![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Click This Link
বিভিন্ন জাতীয় ও সামাজিক ইস্যু নিয়ে নিরপেক্ষ আন্দোলন করা এক্টিভিস্টরা বিগত বছরগুলোতে জামাতিসহ অন্যান্য মৌলবাদীদের হুমকি গালি ইত্যাদি খেয়ে এসেছে, কিন্তু এগুলো আমাদের কাছে গায়ে লাগা ধুলার চেয়ে বেশী কিছু কখনোই মনে হয়নি, যা চাইলেই ঝেড়ে ফেলা যায়। কিন্তু খারাপ লাগে আওয়ামীলীগের হঠাৎ মৌলবাদী কট্টরতা ধাঁচের পরিবর্তন দেখে।
বিশেষ করে বিশ্বজিৎ হত্যা, সুদরবনের বিদ্যুৎ প্রকল্প ইস্যু, শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম ২৩/২৫ (সঠিক সময়টা মনে নেই) দিন পর থেকেই লীগের ভিন্ন মঞ্চ করে মূল আন্দোলনকারীদের (সাধারণ ছাত্র জনতা, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, পেশা ও চাকরীজিবী) হঠানোর পায়তারা, সম্প্রতি টিএসসিতে নারীদের উপর যৌন হামলা, ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে প্রায়ই আওয়ামীলীগকে জামাতি আচরন করতে দ্যাখা গেছে ও যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা আবিষ্কার করেছি হাইব্রিড লীগারের অস্তিত্বঃ-
যাদের ভেতর বঙ্গবন্ধু নাই কিন্তু লীগ আছে, যাদের কাছে রাজনৈতিক দল মানে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সামগ্রিকভাবে সেবামূলক সংগঠন নয়, যাদের ভেতর স্বাধীনতায় বিশ্বাস নাই কিন্তু বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড পুঁজি হিসেবে আছে, যাদের ভেতর মুক্তচিন্তা নাই কিন্তু জামাতি স্বভাব আছে, যারা বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেনা কিন্তু তাঁর জন্যে উপর দিয়ে পানি ঢেলে নিচে গাছের গোঁড়া কেটে সেখানে বাঁশ রোপণ করে চলেছে বিনা বিবেকে।
তাই আওয়ামীলীগকে এখন ক্ষোভ থেকে গালি দিলেও মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্যে চিন্তা হয়। কারন তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনিই প্রথম রাষ্ট্র প্রধান যিনি রাজাকারদের বিরুদ্ধে সাজার উদ্যোগ নিয়েছেন আর আমরা সেই সাজার দাবীকে সাত সমুদ্র তের নদীতে করে পৌঁছে দিয়েছি বিশ্ব দরবারে, প্রতিটি বাঙালী, প্রতিটি জাতির প্রতিটি মানুষের কাছে!!
আজকে আমার আফ্রিকান নিগ্রো বন্ধু জানে কামারুজ্জামান নামে বাংলাদেশে একজন যুদ্ধাপরাধী আছে/ছিল, আমার আলজেরিয়ান বন্ধু জানে এই দেশে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদী করা দলটি ৭১ এ রাজাকার বাহিনী ছিল!! ওরা নিজে থেকে আমার কাছে এসবের খোঁজ খবর জিজ্ঞেস করে। ওরাও এখন বাংলাদেশ নিয়ে ভাবে!!
হাঁ, আমার সাথে সম্পর্কের সুবাদে ওরা ব্যাপারগুলো আরও ভালো ভাবে জেনেছে। কিন্তু কথা হল এই আন্দোলন কিন্তু আমরা শুরু করেছিলাম মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর রাজাকারদের সাজার উদ্যোগের মাধ্যমেই। আর সে জন্যেই যে ভাবেই হোক আজ বিশ্ববাসী (এমনকি আজকের অনেক দেশের প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাসই জানতো না) আমাদের ইতিহাস নিয়ে আবার জানছে। জানছে ৭১এ এই দেশেরই কিছু মানুষ স্বদেশী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নৃশংস ও ঘৃণিত বিরোধিতা করেছিল আর আমরা এখনও দেশের সেই শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি!!
তো, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে কিন্তু বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছি আমরা, নিরপেক্ষ আন্দোলনকারীরা। তিনি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন আর আমরা এর ঝাণ্ডা নিয়ে সীমানা ছাড়িয়েছি। কোন আতি পাতি হাই ব্রিড লিগাররা নয়।
আমরা যখন বিশ্ব দরবারে দেশ প্রেমের স্বাক্ষর রেখে চলেছি তখন এই আতি পাতি হাই ব্রিড লিগাররা একটার পর একটা আকাজ কু কাজ করে বিশ্বে বাংলাদেশের এবং নিজ দেশে আওয়ামীলীগের ভাব মূর্তি নষ্ট করছে।
সম্প্রতি টিএসসি কেলেঙ্কারির পর এই হাইব্রিডারদের শুধরানো উচিৎ ছিল। সামনে নির্বাচন। জামাত মাতা খালেদার গাড়িতে আক্রমন করার আগে পর্যন্তও লীগের হাওয়া ভালো বইছিল। কিন্তু সেটা হাইব্রিডারদের সহ্য হলনা। এবং একই কাজ তাঁরা দ্বিতীয় বারও করল।
জানিনা জামাত মাতার দেহ রক্ষী সত্তিই গুলি চালিয়েছিল কি না। কিন্তু আমার কথা হল আপাতত জামাত মাতাকে প্রচারটা করতে দিলে কি ক্ষতি হত?
আরেহ, ভোট পাওয়া এতো সোজা নয়, এখনও পেট্রোল বোমার ক্ষত শুকায়নি! এখনও আমাদের আন্দোলন ও লেখালিখির সাথীদের কোপ খেয়ে মরা দেহগুলো মাটিতে মিশে যায়নি! তবে কেন লীগ প্রার্থীদের এতো ভয়!? কেন এই জামাত নেত্রীকে আক্রমন করে প্রশ্ন তৈরি করা হচ্ছে?? দয়া করে আপনাদের এবং আমাদের সকলের কল্যানের জন্যে হাইব্রিডারদের সামলান।
বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অনুরোধ করবো, দয়া করে হাইব্রিডারদের সতর্ক করুন। দলে লোক নেয়ার আগে নতুনদের জন্যে কঠোর নীতিমালা তৈরি করুন। আমরা চাই না এই দেশে এমন কোন শক্তি আসুক যা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির গাড়িতে দেশের জাতীয় পতাকা আবার উত্তোলন করবে। কোন বিকল্প (দেশপ্রেমিক দল) যখন নেই সুতরাং আপনারাই থাকুন।
তবে এই হাইব্রিডারদের সামলান। এরা খুব বেশীই খারাপ করছে যা আখেরে আপনার, আপনার দলের, আমাদের এবং সর্বসাকুল্যে এই দেশের ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনবে যা নিশ্চয়ই আপনার কাম্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
দিকভোলা পথিক বলেছেন: সহমত.