আগুন্তুক

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২৩

আগুন্তুক
---নির্জন মন ।

জানি আমার অপ্রত্যাশিত আগমনে -
মুখ বাঙলা পাচঁ করে নাক শিটকাবে ভদ্রলোক !
আমি সেই দুর্নিবার, ফুটপাত হতে ওঠে আসা
রাজপথে বজ্রমুষ্ঠি হাতুড়ির সুর - আগুন্তুক ।
আমি বনো-জঙ্গল থেকে শুষে নিয়ে জীবনের নির্যাস
নগরের মাঝে জুড়ে দিয়েছি তারঁ আশ্বাস,
ঘুরি পথে প্রান্তরে, জীর্ন জঞ্জালের মত পরে থাকা-
মানুষের দূর করিতে দীর্ঘশ্বাস..............................
বিত্তের দম্ভে তোমাদেরি পদতলে প্রত্যহ পৃষ্ট যে সব ঘৃণ্যলোক!!!
আমি তাদেরি অবাতার, দ্রোহের মশাল -আগুন্তক ।
মানুষেরে খাটো করে গড়ছো বিভেদ-
তুমি কোন জানোয়ার ?
মানুষকে মানুষ বলিতে যদি এতই তোমার দ্বিধা ?
তবে আজ হতে দিলাম তোমায় পশু পরিচয় অধিকার !
সাম্যের গান গেয়ে গেলো যুগে যুগে কত মহাপ্রান,
তাদেঁর লাল সালাম জানিয়ে -
বড়ো দুঃখ নিয়ে বলি, আজো পাইনি পরিত্রান ।
এখনও ভিষণ চলছে প্রহসন, জ্বলছে দুঃখীর ঘরবাড়ী,
এখনও কিছু বর্নচোর, করছে প্রহার সরদারি ।
তাই জাগছি এবার আবার দুর্নিবার-
রূখতে জুলুম অত্যাচার,
হীন দুর্বল গরীব দুঃখীরদল, কাটিয়ে অশনি ঘোর
সবাই এক হয়ে এবার ঘটাবো ঘূর্ণিঝড় ।
আমি ঘুরি নগরর অলিগলি ফুটপাত রাজপথ
গাই সাম্যের গীত,
তবু দেখি চারিদিকে হাহাকার আর ভাঙ্গা হাড়
পঙ্গু দেশের ভীত ।
এত বৈষম্য এত অনাচার অবিচার -
মানুষে মানুষে এত ব্যবধান ?!
এ পৃথকতা ঘোচবার অঙ্গিকারে-
বুকে জ্বেলেছি অনিবার্ন ।
আমি প্রতিবাদ- ভাঙ্গবো প্রমাদ
জ্বালবো প্রাসাদ- প্রানে অবসাদ ।
হুসিয়ার কে তুমি রাজধিরাজ-
আকস্মিক মহা সগ্রামে ভাঙ্গবো তব তাজঁ।
সময় হয়ে গেছে শুরু, আর থাকবো না হয়ে ভিক্ষুক
ছিনিয়ে নিতে ন্যায্য অধিকার, সদলবলে আসছি আগুন্তুক ।

০ টি +০/-০