নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলয় চাকলাদার

নিলয় চাকলাদার

ভালো থাকুন সবাই।

নিলয় চাকলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ই ভ্যালিঃ শুধু কি রাসেল দোষী?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৪

সিএ পড়াকালীন আমাদের ফার্মের ম্যানেজার একটা কথা বলতেন, “সততা জিনিসটা কিছুই না, এটা হলো সুযোগের অভাব!” তখন এটা শুনে মজা লাগতো, পরে যত অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকলো, এ কথার সত্যতা সামনে পরিষ্কার হতে থাকলো

সম্প্রতি “ই-ভ্যালি” মালিক পক্ষের সাথে এটাই ঘটেছে। সুযোগ পেয়েছে সে, তাই জনগণের অর্থ “আত্মসাৎ” করতে পেরেছে। কারো ১০ লাখ, কারো ৩০ লাখ, কারো ১৫ হাজার। বড় একটা দান মেরে ভেগে যাবার প্ল্যান ছিলো তার, পুরোটা সফল না ব্যর্থ, সময় বলে দেবে।
কিন্তু তালি একহাতে বাজে না। তাকে সুযোগটা করে দিলো কে? আমাদের সামনে কিন্তু এক পাশের চিত্র, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাসেল ব্যাটা সবার অর্থ মেরে দিয়েছে, অনেককে পথে বসিয়েছে।

কিন্তু আরেক পাশের চিত্র দেখা যাচ্ছে না, কারণ সেটা অদৃশ্য। সেটা হলো মানুষের লোভ-লালসা। ২৫ হাজারের জিনিস ১৫ হাজারে, বা ৩ লাখের জিনিস ১.৫ লাখে পাবার লোভ। এই লোভের কবলে পড়ে ছাত্র টাকা ধার করেছে মা-বাবার থেকে, বন্ধু টাকা ধার করেছে বন্ধুর থেকে, অনেকে বিক্রি করে দিয়েছে শেষ সম্বল। ইভ্যালি বদনা বেচতো না, নইলে আশপাশের অনেকের বাসা'র এসি থেকে বদনা পর্যন্ত সব এর পেছনে "রাসেল বাটপার" এর সরাসরি অবদান থাকতো।

এই ক্রেতাদের বড় একটা অংশ আবার টাকা “বিনিয়োগ” করেছে। ৩ লাখের জিনিস ১.৫ লাখে কিনে ২ লাখে বিক্রির জন্য। কোন কষ্ট ছাড়া ৫০ হাজার লাভের চকচকে লোভ এড়ানো কঠিন। এই কমে বিক্রির ঘটনা সাধারণ বাজারে ব্যবসায়িদের মধ্যে তৈরি করেছে হতাশার, কারণ সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক দামে বিক্রি বাধাগ্রস্থ হয়েছে; তাদের পণ্য অবিক্রীত হয়ে স্টকে পড়ে আছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য।

এই যে তরুণ দের লোভের কারণে চরিত্রের স্খলন, দেনার কারণে নির্ঘুম রাত, বিনা কষ্টে অর্থের মালিক হবার লিপ্সা, পড়াশোনা’র বারোটা বাজা, বা সংসারে অশান্তি- এগুলোর চিকিৎসা বা তদন্ত করবে কোন বাহিনী? কোন আদালত?

রাসেল’রে গালি দেয়ার পাশাপাশি বাসা'র আয়না তেও একটু তাকানো দরকার।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৭

জ্যাকেল বলেছেন: এি রাসেল মিয়া ই-কমার্সের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। আর মানুষের কথা কি বলব, এদের মধ্যে প্রচর সমস্যা।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো অবশ্যই । এখানে সব বড়ই হচ্ছে মানুষের লোভ । যখন সে ৫০ হাজারের জিনিস ২০ হাজারে পাচ্ছে, একবারও ভেবে দেখছে না যে এই কাজটার ভেতরে সততা কত টুকু আছে ? সে কেবল দেখছে আমার লাভ হচ্ছে এটাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় কথা । কার কি হল সেটা দেখার দরকার এই ।
সত্যি বলতে এই ইভ্যালিতে যারা ধরা খেয়েছে তাদের জন্য আমার বিন্দু মাত্র করুণাবোধ নেই ! এই লোভীদের কপালে ঠিক এটাই হওয়াই ঠিক ছিল ।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের সাধারন মানুষের জন্য এটা বোঝা একটু কঠিনই যে কিভাবে রাসেল মিয়া এত বেশি ডিসকাউন্ট দিচ্ছে।

দেশের মানুষের অভাব আছে তাই সবাই সহজ টাকার পেছনে ছুটবে এটাই সাভাবিক। সেই সুযোগ নিয়ে বাটপারেরা সকল রকমের ধান্দার চেস্টা করেছে।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

গফুর ভাই বলেছেন: মানুষের লোভ লালসা সেই আদিম কাল থেকে আছে এবং থাকবে ।কথা হল একটা মানুষ লোভ লালসা কে কাজে লাগিয়ে অনেইতিক কাজ কারবার চালায়া যাবে সে কি করে হয়, এখানে সরকারের রেগুলেটারি ফার্ম এর নজরদারি কেন আগে থেকে বন্ধ করতে পারলো নাহ। আমরা সমাজ কেন বানিয়েছি জানেন মানুষের ভিতরের যে পিচাশ টা থাকে তাকে নিয়ন্ত্রন করতে । সমাজ না থাকলে নিয়ম নিতি না থাকলে আমরা সবাই পিচাশ হয়ে যেতাম। যখন তখন বিভিন্ন অপরাধ করে বসতাম ।কিন্তু সমাজ থাকা তা আমরা আমাদের নিয়ত্রন করে চলি। ঠিক সে জিনিষ টা বাংলাদেশে খুব দরকার নয়ত কিছুদিন পর আপনি নিজেও আক্রোশ শিকার হবেন।রাসেল এর মত বাটপারের শিকার হবেন।
আজ জানলাম ক্যাব নাকি এখনো একটা নিয়ম তা হলো কি পরিমান পন্য স্টক আছে তা ই কমার্ছ সাইটে দেখানো তার বিধান ২০১৯ থেকে কমার্ছ সাইটে চালু করবার নিয়ম চালু করবার প্রক্রিয়ায় আছে ।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ইভ্যালিতে ঢাকা ঢেলেছে, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। কারফন এই রকম প্রতিষ্ঠান তাঁরা খুলতে দিলো কেন?

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:১৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার 'সততা সুযোগের অভাব' কথাটির সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। আপনি শুধুমাত্র দেশের বা আপনার আশেপাশের চিত্র দেখেই বিষয়টিকে জেনেরেলাইজ করে ফেলেছেন বলে মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে প্রচুর মানুষ আছে যাদের সুযোগ থাকা সত্বেও তার তাদের প্রাপ্য আয় অথবা পারিশ্রমিক নিয়েই খুশি আছে। এমনকি বাংলাদেশের মতো শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতিগ্রস্থ দেশে এখনো অনেকে সুযোগ থাকা সত্বেও সততার সাথে জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছে - যদিও এদের সংখ্যা ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে আসছে।

তবে আপনার পোস্টটির অন্য অংশগুলোর সাথে সহমত। আমাদের মধ্যে লোভ-লালসা বেশি বলেই আমাদেরকে প্রলুব্ধ করা অনেক সহজ। এছাড়া আমাদের অলস প্রকৃতি আমাদের বিনা পরিশ্রমে রাতারাতি বড়োলোক হওয়ার হাতছানি দেয়। ইভ্যালি বা ডেসটিনি হচ্ছে সেই সকল শয়তান যা আমাদেরকে এই অর্থলিপ্সার পথে টেনে নিয়ে যায়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

নিলয় চাকলাদার বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমিও একমত। "সততা সুযোগের অভাব" এটা রূপকার্থে ব্যবহৃত। এটা সামগ্রিক হতে পারে না, কখনোই।
যেমন "আমার এতো পিপাসা পেয়েছে, সমুদ্রের পানিও শেষ করে ফেলতে পারবো' - এটা রূপক, বাস্তব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.