![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসাবধানে গাল কাটা গেলো মিনারের্।এইভাবে গাল কাটবে ভাবতেও পারেনি মিনার্।চেনা কিন্তু অদেখা প্রমিকার সাথে দেখা করবে সে।অস্থির মনে খোঁচা দাড়ি কাটতে গিয়ে এখন গাল কাটা মিনারে পরিনত হয়েছে।কি দরকার ছিলো এইভাবে সেভ করার;দোকানে গিয়ে সেভ করলে আজ এমনটা হতো না।
পানির ট্যাব ছেড়ে দিয়ে মিনার সামনের ছোটো আয়নার দিকে তাকিয়ে রইলো।দু'হাতে কোল করে পানি নিয়ে মুখমণ্ডলে পানি ঝাপটা দিতেই কাটা জায়গাটা যেনো ঝলসে উঠলো।বাথরুম হতে বের হয়ে মিনার খুব যত্ন করে ইস্ত্রি করা আকাশী শার্ট আর নীল জিন্সটা পড়ে নিলো।
নিলা আর মিনারের আজ প্রথম দেখা।প্রথমে ফেইসবুকে তার পর মোবাইলে আর আজ সামনাসামনি যোগাযোগ হবে।কিন্তু এই কাটা গাল নিয়ে কিভাবে দেখা করবে মিনার;একেতো সুন্দর না তার উপর কাটা গাল।
মিনার কিছুক্ষণ পর বাসা হতে বের হলো আর রিক্সা নিয়ে আগ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রাওনা দিলো।
-এই ভাই আস্তে চালান। আমার তাড়াহুড়ো নেই।
-আস্তেই তো চালাইতাছি।
-আরো আস্তে চালান।
অন্য সময় মিনার তাড়াহুড়ো না থাকলেও দ্রুত চালাতে বলতো কিন্তু এখন বলছে না।কারণ বাতাসের বেয়াদবিতে তার সুন্দর করে আঁচড়ানো চুল এলোমেলো হয়ে যাবে।
সুনসান পরিবেশ আর মিনার রেস্তোরাঁয় বসে নিলার জন্যে অপেক্ষা করছে।কিছু সময় পর দেখা গেলো তিনটা মেয়ে এসে যেখানটায় মিনার বসে ছিলো তার সামনের টাবিলে বসলো।
মিনার ভাবছে সে কি এই গাল কাটা অবস্থায় তাদের সামনে দাড়াবে।কাটা গালে ছোট করে ব্যান্ডেজ লাগানো।খুব হিতস্ততা বোধ করছে সে।
-কিরে তোর ঐ নাগর কই।
-আসবে।হয়তো একটু দেরী হচ্ছে আর কি।
মিনার এবার বুঝতে পেলো নিপা কে।কিন্তু অবাক হয়ে গেলো।ফেইসবুকে যে নিপা আরো সুন্দরী ছিলো!হায়রে;সব ফটো এডিটের কাজ।
অন্য পাশের মেয়েটি বলে উঠলো -নিপা ছেলেটা এলে কি খাওয়া দাওয়া হবে?নাকি না আসা পর্যন্ত এইভাবে শুকনা মুখে বসে থাকতে হবে।
-আরে না ঠান্ডা ড্রিংকস কি খাবি অর্ডার দে।
-টাকা পয়সা কেমন আছে ছেলেটির?
-খারাপ না।ভালো জব করে।একটা কল দিয়ে দেখি কোথায় এখন।
মিনারের মোবাইল সাইলেন্ট করা ছিলো।ফোন রিসিভ করে চাপা ভাবে বললো।
-হ্যালো।
-হুম আর বেশিক্ষন না আমি আসছি।তুমি আর তোমার বান্ধবীরা কিছু খেয়ে নাও।
-তাড়াতাড়ি এসো।
-আচ্ছা।
ফোনের লাইন কেটে দিলো মিনার্।
-কিরে আসছে।
-হুম।
-তাহলে অর্ডার দিবো?
-দে।
-পরে কোনো আবার বলিস না বিল দিতে।
-আরে না।
-নিপা এটা কতো নাম্বার হাবলা রে।
-দেখ আসমা হাবলা ডাকিস না।
-কেনো রে!তুই কি ওর প্রতি সিরিয়াস।
-না।যদি দেখি ছেলের টাকা পয়সা আছে তাহলে ঝুলে পড়বো।
-কি বলিস নিপা তাহলে রুদ্র এর কি হবে।
-কি আর হবে ছ্যাকাবিষয়ক মন্ত্রী হবে।
হা হা হা বেপক হাসির রোল পড়ে গেলো।
ওয়েটার....
মিনার অবাক হয়ে শুনলো সব কিছু।
সোজা হেঁটে বেরিয়ে যাবার আগে সে কাউন্টারে গেলো।
-বিল কতো।
-জি ৭০ টাকা হয়েছে।
-হুম;এই নিন।
মিনার নিজে যা খেলো তার বিল দিলো।একটা ড্রিংকসের দাম ৭০ টাকা,না জানি আরো কিছু খেলে কতো বিল আসতো।রেস্তোরাঁর থেকে বের হয়ে মিনার হাটতে লাগলো।
মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো।
-হ্যালো তুমি কই জান।
-এইতো আর দশটা মিনিট।
-তাড়াতাড়ি এসো। আমার যে আর ভালো লাগছে না।
-হুম।
মিনার পেছনে ফিরে গেলো।রেস্তোরার কাউন্টারে গিয়ে বলবো ৭ নং টেবিলের বিল কতো হয়েছে জানতে পারি?
-দু'হাজার পচিশ টাকা।কেনো?
-না এমনি।
আবার বাইরে এসে নিজেকে গুছিয়ে নিলো মিনার আর ভাবছে আহা গালটা কাটা গিয়ে ভালোই হলো।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: বর্তমান মেয়েরা কি এমন হয়?
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটি।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২০
নিরীহ বালক০০৮ বলেছেন: দু:খিত যথাসময়ে কমেন্ট করতে পারি নি। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। :-)
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২৩
নিরীহ বালক০০৮ বলেছেন: বঙ্গভূমির ভাই হয়তো।:v
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০২
শ্লোগান০০৭ বলেছেন: ভালো লেগেছে....... চালিয়ে যান