নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাভাষাপ্রেমী

নির্বেদ মানব

ভেজালহীন বাংলাদেশি

নির্বেদ মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব ইজতেমা : ইতিহাস ও ঐতিহ্য

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৯

বিশ্ব ইজতেমা :ইতিহাস ও ঐতিহ্য
বিশ্ব ইজতেমা বা বিশ্ব ইজতিমা, প্রতিবছর সাধারণত বৈশ্বিক যেকোনো বড় সমাবেশ, কিন্তু বিশেষভাবে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক বৈশ্বিক সমাবেশ, যা বাংলাদেশের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তাবলিগ জামাতের এই সমাবেশটি বিশ্বে সর্ববৃহৎ, এবং এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সাধারণত প্রতিবছর শীতকালে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়ে থাকে, এজন্য ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসকে বেছে নেয়া হয়।

‘তাবলীগ’ অনুসারীদের একটি বৃহত্তম সমাবেশ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা। তাবলীগ আরবি শব্দ, বালাগ শব্দ থেকে আগত। যার শাব্দিক অর্থ পৌঁছানো, প্রচার করা, প্রসার করা, বয়ান করা, চেষ্টা করা, দান করা ইত্যাদি। পরিভাষায় একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানোকে তাবলীগ বলে। তাবলীগ আদর্শ যিনি পৌঁছেন, তাকে মুবাল্লিগ বলে। বিশ্বনবী (স) এ প্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘আমার পক্ষ হতে একটিমাত্র বাণী হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’

'ইজতেমা' আরবি শব্দ যার অর্থ সম্মিলন, সভা বা সমাবেশ। 'বিশ্ব ইজতেমা' শব্দটি বাংলা ও আরবি শব্দের সম্মিলনে সৃষ্ট।

ইতিহাস
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার রমনা পার্কসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজি ক্যাম্পে ইজতেমা হয়, ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ওই বছর স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়ায় ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান অবধি ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলিগি দ্বীনদার মুসলমান জামাতসহ ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস [রহ.] ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় ইসলামী দাওয়াত তথা তাবলিগের প্রবর্তন করেন এবং একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমারও আয়োজন করেন। বাংলাদেশে ১৯৫০-এর দশকে তাবলিগ জামাতের প্রচলন করেন মাওলানা আবদুল আজিজ। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এই সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়।



আয়োজনের নিয়ম

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩১

পাউডার বলেছেন:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পিং বা পিকনিক হিসেবে বিশ্ব ইজতেমার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে।
কোরআন এর ইসলামের সাথে মিল না থাকলেও ইলিয়াস সাহেবের স্বপ্নের মাধ্যমে প্রাপ্ত তরিকার এই বিশ্ব-পিকনিক প্রতি বছর লাখ মানুষের রিক্রিয়েশনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: পাউডার ভাই আপনি নিশ্চিত যে এর সাথে ইসলামের কোন মিল বা বৈধতা নেই? আমি কনফিউশনে আছি।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

পাউডার বলেছেন:
মামুন রেজওয়ান - বৈধতা দুরের আলাপ। কোরআন বাদ দিয়ে ইলিয়াস সাহেবের স্বপ্নে পাওয়া তরিকা কেন মানব সেটা নিয়ে সারা দুনিয়ার কনফিউশন আছে।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এয়ারপোর্ট এলাকায় শতশত লোকজন সেদিন মওলানা সাদ'কে খুঁজতেছিল; পেলে কি ঘটার সম্ভাবনা ছিল?

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ইতিহাসের পুনঃপাঠ ভালই লাগে।


পাউডার, কুরআন বাদ দিয়ে ওরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে কিভাবে। দেখেন ভাই, কোন বিষয়ে পূর্ণ অবগত না হয়ে মন্তব্য করতে আপনাদের নবীজির হাদিসে নিষেদ করা হয়েছে।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইজতেমা করে দেশের কি উপকার হয়?
গত ৫২ বছরে কি কি উপকার হয়েছে?

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: দেশের প্রধান ব্যস্ত কিছু সড়কে যানজট বাধানো, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে কিছু উপরি ব্যস্ততা আর কান্নাকাটি করা, এই তিনটিই বিশ্ব ইজতেমার কাজ বলে বোধগম্য হয়।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

রায়হান চৌঃ বলেছেন: রাজীব নুর:
একটা উপকার হইছে ভাই, বাটা সু ফক্টরী এর পেছন টা কোন এক সময় সন্ধার পর মদ খাওয়ার আড্ডার যায়গা ছিল, বর্তমানে সেই জায়গায় হাগুখানা/মুত্রখানায় আপডেট হইছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.