![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুভ্র অফিস থেকে ফিরছে।নিন্মমধ্য
বিত্ত পরিবারের ছেলেদের
বাসে চড়েই বাসায় ফিরতে হয়।
তারা চাইলেই
পারেনা পাইভেট
বাহনে এলিয়ে গা ছেড়ে বাসায়
ফিরতে।শুভ্র বাসে উঠেই অনুভব
করলো নরক যন্ত্রনা।গাদাগা
দির
মাঝে দাড়িয়ে আছে বেপরোয়া গাধার
মত।
বাসে উঠে তাকে এই নরক
যন্ত্রনার মাঝে খেয়াল
রাখতে হয় পকেটের দিকে।নরম
ভাবে দু'আঙ্গুলের কেউ যদি গরম
কাজ সেড়ে দেয় তো সারা মাস
দুর্ভিক্ষে থাকতে হবে।
আশেপাশের সবার শরীর
হতে ঝাঁঝালো ঘামের গন্ধ বের
হচ্ছে।এই ঝাঁঝালো গন্ধ
নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের
সইতে হয়।
মোবাইল ফোন বেজে উঠলো…
-হ্যালো মা।
-কই তুই?
-বাসে।
-তাড়াতাড়ি বাসায় আয়।
-আচ্ছা।
-সাবধানে আসিস বাবা।
-হুম।
মায়ের চিন্তা।মেয়েরা মায়ের
চেয়ে বেশি ভালোবাসে বাবাকে।
বাবার সাথেই মেয়ের যত
দুষ্টামি,যত আহ্লাদ।আর বিয়ের
পর তার
ছেলেকে মায়েরা বাবা ডাকতে শুরু
করে।ভালোবাসার
উপাধি পেয়ে যায় ছেলে।
বাবা নামক উপাধি।
শুভ্র তার মায়ের বাবা নয়।তবু
মা তাকে প্রায় বাবা ডাকে।
বাবা নামক ভালোবাসা যুক্ত
উপাধি।
আগ্রাবাদ এসে বাস থাকলো।
শুভ্র বাস থেকে নেমেই শীতল
ভাব অনুভব করতে লাগলো।
ঘামযুক্ত শরীরে এসির বাতাসের
মত অনুভূতি।
রাস্তা পাড় হয়ে মিজানের
দোকানে এগিয়ে গেলো সে।
-মিজান আলু পুরি দে।আর
সালাদ বাড়াই দিস।
-লন ভাই।
-দুইখান আলুর চপ দিস।
নিন্মমধ্যবিত্ত
ছেলেরা ভালো ভাবেই
সস্তা বার্গার বানাতে পারে।
পুরির ভেতর আলুর চপ আর
সালাদ মুড়িয়ে বার্গার
বানানো হয়।এর নাম
সস্তা বার্গার্।
নিন্মমধ্যবিত্তদের অনেক কিছুই
মেনে নিতে হয়,অনেক কিছুই
শিখে রাখতে হয়।কারণ নিন্ম
মধ্যবিত্তরা হাত
পাততে পারে না।আবার খুব
বাজে ভাবেও চলতে পারেনা।
নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের
মান-সম্মান একটু বেশিই হয়।
©somewhere in net ltd.