নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

তীর্থক

71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।

তীর্থক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ সৃষ্টির কুল কিনারা..................

২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

পৃথিবী'তে মানুষের আগমনের কারন কি?



এই প্রশ্নের জবাব বিভিন্ন বিদ্যান ব্যক্তিরা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে, যার যার দৃষ্টিকোন থেকে কিংবা এই বিষয়ে দীর্ঘদিনের চর্চালব্ধ গ্য়্যান থেকে।

কেউ কেউ বলেছেন, মানুষের জন্ম হয়েছে স্রষ্টার সাধনা এবং গুনকির্তন করার জন্য (এটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন)। আবার কেউবা বলেছেন মানুষ প্রকৃতির বিবর্তনের ফল। অন্যান্য প্রাণীর যেভাবে জন্ম হয়েছে ঠিক তেমনি। অর্থাৎ কোনও বিশেষ কারন নেই। জন্ম হয়েগেছে প্রকৃতির ইচ্ছামত। ডারউইনে'র মত হচ্ছে, বানর থেকে মানুষের জন্ম (বিবর্তনবাদ)। এটা অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু কেন মানুষের জন্ম হল তা ডারউইন ব্যক্ষাকরার প্রয়োজন মনে করেন নি।



এমনি বিভিন্ন মতামতের মধ্যে একটি মত হচ্ছে মানুষের জন্ম হয়েছে প্রজোনন ও বংশ বিস্তার করার জন্য। অর্থাৎ মানুষ জন্মাবে, শারিরিক সক্ষমতা লাভ করবে, প্রজোনন করবে, বংশ বিস্তার করবে (অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য) এবং তারপর মরে যাবে। এটিও অনেকে বিশ্বাস করেন। কিন্তু তাহলে মানুষ আর একটি জানোয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি? ওরাওতো শুধু জন্মায়, শারিরিক শক্তি লাভ করলেই প্রজোনন ক্রিয়ায় ঝাপিয়ে পরে, বংশ বিস্তার করে এবং একদিন মরে যায়। শুধু পার্থক্য হল ওরা প্রজোনন ক্রিয়াটিকে আর দশটি জৈবিক চাহিদার মত যথেচ্ছা ব্যবহার করে। অন্যদিকে মানুষ এই চাহিদাটিকে যথা সম্ভব অন্যের চোখের আড়াল করে রাখতে চেষ্টা করে কারন তারা এটাকে একান্ত নিজস্ব একটি ব্যাপার মনে করে। এর শোভন নামকরন হচ্ছে "ভালোবাসা"।



আমি জানিনা অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ভালোবাসা ব্যাপারটার অস্তিত্ব আছে কি না; না কি তারা শুধু শারিরিক চাহিদা মেটাতেই প্রজোনন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। তবে যদি আমরা বিশ্বাস করি যে, "মানুষ প্রকৃতির বিবর্তনের ফল" তাহলে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে মানুষ এবং অন্য জানোয়ারের মধ্যে সৃষ্টিগত কারনে কোনও পার্থক্য নেই। উভয়েই প্রকৃতির ইচ্ছায় জন্মেছে এবং প্রকৃতির ইচ্ছায় একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমনভাবে ডায়নোসরের মত বিশাল প্রাণীও একদিন ধংস হয়ে গেছে।



কিন্তু এটা ভেবে কোনমতেই সস্তি পাই না যে মানুষ কুকুর বিড়ালের মতই একটি প্রাণী যার জন্ম হয়েছে সম্পুর্ন অর্থহীনভাবে। যদি তাই হত তাহলে মানুষ রকেট তৈরি করল কি করে, চাঁদে গেল কি করে, কম্পিউটার, মোবাইল, রেডিও-টেলিভিশান (আরও অশংক্ষ সব কল্পনাতিত জিনিসপত্র) এগুলো সৃষ্টি করল কি করে? মানুষ ছাড়া আর কোনও প্রাণী কি এই অদ্ভুত সব সৃষ্টি করতে পেরেছে? ইনফ্যাক্ট মানুষ ছাড়া আর কোনও প্রাণী কি নিজে থেকে কিছুই সৃষ্টি করতে পারে? তারা প্রকৃতির সৃষ্টিকে বিভিন্নভাবে (স্বল্প মাত্রায়) ব্যবহার করে (যেমন পাখিরা বাসা বানায়) আর ধংস করে। মানুষও তাই করে। তবে মানুষের সৃষ্টি'র সাথে অন্যান্য প্রানির সৃষ্টির কি কোনও তুলনা চলে? এ থেকে কি প্রমানিত হয়না যে মানুষে'র সৃষ্টি যে কারনেই হোক না কেন পশুপাখির সাথে মানুষ'কে কখনই এক কাতারে ফেলা যায় না?



মানুষে'র সৃষ্টি হয়েছে অবশ্যই কোনও বিশেষ কারনে যা আমরা জানিনা বা ধরতে পারছি না। মানুষ ছাড়া আর কোনও প্রাণী'কে সৃষ্টি'র উপরে কর্তৃত্ব করার এত ক্ষমতা দেয়া হয়নি। কেন? কারন তো কিছু নিশ্চয়ই আছে। যুগ যুগ ধরে সাধনা চলছে সেই কারন বের করার। হয়ত সেই রহস্য ভেদ হওয়া পর্যন্ত আমরা বেঁচে থাকব না। কিন্তু আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম'কে রেখে যাচ্ছি। তারা নিশ্চয়ই আমাদের চেয়েও বেশি তৃষ্নার্ত থাকবে আর সমাধান করবে এই জটিল রহস্যের!!



আপনাদের মতামত আশা করছি।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

আহলান বলেছেন: মানুষ সৃষ্টি হয়েছে ব্লগিং করার জন্য

২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

তীর্থক বলেছেন: তাই...... খুব দ্রুত সমাধানে পৌছে গেলেন....... কনগ্রাচুলেশানস্ ;-)

২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছুটির দিনে এত জটিল জিজ্ঞাসা করলেন !!! :||

বৈজ্ঞানিক বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের কথা আপনি বলেই দিয়েছেন। সেদিকে তাই গেলাম না ! আর গেলেও বিশেষ কিছু বলতে পারতাম না ।

উঁকি দিয়ে গেলাম আপনি আছেন কিনা দেখতে !

২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

তীর্থক বলেছেন: আছি। হঠাৎ কিছু লিখতে মন চাইল। তাই লিখে ফেলা...

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তাহলে মানুষ রকেট তৈরি করল কি করে, চাঁদে গেল কি করে, কম্পিউটার, মোবাইল, রেডিও-টেলিভিশান (আরও অশংক্ষ সব কল্পনাতিত জিনিসপত্র) এগুলো সৃষ্টি করল কি করে?

যেখানে পৃথিবীর বয়স ৫০০ কোটি বছর।
মানুষের উদ্ভব হয়েছে মাত্র ২.৫ কোটি বছর আগে।

ডায়নাসর বিলুপ্ত হয়ে গেছিল তার ১২ কোটি বছর আগেই,
তার মানে মানুষ এসেছিল খুব সম্প্রতি।
মানুষের আড়াই কোটি বছরের ৯৫% সময়ই বনে জংগলে ফলমুল খেয়ে বনের পশুদের সাথে কাটিয়েছে। ১০ হাজার বছর আগে পাথরের অস্ত্র থেকে লোহার হাতিয়ারে আসতে ৫০০০ বছর লেগেছে।
প্রধান ধর্ম, ইহুদি, খ্রীষ্টান, হিন্দু, বৌধ্য চালু হয়েছে প্রায় ৫০০০ - ৬০০০ বছর আগে
ইসলাম ধর্ম এসেছে ১৪০০ বছর আগে।
জেমস ওয়াটের স্টিম লোকোমটিভ আসলো প্রায় ২০০ বছর, তার পর শিল্প বিপ্লব .....

তার মানে মানুষের আড়াই কোটি বছরের ইতিহাসে মানুষ ভদ্র হইছে মাত্র সেদিন!

২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

তীর্থক বলেছেন: হুমমমমম। ধন্যবাদ। মানুষ সেদিন ভদ্র হইছে কিংবা ভদ্র পোষাক পরা শিখছে। কতটা ভদ্র হইছে সে প্রশঙ্গে লিখব অন্য কোনদিন। কিন্তু অন্য কোনও প্রাণী কিন্তু আজ পর্যন্ত ভদ্র হইতে পারে নাই। তাই না?

তার মানে মানুষ অন্য প্রাণীর চাইতে আলাদা। আর মানুষের সৃষ্টি অন্য প্রাণীর মত শুধু বংশ বিস্তার করার জন্যই হয় নাই। রহস্য কিছু আছে.....

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

এরিস বলেছেন: এই রহস্য উদঘাটন করা আদৌ সম্ভব কি না জানি না। আর সম্ভব হলেও মনে হয়না আমাদের জীবদ্দশায় সেটা জেনে যেতে পারবো কিনা। আপনার চিন্তা আর বিশ্লেষণ দুটোই ভালো লেগেছে। মানুষ!! এক অপার বিস্ময়!!!

ভালো লাগা জানবেন। আপনাকে অনুসরণ করলাম।

২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

তীর্থক বলেছেন: ধন্যবাদ...... আপনার লেখা আমি পড়ি; কিন্তু কখনো মন্তব্য করা হয়না। আসলে মন্তব্য করা ব্যপারটা বেশ জটিল লাগে আমার কাছে। একটা মন্তব্য লিখতে অনেক সময় নিয়ে ফেলি। তাই পড়াটাই বেশি পছন্দ, মন্তব্য করার চাইতে।

প্রায় আড়াই কোটি বছর ধরে মানুষ পৃথিবীতে বাস করছে। সৃষ্টি রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে সেও অনেকদিন। কিন্তু মানুষ যতই আধুনিক হোক না কেন সৃষ্টি রহস্যে'র ব্যপারে সেই অন্ধকারেই আছে এখনও। বরং আরও যেন অন্ধকারের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে।

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল :-)

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

বোকামন বলেছেন:






মানুষ যখন বুঝতে পারে সে একজন মানুষ !
তখন রহস্যটি আর জটিল থাকে না সহজ হয়ে যায় .....

পোস্টে ২+
সাধনা অব্যাহত থাকুক :-)

ভালো থাকবেন, শুভকামনা।

২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১১

তীর্থক বলেছেন: আমার কাছে এখনও জটিল লাগছে। মনেহয় আমি যে মানুষ তা এখনও বুঝতে পাড়ি নি :-)

+ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনিও ভালো থাকবেন!

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রাকৃতিক ভাবেই মানুষ অন্যান্ন প্রানীদের চেয়ে আলাদা ছিল, যেহেতু কালের বিবর্তনে মানুষের মগজ অন্যান্ন সহপশুদের তুলনায় অনেক বড় হয়েছিল। তাই চিন্তাশক্তিও তৈরি হয়েছিল, খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা ভাল, এইটা মাথায় ছিল।
অন্যান্ন পশু শিকার পেলেই মেরে তাৎক্ষনিক ভাবে খেয়ে ফেলত, পুরোটা খেতে পারতো না, পেট ভরে গেলে বাকিটা পরে থাকত, রাতে হায়নাদের খাবার হত।
মানুষও প্রথম প্রথম তাই করত,
পরে ভাবতে শিখলো, বনছাগল শিকার করে সাথে সাথেই মেরে ফেলা ঠিক না, বেধে রেখে কাঁঠালপাতা খাইয়ে, বড় করতে হবে, বাচ্চা হওয়াতে হবে। হিংস্র প্রানীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গাছের কান্ডের বেড়া বানাতে হবে, শীতের হাত থেকে বাঁচতে হবে। মানুষতো ভাল্লুক বা গিড়গিটির মত শীতনিদ্রা দিতে পারত না।
প্রাকৃতিক ভাবে প্রাপ্ত বাড়তি মগজ আর সুবিধাজনক হাতের গঠন কারনেই মানুষ অন্যান্য প্রানীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল।

এসব নিয়ে একটি পোষ্ট দেয়ের ইচ্ছা ছিল, লিখেওছিলাম কিছুটা, আগাতে পারিনি সময়াভাবে .....

একটু ভিন্ন বিষয়ে আমার একটি পুরনো লেখা -
Click This Link

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

তীর্থক বলেছেন: কিন্তু মানুষ'কে বড় সাইজের মগজ আর সুবিধাজনক হাতের গঠন দেয়া হল কেন? কোনও কারন নেই?

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি শুধু একগুচ্ছ +++++++++++++++++++++++++++++++দিলাম

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭

তীর্থক বলেছেন: ধন্যবাদ........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.