![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।
শর্মীর "বাংলাদেশ, স্বাধীনতা এবং..." লেখাটা অনেক দেরিতে পড়লাম । সময়মত পড়লে ভাল হত । এখন মন খারাপ লাগছে । কঠিন তর্কবিতর্ক হয়েছে । যাহোক, দেরিতে হলেও আমার মতামত দিচ্ছি ।
শর্মী, আপনি রাসেল (............)'কে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন, কিন্তু যতই সংশোধন করুননা কেন ভুল ইতিহাস (3 লক্ষ) লেখার জন্য আপনাকেও ক্ষমা চাইতে হবে । রাসেল (...........) ভুল না করেও সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে মহত্ব দেখিয়েছেন । সুতরাং আপনাকেও ক্ষমা চাইতেই হবে । তা না হলে এই ব্লগে যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তারা আপনাকে রাজাকার বললেও কিছু বলার থাকবেনা ।
দ্্রাবীর, আপনি আপনার সীমা লঙ্ঘন করেছেন । নিজেকে অশোভ্য বলে প্রমান করেছেন । কিন্তু রাসেল (......) সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছে, সুতরাং আপনাকে মুক্ত করা যায় ।
আস্তমেয়ে, আপনার অন্যান্য ব্লগের কথা বাদ দিলাম । কিন্তু এখানে চট্টগ্রামবাসীর বিদ্্রোহ করার প্রসঙ্গ তুলে আপনি পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আপনি পাকিস্তান/জামায়াত/রাজাকার এদের কার্যক্রমকে সমর্থন করেন । সুতরাং আপনাকে বয়কট করা ছাড়া আর কোনও উপায়ই রইল না । আপনি যদি ইতিহাস না জেনে ওদের সাপোর্ট করে থাকেন, তাহলেও আপনি কঠিন অপরাধ করেছেন । আপনি পুরো বাংগালি জাতির আত্মত্যাগ'কে অপমান করেছেন । এই ধৃষ্টতার জন্যও আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে । আর যদি ইতিহাস জেনেও আপনার একই মনোভাব থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশের কেউ নন । আপনি রাজাকার । এই ব্লগে রাজাকারদের কোন স্থান নেই ।
মুখফোড়, পরিবার তুলে কথা বলার কোন অধিকার আপনার নেই । আমরা এখানে কারও পরিবার সম্পর্কেই জানিনা । এটা অবস্যই শোভনতার বিচারে অপরাধ বলে বিবেচিত হবে । কিন্তু রাসেল (...........) সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছে বিধায় আপনাকেও মুক্ত করা গেল ।
মহুয়া, আপনি এত ঝগড়া করার শক্তি পান কোত্থেকে একটু বলবেন কি ? ভিত্তিহীন তর্ক করেন বুঝে না বুঝে । নিয়ে আসলেন চীন-জাপান যুদ্ধ, আন্তর্যাতিক আদালত । আপনার মাথায় প্রচুর নাড়কেল তেল ঢালা দরকার, তবে যদি মাথা কিছুটা ঠান্ডা হয় ।
সাদিক মো ঃ আলম'কে ধন্যবাদ গুছিয়ে মত দেয়ার জন্য । আর কে ধন্যবাদ পুরো ব্যাপারটাকে ঠান্ডা মাথায় সামলানোর চেষ্টা করার জন্য ।
যারা লেখাটার মর্মার্থ না বুঝে অযথা 3 লাখ আর 30 লাখ নিয়ে তর্ক করেছে তাদের জন্য বলতে চাই, সংক্ষাটা 3 হোক বা 30 হোক, সেটা মূল বিষয় নয় । মূল বিষয় হচ্ছে, আপনি 3 বলে বাংগালীর আত্মত্যাগকে খাটো করতে চাচ্ছেন কি না । যেভাবেই ব্যাক্ষা করেননা কেন বাংগালীর আত্মত্যাগকে কোনও সংক্ষার সীমারেখা দিয়ে বেঁধে ফেলা যাবেনা । এর ওজন আপনার আর আমার অযথা তর্কের চাইতে অনেক অনেকগুন বেশি ।
পরিশেষে বলি, আমরা 3 লাখ আর 30 লাখ নিয়ে সারাদিন তর্ক করলেও স্বাধীনতার ইতিহাসে'র খুব একটা লাভ বা ক্ষতি হবে না । আমাদের যা প্রয়োজন তা হচ্ছে সময়ের দাবী নিয়ে আরো ভাবনা চিন্তা করা । কোন পথে জাতীকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা করা । আজ দুর্নিতীতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ স্থান দখল করেছে । এ বড় লজ্জার কথা । আমাদের ভাবা দরকার আর কত কাল এই লজ্জা মাথায় নিয়ে আমরা বেঁচে থাকব । শুধু স্বাধীনতা স্বাধীনতা বলে গলা ফাঁটিয়ে কোন লাভ হবেনা । স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করার কথা সর্বাগ্রে ভাবতে হবে । ভাবতে হবে আর কতকাল আমরা রাজনৈতিক নেটা-নেত্রীদের কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ির স্বীকার হব । দেশকে নিয়ে আরো গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে এখন । ঐ সংক্ষাত্বত্ত্ব থেকে সবাইকে বেড়িয়ে আসার অনুরোধ করছি । আসুন একটা সুখি সুন্দর স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য এক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অিঙ্গকার করি ।
স্বাধীন বাংলাদেশ ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন । কিন্তু শুধু ভালো লাগলো বললেতো কাজ হবেনা ভাই । একটা ঐক্যের জন্য অনুরোধ করেছি, তার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করছেন কি না তাও বলতে হবে ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: তীর্থক, বাংলাদেশের দূরাবস্থার জন্যে তো বাংলাদেশের জনগণ দায়ী না, দায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শাসক শ্রেণী । জনগণ চোখের সামনে কেন পথ না দেখে অবিরাম এই গণশত্রুদের গোলক ধাধাঁয় ঘুরছে । ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ আমরা অবশ্যই করবো । ঐক্যবদ্ধভাবেই উৎখাত করতে হবে গণশত্রুদের ।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: আমাদের ভাষা আন্দোলনে তো 4/5 জন শহীদ হয়েছেন, তাতে কি আন্দোলন ছোট হয়ে গেছে ??
আত্মত্যাগ, আত্মত্যাগ ই তা 30 হোক আর 30 লক্ষ হোক।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: তীর্থক, খুব ভাল লিখেছেন আপনি। আমার ঐক্য তো রইলোই। ঝড়ো হাওয়া কে ধন্যবাদ তার অকাট্য বক্তব্যের জন্য।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: শমর্ী আসল ইতিহাস জানার জন্যে 3লক্ষ বলেছিল। তারপর সে তার একটা মন্তবে তা সংশোধন করেছে এবং তার খিাটিও সংশোধন করেছে। এর পর ক্ষমা কেন চাবে ওকি কোন অন্যায় করছে যে সবার কাছে ক্ষমা চাবে। আবার রাজাকার ডাকার হুমকি দেন। কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা সব সার্টিফিকেট কি আপনারাদেন নাকি।
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: খিীিটও = লিখাটি
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
হিমু বলেছেন: ভাষা আন্দোলনে 4/5 জন না. শহীদ হয়েছেন আরো বেশি, পরিচয় উদ্ধার হয়েছে কয়েকজনের।
"30 লক্ষ হোক আর 3 লক্ষ হোক" কথাটা পছন্দ হয়নি আমার। একটা প্রতিষ্ঠিত ফ্যাক্টকে প্রথমে বিতর্কিত করে পরে সেই বিতর্কের অবসানের নামে সমান্তরাল একটি মিথ্যাকে জিইয়ে রাখার সুযোগ দেয়ার পক্ষপাতী আমি নই। তবে যারা 3 লক্ষের পক্ষে যুক্তি না দেখিয়ে ক্রমাগত বলে যাচ্ছে, তারা বলুক না, বলার স্বাধীনতা তাদের আছে, বললে ওদের চেহারাটা আরো পরিষ্কার হয় আমাদের সামনে।
তবে তীর্থককে ধন্যবাদ দিচ্ছি তাঁর উদ্যোগের জন্য।
৯| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১০:০৩
অতিথি বলেছেন: হিমু, আপনাকেও ধন্যবাদ । আমি 3 লক্ষ বা 30 লক্ষ নিয়ে ঝগড়া করতে রাজি না । আমি বুঝি যারা জীবন দিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছে তাদের আত্মত্যাগ আমাদের এই তর্কের চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন।
শুভ্র, শর্মী কেন ক্ষমা চাইবে তা বোঝার মত মাথা থাকলে আপনি এই প্রস্ন তুলতেন না । রাসেল (.....) কেন ক্ষমা চেয়েছে, বোঝেন ? আপনাদের মত লোকদের অবস্য তা বোঝার কথা না । আর রাজাকার ডাকার হুমকি দিয়েছি, যখন বাস্তবায়ন হয়ে যাবে তখন কিন্তু আপনার মত লোকরা রাজাকারদের বাঁচাতে পারবে না । কিন্তু শর্মী চুপ অথচ আপনার গা'য়ে লেগে গেলো, ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না । একটু খোলাসা করে বলবেন কি ;-))
শর্মী'র যদি মাথায় সামান্য বুদ্ধিও থাকে তাহলে সে অবস্যই ক্ষমা চেয়ে নিজেকে বিতর্ক থেকে মুক্ত করবে ।
ধন্যবাদ ।
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১০:০৩
শাওন বলেছেন: আচ্ছা তীর্থক ভাইয়া , ক্ষমা কখন চায় মানুষ ??? ভুল করলে ক্ষমা চায় । আপনারা ও তো শিওর না যে আসলে কতলক্ষ্য মানুষ । ও যদি 3 লক্ষ বলে ক্ষমা চায় তাহলে আপনাদের সবার তো 30 লক্ষ্য বলে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ । নয় কি ???
১১| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: শাওনের উত্তর পড়ার পর তীর্থক নিশ্চয় বুঝতে পারছে 3 লক্ষ বলাটি ভুলক্রমে ঘটেনি। কেউ ক্ষমা চাইবে না তীর্থক। এই গণহত্যার পর পাকিস্তান ক্ষমা চায়নি। বরং আপনাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে শাওন। তীর্থক, রাজনীতি অনেক বেশি পঁ্যাচালো জিনিস। শাওনের লেখাটি পড়ুন। সদ্য আঠারো (কথিত) শাওন বলছে, ও যদি 3 লক্ষ বলে ক্ষমা চায় তাহলে আপনাদের সবার তো 30 লক্ষ বলে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এবার পড়ুন হিমুর মন্তব্য। শাওন একথা লেখার আগেই হিমু মন্তব্য করেছেন, "একটা প্রতিষ্ঠিত ফ্যাক্টকে প্রথমে বিতর্কিত করে সেই বিতর্কের অবসানের নামে সমান্তরাল একটি মিথ্যাকে জিইয়ে রাখার সুযোগ দেয়ার পক্ষপাতী আমি নই"।
হিমুর দূরদর্শিতা বুঝতে পারছেন। সে ধরতে পেরেছে কারসাজিটা কোথায়। আপনি একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সরলতার মূর্তি হয়ে যে ঐক্যের ডাক দিলেন তাতে শাওন অংশ নিলো না। আর হিমুকে আপনি নির্বোধ সাব্যস্ত করলেন।
আপনার অবস্থা এখন বদরুদ্দিন উমরের ঐক্য জাসদের মত। জাসদ ভেঙে চার টুকরা হওয়ার পর ঐক্য জাসদ খোলা হয়েছিল যাতে সবাই এসে সেই ছায়াতলে জড়ো হয়। দেখা গেলো তাতে পাঁচটি জাসদ হয়েছে। ঐক্য হয়নি। কারণ সমস্যার সরলীকৃত ব্যাখ্যায় সমাধান আসে না।
ঐক্যের পক্ষে সবাই থাকে। তবে সে ঐক্য শত্রুর সাথে হয় না। শত্রুর সাথে শান্তির সমঝোতা হতে পারে। ঐক্য হয় সমচেতনার। (দেখা যাক আপনার ঐক্যের আহবানে বাকীরা কীভাবে সাড়া দেয়?)
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: তীর্থক, রাজাকার, আল বদরদের নৃশ:স হত্যাকান্ডকে সমর্থন করব অতোটা অধ:পতন হয় নি। আসলে আমি সেখানে একটু ডিফারেন্ট ওয়েভ লেংথে চিন্তা করছিলাম। কেউ আমার মত একই রাস্তা দিয়ে চিন্তা করছিল না বলেই মনে হয়েছে আমি হত্যাকান্ডগুলোকে সমর্থন করছি। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গেছি। সবাই এক একটা লাইন নিয়ে হইচই করছে। তবু দেখি কতটুকু ড্যামেজ কন্ট্রল করা যায়।
ইতিহাস আমার প্যাশন। ভাল লাগে ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে। ইতিহাসের ক্ষেত্রেএকটা ব্যপার সব সময় সত্য, আমরা সেখানে ছিলাম না, তাই তখনকার সত্যিকারের অবস্থা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। তবু, চেষ্টা করতে হবে যেন "বায়াসড" ইতিহাস আমরা না জানি। একটু ফুটানি ফুটানি শোনাতে পারে, স্যরি, কিন্তু এটা না বললে আমার ডিফারেন্ট ওয়েভ লেংথের চিন্তার কারন বুঝাতে পারবো না। আমি এইচ এস সির জন্য যখন ইতিহাস পড়ছিলাম, তখন প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ইতিহাস পড়ানোর সময় যেই জিনিষটা খুব জোড় দিয়ে বলা হত...
1. প্রত্যেকটা মানুষের কাজের পিছনে তার নিজেস্ব ব্যাখ্যা, "মটিভ" থাকে।
2. প্রতিটা ঘটনার অসংখ্য ব্যাখ্যা থাকে। বিভিন্ন জন একই ঘটনা দেখে, যে যার মত ব্যাখ্যা করে। এটা কখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না, এই পারস্পেক্টিভটাই একমাত্র সত্যি।
3. যে কোন কিছু, যে কোন কাউকে বুঝতে হলে নিজেকে তার অবস্থানে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে চিন্তা করতে হবে... তাহলেই কারো প্রতি "আনফেয়ার" হওয়া হবে না, অবিচার করা হবে না।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে যদিও অস্ট্রিয়া, তুরস্ক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছিল, তবু ইতিহাস পড়ানোর সময় আমাদের সবার নিজেস্ব অবস্থান থেকে পড়ানো হয়েছিল। তাদের নিজেস্ব মটিভ থেকে চিন্তা করতে শিখানো হয়েছিল। এই কাজটা আগে করা হতো না... কম্যুনিজমকে যখন সারা বিশ্ব ভয় পাচ্ছে, তখন তাদেরকে লাল মাকড়শা বলা হতো... ঘৃনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে... এটা প্রপাগান্ডা। আমি চেষ্টা করি প্রপাগান্ডা মুক্ত থাকতে। সব দিক থেকে একটা ব্যপার চিন্তা করে দেখতে চাই। তাহলে অনেক "উগ্রপন্থী" চিন্তা ভাবনা থেকে বেঁচে থাকা যায়।
দেখুন, হত্যাকান্ড, ধর্ষন, এসবের কোন জাস্টিফিকেশন নেই, আমি আমার কথাটা বলে এগুলো কে জাস্টিফাই করতে চাই নি। তবে তাদের রাজনৈতিক স্ট্যানসের কারন খুজে বের করতে চেয়েছি। রাজনৈতিক বিশেষ মতামতের কারন মানে কিন্তু এই না যে সেই রাজনৈতিক নেতাদের সব কাজ সাপোর্টাররা সমর্থন করছে। দেখুন, সাদ্দামকে সরানোর প্রয়জন ছিল, তাই বলে কি ইরাকের যুদ্ধ জাস্টিফাইড? এখানে হিসাব কি সত্যিই এতো সোজা? এতো সহজে কি এপক্ষ ওপক্ষের মাঝে দাগ টেনে দেয়া যায়?
কয়েকজন সেই একই পোস্টে নাকি অন্য কোথাও দাবি করছিলেন পাকিস্তানের ক্ষমা চাইতে হবে। হত্যাকান্ডের জন্য একটা দেশ ক্ষমা চাইতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য কোন দেশই ক্ষমা চায় না... কখনই না। তাতে দেশের অসম্মান হয়। আমি যেই পার্থক্যের কথা বলেছি সেটা কি বুঝতে পেরেছেন? আবার পাকিস্তানের একাত্তরের অবস্থান থেকে অনেকে প্রতিটা পাকিস্তানিকে ব্যক্তিগত ভাবে ঘৃনা করে... সেটা কি জাস্টিফাইড?
আবার আমি বিশ্বাস করি একজনের পাপে আরেকজন শাস্তিপাওয়াটা জাস্টিফাইড না... হিটলার ইহুদীদের মেরেছে বলে হিটলারের বংশধররা একই পাপে দোষী না... অথচ রাজাকারের বাচ্চাটা এখন খুব কমন গালি।
আমার এই ঘেন্না ঘেনি্ন খেলাটা ভাল্লাগে না.... এই সব মাথায় নিয়ে বলে ফেলেছিলাম কথাগুলো।
যাই হোক, তীর্থক আপনার চিন্তা ভাবনার স্বচ্ছতার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সবাই না বুঝলেও, আপনি বুঝলেই হবে । তবে আপনাকেও মনে হয় না বুঝাতে পেরেছি... এই নিয়ে তর্কে মন বসছে না... বাচ্চাদের মত লাগছে... একজন বলবে আমি করিনি, অন্যরা যুক্তি প্রমান ছাড়াই দোষ দিয়ে যাবে, চুলাচুলি করবে... আবার কেউ কিছু না করেই ক্রেডিট লুটতে যাবে...
মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করতে চাই নি কখনও.. তবে সে সম্পর্কে মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলাধূলাকে জঘন্য লাগে...
১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
শাওন বলেছেন: মি : শোহেইল , আমি আগেও বলেছি , শর্মিদের কারর সাথে আমার এখনো দেখাও হয়নি । msn এই যেটুকু কথা হয় । সে লেখার সময় আমার কাছে নিশ্চই বলেনি যে : শাওন আমি কি 3 লিখবো নাকি 30 লিখবো ??? এইটুকু বোঝার ক্ষমতাও দেখি আপনার নাই । মানুষের কপালে লেখা থাকে না কে ভাল আর কে খারাপ । এটা তার স্বভাব দেখলে বোঝা যায় । আজ আপনি ( কথিত ) দ্্বারা যা বুঝিয়েছেন সেটা দ্্বারা আপনি যে খুব নিচু মনের মানুষ সেটা প্রকাশ করলেন ।
১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: শাওন, রাসেল (.....) কিন্তু সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছে । বলেনতো রাসেল (...) কেন ক্ষমা চেয়েছে ???
শোহেইল, আমি সম্ভবত আপনার মত করে ভাবিনি । কিন্তু আপনি কি বলতে চান আমাদের তাহলে 3 লক্ষ আর 30 লক্ষের সমাধানই প্রথমে করা উচিত ? আমি কনফিউজড্ । আপনারকি মনেহয়না যে আমরা নিজেদের করণীয় থেকে সরে এসে অন্যদেরকেই বেশি প্রধান্য দিচ্ছি ? আমি কিন্তু এখনও আমার বক্তব্যেই থাকার পক্ষপাতি ।
১৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে, আপনি আপনার ধারায় ভালোভাবেই ব্যাক্ষা করেছেন । আমার বুঝতে কষ্ট হয়নি । কিন্তু আপনি আপনার পূর্ব বক্তব্যটা আরেকবার পড়লে আপনার জন্যই সুবিধা হবে মনে হচ্ছে ।
আপনার বক্তব্যের সহজ অর্থ দাড়ায়, বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে) বিদ্্রোহ করেছে, এটা অযৌক্তিক । এটা পাকিস্তানিরা (চট্টগ্রামে বিদ্্রোহের ক্ষেত্রে বাংগালীরা) মানবে না । সুতরাং বাংগালীকে (চট্টগ্রামবাসীকে) দমন কর । ঠিক বললাম কি না ? কিন্তু আপনি কি জানেন কোন অবস্থায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা চেয়েছে ? কেন লড়াই করা ছাড়া আর কোন উপায় বাংগালীর ছিল না ? কেন জান যায় যাক তবু স্বাধীন বাংলা চাই, এই অঙ্গিকার নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পুরো জাতী ? মা-বোনদের ইজ্জত আর বাংগালী জাতীর এই বিশাল আত্মত্যাগকে আপনি চট্টগ্রাম থেকে অনেক বৈদেশিক মুদ্্রা অর্জিত হয়, এভাবে তুলনা করতে চান ? আপনার লজ্জা হওয়া উচিৎ !!! 71 কে আপনাদের কাছে শুধুই একটা বিদ্্রোহ মনে হয়, তাই না ? আপনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলাটাই ভূল । আপনি আবার সাফাই গাচ্ছেন । ধিক্, ধিক্ ।
১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: ভুল বিদ্রোহ মনে হয় একবারও বলি নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জেতা সত্বেও বাঙালীদের দেওয়া হয় নি ক্ষমতা... আরও অনেক অবিচার করেছিল জানি। রেসিজমের স্বীকার হয়েছিল বাঙালী। আর আমাদের দেশ এখন স্বাধীন, এখন এই স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি নি কখনও, তুলবও না।
কোন এনালজিই নির্ভুল না... আমার এনালজিটা খুব স্মল স্কেইলে সত্য। যাকগে... থাক এসব। আমার পোস্ট করা কমেন্ট ডিলিট করে দেন। কিছুই বুঝেন নি আপনি।
১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: আমি বুঝিনি সেটা আমার সীমাবদ্ধতা মেনে নিচ্ছি । কিন্তু শর্মীর ব্লগে আপনার মন্তব্যের আমি ভূল ব্যাক্ষা করেছি সেটাও বলে দিননা কেন ? তাহলে রাসেলে'র মত আমিও ক্ষমা চাই ঃ-))
১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: আপনার লিখা টি ভাল লেগেছে।আমরা সবাই বুঝতে পারছি কি হয়েছে আগে আর এই গ্রাফ কে এক্সটেন্ড করলে কোথায় গিয়ে দাড়াবে। তার মানে আমরা কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু রাজনীতিবিদদের এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই।তারা যেকোন সরকারের আমলেই ভাল থাকবে(অর্থনৈতিক ভাবে)তাদের ছেলে মেয়েরা এই দেশে থাকবে না, তাই কোন প্রকার সংস্কৃতিক আঘাত ও তাদের সইতে হবে না।রাজাকার ক্ষমতায় আসলে ও তাদের কিছু না।কিন্তু এই অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের পয়সায় আমাদের এই শিক্ষা, আমরা তাদের কাছে ঋনী।
কেউ যে বিষয় গুলু নিয়ে দেশে কথা বলছে না , তা না। কিন্তু তারা যে বেহায়া, জনসমক্ষে চড় দিয়ে কথা বল্লে ও তাদের কিছু মনে হয় না, উলটা আপনার দোষ।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে হতাশা গ্রস্থ মানুষ নই। একটু যোদ্ধা প্রকৃতির। তাই সমস্যা সমাধানের একটা প্রাথমিক আউটলাইন না থাকলে অসসথিতে ভুগি। আমি জানি না। এর সমাধান কি, কোন পথে গেলে এর সমাধান হবে। তাহলে সে পথে যেতাম।আমার মনে হয় গোড়া থেকে ধরা উচিৎ।
যা হাচ্ছে তার সব ই রাজনীতির ছত্র ছায়ায়।আগে তাদের হাত থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কিন্তু কি করে?
কোন রাস্তা কি অবশিস্ট আছে, নাকি সংগ্রাম ই শেষ পথ। কেউ কি বলবেন? আপনাদের মতা মত দিন।
নিজের অস্থিরাতা টা একটু দুর হোক।
এটুকু সান্তনা তো থাকবে, যে দল মত নির্বিশেষে মানুষ এই জাল থেক বের হতে এগিয়ে আসছে....
আর মেয়ে কে বলছি, যখন কথা বলবে কথার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে, ক্ষনে ক্ষনে কথা পলটালে ব্যাক্তিত্বের হানী হয়।
১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ২:০৩
অতিথি বলেছেন: আমি আস্তমেয়ের কাছে ক্ষমাপ্রাথর্ী, কারণ তাঁর আরো কিছু বক্তব্য নিয়ে আমি তাঁর ভাষ্যমতে "হইচই" করবো।
এক. আস্তমেয়ে ইতিহাসের অনুরাগিনী। তিনি একপেশে বা "বায়াসড" ইতিহাস পাঠে আগ্রহী নন। শুধু তাই না, তিনি ইতিহাসের উপাদান চরিত্রগুলোর জুতো নিজের পায়ে গলিয়ে দেখতে চান, যাতে করে তাদের প্রতি বা তাদের বিপরীতে পক্ষপাতদোষ আরোপিত না হয়।
আমার প্রশ্ন. আস্তমেয়ে, একটু কি বাঙালিদের জুতো নিজের পায়ে গলাবেন, যারা চবি্বশ বছরের পাকিস্তানী শাসনে প্রায় কোন সুবিধাই ভোগ করতে পারেনি, একটা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে এক মিলিয়ন লোক মারা যাবার পর কোনরকম সাহায্য পায়নি নিজ দেশের সরকারের কাছ থেকে, আর সেই ঝড়ের এক বছরের মাথায় একটা ভয়ঙ্কর অন্যায় আক্রমণে হারিয়েছে প্রায় তিন মিলিয়ন মানুষ, খুইয়েছে সম্পত্তি, সম্ভ্রম? আপনি পাকিস্তানীদের প্রতি আনফেয়ার হতে চান না, তাদের প্রতি কারো ব্যক্তিগত বিদ্্বেষের যুক্তিযুক্ততা খুঁজে পান না, অথচ চট্টগ্রামের ফাঁপা উদাহরণ দিয়ে অবলীলায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে "বিদ্রোহ" বলতে আপনার বাধে না?
দুই. আপনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপাদানগুলোকে প্রপাগান্ডা মনে করেন, এবং প্রপাগান্ডা আপনার পছন্দ নয় বলে আপনি সেগুলোকে গ্রহণ করেননি। সে স্বাধীনতা আপনার রয়েছে, আপনি বিকল্প নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র থেকে ইতিহাসের উপাদান গ্রহণ করেছেন, আমরা জানতে আগ্রহী।
তিন. পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে 1971 সালে একটি নিরস্ত্র জাতির ওপর দেড়লক্ষ সশস্ত্র সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে আক্রমণ করে তিন মিলিয়ন মানুষ খুন করা, সম্পত্তি লুনঠন ও নষ্টের দায়ে। এর জন্য ক্ষমা চাইলে অসম্মান হবে, এই ভেবে আপনি বলছেন, একটা দেশ কখনোই তা চায় না। কে বলেছে আপনাকে চায় না? উইলি ব্রান্ডট চান নি? হাঁটু গেড়ে বসে পোল্যান্ডের কাছে টুপি খুলে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। জার্মানীর সম্মান তাতে কমেনি, বেড়েছে। আর ক্ষমা না চেয়ে পাকিস্তানের সম্মান কী এমন বৃদ্ধি পেয়েছে? গোটা পৃথিবী পাকিস্তানকে আকেটা বর্বর দেশ হিসেবে জানে। পৃথিবীতে বৃহত্তম মুসলিম হত্যাকারী জাতি হচ্ছে পাকিস্তানীরা, যদি আপনি জেনে না থাকেন জানাই।
চার. একজনের পাপ যখন আরেকজন বহন করে, সেই পাপের সাফাই গায়, তখন অবশ্যই সেই পাপের শাস্তি সে ভোগ করে। আপনি আইন পড়ে দেখুন, অপরাধে সক্রিয় সহযোগীর কী শাস্তি হয়। প্যাশন নিয়ে পড়ুন।
পাঁচ. আপনার ঘেন্নাঘেনি্ন খেলা মনে হয় ব্যাপারটাকে, আমাদের কাছেএটা নির্জলা ঘৃণা, খুনীদের প্রতি, খুনীদের সহযোগীদের প্রতি। এটা কোন খেলা না, এটা ঘৃণা, এবং আপনি এই ঘৃণায় কোন অর্থ খুঁজে না পেলেও কিছু আসে যায় না, ভুক্তভোগী আর তাদের উত্তরসূরীদের সংখ্যা কম না দেশে।
ছয়. সবশেষে বলি, আপনি চেষ্টা করেও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি আপনার মমত্ব প্রমাণ করতে পারছেন না, সম্ভবত আপনার কোন মমত্ব নেই বলে। পাকিস্তানীদের জন্য দরদ উথলে পড়ছে আপনার, আর আপনার ক্ষতিগ্রস্থ স্বজাতিকে অবলীলায় কথায় কথায় নীচু করছেন। কী নামে ডাকবো আপনাকে, আপনাদের ... আস্তমেয়ে?
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:০৩
অতিথি বলেছেন: সোজা কথা
একাত্তরে এই বাংলার মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে হারমাদ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে। জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ( কাউনিসল ও কনভেনশন) পিডিপি, নেজামে ইসলামি তাদের সহযোগিতা করেছে। আলবদর, আল শামস ও রাজাকাররাও একইসঙেগ বাঙালি নিধন করেছে। নির্যাতন করেছে। সুতরাং ঘৃণা করবো হত্যাকারীদের। এখন কতজন প্রাণ হারিয়েছে এটা মোটেও মুখ্য বিষয় নয়।যারা এই বিতর্ক যারা তৈরি করে তাদের দেশপ্রেম নিয়েই সন্দেহ আছে।
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: তীর্থক যেখানে শেষ করলেন সেখান থেকেই শুরু করি। একটা স্বাধীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে, এমনিতেই অনেকগুলো বছর চলে গেছে, পরিনামে জুটেছে দূর্ণীতিতে সেরা দেশের খেতাব। অযথা তর্কে আর সময় ক্ষেপন করা মোটেও উচিৎ হবে না। সামনে এগিয়ে যেতে হবে... কিন্ত-
গোড়াতে গলদ রেখে কোথায়, কোন দিকে এগিয়ে যাবো আমরা? কতদূরই বা যেতে পারবো? আপাত দৃষ্টিতে 3 এবং 30 এর তর্কটা নিরর্থক মনে হলেও এর গাম্ভীর্যতো লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে। অস্তিত্বকে প্রশ্নবোধকে মুড়ে রেখে কি আমরা "সবাই মিলে" আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো? লাভ ক্ষতির প্রশ্ন নয় তীর্থক, প্রশ্ন হলো অস্তিত্বের সন্মুখ বিরুদ্ধাচারীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই অস্তিত্বকে পূর্ণতা দিতে যাওয়া বা চাওয়াটা কতোটা বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত!
বলতে পারেণ, এই প্রশ্নের সমাধানতো বঙ্গবন্ধু করেই গেছেন, বাংলাদেশ সবার, সবাই বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করবে, কোন বিচার হবে না। কিন্ত আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে-
1. বঙ্গবন্ধু কে কেন প্রাণ দিতে হলো, কার দোষে? উনি একটা স্বাধীন দেশ আমাদের দিতে চেয়েছেন বলে? সময়ের চাপে কিছু সিদ্ধান্ত যেমন : সকল যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে?.....
2. কেনো স্বাধীনতার 35 বছর পরে এসে স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্ম 3 এবং 30 এর বিতর্কে মেতে উঠবে?
ভুলটা আগে বের করতে হবে তীর্থক। বঙ্গবন্ধু তখন ভুল করেছিলেন একথা বলার স্পর্ধা আমি দেখাবনা, কিন্ত এটা আমি অবশ্যই বলবো, 75 এর 15ই আগস্ট কিংবা আজকের বাংলাদেশের জন্য সেদিনের সেই সিদ্ধান্তটা অনেকাংশেই দায়ী।
স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে তর্কে আমি কখনোই জড়াতে চাইনি। এমন মহৎ, ত্যাগী উপমা নিয়ে গর্ব করা যায়, কথা কাটাকাটি বা তর্ক করার বিষয় এটা নয়। এই একটা বিষয়ই থাকা উচিৎ যাতে সারা 15 কোটি মানুষকে একই সূতায় গাঁথা যাবে। কারণ সবাই এদেশের নাগরিক, অসহায় দেশটার প্রতি সবারই কিছট া ঋণ আছে। সবুজ পাসপোর্টে উন্নত দেশের ভিসা লাগিয়ে দেশ থেকে বের হয়ে সেদেশেরই সন্তান, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা কথা বলতে পারছি, নিজের একটা ভাষা আছে বলে গর্ব করতে পারছি, মানচিত্রে খুব ছোট হলেও নিজের অবস্থানটা আঙুল দিয়ে দেখাতে পারছি, তাদের আত্মাহুতির সংখ্যা নিয়ে নির্মম বিতর্ক করছি, গলা উঁচিয়ে বলছি, সংখ্যা বেশি বলার জন্য ক্ষমা চাওয়া হোক.............. কেনো??
এটা ঠিক প্রতিটা মানুষের নিজস্ব অবস্থান আছে। ইংরেজীতে লিখা 6-কে বিপরীত অবস্থান থেকে দেখলে 9 মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত নিজের অবস্থান সবসময়ই অনড় থাকা উচিৎ। 71কে যারা সমর্থন করেনি তারা যেমন রাজাকার, ঠিক তেমনি সমর্থনকারীরা পেয়ে ছে, গাদ্দার উপাধী। আমরা বাঙালীরা গাদ্দার হলেও ওটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম ছিল, "ডু অর ডাই" - অবস্থায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল সেদিন বাঙালী, আর সে অবস্থা থেকে বের হবার উপায় ছিল একটাই, সশস্ত্র প্রতিরোধ। এটাই আমাদের গর্বের মুক্তি যুদ্ধ, আমাদের চেতনা।
পরিবার পরিবেশ নিয়ে আসলেই কথা বলা উচিৎ না, আমরা যারা মুক্তি যুদ্ধকে বুকে ধরে রেখেছি, যারা শহীদদের আত্মাহুতিতে শ্রদ্ধায় নতজানু হচ্ছি, তাদেরকি পরিবার বা পরিবেশ বলে দিয়েছে এটা করতে? আর কারো কথা না জানলেও আমি জানি, আমাকে বলা হয় নি। বাবার মুখে তখনকার দিন গুলোর কথা শুনেছি, 18 বছর পরের বই পড়েছি, নিজেকে প্রচন্ড আক্রোশে আবিষ্কার করেছি স্টেনগান হাতে হানাদারদের মুন্ডুপাতে, কই কখনোই তো মনে হয়নি, সংখ্যাটা 30 হয়েছে বলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে আছে, বাংলাদেশের...।
২২| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:০৩
অতিথি বলেছেন: তীর্থক, আপনি আমার পোস্টের শেষ অংশ পড়ে দেখেন, আমি কিন্তু বলেছি, কোন এনালজিই পুরাপুরি সত্য না। আমার মেটাফোরটা কিছু কিছু ক্ষেত্রেসত্য ছিল। আমি বলিনি পুরো সত্যি ছিল।
বাংলাদেশের অবস্থা আরও অনেক ক্রিটিক্যাল ছিল... অনেক অনেক। দেখুন রেসিজমের ভিত্তি ছিল বাঙ্গালিয়ানা আর পশ্চিম পাকিস্তানিদের মধ্যে বিরোধ। এই বিরোধটুকু অনেক মুসলিম ইগনোর করতে চাইত। ভাবত সময়ের সাথে সাথে এটা মিলিয়ে যাবে বা গণতান্ত্রিক উপায়ে ব্যপারটার সমাধান হবে.. সময় নিবে, কিন্তু হবে।
মাটির ময়না দেখেছেন নিশ্চই? সেটা দেখে আমি মুক্তিযুদ্ধকে অনেকটা নতুন করে দেখা শিখেছি। পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা যে কতদূর হবে সে সম্পর্কে অনেক মুসলিম ধারনাই করতে পারেনি। তাদের কাছে ব্যপারটা বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হওয়ার মতই অসম্ভব ব্যপার ছিল। সেই লোকটা (নাম ভুলে গেছি) নিজে ভিকটিম হওয়ার আগে (হয়তো পরেও) বুঝতে পারেনি যুদ্ধটা কিসের কিসের ছিল। যুদ্ধটা যে মুসলিম আর নন মুসলিমদের না, বরং বাঙালি আর পশ্চিম পাকিস্তানিদের ছিল...
যুদ্ধের মধ্যে এরকম অনেক মুসলিমদের ইসলাম-বোধকে এক্সপ্লয়েট করা হয়েছে... এটা একটা সত্য।
এগুলো ইতিহাসের অংশ। আমাদের ইতিহাসে তখনকার মানুষের মনভাব কেন তুলে ধরা হয় না? ধরা উচিত।
যারা রাজাকার আল বদর হয়ে হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল... তাদের কাজের কোন জাস্টিফিকেশন নেই। আমি আগের পোস্টে বলেছি দেখেন... হত্যা, খুন, অবিচারের কোন জাস্টিফিকেশন নেই... যারা করেছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু এটোও বোঝা উচিত, অন্য মানসিকতা কারও হয়ে থাকলে সেটা কেন ছিল।
সোজা কথা, এখন দূরে দাঁড়িয়ে ঠিক বোঝা যায় (বিশেষত এরকম রক্তঝরা যুদ্ধ হওয়ার পরে), কিন্তু এরকম মানুষিকতার মানুষ তখন থাকলেও তাদের প্রত্যেকে খুনী ছিল বলেই সে রকম ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধ অনেক সিম্প্লিফাইড করে আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়... হয় না, বলেন? সবদিক দেখলে আমার মনে হয়... তখন ব্যপারটা কেন হয়েছিল আমি বুঝতে পারি... কিন্তু মেনে নিতে পারি না। আবার পড়ুন... মেনে নিতে পারি না। অবিচার কখনই মেনে নেওয়ার মত না। ব্যস।
মাটির ময়নাতে ইতিহাস যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে আমার সেটা ভাল লেগেছে। আমি সেরকম রিপ্রেজেন্টেশন চাই।
আমার বক্তব্য শেষ হয়নি... এখন একটু উঠতে হচ্ছে...
২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: এই যে এই কথাটা আমি বললাম... আরেকটু ব্যালেনসড ইতিহাস প্রয়োজন... একই জিনিস তারিক আর ক্যাথরিন মাসুদ অনুভব করেছেন... তারা তো রাজাকারদের সমর্থন করার দোষারোপ পান নি... কেন?
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থোদ্ধারের খেলা নিয়ে সব নতুন প্রজন্মরাই বিরক্ত। ব্লগে এই নিয়ে লেখা শুরু হতে হতাশাগ্রস্ত মানুষ কম পাই নি। তাহলে আমাকেই কেন সিঙ্গল আউট করে বলছেন আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করছি না?
দেখুন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব উত্তেজিত মানুষদের আমি দেখেছি অবলীলায় ইসলামকে গালাগালি করতে। আমার মনে হয় তার কারন, রাজাকার আলবদরদের প্রতি ঘৃনাটা সাহিত্যগুলোতে সব ধার্মিক মুসলিমদের উপরেই পড়েছে... ব্যপারটা ঠিক না। জোছনা ও জননীর গল্পে একজন মাওলানার কথা ছিল যিনি সে রকম ছিলেন না... এগুলো আমাদের ইতিহাসে উঠে আসা উচিত। ইসলামকে আমি ভালবাসি। আমার আদর্শ নিয়ে কেউ উলটা পালটা কথা বললে, আদর্শের বিরোধিতা করলে তাকে সমর্থন করবো কি করে বলেন? অথচ মুক্তিযুদ্ধকে ভালবাসেন বলে দাবী করা অনেক মানুষকে ইসলাম নিয়ে বকতে দেখেছি। আমার অশ্রদ্ধা যদি সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদের উপর আসে, আমাকে কতটুকু দোষারোপ করতে পারবেন?
স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সুবিচার, ফেয়ারনেস এসব নিয়ে সামহোয়্যারের 5 জনের কথা শোনার আগে আমি 10 বার চিন্তা করে নিব।
প্রথম তিন জন: মুখফোড়, হিমু, রাসেল নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক ভাবে আমার হিজাব তুলে গালাগালি করেছেন। হিজাব আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অংশ। যেখানে অন্য ব্যপার নিয়ে মত বিনিময় হচ্ছে সেখানে এই ব্যক্তিগত অধিকারের উপর আক্রমন আমার বিরক্ত লেগেছে। স্বাধীনতার কথা তাদের কাছে শুনতে ইচ্ছা করে না। এই অশোভনতা দিয়ে তারা প্রমান করে দিয়েছেন, তারা প্রকৃতই সংকীর্নমনা... রাজাকারদের সাথে তাদের স্থান বদল হলে তারাও একই কাজ করতেন।
আর দুই জনের কথা না হয় নাই বললাম। তারা এই স্বাধীনতা প্রসংগে কোন ব্যক্তিগত আক্রমন করেন নি বলে উহ্য রইল...
আপনার মতামত শুনতে চাই তীর্থক, আমার হিজাব তুলে গালাগালি করার সম্পর্কে আপনি কি বলেন? যদি আপত্তি থাকে, তাহলে আগে কেন আপত্তি তুলেন নি? অন্যের মধ্য থেকে সংকীর্নতা দূর করার আগে নিজের মধ্য থেকে দূর করতে হয়, তাই না?
তর্ক আর করবো না ভেবেও কিছু করলাম। আমি যা না তা তর্ক করে আমাকে কেউ বানিয়ে দিতে পারবে না অথবা তর্ক করে দেশের এখনকার অবস্থা বদলে দিতে পারবে না। আমি যা না তা ভেবে যদি কেউ শান্তিপায়, আমাকে নিয়ে কবিতা লিখে, গল্প বানিয়ে সাহিত্যিক প্রতিভাকে ধন্য করে তাহলে আমার আপত্তি থাকবে কেন? তবে এতে দেশোদ্ধার কি করে হচ্ছে সত্যিই বুঝতে পারছি না...
২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১:০৩
অতিথি বলেছেন: সব সময় নয়, তবে অধিকাংশ সময়ে ব্যক্তিগত পাওয়া না পাওয়া, অর্জন বা হারানোর উপর নিজের দর্শন বা বিশ্বাস নির্ভর করে। অনেক সময় পছন্দমত অর্ধসত্য গ্রহন বা নিজের সুবিধামত বিশ্বাস সৃষ্টি করে মানুষ। যদি আস্তমেয়ের নিজের মা ধর্ষিত হতেন, মৃত বাবাকে যদি 16ই ডিসেম্বরের পরে রাজারবাগের ইটখোলায় পাওয়া যেত অথবা 71-এ হওয়া পারিবরিক এমন কোন বিপর্যয় যা এখন পর্যন্ত বহন করতে হতো, তবে তিনি তার তখাকথিত এমন 'নির্মোহ' ঐতিহাসিক বিবৃতি বা 71 সংখ্যাতত্বচালিয়ে যেত পারতেন না বলে আমার ধারনা।
২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ২:০৩
:) বলেছেন: সাজেদ: আমার নতুন প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত, যাদের মা/বাবা এফেক্টেড নয়। তারা ত' কিছুটা নির্মোহ হবেই, সেটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকতা মেনে সেই ফ্রিকোয়েন্সিতে তাদের সাথে কথা বলতে হবে।
২৬| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ২:০৩
মঈন বলেছেন: please shobai muri khan apnara
২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:০৩
:) বলেছেন: হুমম বিতর্ক ভিন্নমাত্রা পাচ্ছে। কিছু কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করছি।
1. আস্তমেয়ে ও ইতিহাস দর্শন: মেয়ে মাটির ময়নার উদাহরণে জয়ন্ত (যিনি বাবা) চরিত্রের মাঝে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানবাসী একাংশের 'মনস্তত:্ব' খুঁজে পান। জয়ন্ত চরিত্রের একটা অংশকে তিনি ফোকাস করলেন, বাকি অংশ তার চোখে পড়লনা?, দেখে অবাক হতে হয়! ছবিতে জয়ন্ত অতিরক্ষনশীল, রাজনীতি অসেচতন, অন্ধবিশ্বাসী, ইনকমপেটেন্ট একজন ব্যক্তি/পিতা/স্বামী। মেয়ে সেই 'মনস্তত্ব:' দিয়ে বিচার করতে চান বাংলাদেশের একটা বিশাল মুক্তিকামী জনগনকে? ঐতিহাসিক পার্সপেক্টিভে সেই 'মার্জিনাল অংশের' প্রতিফলন মেয়ে দেখতে চান। সেটা তার কাছে 'ব্যালেন্সড ইতিহাস'।
2. সাহিত্যে গালি-গালাজ: (রাজাকার/ ধার্মিক মসুলমান / ধর্মান্ধ মুসলামান): অস্বীকার করব না অধিকাংশ খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের ধর্মে আস্থা নেই বিন্দুমাত্র। সেদিক থেকে দেখতে গেলে তাদের এই বিষয়ে বায়াস্ড হওয়া টা অস্বাভাবিক না, যখন বাস্তবতা/ঐতিহাসিক ঘটনা তাদের দর্শনকে সমর্থন করে। তবে গল্প-উপন্যাসে ক্লিশেইড চরিত্রও তারা ভাঙেন, এরকম অজস্র উদাহরন আছে যেখানে যুদ্ধকালীন সাধারন মুসলামনদের মানবিকতাবোধ/ মনস্তত্ব: তথাকথিত অধার্মিক লেখকের কলমে এসেছে।মেয়ে নিজে ইসলাম-বায়াসাড্ হয়ে অন্যদের থেকে 'আনবায়াসড্ ইন্টারপ্রিটেশন' চাইলে চলবে কেমনে? কিন্তু এই প্যারাডক্সে পড়ে যদি তার কিবোর্ড থেকে আপাত: মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লেখা প্রকাশ পায়, তখন সেই মুক্তিযোদ্ধাপ্রেমীদের কিছু তিক্ত যুক্তি ত' শুনতে হবে।
ব্যাক্তিগত আক্রমন: এ বিষয়টা দূ:খজনক, কিছু কিছু সুব্লাগারু আস্তমেয়ের কথার জবাব দিতে যেয়ে অযৌক্তিক ভাবে হিজাবের রেফারেন্স টেনেছে, আমার দৃষ্টিতে যারা মেয়েকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করেছে সেটা তাদের তাৎক্ষনিক ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ছিলো, আমি আশা করব বিষয়টার জন্য তারা ক্ষমা চাইবে। আমার এ কথা বলার কারন হিমু এবং মুখফোড়। হিমু কখনও কোন সিরিয়াস বিতর্কেই থাকেন না, মুখফোড় থাকলেও যথেষ্ট পরিমিতিবোধের পরিচয় দেন, কখনও সেরকম রেফারেন্স টেনে ব্যাক্তিগত আক্রমন করেন নি কাউকে। মেয়ে একমাত্র এক্সেপশন।
ব্লগিং বনাম দেশোদ্ধার: আসলে এখানে মনে হয় না কেউ দেশোদ্ধার করতে এসেছেন, তবে সাহিত্যিক প্রতিভা যে কিছুটা ধন্য হচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই।গল্প-কবিতা/কুটনামী কিন্তু এব্লগের একটা রিচুয়ালের মত হয়ে গেছে, এটাকে স্পোর্টিংলি নিতে মনে হয় না খুব একটা সমস্যা হবে।
(সম্পুর্ন লেখাই আমার বায়াসড্ ইন্টারপ্রিটেশন অফ রিয়ালিটি)
২৮| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:০৩
অতিথি বলেছেন: :S
২৯| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৪:০৩
অপ বাক বলেছেন: হিজাব নিয়ে কটাক্ষ করাটাও ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা হিসেবে দেখা হবে না কেনো? মেয়ে তুমি যখন যেভাবে ইচ্ছা একটা ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হচ্ছো, মাঝে মাঝে অযৌক্তিক কথা বলছো, আর মাটির ময়নার ঐ লোকটাকে ফোকাস করার অর্থ ছিলো এটা দেখানো যে মানুষের ধর্মিয় সংকীর্নতা এবং ধর্মান্ধতা থাকলেও একটা বিপর্যয়ে সেই মোহ কেটে যায়।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত জয়ন্তর চরিত্র কিন্তু একজন ধর্মভীরু সাধারন মানুষের, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মে ধর্মের একটা ভুমিকা ছিলো, ধর্মভীরুদের একটা মৌন মনস্তাতি্বক সমর্থম ছিলো এই ধারনার প্রতি........
তুমি শ্যাওলার মতো বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছো এবং কোথাও স্থিতু নয়, কয়েকটা ব্লগে তোমার মন্তব্য এমনই ধারনা দেয়, আগে নিজের অবস্থানটা স্থির করো।
৩০| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৫:০৩
:) বলেছেন: অপ বাকের যুক্তি আমাকে নাড়া দিয়েছে, আসলেই 'ব্যাক্তিগত স্বাধানতার' সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? যেমন আস্তমেয়ের কাছে হিজাব পড়া অর্থ 'সম্মানিত নারী'তে রুপান্তরিত হওয়ার একটা পদক্ষেপ, এ কথা দ্্বারা সে কি সকল 'হিজাবহীন নারী'দের সম্মানহানী করছেন না? তার কথা শুনে মনে হয় মার্গারেট থ্যাচার/ইন্দিরা গান্ধি সম্মানিত নারী হবার যোগ্যতা রাখেন না!
৩১| ৩১ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৫:০৩
অতিথি বলেছেন: মুখফোড়ের স্মৃতিশক্তি যথেষ্ঠ টাটকা। যদ্দূর মনে পড়ে, আমি বলেছিলাম, আস্তমেয়ে হিজাব চোখ পর্যন্ত তুলে রেখেছেন। কথাটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত, আমি বলতে চেয়েছি তাঁর দৃষ্টি তিনি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন, অনেক কিছুর ওপরই ফেলছেন না, তেমনি অনেক কিছুকেই তাঁর চোখে পৌঁছতে দিচ্ছেন না। এতে কী অশোভনতা প্রকাশ পেয়েছে তার ব্যাখ্যা শুনতে চাই। তিনি হিজাব পড়েন কি না পড়েন তা নিয়ে আমি বিব্রত নই। পাশাপাশি কিছু প্রশ্ন রেখেছিলাম তার কাছে, সেগুলোর সদুত্তর তাঁর অনিচ্ছা বা অপারগতার কারণে পাইনি।
আমি আবারও জানতে চাইবো সবিনয়ে, পাকিস্তানের আক্রমণকে তিনি একটি তুলনা দেখিয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছিলেন। এর ব্যাখ্যা কী?
একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়ে আস্তমেয়ে এখন তাঁর স্বর ও সুর সংযত করেছেন, নইলে প্রথমে তিনি যথেষ্ঠ রূঢ়ভাবে "বুড়োবুড়ো" মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করে গেছেন, আমি তাই আস্তমেয়ের মুখে সংকীর্ণতা আর অশোভনতার বক্তৃতাকে যথেষ্ঠ গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করছি না। আপনি আচরি ধর্ম শেখান অন্যেরে। ধন্যবাদ।
৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৬ ভোর ৬:০৪
অতিথি বলেছেন: মুখফোড়, আমার হিজাব আমার চোখের উপর নেই, মাথার উপর। তবে আমার হিজাব মনে হয় আপনার চোখের উপর পড়ে খুব অসুবিধা করছে। আমি সব মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করিনি। যেই "বুড়ো বুড়ো" মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করছেন, দেশ আর জাতির ভবিষ্যতের কথা না ভেবে তাদের অতীতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলেও বর্তমানের প্রতি এক বিন্দু নেই। একবিন্দুও। এটা বলতে আমার কোন দ্্বিধা নেই। রূঢ়ভাবেই বলে যাব।
মুখফোড় আর অপ বাক দুজনেই হিজাব নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। আমার ইসলাম অনুরাগ আর মাথার উপর হিজাব এ সব সামনে এনে সেগুলোর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝার চেষ্টা করছেন। আমি সুর পাল্টাই নি একবার্ও, আমার সুর প্রথমে যা ছিল, সেই একই সুর এখন্ও আছে। বক্তব্যে আপনাদের ঠেলাঠেলিতে ব্যাখ্যা যোগ করতে করতে অনেক দূর এসেছি, এই যা।
মুখফোড়, আপনার চেয়ে ভাল কেউ জানে না, আপনার কবিতায়, কূটনামীতে আমার হিজাবের রেফারেনস এসেছে যথেষ্ট অশ্লীল ভাবে। চোখ হিজাব দিয়ে ঢেকে রাখার ব্যপারটাও হিজাবের উপর আক্রমন, আমি হিজাব না পড়লে বলতেন চোখ বন্ধ করে রেখেছি।
অপ বাক আর হাসিমুখ...
নারী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হ্ওয়ার পরে দুনিয়া জোড়া পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাতে ঢালা্ও ভাবে প্রপাগান্ডা করা হয় পর্দানশীল নারী মানেই অত্যাচারিত, অসুখী, সাবমিসিভ, অশিক্ষিত আর্ও কত কি... আপনারা নিজেরাও তা বলেন। আদর্শিক মত পার্থক্য থেকে বলেন, কিন্তু একজন ভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী বলে তাকে আপনি সিঙ্গল আউট করে ব্যক্তিগত আক্রমন করতে পারেন না। আমার চারপাশে সবাই পর্দাহীন, আমার শিক্ষক, আমার বন্ধু বান্ধব সবাই। তাদেরকে আমি "অসম্মানিত" কখন্ও দাবী করি নি (অসম্মানিত শব্দটা কোথথেকে পেলেন বুঝলাম না)। আমি আমার সারা জীবনে পর্দাহীন ভাবে চলার জন্য কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করি নি, করবও না। অথচ পর্দাহীন ভাবে চলাফেরার ব্যপারে আমার আপত্তি আছে। আপনারা কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমন করছেন। ঢালা্ও ভাবে পর্দার বিরোধিতা করছেন এবং ব্যক্তিগত আক্রমন করছেন। পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে আপনাদের বেশি যুক্তি থাকলে যৌক্তিক পথে আগান।
বলেছেন হিজাব ব্যক্তিগত আক্রমন করা আপনার ব্যক্তিগত অধিকার কেন না... এটা না। মানুষকে থাপপড় দেয়ার অধিকারকে স্বাধীনতা বলে না। রাস্তায় কাউকে অপছন্দ হলেই তাকে গালাগালি মারধর করা আপনার ব্যক্তিগত অধিকার না।
মুখফোড়, আপনার চেয়ে ভাল আর কেউ জানে না, আপনার কবিতায়, কূটনামীতে আমার হিজাবের রেফারেনস এসেছে যথেষ্ট অশ্লীল ভাবে। চোখ হিজাব দিয়ে ঢেকে রাখার ব্যপারটাও হিজাবের উপর আক্রমন, আমি হিজাব না পড়লে বলতেন চোখ বন্ধ করে রেখেছি।
হাসিমুখ, আপনার যুক্তি মানছি। জয়ন্ত ইনকম্পটেন্ট অনেক দিক দিয়ে। তবু জয়ন্ত কিন্তু দেশের জনসংখ্যার বড় একটা অংশকে রিপ্রেজেন্ট করছিল, যারা নিজেরা ভুক্তভোগী হ্ওয়ার আগে বুঝেননি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মুসলিমেরই ইসলাম নিয়ে একটা নরম জায়গা আছে... ইসলামের প্রকৃত রূপ দেশে না থাকল্ওে একটা রোমান্টিক উইশফুল থিংকিং ছিল যে সব ঠিক হয়ে যাবে... কারন পশ্চিম পাকিরাও মুসলিম। যেই মুক্তিযোদ্ধাকে দেখান হয়েছে, তিনি শিক্ষিত... রাজনীতি সচেতন... আমাদের এখনকার দেশেরও কয়জন মানুষ সে রকম হন বলেন? আগে তো আরও কম ছিল। মার্জিনাল বুঝলাম, কিন্তু এটা্ও সত্য। সত্য যত ছোটই হোক, সেটাকে বাদ দেয়ার প্রশ্ন আসে না। সে যাক গে... শুধু এই দিক ছাড়াও আরও অনেক দিকে ব্যালেনস করার প্রয়োজন আছে। আমাদের ঐতিহাসিকরা এখনও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষকের ব্যপারে বিতর্ক করতে গিয়ে গালাগালির পর্যায়ে চলে যান...
মুখফোড়, আপনার স্মৃতিশক্তি টাটকা হলেও চোখের সামনে আমার হিজাব এসে আছে... তাই খেয়াল করেন নি আমি "হত্যাকান্ড" আর "রাজনৈতিক অবস্থান" এর মধ্যে পার্থক্য করেছি। আমি পাকিস্তানের আক্রমনকে জাস্টিফাই করি নি, আমার পুরো পোস্ট জুড়ে আমি বলে গেছি অবিচারের কোন জাস্টিফিকেশন নেই আর পাকিস্তানের নিরস্ত্র মানুষের উপর আক্রমনটা ছিল অবিচার... অমানুষিক... আবার পড়ে নিন আমার মন্তব্য...
তীর্থক... ওভারঅল আপনার পোস্টটা ভাল লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করব কারন ইসলামকে ভালবেসে কেউ বোধ হয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উচিত কথা বলতে পারে না... সহব্লগারদের এলার্জি হয়...
৩৩| ১২ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৮:০৬
ধানসিঁড়ি বলেছেন: তীর্থক:
আপনি কি নীরবে হারিয়ে গেলেন?
অনেক দিন হলো আপনাকে দেখছি না।
আড্ডা ঘরে আপনার সাথে চমৎকার একটা বন্ধুত্ব হয়েছিল, অকালেই সে বন্ধুত্বের ইতি টানতে কষ্ট হচ্ছে না?
আপনার পথ চেয়ে বসে আছি।
৩৪| ১২ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে "উচিত" কথা বলেছে অনেক রাজাকারের ছানা। বলতে বাধা তো নাই। গোলাম আজমের জীবনী পড়ে পড়ে যারা মুক্তিযুদ্ধকে চিনেছে, তাদের চিন্তাচেতনার সাথে আরো ভালোভাবে পরিচিত হতে আগ্রহী আমরা। দেখি হিজাবের ফোঁকর গলে কী সে রওশনি তাদের মর্মে পশেছে।
৩৫| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১১:৫৯
অতিথি বলেছেন: তীর্থক অনেক দিন পরে আইসা আবার গেলেন কই ?
৩৬| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:১২
বজলর রহমান বলেছেন: হায়, এখনও তিন লাখ না ত্রিশ লাখ এ নিয়ে বিতর্ক হয়......
৩৭| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:১৩
অতিথি বলেছেন: তীর্থক,
খবর কী? বহুদিন কোন আওয়াজ পাই না? আশা করি, ভাল আছেন । শুভেচ্ছা রইল ।
৩৮| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:১৬
অতিথি বলেছেন: হ তীর্থক গ্যলো কই ?
৩৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
শাওন বলেছেন: হাজার বছর পরে মনে অনলাইনে আসলেন । স্বাগতম ব্যাক ।
http://www.somewhereinblog.net/srablog
লিংকটা দেখেন দয়াকরে ।
৪০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: ভাই জিনিসটা কোনখান থেকে কোনখানে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন । স্বাধীনতায় শহীদের সংখ্যা যতই হোকনা কেন আপনারা হ্মমা চেয়ে কি সেটা পরিবর্তন /সংশোধন করতে পারবেন । এই ব্যাপারটি নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমনের কোন কারনতো আমি দেখি না ।
আমরা এখানে সবাই স্বাধীনতার ইতিহাস কমবেশি জানি । আমরা সবাই স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ । রাজাকার আলবদরদের কাহীনি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে । এখন তাদের কার্যক্রম আছে কিনা সেটাতো আমি জানি না ।তবে এটুকু বলব তাদের যখন আমরা ঘৃনা করি তাহলে তাদের নৃশংসতা এবং দেশদো্রহিতার কথা না আলোচনা করলেই পারি । আপনারা যে কাউকে রাজাকার বানাতে পারেন না এবং কটাহ্ম করতেও পারেন না। আমাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উন্নতি । সেখানে ইতিহাসকে বারবার টেনে এনে বিতর্কের সৃষ্টি করা মোটেও দেশপ্রেমের মধ্যে পড়ে না । আমরা ইতিহাস প্রিয় মানুষ বলেই আমরা ইতিহাস চর্চা করি।
আমরা মানুষ আমাদের ভুল হতেই পারে । ভুল হয়না শয়তানের । তাই আমি বলব শুধু শুধু ব্লগের শান্তি বিনষ্ট হয় ,সেরকম আলোচনায় আমরা না গেলেই পারি ।ধন্যবাদ ।
৪১| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
অতিথি বলেছেন: অনেক দিন পর তীর্থককে দেখলাম। স্বাগত। বেশী দূরে গিয়ে ডুক দিলে কেমনে হয়? কাছে ধারে থাকবেন যাতে আওয়াজ দিলে শুনতে পান।
৪২| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৬ রাত ৮:০২
অতিথি বলেছেন: আছি এবং কা
৪৩| ০২ রা মে, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৮
সুমন চৌধুরী বলেছেন: এই পোস্টটা মনে পড়লো তীর্থকরে দেইখা
৪৪| ০২ রা মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
তীর্থক বলেছেন: সুমন, আমার লেখাটাকে মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ । এখনও কিন্তু সেই সময়ের সেই বিশ্বাসেই অটল আছি । একটুও সরে আসিনি................
৪৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৩৭
তীর্থক বলেছেন: সুমন, আপনাকে মিস করি ।
৪৬| ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:২২
রাশেদ বলেছেন: আইচ্ছা...
৪৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:১০
পথহার২১ বলেছেন: শমী ও শাওন আপনারা ভয় পাইয়েন না।নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস ফাস হবার ভয়ে ওদের এত মাথাব্যথা।
৪৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০২
নীতিশ বৈরাগী বলেছেন: আমার মনে হয় এখানে রাজাকারদের বক্তব্য আলাদা মার্কার দিয়ে মার্ক করা উচিৎ। কি চমদৎকারভাবেই না এরা রাজাকারী আর ধর্মকে একাকার করেছেন। এদের পেচণে আছে সাম্রাজ্যবাদ।
তাই আমি আর দশটা মানুষের মতো এদের বিচার চাই না বরং বধ্যভুমি থেকে সেই লোকটার মতো বলতে চাই বিচার চাই না প্রতিশোধ চাই .... যতক্ষণ পর্যন্ত গোলাম আজম, নিজামী, সাঈদী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামানদের লাশ ঐভাবে পড়ে থাকতে না দেখবো ততক্ষণ ঐ বেজন্মাদের কোন ক্ষমা নাই।
এই লিঙ্কটা দেখুন সবাই। এখানে ঐ মন্তব্যটা দেখুন
দেখেন
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ তীর্থক । ভালো লাগলো ।