![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব
---নির্জন মন ।
(১ম কিস্তি )
প্রবাহমান জীবন বহে অবিরত,প্রতিনিয়ত আশার স্বপণ
চালিকা শক্তি । তাই চলছে এ মন প্রান আজো এ কন্টকপূর্ণ
পৃথিবীতে । মাঝেমাঝে অনক উচুতে ওঠেও আবার ধ্বসে
পরে মুখ থুবরে । ইদানিং খুব ঝঞ্জাটপূর্ণ সময় পাড় হচ্ছে -
দিনদিন বিশালতায় তৈরী হচ্ছে এসব ঝামেলার প্রসারতা ।
সোনালী শৈশব স্বর্গীয় সুখ এ জীবনের, যতই সময় যাচ্ছে
ততই জটিল ও দুর্বোধ্য হয়ে ওঠছে জীবন যাপন ।-------
সময় হয়ে ওঠছে অতিরিক্ত ভারী, এ ভার ও বোঝা বেসামাল
করে দিচ্ছে মন । বড়ো দিশেহারা ও উদভ্রান্ত লাগে, কিযে -
করার ছিলো এবং কিযে করা উচিৎ বুঝিন আর................
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগি,এ এক কঠিন চাপ-
কিন্তু কিসের চাপ বুঝিনা..............................................
(২য় কিস্তি )
উজ্জলতায় উদ্ভাসিত জীবন ক্রমান্বয়ে ম্রিয়মান হয়ে যাচ্ছে,
মন চায় মরে যাই,সরে যাই কিংবা নিঃশেষ করে দেই ভগ্ন মন -
তবু দিনদিন এ পচেঁ যাওয়া আর সইছে না যে মোর ।----------
আমি সময় বঝিনা,নিয়ম মানিনা- ব্যাকরণহীন প্রান,
এ প্রকট দেয়াল বাধাঁ, কি সীমাহীন অনিশ্চয়তা....................
মানিনা যদিও পারছি না যে আর,কেন এই জটিলতা-???
প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন,প্রশ্নের জন্য প্রশ্ন-শুধু উত্তর জানি না............
আমি সাহায্য নিতে শিখিনি,শুধু দিতে জানে যারা------
পরনির্ভরশীলতা তাদের কি মানায়? এখন নিজের জন্য
করুনা হয়,জানি আমি অবুঝ-নাবুঝ কিংবা নির্বোধ নই,
তবে কিছুটা অদ্ভুত!এই মেকি সমাজের জন্য অনিয়ম
আমি। ক্রমশ জড়িয়ে পড়ি ইন্দ্রজালে-গোলক ধাঁধাঁর চেয়ে-
কঠিন মারপ্যাচে, কবে থামবে এ গতি নামক দূর্গতি
কবে থামবে এই দুঃস্বপ্নের পরিক্রমন............................
(৩য় কিস্তি )
আমার স্বপ্ন,আমার স্বাদ-আহলাদ কিছু ছিলো,
আছে বোধ হয় এখনও কিছু,তাদের খবর নিইনা আর
ধূলো-বালি-কাদা এত ময়লায় চাপা পরেছে সুর্দশন-
যা আছে তা শুধুই ফসিল কিংবা ফসলের মাঠে কাকতাড়ুয়া!
যা দেখে কাকেরাও পালায় ভয়ে,ভয় পাই নিজেও-----------
এখন আমি প্রচন্ড সংগ্রামে দিগদ্বিগ জ্ঞানশূণ্য...................
প্রস্তরখন্ড উপহার পাই,গায়ে জ্বলে ওঠে লাল ক্ষত চিহ্ন,
আমি কি স্বাভাবীক?অস্বাভাবীক বলতে পারলে ভালো হতো ।
অলৌকিক বোধ, লৌকিক পৃথিবীতে- বেকার সব................
স্বপ্ন আকিঁ,স্বপ্নে ভাসি,স্বপ্নে চলাফেরা কাল্পনিক ছবিয়াল
সব যেন মোর হাতের মুঠোয়-হাত বাড়ালেই পেয়ে যাই স্বপ্নে
বাস্তবে নিরাশাঘন আধাঁর চোরাবালি,খড়খুটোও পাই না ।
তবুও দুঃখবিলাষী আমি,সুখ ভালোবাসিনা -
তার বাড়িয়ে হাত ধরতেও যাই না ।
কৃতঘ্ন আমি?! হয়তোবা -ক্ষমা করো মোরে-
এ মোর অনিচ্ছাকৃত অসাড়তার ফল...............................
(৪র্থ কিস্তি )
ভগ্ন মন রোগাক্রান্ত জীর্ন শরীর, স্থম্ভিত আমি ।
চিন্তা-ভাবনা জড়িয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস..............
আফসোস নেই মোর কারন অতি উত্তম কিছু -
কল্পনা করিনি আমি । কিন্তু এ ব্যাবচ্ছেদ এই ভাঙ্গন
বড়ো পিড়া দেয় মনে । আজ নিজেকে বড়ো ক্লান্ত লাগে,
জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হতে হঠাৎ থেমে যাওয়া আশ্চর্য্যক !
তুমুল ঘূরণিঝড়ের মাঝে দাড়িয়েও আমি শান্ত হতে চাই,
আমি শান্তি চাই শরীর ও মনে । আমি জানি এ ব্যথার পৃথিবী-
একদিন কেদেঁকেদেঁ বলবে "তোমার সাজিয়ে রাখা ঢালী আমিই
ফেলে দিয়েছি,আমাকে ক্ষমা করো ।" কিন্তু ততদিনে নিঃশেষ
হয়ে যাবে মোর সর্বশ্ব, ক্ষমা করবার জন্য যেটুকু ঐশ্বর্য থাকা- দরকার,তাও...........
(৫ম কিস্তি )
আমি আমার জন্য এ জীবন নিয়ে কখনও ভাবিনি,
যাদের জন্য এ জীবন আমি ধূলিম্লান মরু কারবালা হতে
টেনে এনেছি, তারা আমার পিপাসার্ত মুখে একফোটা পানিও
দিলো না ! আমি ক্লান্ত হতে হতে মূর্তি হয়ে গেলাম, কিন্তু কেও
আমার হৃদয় স্পর্শ করলো না কোমল স্নেহে ও ভালোবাসায় ।
আমি একা হয়ে একাকিত্বের ঘুমে ডুবে গেলাম -কেও আমাকে
জাগালো না । নিথর-নিরব সময় থমকে মহাকাল -------------
আমাকে রাখে তার হিসাবের বাইরে, আমি থাকি একা এ সৌর-
জগতের থেকে ছিটকে - নিঃস্ব মহাকাশে...............................
(৬ষ্ঠ কিস্তি )
আজ তাই আমি এ নির্জন পৃথিবীর বুকে-
বিসর্জন দিয়ে গেলাম মোর উন্মাদনা ...........
যদিবা হঠাৎ মনে পড়ে, চেয়ে দেখবে আকাশের বুকে
মিটিমিটি এক অনুজ্জল তারা, থাকে অপেক্ষায়........
যদিবা কেও ডাকে, কেও যদি খোঁজ করে------------
তাই চেয়ে থাকি, তাই রাত জাগি -একা শুধুই একা......
জানি আমার সব পন্ডশ্রম, আমার সৃষ্টি যাবে বৃথা------
তাই নিজেকে লুকালাম ছাইভষ্ম আড়ালে..................
তবু দেখি এ মেকি সমাজ শুধু বাইরের চাকচিক্কই পছন্দ করে !
ছাইভষ্ম ঘেটে শরীর নোংরা করতে নারাজ তারাঁ-------------
গুপ্ত ঐশ্বর্যের কথায় এরাঁ ফেটে পড়ে অট্টহাসিতে ..............
নির্বোধ এরাঁ-? নাকি নির্বোধ আমি -?
হিসেব মেলাতে পারিনা । যাক যাবে বৃথা, তবু রেখে যাই -
কিছু কথা এ ঝুলন্ত বায়ূমন্ডলে- এ অবাক পৃথিবী সবাক হবে কবে?
সব ফলাফল শূণ্য হয়- শূণ্যে ভাসে পৃথিবী, শূণ্যে ভাসি মোরা,
তবু আমি এ শূণ্যের আগে বসে এক হতে চাই-পৃথিবী যাক দশে
আমি শুধু সামনে যেতে চাই দেখাতে ভিন্ন মাত্রার পথ .................
(৭ম কিস্তি )
আমি খুজে খুজে বহু চর্চায়, জেনেছি নিরর্থক সব-
এত বিদ্যায় ? বিদ্যার চাপে চাপা পরে জ্ঞান, কান ধরে
দাড়িয়ে হয়ে ওঠে কান্ডজ্ঞান ! আরে অলস ভিতু মনে-
রেখো সব সময়, কান্ডজ্ঞান থেকে বড় হলো কার্যজ্ঞান ।
আসুক তুফান - ঘূর্ণিঝড়, লাগুক না কিছু আগুন -
যদি কিছু না ভাঙ্গে গড়বে কোথায় ? জায়গা যে সীমিত ।
তাই যত আছে ভুল-ত্রুটি ভেঙ্গেচূড়ে ঘটাও সুমতি------
আমিও যে চাই আমার জীবন- কেন এত বাধাঁ ?
কেন এত ব্যথ্যা ? এ ব্যথ্যার ঘাঁ শুকানোর জন্য-
আজ বুকে জ্বালাই আগুন, যতটুকু কষ্ট পাবো-
তার চেয়ে দ্বিগুন ভালো হবো, এই প্রত্যাশায়.................
(৮ম কিস্তি )
আমিও কি চাইনি তুমি এবং তোমরা যেরকম সেরকম হতে?
উল্লাসে যোগ দিতে তোমাদের আনন্দ মেলায়, তবু যে পারিনি-
এ কালো শিকল জড়াইয়া ধরেছে পায়ে, আমার ভিতর আমি
এতটাই অবাস্তব ! ঘোরের মাঝে হাটি,জানিনা কোথায় যাবো
কিবা মোর গন্তব্য? শুধু জানি দুঃখেরা ইদানিং পুজিবাদি হয়ে-
ওঠেছে, পুজিবাজার সরব করছে তারাঁ ।যদি মোর দুঃখরা এত
বিত্তবান হয় তবে -আমার সুখ গুলো কতটা দরিদ্র চিন্তা করতে-
পারো ? তবুও আমি ধণি ! সুখি না হলেও হয়েছি দুঃখের সম্রাট
তাইবা কম কিসে ? জানি এ মোর আত্নকথন লাগছে কিছুটা
প্রলাপের মত, প্রলাপ গুনতে গুনতেই হয়েছি আমি বিজ্ঞ আত্ন-
সমালোচক । আমার কিছু সমালোচনা করবো আজ ----------
কতটা ভালো আমি কিংবা আমি ততটাই খারাপ ,
সব জানাবো আজ -সবি জানবে আজ....................................
(৯ম কিস্তি )
আমি ছিলাম সুনীল প্লাবনের সুখে, নিজ ভূমে আপন মনে ।
চারপাশে ছিলো প্রাকৃতিক সুখারণ্য । সেই সুখের বাগানে-
ফুল রূপে হঠাৎ এলে নারী, করে তুললে মোর জীবন স্বর্গীয়
কানন ।এত শোভা- এত মায়া -এত আনন্দ, এখনো বাজে
সেই মাদলের ধ্বনি বুকে,এখনো শুনি সেই রিনিঝিনি ।সেই
সারলতার মায়াবী আবেশে বুদ হয়ে ছিলাম কিছুকাল ।তারপর
এলো সেই কালো রাত- আতংক ভয় ও দিশেহারা হয়ে ছুটেছি
বহুকাল .......... । আজো ছুটছি এড়াতে তাকে ,সে আর কেউ
নয় - এ সেই নারী ! ছলনার দাবাচালে আমাকে হারিয়ে করে-
দিলে স্থানচ্যুত । আজ তাই আমি পথের বিবাগী, কি অপরাধ?
কি ভুল ছিলো? ওহ নারী, অসহ্য লাগে -এত মায়াবতী ?তুমি
বহুরূপী ! মোর এ জন্মে জেনো তোমাতেই হয়েছে সকল ক্ষতি ।
তুমি সুন্দরী মনসার কাটাঁবন- ও মোহে পরে এই উন্মন -------
রক্তক্ষরণ সয়েছি...............................................................
(১০ম কিস্তি )
নিজেকে আর চিনতে পারিনা নিজের সামনে দাড়ালে,
কুৎসিত ছলনার ছুরিতে বুক হয়েছে এফোড়ঁওফোড়ঁ ।
ফুসফুসে বায়ূ নেই, বেচেঁ থাকা আমি এক জড় মানব ।
আমার জন্য হারিনি- শুধু তোমার জন্য পারিনি-------
এই প্রতিযোগীতায় নিশ্চিত জয় ছিল মোর, তবু
সরে দাড়িয়েছি, ভয় পেয়ে নয়- ভয় কাকে বলে আমি
জানি না । শুধু এক পিছুটান চলতে দিলো না মোরে ।
তোমাকে রানী বানাবো বলে আমি রাজ্য জয়ের যুদ্ধে
অবতীর্ন হই, কিন্তু সেই তুমি চলে গেলে- ফেলে আমায়
রণক্ষেত্রে একা ! তুমিহীনা রাজ্যপাট নিস্প্রয়োজন জেনে,
আমি আত্নহননে মত্ত হই । তা দেখে শত্রুরাও সরে গেলো
দূরে।এখন নিঃশেষিত হচ্ছি দিনে দিনে.........................
হয়তো এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাবে আমার জীবন,
মুছে যাবে ইতিহাস হতে, তবু জেনো তোমার বুকের মাঝে-
আমি রেখে গেলাম আমার জীবন্ত মন - যা মরবে না কোন
দিন, মুছবে না কোন দিন । যুগযুগ ধরে বেচেঁ থাকবে এ-
মনের বীজ, তোমার বংশ পরম্পরায়............................
©somewhere in net ltd.