নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

তীর্থক

71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।

তীর্থক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধী/রাজাকার আর ভারতে'র দালালদের জন্য ১০০ নম্বরে'র হালাল প্রশ্ন? -২

১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

Click This Link



উপরের লিংকের ধারাবাহিকতায়.......



১) প্রথম কথা হচ্ছে রক্তপাতহীন ছিল কি ছিল না সেটা মানতে হচ্ছে আমাদের রাজনীতিবিদদের কথার উপরে ভরসা করে। কিন্তু আমরা খুব ভালো করেই জানি আমাদের দল মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতারা মিথ্যাচার করতে কতটা পছন্দ করেন। নিজেদের স্বার্থে তারা দিন'কে রাত এবং রাত'কে দিন করতে কোনও দিধাই করে না। (কারও নাম উল্লেখ করে বিতর্ক ছড়ালাম না)।



২) প্রথমত কর্মদিবসে শাপলাচত্ত্বরের মত জায়গায় সমাবেশ করার অনুমুতি দেয়াটাই কি ভুল সিদ্ধান্ত না? একটা এরকম মারাত্বক ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল খুব সহজে কি হয়?



আর সাধারন মানুষের কি ক্ষতি হত? সরকার তো কোন গুলিই ছোড়েনি। কোনও রকম প্রানহানী এড়িয়ে সুকৌশলে........।



তাছাড়া সরকার আর একটু না, আরও অনেক সময় দিতে পারত। নেগোসিয়েশান অনেক আগেই সরকার পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং মাঝরাত পর্যন্ত আসলে সময় দেয়া হয়নি; সুকৌশলের

মন্ঞ তৈরি করা হয়েছে।



৩) সমস্যা হয়েছে জামাত-শিবির এটার সুবিধা নিতে চেষ্টা করছে। মিডিয়া ছিলনা মানেই হচ্ছে ভয়ংকর কিছু হয়েছে। এই সুযগে জামাত-শিবিরের লোকজন ইনটারনেট থেকে ভুয়া ছবি নামিয়ে ৬ মে হত্যাকন্ড বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আর এটা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। সুকৌশলে...............



একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।



৪) দোষ এড়ানোর সংস্কৃতি'র বিষয়ে আপনার যুক্তির সাথে সম্পুর্ন একমত। কিন্তু আমি ঠিক কি বলতে চেয়েছি সেটা হয়ত আপনি ধরতে পারেন নি।

আমি বলতে চেয়েছি হেফাজতের প্রথম সমাবেশে কোনও ঝামেলা যে হলনা এটা কার কৃতিত্ব? নিশ্চয়ই হেফাজতের। কেননা তারা সুশৃঙ্খল ছিল এবং তাদের কে যে কেউ উস্কানি দেয়নি সেটাও কিন্তু সরকারের কৃতিত্ব না। হতে পারে সরকারের তার সংগঠনগুলোকে এবং জোটগুলোকে উস্কানি না দিতে করা নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল।

কিন্ত ৫মে র সমাবেশে এত মারামারি, আগুন দেয়া আর প্রানহানি ঘটার দায় কি আগে সরকারে উপরে আসে, না কি হেফাজতের উপরে? সারা বাংলাদেশ থেকে তারা এসেছে কিন্তু কোথাও কোনও মারামারি, আগুন দেয়া আর প্রানহানি'র ঘটনা ঘটেনি। তার অর্থ কি এই যে তাদের পরিকল্পনাই ছিল যা কিছু করবে সব মতিঝিলে এসে করবে? কোনও উস্কানি কি ছিল না? না কি উস্কানি ছিল এবং সেটাও ছিল সরকারে সুকৌশলের অংশ?



৫) দোষ এড়ানর রাজনীতির বিষয়ে আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত। তবে হেফাজতিরা আগে কখনও কোথাও পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে কি না আমার জানা নেই। আসলে কোরআন পোড়ানো ব্যাপরটার সাথেই আমরা নতুন করে পরিচিত। যে দলের সমর্থনই করি না কেন কিংবা কারও সমর্থন না করলেও কোরআন পোড়ানো (যে কোনও ধ্রমগ্রন্থ পোড়ানো) কোনও ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয় আর মানতে কষ্ট হচ্ছে (সেই সঙ্গে সন্দেহও হচ্ছে) যে হেফাজতিরা কোরআন পুড়িয়েছে।



৬) আপনার এই মতের সাথে সম্পুর্ন দ্বিমত পোষন করছি।

প্রথমত কর্ম ব্যস্ত দিনে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত কখনই সঠিক হতে পারে না। সরকার হেফাজতিদের শুক্রবার সমাবেশ করার প্রস্তাব দিতে পারত।

দ্বীতিয়ত সমাবেশ করার অনুমুতি যেহেতু দেয়াই হল সেহেতু সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে অবস্যই অপিস-আদালতের লোকজনকে সমাবেশ শুরুর আগেই সম্পুর্ন এলাকা ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া উচিৎ ছিল। কারন, হেফাজতিরা বলেই এসেছিল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান করবে। এর অর্থই হচ্ছে সাংঘাতিক কিছু ঘটতেও পারে। সরকারের অবস্যই সতর্কহওয়া উচিৎ ছিল।

আমাকে বলুনত, হেফাজতের নাশকতার পরিকল্পনা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা টের পায়নি কেন? কখনও টের পায়না কেন? বিডিআর বিদ্রোহের কাথাই ধরুন। সরকার কি কিছু জানত? গোয়েন্দা সংস্থা কি কিছু টের পেয়েছিল। নাকি গোয়ন্দা সংস্থা সবই টের পায় কিন্তু সরকারের সুকৌশলের কাছে মার খেয়ে যায়।

আর ১৪৪ ধারা জাড়ি করে সরকারি দলের এবং বিএনপির সামবেশ বন্ধ করা গেল, হেফাজতিদেরটা ব্ন্ধ করা যেত না?

বাকশাল তো অলরেডি কায়েম হয়ে আছে ভাই। তা না হলে ২টি চ্যানেল বন্ধ, একটি সংবাদপত্র বন্ধ আর বাতি নিভিয়ে মিডিয়া কর্মিদের সরিয়ে অপারেশন কখনই সম্ভব হত না।

ভাইজান, সংকট তৈরি করে তারপর সমাধানের চাইতে সংকট সৃষ্টির আগেই তা তৈরি না হতে দেয়ার পরিকল্পনা কি বেটার অপসন নয়?



৭) আপনার এই মতের সাথেও দ্বিমত পোষন করছি।

হেফাজতের প্রথম সমাবেশের আগে সরকার কিন্তু ঢাকামুখি দুরপাল্লার গাড়ি চলাচাল বন্ধ করেছিল। ফলে হেফাজতিরা ঢাকায় আসতে আসতেই সংক্ষায় এবং শক্তিতে দুর্বল হয়ে পরেছিল। এর উপরে যদি ১৪৪ ধারা থাকত তাহলে আরও দুরবল হত। এই কৌশলগুলো করে যদি ৬মে কে এড়ান যেত তাহলে কি সেটা সুশিল-কুশিল সমাজের মায়া কান্নার চাইতে বড় সাফল্য হত না?

আর শুশিল সমাজের কান্না'কে কোন সরকার কবে কেয়ার করেছে একটু বলবেন কি? যদি কেয়ার ই করত তাহলে বিএনপি আর আওয়ামিলীগে'র আজকের রাজনৈতিক সংকট আর গোড়ামির কারনে দেশ এবং দেশের মানুষ যেভাবে সাফার করছে তা অবস্যই করত না। একমত?



৮) আবারও আপনার মতের সাথে দ্বিমত পোষন করতে হচ্ছে।

হেফাজতের কর্মসুচি ছিল অবরোধের। কিন্তু সেটাও তো কোনও গ্রহনযোগ্য কর্মসুচি নয়। তাই না? লাগাতার অবরোধ মানে রাজধানী গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। সেটা করার অনুমুতি সরকার কি করে দেয়? যে সুকৌশলে প্রানহানী এড়িয়ে হেফাজতিদের ঢাকা থেকে বিতারিত করা হল সেই একই সোকৌশলে তাদের কে ঢাকা পর্যন্ত আসা কি বন্ধ করা যেত না?

মোদ্দাকথা সরকার হয় পুরো ব্যাপারটা নিয়ে সেরিয়াস ছিল না অথবা সুকৌশলটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল না.............



৯) সমাবেশ করে চলে যাবে এমন কিছু বলেছিল কি না সেটা আমার জানা নেই।

আমিতো অবরোধ করতে দেয়ারই পক্ষে না। তাই অবরোধ পয়েন্টে তাদেরকে আটকাতে গেলে কি হত সেটা ভাবা অবান্তর। আর অবরোধ পয়েন্টগুলো ঢাকার বাইরে ছিল। সারা ঢাকায় কভাবে ভাংচুর করত বুঝলাম না।

সময় নিয়ে নেগোসিয়েশান করলে লাভ হত না কি ক্ষতি হত সেটা কিন্তু আপনি বা আমি কেউই জানি না। কিন্তু সময় নিয়ে নেগোসিয়েশান করলে একটা জিনিস অন্তত হত আর তা হচ্ছে জনসাধারন দেখত সরকার সম্ভাব্য সংঘত এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

আর অন্যকেউ সুবিধা নেয়ার কথা বলছেন, অন্যকেউ কি এখন সুবিধা নিচ্ছে না বা নেয়ার চেষ্টা করছে না?



১০) সহমত। উই নিড এ মাহাতির। উই নিড সামওয়ান হু উইল লাভ দা কান্ট্রি অ্যাবাভ অল এন্ড এভরিথিং।



জয় বাংলা..................।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.