![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবিউলের সব কিছু মাগনা পাইতে ভালো লাগে;কিন্তু মাগনা পাবে কই?সব কিছু এখন দাম দিয়ে কিনতে হয়।দামের মানদন্দ হলো টাকা,এই টাকা যদিয়ো কাগজের তৈরী,ছিড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে তবুও এই টাকা দিয়ে ছিড়ে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায়।রবিউল চায় তার ছিড়ে যাওয়া সম্পর্ক আবার জোড়া লাগুক,জোড়া লাগুক এমন ভাবে যেনো ফেবিকলের জোড়া দেয়ার মতো,আস্ত দু'হাতি দিয়ে যেনো ছিড়তে পারা না যায়।কিন্তু রবিউল তা পারবে না।ফেবিকল দিয়ে বস্তু জোড়া লাগানো যায় সম্পর্ক না।সম্পর্ক অদৃশ্য;ফেবিকলের দ্বারা এই জোড়া লাগানো যাবে না।টাকা দিয়ে সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায়।
রবিউলের আজ একটা সুযোগ এসেছে;সে তার ছেলেকে নিয়ে ঘূরতে বের হবে,অন্যদিন যা সে পারে না।সারা দিন সে ডার্চ বাংলা ব্যাংকের সামনে বসে থাকে।বসে বসে সে পাহারা দে।আজ ছুটি নিলো আর ছেলেটাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলো।
-বাবা তোমার অফিস কই?
-আগ্রাবাদ,কেনো?
-আমি তোমার অফিসে যাবো?
-আমি তো অফিস থেকে ছুটি নিলাম।কেনো যাবি?
-তোমার অফিস দেখবো।খুব ইচ্ছা করছে বাবা।
-আমার অফিসের মতো অফিস রাস্তা ঘাটে অনেক আছে।চল তোকে একটা দেখাবো।
-হুম!তোমার অফিসের মতো?
-হ্যা!হ্যা!চল।
রবিউল একটা ব্যাংকের বুথের সামনে এসে দাঁড়ালো।ছেলেকে দেখিয়ে বললো -এই তো বাবা আমার অফিসটা এমন টাইপের।
-আমি কি একটু ভেতরে যেতে পারবো।
ছেলে এই কথা শুনে রবিউল বিব্রত বোধ করলো।ভাবছে সে কি বলবে তার ছেলেকে,কিছুক্ষন ভেবে সে বলে দিলো-আচ্ছা চল।
-এই যে ভাই একটু কথা বলতে পারি?
-কন কি কইবেন?
-না মানে আসলে আমি আপনার মতো চাকরীজীবি।আমিও আপনার মতো ব্যাংকের বুথে চাকরি করি।
-ও আচ্ছা,আচ্ছা তো কি বলেন?
লোকটা একগাল হেসে কথাটা বলল।
-আমার ছেলে আসলে জানতে চায় যে আমি কিরকম অফিসে চাকরি করি,বুঝেন তো ছেলে মানুষ। তো আমি বলে দিলাম যে এই...
-বুঝা ফেলাইছি,আর কইয়তে হইবো না ভাই।যান বুথের ভেতর নিয়ে যান পোলারে।বেশিক্ষন থাকিয়েন না আর কি,বুঝেন তো!
-হুম!বুঝি ভাই,বুঝি।
রবিউল তার ছেলেকে নিয়ে বুথের ভেতরে ঢুকলো।ছোটো মানুষটিকে নিয়ে বুথে ঢুকে রবিউল একটু হিতস্থত বোধ করলো।এইখানে সবাই কাজে জন্যে ঢুকে কিন্তু তারা ঢুকেছে বেকাজে,সাধ মেটাতে।কিছুক্ষণ থেকে রবিউল তার ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে এলো।দারোয়ান সাহেব তাহাদের দিকে তাকিয়ে হাসলো,রবিউল স্মিত হাসি দিলো।
-বাবা ঐখানে তো অনেক ঠান্ডা।
-হুম বাবা,এসির বাতাস।
-বাবা ঐখানে তো চেয়ার টেবিল দেখলাম না আর যে মেশিনটা ছিলো ঐটা কিসের।
-ঐটা থেকে টাকা বের হয় বাবা।
-ঐটা কি টাকার মেশিন বাবা?
-হুম বাবা।
তাহলে বাবা আমাদের এতো অভাব কেনো,তুমি কি টাকা বানিয়ে আনতে পারো না আমাদের জন্যে।মায়ের যে ভীষণ অসুখ তার জন্যে টাকা আনতে পারো না ঐ মেশিন থেকে।
-চল বাবা চিপস খাবি।
-না বাবা বলো না,তুমি টাকার মেশিনে ঠেকে কেনো আমাদের জন্যে টাকা বানাও না। তাহলে তো মা ভালো হয়ে যেতো।আর তুমি তো ইচ্ছা করলে পারো ঐ মেশিন দিয়ে টাকা বানাতে।
রবিউল ভাবছে সে কিভাবে বুঝাবে টাকার মেশিনের কথা।ছোটো ছেলে কি বুঝবে এইসব।
-চল বাবা তোর মা কে দেখতে যাই।
-হু!চলো।
রবিউল তার ছেলেকে নিয়ে মেডিকেলে দিকে হেঁটে চলছে আর ভাবছে টাকার মেশিনের কথা।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৫
নিরীহ বালক০০৮ বলেছেন: হুম ভাই। আজব জীবন।চোখের সামনে টাকার ভান্ডার থেকেও কিছু মানুষ খরচ করতে পারেনা।কারণ তাতে তার অধিকার থাকেনা।ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম...
টাকা বিক্রেতার এক গল্প পড়েছীলাম। তার সামনে থাকে থাকে সজ্জ্বিত নতুন কড়কড়ে নোট..কিন্তু সে বউয়ের ।ৌষধ কিনতে মেয়ের জামা কিন্তে টাকা খূজে পায় না!!!!
+++