![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।
১) ২৩ দিনে এ্যারেষ্ট ১০,০০০। নিহত ৩৮ জন। দেশে কি কোনও সরকার আছে?
২) যারা এ্যারেষ্ট হলেন তারা কারা? ২০ দলীয় জোট? যদি ২০ দলীয় জোট হয় তাহলে নাশকতা শুধু বাড়ছেই কেন? তাহলে কি প্রকৃত অপরাধীর সংক্ষা ১০,০০০'এর চাইতেও বেশি? এত অপরাধী এতদিন ঘুড়ে বেড়াল অথচ সরকার টেড় পেল না! অবরোধের জন্য কিছু নাশকতাকারী আমদানি করা হয়নিত? নাকি সরকারই চা্য অপরাধীরা ঘুড়ে বেড়াক? কেন?
৩) ১০,০০০ এ্যারেষ্ট হওয়ার পরেও যেহেতু নাশকতা কমেনি বরং বেড়েছে তার অর্থ দাড়ায় প্রকৃত অপরাধীদের বেশিরাভগই এখনও জেলের বাইরে আছে? তাহলে কি ধরে নেব সরকারি সংস্থাগুলো অপরাধি সনাক্তকরণে হয় ব্যর্থ নয়ত আগ্রহী না অথবা যথার্থ প্রশিক্ষিত না কিংবা নির্দেশ নেই?
৪) যদি ধরে নেই ২০ দলীয় জোটে অপরাধীর সংক্ষা এতই বেশি যে মাত্র ১০,০০০ জন'কে গ্রেফতার করে নাশকতা ঠেকান যাবে না তাহলে ভাবতে হবে দেশের মোট জন সংক্ষার কত % ২০ দলীয় জোটের সমর্থক এবং তার কত % নাশকতাকারী। আমার জানামতে দেশে যে পরিমান জেল আছে তার ধারনক্ষমতা সর্বোচ্চ ২৯,০০০ জন অথচ এই মুহুর্তে তাতে ৮০,০০০ জন কয়েদ করা আছে। তাহলে যেই নাশকতাকারীরা বাইরে আছে তাদের ব্যবস্থা কি? ধরে কোথায় রাখা হবে? জায়গা সংকুলান হবেনা বলেই কি তাহলে নাশকতাকারিদের না ধরে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে? নিষ্চয়ই না? তাহলে পরিকল্পনাটা আসলে কি?
৫) অন্যভাবেও ভাবা যায়। ২০ দলীয় জোটে ১০,০০০ এর চেয়ে বেশী নাশকতাকারী আছে এটা মানা মোটামুটি অসম্ভব। তাহলে ধরে নেয়া যায় যাদের এ্যারেষ্ট করা হয়েছে তাদের একটা % নিরীহ জানসাধারন। তাই যদি হয় তাহলে বলা যায় শুধু ২০ দলীয় জোটে নয় সরকারও জনসাধারনের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
আর যদি ধরে নেই-----
- ১) ২০ দলীয় জোটে'র সব নাশকতাকারী ধরে ফেলা হয়েছে। এখন যারা নাশকতা করছে তারা টোকাই শ্রেনী, টাকার বিনিময়ে নাশকতা করছে। তাহলে এই টোকাই শ্রেনী'কে টাকা সরবরাহ করছে কে? ২০ দলীয় জোটে টাকা সরবরাহ করার মত কে কে বাইরে আছে?
- ২) ২০ দলীয় জোটে টাকা দেয়ার মত যারা আছে তাদের সরকার ধরতে পাড়ছে না বা ধরছে না বা সনাক্ত করতে পারছে না কিংবা ধরতে চায় না। সরকার ২০ দলীয় জোটের সব টাকা সরবরাহকারীর ফোন টেপ করছে না কেন? আসলে সরকার কি সত্যিই জানে তারা কি করতে চায় কিংবা কিভাবে করতে চায়? নাকি সরকারও চায় নাশকতা চলুক তাতে মানুষ মরবে ঠিকই তবে নির্বাচনের রাজনীতিতে সরকারই লাভবান হবে?
- ৩) ২০ দলীয় জোটে'র সব নাশকতাকারী ধরে ফেলা হয়েছে এবং টাকা সরবারাহকারীদেরও কার্যত অকেজো করে রাখা হয়েছে। তাহলে কে এখনও নাশকতা চালাচ্ছে? কার স্বার্থে? সরকার নিজেই নয়ত? তা না হলে ২০ দলীয় জোটের সব নাশকতাকারী কবে ধরা পড়বে? আমরা কি অসীম সময় পর্যন্ত মৃত্যু হাতে নিয়ে কর্ম ক্ষেত্রে ছুটে বেড়াব? এই মৃত্যুর দায় কি সরকার নেবে নাকি শুধু ২০ দলীয় জোটের উপর চাপিয়েই দায় সারা হবে?
- ৪) সরকার নিজেই নাশকতা করছে কারন যাতে জনগন ২০ দলীয় জোটের প্রতি সামান্য কোনও সহানুভুতি থাকলেও তা থেকে সরে এসে সরকারের পক্ষ অবলম্বন করে আর তার ফলে কখনো যদি সত্যই নির্বাচন দেয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েই যায় তাহলে যেন নিরপেক্ষ নির্বাচনেও তারাই সংক্ষা গরিষ্ঠতা পায়।
আসলে কোনটা সত্যি?
সমাধান:-
সর্বদলীয় বৈঠক। এটা ১৪ দলীয় জোটের ২০১৪ সালের নির্বাচন ইস্তেহারেই আছে। হতে পারে সব দল মানে জামাত-শিবির নয় কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনস্বার্থে রাজনীতি করে তাহলে সবার উপরে মানুষের জীবনকেই বিবেচনায় রাখবে। তার ফলে হয়ত খোলা চোখে মনে হতে পারে নাশকতার সাথে আপোষ করা হল কিন্তু তাতে একদিকে যেমন এই হানাহানি-খুনোখুনি বন্ধ হবে, মানুষ একটু স্বস্তি পাবে অন্যদিকে সরকারেরও জনসমর্থন বাড়বে। আমি হলফ করে বলতে পাড়ি সাধারন মানুষ যুগে যুগে সেই সরকারকেই সমর্থন করেছে বা করবে যে সব কিছুর উর্ব্ধে জনগনের জান-মাল রক্ষাকেই বিবেচনা করে তাতে যদি অশুভর সাথে আতাত করেতে হয় তো তা করেই।
গো ধরে বসে থাকার ফল হবে এই যে হয়ত কোনও দিন সমস্যার সমাধান হবে কিন্তু ততদিনে কিছু নিরীহ মানুষ জীবন হারাবে বা পংগু হবে কিংবা হারাবে বেঁচে থাকার সব আশা? প্রতিদিন ভোরে যখন ঘর থেকে বেড় হই, আমার ২ বছর বয়সি ঘুমন্ত ছেলেটার মুখের দিকে একবার তাকাই। জানিনা রাতে ঘরে ফিরতে পারব কি না, দেখতে পারব কি না আমার ছেলেটার মিষ্টি মুখ..।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
তীর্থক বলেছেন: আমিও ক্রিমিনাল মাইন্ডেড........
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
খেলাঘর বলেছেন:
এখন দেশের ৪০% মানুষ ক্রিমিন্যাল মাইন্ডেড; দেশকে আপনিও ভালো করতে পারবেন না।