নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথা একটু ঠাণ্ডা করে ভাবতে গেলে অবাক হই।
বিগত লম্বা একটা সময় ধরে জাতিকে সুকৌশলে শেখানো হয়েছে, টুপি-দাড়ি-পাঞ্জাবি পরা মানেই “জঙ্গী” মানে দেশের শত্রু।
মাদ্রাসার ছাত্র, শিবির কর্মী মানেই দেশের শত্রু।
এটা সত্য, মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক একটা অংশ স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, স্বজাতি কে বিজাতীয় পাকিস্তানীদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই অংশের মধ্যে টুপি-দাড়ি-পাঞ্জাবি যেমন ছিল, শার্ট প্যান্ট ক্লিনশেভও তো ছিল, ইতিহাস ও স্বাক্ষ্য দিয়েছে।
তাহলে কেন নির্দিষ্ট একটি অংশের প্রতি আক্রোশ? কারণ কি সামগ্রিক শত্রুতা, নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ কে জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া? সব “হুজুর” কি খারাপ? আর সব “নন-হুজুর” কি ভালো?
এর উত্তর সবাই জানে।
লম্বা একটা সময় কেউ মুখ খুলতে পারে নি।
কার কারণে? কী কারণে?
কোন “হুজুর-শক্তি”র ভয়ে?
কোন নির্দিষ্ট লেবাস কাউকে শত্রু বানায় না।
ইসলাম ধর্ম মেনে চলা মানেই দেশের শত্রু না।
কাউকে শত্রু ভাবার আগে একটু নিজের মগজ খাটাই।
দেশের সংষ্কার চলছে।
সাথে মগজও সংষ্কার হোক।
নিজের ভালো হোক, দেশের ভালো হোক।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:০২
নিলয় চাকলাদার বলেছেন: সমস্যাটা এখানেই। মতামতের জন্য ধন্যবাদ
২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:২৯
সিরাজ১৭৫৭ বলেছেন: দুটো জিনিস মিলিয়ে ফেলেছেন। দাড়ি-টুপি মানে জামাত-রাজাকার সেটা ওই নব্বই এর সেন্টিমেন্ট।
২০০৪-০৭, ২০১৩, ২০১৬ এর পর থেকে দাড়ি-টুপিকে কেউ দেশ বিরোধী হিসাবে ঘৃণা করেনা।
বরং ঘৃণা করে হিংস্র হিসাবে যারা নাস্তিকের কল্লা ফেলে দেয়, যারা সব ভাস্কর্য ভেঙে দেয়, যারা দেশের সনাতনী শিল্প-সংস্কৃতির উপর আক্রোশ ঝাড়ে, যারা জাতীয় পতাকা আর সংগীত বদলে দিতে চায়, যারা আইসিস আর তালেবানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
হয়তো বলবেন কিন্তু অজস্ত্র সাধারণ দাড়ি-টুপি মানুষ তো হিংস্র-জঙ্গী নয়, তাদের কি দোষ। মনে রাখবেন হামাসের সব ঘাঁটি কিন্তু স্কুল, হাসপাতাল আর মসজিদের ভিতর। যুগে যুগে সাধারণ মানুষই জঙ্গীর ঢাল। এ এক নিষ্ঠুর নিয়তি।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:০২
নিলয় চাকলাদার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সবার মতামত সাদরে গ্রহনীয়
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৯
নয়া পাঠক বলেছেন: এই ধারণার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বাংলাদেশ জাতীয় চেতনা বিক্রয় কমিটি, যারা মুক্তিযোদ্ধা সেজে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঢাল হিসেবে সামনে নিয়ে দেশের আপামর-সাধারণ জনগণের রক্ত-পানি করা রোজগারের টাকা ছিনতাই করার উদ্দ্যেশেই করেছে। এবার সময় এসেছে এদের চিরতরে পরিহার করার, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ থেকে পরিবারতন্ত্রের পরিবর্তনের, এখন সময় এসেছে আম-জনতার জাগ্রত হওয়ার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।