![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ নিয়ে সংশয় আছে অনেকের মধ্যে। এমনকি তাইওয়ানকে কি নামে ডাকা হবে তা নিয়েও।
খুব সহজ ভাবে বললে, চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশেরই অংশ। এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। যেটি ভবিষ্যতে কোন একদিন চীনের সঙ্গে বিলুপ্ত হবে।
তাইওয়ান নিজেকে কিভাবে দেখে সেটার উত্তর অবশ্য এতটা সরল নয়। সেখানে কোন কোন দল এবং জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চান। কেউ কেউ চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে।
infocrunchbd.blogspot.com
আর জনগণের একটা বিরাট অংশ এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি। তারা বরং তাইওয়ান এখন যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থাতেই থেকে যাওয়ার পক্ষে। অর্থাৎ চীনেরও অংশ নয়, আবার চীন থেকে আলাদাও নয়।
চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। তাইওয়ান দ্বীপের মূল ভূখণ্ড ফুরমোজা (পর্তুগিজে ইলিয়া ফ়ুর্মোজ়া অর্থাৎ সুন্দরী দ্বীপ) নামেও পরিচিত যা পূর্ব এশিয়ার চীনা মূল-ভূখন্ড তীরবর্তী অঞ্চল এবং জাপানের মূল-ভূখন্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
এক সময় ওলন্দাজ কলোনি ছিল। তবে ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে তাইওয়ান। এরপর জাপানীরা দখল করেছে এই দ্বীপ।
জাপানের দখলের সময়পর্ব
উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে জাপান তার সংস্কার আন্দোলন সম্পন্ন করার মাধ্যমে ধনতান্ত্রিক উন্নয়নের পথে প্রবেশ করে । ১৮৯৪ সালে জাপান চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধায়। এটা ইতিহাসে ১৮৯৪ সালের চীন-জাপান যুদ্ধ নামে পরিচিত। চীনের ছিং রাজ সরকার পরাজিত হয় এবং ১৮৯৫ সালে জাপানের সঙ্গে শিমোনোসেকি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এটা দেশের অধিকারহরণের এক অপমানজনক চুক্তি ,যা অনুযায়ী, তাইওয়ান দ্বীপ এবং ফেংহু দ্বীপপূঞ্জকে জাপানের দখলে ছেড়ে দেয়া হয় । ফলে তাইওয়ান জাপানের উপনিবেশে পরিণত হয় এবং ৫০ বছর স্থায়ী জাপানী দখল শুরু হয়।
জাপান তাইওয়ান দখল করার পর থাইপেই শহরে গভর্নর-দফতর স্থাপন করে। এটাই তাইওয়ানে জাপানী শাসনের সর্বোচ্চ সংস্থা । তাছাড়া জাপানী পক্ষ তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে থানা স্থাপন করে পুলিশ শাসন প্রবর্তন করে এবং তাইওয়ানে ঔপনিবেশিক শাসন ও “জাপানের রাজকীয় শিক্ষা” প্রবর্তন করে। একই সময়ে জাপান নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রথম দিকে তাইওয়ানকে তার কৃষি উন্নয়ন ও কৃষিজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণের একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে , তাতে তাইওয়ানের প্রক্রিয়াকরণ শক্তি ও পরিবহণ ব্যবস্থার ক্রমোন্নতি হয় । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকালে জাপান তার সমরবাদী দক্ষিণমুখী আগ্রাসী অভিযানের জন্য তাইওয়ানে সামরিক বিষয় -সংক্রান্ত বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়ন করেছে।
পুনরুদ্ধার এবং বিভক্তি
ইতিহাসের বাস্তব তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকালে আন্তর্জাতিক চুক্তি পুনরায় তাইওয়ানকে চীনের ভূখণ্ডের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে । ১৯৪৩ সালের ১ ডিসেম্বর চীন, যুক্তরাষ্ট্র, আর ব্রিটেন তিন দেশের যৌথভাবে স্বাক্ষরিত “কায়রো ঘোষণায়” লিপিবদ্ধ করা হয় : “জাপান যে সব চীনা ভূখণ্ড জবরদখল করেছে, যেমন মাঞ্চুরিয়া, তাইওয়ান, ফেংহু দ্বীপপূঞ্জ ইত্যাদি চীনকে ফেরত দেয়া হয়।” ১৯৪৫ সালের ২৬ জুলাই চীন , যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন তিন দেশ এবং পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশগ্রহণে স্বাক্ষরিত “পোট্স্ড্যাম ইস্তাহারে” পুনরায় ঘোষিত হয় যে, “ কায়রো ঘোষণায় লিপিবদ্ধ ধারাগুলো অবশ্যই কার্যকরী করতে হবে।”
বিচ্ছিন্নতার ইতিহাস
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মানুষই জেনে শুনে মন্দ কাজ করে না ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: দুই দেশের পাসপোর্টেই লেখা থাকে চায়না।