দেবেই!

আবার সংষ্কৃতিতর রুপরেখা জানতে চান- ধর্মের বাধায় হারিয়ে যায়!!!!যেন মুসলমানদের কোন ষংস্কৃতিই নাই!!!

তাদের প্রতিটা নাটক সিরিয়াল সিনেমায় তাদের ধর্ম, পূজা মন্দিন নিয়মিত উঠে আসে প্রেমে ভক্তিতে..

আমাদের?
নামাজ, মসজিদ, প্রার্থনা... হাওয়া!! আর আছে শিকড় ছাড়া ধর্মহীনের খোলস পরার দল-তারা তাদের ধর্মকে সংষ্কৃতি মানলেও ইসলামের ধর্মীয় কাজ নাটক সিনেমায় এলে রেরে গেল সব.. এইসব কেন? ধর্ম যার যার সংস্কৃতি সবার টাইপ ঝড় উঠায়!!!

সামগ্রিক সাসংক্তৃতিক বিপ্লব ছাড়া মুক্তির মাঝামাঝি কোন পথ নেই বলেই মনে হয়!

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

উদ্বাস্তু নিশাচর বলেছেন: সুশীল হতে হলে যে উত্তর দেয়া মানা!!!!! |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.