শুভ্র

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪০

শুভ্রকে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম

হতে জাগতে হয়,অফিসে যাওয়ার

জন্যে তার এই

স্বভাব,কিন্তু ঈদের

ছুটিতে অফিসে যাওয়ার

কোনো তাড়া তার নেই

আবার এতো সকাল সকাল

উঠেও করার কিছু নেই তাই

বেলা করে উঠা চেষ্টা।

সকাল ৮ টা বেজে ১৭

মিনিট এখন।বিছানার

পাশেই জানালা,আর

সেখানেই বসে অনেকক্ষণ

ধরে একটা পাতি কাক

কা-

কা করে ডেকে চলছে।

অনেকটা সময় এই কা-

কা সহ্য

করে বালিশে মাথা গুজে ছিলো সে;পারেনি আর,শুয়ে থেকে এই

কাক তাড়ানো চেষ্টায়

লেগে গেলো।

বালিশের

পাশে থাকা হুমায়ুন

আজাদের "আমার

অবিশ্বাস"

বইটা ছুড়ে মারলো জানালার

দিকে,জানালার

কপাটে আঘাত

লেগে ফিরে এসে বইটা পড়ে গেলো।

কাকটা আসলেই মারাত্মক

গাদার্।ভয়

পেয়ে উড়ে গিয়ে আবার

এসে কা-

কা করতে লাগলো।

শুভ্রর মনে হতে লাগলো এই

কাকের গলাটা মধুর

হলে কি এমন ক্ষতি হত।

কোকিলের কর্কশ সূর্ আর

কাকের মিষ্টি সূর্

হলে কি এমন

ক্ষতি ছিলো,তাহলে অন্তত

কাকের মধুর ডাকে ঘুম

ভাঙ্গত।এখন এদেশের

মানুষের কাকের কর্কশ

ডাকে ঘুম

ভাঙ্গে...রাগ্বানিত

চিত্ত কি আর এমনি হয়

বাঙ্গালীর;যেখানে ঘুম

হতে উঠতে হয় কর্কশ গলার

অধিকারী কাকের ডাক

শুনে।

জানালার গ্রিলের

ফাঁকে পা দিয়ে বালিশের

নিচে থাকা গোল্ডলিফ

সিগারেটটা মুখে নিয়ে ফুঁকতে লাগলো শুভ্র,সিগারেটটা

বালিশের চাপে পিষ্ট

হয়ে থেবড়া হয়ে আছে।

বিরক্তের

সীমা রেখে তার

টানতে হচ্ছে নিকোটিন;আর

কাকের কর্কশ গলার ডাক

শুনতে হচ্ছে।

০ টি +০/-০