নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

তীর্থক

71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।

তীর্থক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা'র আঁকি বুকি.........

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৭

ভালোবাসা কি?



ভালোবাসা হচ্ছে এমন একটা অনুভূতি যা ঠিক দেখা না গেলেও প্রায় দেখে ফেলার মত, স্পর্শ করা না গেলেও প্রায় ছোয়াছুয়ি'র মত আর খাওয়া না গেলেও প্রায় গিলে ফেলার মত কিছু একটা।



ভালোবাসা'কে মোটামুটি সন্তানের প্রতি বাবা-মা'র, বাবা-মা'র প্রতি সন্তানের, আত্মীয়-বন্ধু-প্রতিবেশী'র আর প্রেমিক-প্রেমিকা'র মধ্যেই বেঁধে ফেলা যায়। তবে পশুপাখি'র প্রতি ভালোবাসাও এক ধরনের ভালোবাসা। কিন্তু তাতে ভালোবাসা ব্যপারটা না যত তার চেয়ে অনেক বেশি ভালোলাগা।



সন্তানের প্রতি বাবা-মা'র ভালোবাসা ব্যপারটা অনুভব করতে শুরু করেছি আমার ছেলের জন্মে'র পর থেকে। ও মাত্রই ৮ মাসে পরেছে। বসতে চেষ্টা করছে। হামাগুড়ির মত কিছু একটা শিখেছে। তবে তাকে ঠিক হামাগুড়ি বলা যাবে না। প্রথমে লক্ষ স্থির করে, তারপর চার হাত পা'য়ে দাড়িয়ে/ বসে হঠাৎ ঝাপ দিয়ে এগিয়ে যায়। মাঝে মাঝে গড়িয়ে চলে। এটাকে হামাগুড়ি বলতে চাইলে বলা যায়। আমার তাতে পরোয়া নেই। বরং আমি অফিসে যাওয়ার সময় আমার ছেলে যেভাবে আমার দিকে কৌতুহলদীপ্ত চোখে তাকিয়ে থাকে আর আমি গেইট বন্ধ করতে গেলেই কেঁদে ওঠে তার অন্যরকম মানে আছে আমার কাছে। আমি জানি ওটা ভালোবাসা। আর অফিস থেকে ফিরলেই যখন ও আমার দিকে ছুটে আসতে চেষ্টা করে, আমাকে ড্রেস চেইন্জ করার সময়টাও দিতে চায়না তখন ভিতরটা কেমন হুহু করে ওঠে। আমি ছুটে ছুটে জামা-প্যান্ট চেইন্জ করে ওকে কোলে তুলে নেই। আমি অনুভব করি অদ্ভুত একটা ভালোলাগায় আমার পৃথিবীটা উঠাল-পাথাল করছে। আমার অস্তিত্ব জুড়ে তখন শুধুই আমার ছেলে। আমি ভালোবাসার ভিতরে ডুবে থাকি। হলফ করে বলতে পাড়ি এ অনুভূতি আপনি শুধু আপনার সন্তান কে বুকে নিলেই অনুভব করবেন। আর কিছুতেই নয়।



বাবা-মা'র প্রতি সন্তানের ভালোবাসা ব্যাখ্যা করাটা বেশ জটিল। আমার অন্তত তাই মনে হয়। বাবা-মা তার প্রতিটি সন্তানকে নি:স্বার্থভাবে ভালোবাসে (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। আমি আমার ছেলেকে নি:স্বার্থভাবে ভালোবাসি (বুকে হাত দিয়ে বলছি)। সেই ক্ষেত্রে সন্তানেরা একটু সেইফ সাইডে থাকে এইজন্য যে প্রতিদান দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা থাকেনা। আবার সেই বাধ্যবাধকতা না থাকাটা কতোটা ভালো বা মনে শান্তি দিতে পাড়ে তাও আমি বুঝতে পাড়ি না। আমার মা যখন ভিষন শরীর খারাপ নিয়ে কষ্ট পায় আমি তখন ছটফট করি, কিন্তু ভেবে পাইনা ঠিক কি করলে উনার কষ্ট কিছুটা কমবে। কত টাকা ডাক্তার'কে দিতে হল কিংবা কত টাকার ঔষধ কিনতে হল তা তখন মাথায় আসেনা। বরং উনার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার চিন্তাই সারাক্ষন ভিতরে ঘুরপাক খেতে থাকে। এটাও নি:স্বার্থ! কিন্তু আমার বন্ধুকে যখন দেখি ওর বউকে নিয়ে মজা করে ঘুরে বেড়ায়, সপিং'য়ে যায়, সিনেমা দেখে আর ওর মা এই বৃদ্ধ/বৃদ্ধা বয়সেও ঘামে ভিজতে ভিজতে রান্না করে ছেলে, ছেলের বউ আর নাতি-নাতনিগুলোর জন্য না খেয়ে বসে থাকে, তখন সত্যিই কষ্ট লাগে। আমার ভিতরে ঐ মহিলার জন্য ভালোবাসা জন্মায় না। কারন আমি উনার জন্য কিছু করতে পাড়ি না। ইনফ্যাক্ট করি না। ওটাকে বড়জোর নামকরন করা যায়, "মায়া"। আমার মায়া হয়। মনেহয় বাবা-মা'র ভালোবাসার প্রতিদান দিতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা থাকলেই বোধহয় ভালো হত।



একটা গল্প বলি।



এক অন্ধ ভিক্ষুক রাস্তার পাশে বসে ভিক্ষা করছিল। তার পিছনে একটা বোর্ডে লেখা ছিল, "আই এ্যম ব্লাইন্ড। প্লিজ হেল্প মি"। কিন্তু সে তেমন একটা সারা পাচ্ছিল না। এক ভদ্রলোক তাকে ফলো করছিল। কি ভেবে সে বোর্ডটা হাতে নিয়ে লেখাগুলো চেইন্জ করে দিল। ভিক্ষুক ছেলেটার ভাগ্য বদলে গেল। লোকজন সাহায্য করা শুরু করল।



কি লিখেছিল ঐ ভদ্রলোক? "হাউ বিউটিফুল দিস স্প্রিঙ্গ মরনিং ইজ। অ্যালস! আই কান্ট সি ইট"।



অন্ধ ছেলেটির প্রতি ঐ লোকটির ভালোবাসা শুরুতে দেয়া আমার সঙ্গার বাইরের ভালোবাসা। এটাকে ঠিক ভালোবাসা বলা যায় কি না জানিনা। এটাকেও বরং নাম দেই, "মায়া"। ভালো মানাচ্ছে মনে হয়।



বন্ধু-বান্ধব, আত্বীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশী'র প্রতি ভালোবাসা'কে ঠিক একই স্কেলে মাপা যায় না। প্রতিবেশী হচ্ছে যার বিপদে এগিয়ে যেতে হয় আর সুখের খবরে কনগ্র্যাটস্ জানাতে হয়। ওটা ভালোবাসা হতে পারেনা। আত্বীয়-স্বজনের সঙ্গে বিশেষ করে ফার্ষ্ট ব্লাডের সঙ্গে একটা আত্মার সম্পর্ক থাকে। ঠিক কোথায় যেন একটা গভীর টান অনুভূত হয়। বোঝান যায় না, তবে নিরবে বুকের ভিতরে একটা জায়গা দখল করে থাকে। সময়ে সময়ে সামনে এগিয়ে এসে জানান দেয়, "আছিতো। এইখানে আছি।" ওটাও ভালোবাসা। যার গভীরে আছে ভালোবাসা পাওয়া'র আনন্দ আর প্রতিদানে নিজের অজান্তেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার তাগিদ।

বন্ধু-বান্ধবে'র প্রতি ভালোবাসাটাও অনেকটা সেই রকমই। পাশাপাশি বসে থাকতে থাকতে আর দিন রাত আড্ডা দিতে দিতে কখন জানি বন্ধুরা সব একটা সরল রেখার মত হয়ে যায়। একই পথে চলা, একই কথা বলা, একই রঙে ভাবা আর একই স্বপ্ন দেখা। মিলে-মিশে, ছোয়া-ছুয়ি আর গড়াগড়িতে বন্ধুদের ছাড়া একটা মুহুর্তও কি ভাবা যায়? এটা কি শুধুই ভালোবাসা? এটা ভালোবাসার চাইতেও বেশি কিছু। ভালোবাসার চাইতেও অনেক উর্ধ্বে এর অবস্থান। এটাকে ঠিক কি নাম দেয়া যায় আমি জানিনা। বরং ভালোবাসা নামই দেই। তাতে অন্তত ভালোবাসা বলতে আমরা কি বুঝি তার একটা শক্ত উদাহরণ পাওয়া যাবে।



পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা আসলে ভালোলাগা' আমার এ জাতীয় কথা অনেকেই হয়ত স্বিকার করবেন না। আমি নিজের চোখে দেখেছি পোষা কবুতর দুষ্টু বিড়ালে খেয়ে ফেলেছে, তাই কেমন করে কাঁদছে কবুতরটিকে লালন-পালন করতে করতে একদিন ওর ভালোবাসায় জড়িয়ে যাওয়া ছোট্ট মেয়েটি। ওটা শুধু ভালোলাগা? উহু! ওটা ভালোবাসা না হয়ে পারেই না।



প্রেমিক-প্রেমিকা'র ভালোবাসা!



প্লেটোনিক, গ্রেগরিয়ান আর আধুনিক প্রেমে'র সঙ্গা হচ্ছে, আগে শরীর পরে মন অথবা পরে শরীর আগে মন কিংবা একই সাথে শরীর আর মন। একই সাথে শরীর আর মন এটা যতটা না তত্ত্বে আধুনিক ততটা মনেহয় বাস্তবতায় আধুনিক নয়। আবার শরীর ডিঙিয়ে মন স্পর্শ করা কি সম্ভব? মনের অবস্থানতো শরীরের ভিতরে। সেই মনকে স্পর্শ করতে গেলে শরীরে কি একটুও ছোঁয়া লাগবে না? তাই কি হয়?

হ্য়। টেলিফোনে কথা বলতে বলতেই প্রেমে পড়েগেছি। জানতামও না সে দেখতে কেমন। কেউ কেউ ওটাকে মোহ বলবে। কিংবা বলবে ভালোলাগার চাইতে বেশি কিছু আর ভালোবাসার চাইতে কিছুটা কম। কিন্তু সেই মেয়েটিকেই যখন জনম জনমের জন্য স্পর্শের মধ্যে পেতে চাইলাম, যদিও জানতাম অনেকেই কানাকানি করছে, আরও সুন্দর মেয়ে পেতেই পারত, তখনও কি সেটা ভালোবাসা নয়। নিশ্চয়ই ভালোবাসা। তাহলে কি ভালোবাসা শরীর এড়িয়ে কোন এক অদ্ভুত যাদুমন্ত্র বলে মনের মধ্যে প্রথমে ঘর বাঁধে তারপর একটু একটু করে চোখের ভিতর দিয়ে, ঠোটের মধ্যে দিয়ে, বুকের ভাজে ভাজে সাপের মত এঁকে বেঁকে সারাটা শরীর গিলে খায়?



"ভালোবাসা হচ্ছে শারীরিক আকর্ষন, তারপর নির্ভরতা আর শেষ পর্যন্ত অভ্যাস।"

আমার প্রীয়তমা আমাকে কখনই ভালোবাসতোনা যদি সে জানত আমি শারীরিকভাবে সক্ষম নই। আমার ক্ষেত্রেও তাই। কোনও মেয়েকে ভালোলেগেছে আর তার বুকের দিকে তাকাই নি, কিংবা চোরের মত তার শরীরে'র বাঁকে বাঁকে কি সুর বেজে চলেছে তা একবারও দেখতে চাইনি এটা কখনো হতেই পারেনা। আমি চোর হতে পাড়ি কিংবা ডাকাতও। তবু তাকে স্পর্শ করার জন্য, তার বুকের সিম্ফনি'তে ডুবে যাওয়ার জন্য আমি যুগ যুগ অপেক্ষা করতে পারতাম। আমি বহুবার অনুভব করেছি, আমার প্রীয়তমার ভেজা শরীরটা একবার শুধু একবার বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরার জন্য আমি ব্যকুল হয়ে থাকতাম। আমার ভিতরটা কেঁপে কেঁপে উঠত। আমি সব ভুলে শুধু আমার প্রীয়তমার কথাই ভাবতাম। ঐ কথা বলা চোখ, ঐ নিকষ রাতের মত কালো চুল, ঐ বিকেলের সোনা রোদের মত গাল, ঐ ভেজা ঠোট.......। আমার শরীরে ভিসুভিয়াসের লাভা টগবগ করত। আমি জীবন বাজি রাখতে পারতাম শুধু তাকে একবার জড়িয়ে ধরার বিনিময়েই।



আমি আর তেমন করে আমার প্রীয়তমা'কে ভালোবাসতে পারিনা। ওর শরীর আর এখন আমাকে আগের মত টানেনা। সেই ত একই চোখ, একই চুল, একই গাল, একই ঠোট....। এতে আর নতুনত্ব কি আছে? তার মানে এই নয় যে আমি আর ওকে চাইনা। আমি এখনও ওকে ছাড়া কোনও কিছুই ভাবতে পারিনা। আমার সব হিসেব নিকেশ, সব ভালো মন্দ, সব চওয়া পাওয়া এখনও ওকে ঘিরেই। কিন্তু একই সঙ্গে খুব ভালোমতই অনুভব করি এটা আর সেই পুরোন ভালোবাসা নয়। এটা নির্ভরতা। পাশাপাশি থাকতে থাকতে আর একই রকম করে ভাবতে ভাবতে যার জন্ম হয়ে যায় নিজের অজান্তেই।



তারপর ভালোবাসা আরও ফিকে হবে। নির্ভরতা আরও বাড়বে। আর বাড়তে বাড়তে একটা সময় সব কিছু অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে। তখন চলতে থাকব যে যার মত। সকালে নাস্তা, বিকেলে ভাত, সন্ধায় চা'য়ে ডুবিয়ে বিস্কুট আর রাতে... হয়ত দুধ-ভাত। ঠান্ডায় গা'য়ে সাল জড়িয়ে নেয়া আর আঁর চোখে লক্ষ করা, আমার প্রীয়তমা গায়ে সালটা ঠিকভাবে জড়িয়েছে ত। তখন হয়ত স্মৃতিরা মাঝে মাঝে হানা দেবে। সপ্নের ডানায় ভর করে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেই কুশুম কুশুম ভালোলাগা আর ভালোবাসার মুহুর্তগুলোতে।



তাহলে? ভালোবাসা কি? আঁর চোখে লক্ষ করা, আমার প্রীয়তমা গায়ে সালটা ঠিকভাবে জড়িয়েছে ত?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালোবাসা হলো বিশ্বাস । কিছু অব্যক্ত কথা, কষ্ট , সুখ আর অনুভূতির সমষ্টি, যা মানুষকে ভাবতে শেখায় , বুকের মাঝে ভবিষ্যতের স্বপ্ন লালন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। মরতে মরতেও মানুষ শেষ আশায় স্বপ্নটা কে আঁকড়ে ধরতে চায়।

আপনি টুকরো টুকরো করে একেক স্তরে ভালোবাসার অনুভবটা ক্ল্যারিফাই করতে চেষ্টা করেছেন।

প্রথম মা বা বাবার হবার অনুভূতি কোনো ভাষায় বা ব্যাখ্যা দিয়ে কখনো প্রকাশ করার মতো নয় যতক্ষণ না ওই অনুভূতির অভিজ্ঞতা আমার হচ্ছে। আপনি আপনার ৮ মাস বয়সী সন্তানের কথা বলেছেন ! আমি এটা পড়ে নস্টালজিক হয়েছি। সে সময়ে ফিরে গেছি যখন আমার বাবুর বয়সও আপনার বাবুর বয়সী ছিল।

আমি একটু একটু করে এসে আপনার এই পোস্টে আমার অনুভবের কথাও বলে যাবো। আজ আর নয়।

ভালো থাকুন।

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৪

তীর্থক বলেছেন: ভালোবাসার ব্যপ্তি বিশাল; ছোট কিছু সঙ্গার ফ্রেমে বেঁধে ফেলা অসম্ভব।

প্রচুর বানান ভুল ছিল। কিছু কিছু কারেকশান করেছি। লেখায়ও কিছু এডিট করেছি।

আপনার অনুভবের কথাগুলো শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

ধন্যবাদ।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার বাংলা ফন্টে সমস্যা আছে সেটা বুঝতে পেরেছি। বলেছিলাম নতুন করে অভ্র ইন্সটল করতে , ব্যস্ততায় সময় পান নি বোধ হয় করতে।

আপনার বাবুর রেশ ধরেই বলি। যখন আমি প্রথম মা হলাম , শারীরিক অস্বস্তি গুলো কিছুটা কেটে যাবার পর যখন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলাম , ছেলেকে কোলে নেই , আদর করি , খাওয়াই , সব কিছু নিয়ম মাফিক ! কিন্তু সন্তানের জন্য যে বুক ছেঁড়া এক হাহাকারের অনুভূতি বা গায়ের সাথে চেপে ধরলেই এক অন্য ধরণের স্বর্গীয় অনুভূতি -- যা বইতে পড়েছি বা অন্যের কাছে শুনেছি তার কিছুই আমি ফীল করতে পারছিলাম না । তখন আমার বাচ্চার বয়স ২-৩ মাস। এতগুলো দিন চলে গিয়েছি কিন্তু অনুভূতির কাঁটা শূন্যের কোটায় ! ভীষণ টেনশন লাগছিল। সে সময় আবার মাস্টার্সের পড়াশুনা পাশাপাশি , বাচ্চাকে রেখে ম্যাডামের কাছে পড়তে যাওয়া দুই/তিন ঘণ্টার জন্য। আর সেই দুই /তিন ঘণ্টা আমার ছেলের কথা মনেই পড়তো না। সব মিলিয়ে নিজের কাছেই লজ্জা পাচ্ছিলাম আমি তাহলে কেমন অনুভূতি শূন্য মা হলাম !

কিন্তু ধীরে ধীরে এই অনুভূতি গুলো পাল্টে গেলো ! ওকে আমি আমার পাশে শুইয়ে রেখে যখন পড়তাম , ও একটু একটু করে মা , আম্মমাআআ এই ধরণের ভাষা বলতে শিখেছে , ফাঁকে ফাঁকে ওর দিকে তাকিয়ে দেখতাম , ও চুপ করে আমাকে দেখছে , একটা হাত দিয়ে আমার আঙুল ধরতে চাইত , ওকে তখন কোলে নিতাম ! গায়ে একটা সুন্দর গন্ধ থাকে বাচ্চাদের , বিশেষ করে ওদের মুখে ! আপনি নিশ্চয়ই পাইছেন সে গন্ধ !

আমি ওই অনুভূতির কথা ভুলবো না যখন আমার নিজেকে খারাপ , পচা মা মনে হতো যে ভালোবাসার ফিলিংস টা একবারে চট করে আসে নাই আমার কিংবা আমি বুঝতেই পারি নাই যে আমি মা হইছি !

আবার পরে আসব এই পোস্টে !

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

তীর্থক বলেছেন: হুম! আমার ধারনা ছিল, ছেলে'র জন্মের সাথে সাথই নিজের ভিতরে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করবে। কিন্তু তা হয়নি। সত্যি বলতে, যতদিন পর্যন্ত সে আমাকে চিনতে শেখেনি ততদিন পর্যন্ত মনে হত, "ও, আচ্ছা, এই আমার ছেলে"। ব্যস! ঐ টুকুই।

কিন্তু কি অদ্ভুৎ! ছেলে একটু একটু করে বড় হতে শুরু করল আর তাকিয়ে তকিয়ে মুচকি মুচকি কিংবা জিহবা বেড় করে হাসা, কোলে আসার জন্য অস্থিরত বা কোলে না নিলে কান্না এই জাতীয় অনুভুতিগুলো দারুনভাবে বুকের ভিতরে তোলপাড় শুরু করল। বুঝলাম, একে ছাড়া জীবন অসম্পুর্ন। আমার ছেলে, আমার নতুন জীবন কিংবা জীবনের সত্যিকারে সঙ্গা।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

রুপ।ই বলেছেন: অনেক সুন্দর হৃদয় ছুয়ে যাওয়া লেখা , স্মৃতি কাতর করে দিলেন আমাকে ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

তীর্থক বলেছেন: নিজের অনুভূতি আর বাস্তবতাকে এক সরল রেখায় টানার চেষ্টা করেছি। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

স্মৃতি নিয়েই ত আমাদের বেঁচে থাকা :-)

ধন্যবাদ..........।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬

বোকামন বলেছেন:





বহূরঙা ভালোবাসা এঁকে দিলেন পোস্টের ক্যানভাসে। তবুও ছবিটি অসম্পূর্ণ থেকে গেল একটি রঙের কারণে “ভালোবাসা কি?” সবাই খুঁজে চলছে.... চলতে থাকুক।।

যারা খুঁজার চেষ্টা করছে না, তাদের কাছেই রয়ে গেল সেই রঙটি..........।

"হাউ বিউটিফুল দিস স্প্রিং মর্নিং ইজ। অ্যালস! আই কান্ট সি ইট"।

ভালো লাগলো লেখটি বেশ। [১+]
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা :-)

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

তীর্থক বলেছেন: ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগছে :-)

অসংক্ষ ধন্যবাদ............

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালোবাসাকে সংজ্ঞাইত করা মুশকিল, তবে এর অনুভুতিগুলো ব্যখ্যা করা যায় হয়ত । আর অনুভুতির ব্যাপারটা যখনই আসবে, তখনই পাত্র ভেদে সময় ভেদে অনুভুতির স্বরুপ পাল্টে যায় । ভালোবাসার এই অনুভুতির ভিন্নতাগুলো খুব চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন লেখায় ।


ভালোবাসা নিয়ে কিছু দুর্দান্ত আঁকিবুকি.. ভালো লাগলো :)

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

তীর্থক বলেছেন: শুকরিয়া :-)

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করা অনেক কঠিন! মাঝে মাঝেই আমি ভালোবাসা মায়া আর নির্ভরতা বা অভ্যাসের মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেলি!

আমার কাছে এসব মিলানো এক অতি আশ্চর্য্য অনুভুতির নামই ভালোবাসা!

এর মাঝেই থাকে আবার মান অভিমান, দুঃখ, কষ্ট, অলিখিত দাবী দাওয়া!


লেখাটা অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া!

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৬

তীর্থক বলেছেন: তাহলে? ভালোবাসা কি? আঁর চোখে লক্ষ করা, আমার প্রীয়তমা গায়ে সালটা ঠিকভাবে জড়িয়েছে ত?

ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.