নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কথা

কিছু বলার নেই।

নিসাব

আমি অতি সাধারন ছেলে।

নিসাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথাগুলো কিন্তু ভুল না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

একটা শিশু জন্ম নেয়। বাবা-মা খুব খুশি। তাদের সন্তান হয়েছে। একদিন সে বড় হবে। ভালো জায়গায় চান্স পাবে। হুম______ তখন থেকেই এক শিকলে বাধা জীবনের শুরু। শিশুকালের ৬টা বছর ভালোই কাটে কিন্তু দুখের বিষয় আমরা অনুভব করতে পারি না। এরপর শুরু ............ সকালে স্কুল, দুপুরে প্রাইভেট,বিকালে বাসায় প্রাইভেট, রাতে আবারো প্রাইভেট। নিজেকেও যে পড়তে হয় তা মনেই থাকে না। সারাদিনের দৌড় পারার পর ঘুম ধরে। তবু মায়ের কথা বা বাবার ভয়ে টেবিলে বসে থাকতে হয়। তারপর সকাল শুরু তো আবার ঐ একি একঘেয়েমি বন্দি জীবন। আসলে দোষটা কার?? সতি্য আমরা জানিনা। বাবা-মা সন্তানের ভালোর জন্যই এসব করে। তাদের তো দোষ নেয় কারন আমাদের সমাজের অবস্থাটাই এরকম। নাম্বার নামক অখাদ্যটাই আমাদের সেরা সম্পদে পরিনত হয়েছে। যত পার নাম্বার তোল। যদি তা না পার তবে তুমি ব্যথ। এটাই যেন আমাদের সমাজ,রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থার মূল নীতি। নাম্বারের গ্যারাকলে পড়ে দুরন্ত শৈশব যে কোথায় হারিয়ে যায় তা হয়তো আমরা বুঝতেই পারি না। একদিন হয়তবা মনে হবে আমার কি শৈশব বলে কিছু ছিল। আসলেই কিছু নেয়।
____আচ্ছা জীবন চলচ্ছে। সে তার আপন গতিতেই বাধাহীন। তারপর আসে জিপিএ-৫ নামক ভূত। এই ভূতকেই আমাদের সাথী হিসেবে নিতে হয়। এসএসসি তে যেভাবেই হোক গোল্ডেন পেতে হবে। আবার ইদানিংকালে তো প্রশ্নপত্র ফাসের হিড়িক পড়েছে। পরীক্ষার আগের দিন পড়া রেখে ফটোস্টে্যাটের দোকানে প্রশ্ন সংগ্রহে নামে বাংলার ভবিষ্যত প্রজন্ম।
___এভাবেই অবিরাম ব্যস্ততায় কেটে যায় আরো দুটি বছর। প্রাইভেট, কলেজ করেই চলে জীবন। এইচএসসি তে এসে চাপ যেন দিগুন হয়ে যায়। কারন এর পরেই তো ক্যারিয়ার গঠনের মূল প্রতিযোগীতা। যেখানে দেড় -দুই লাখ জিপিএ-৫ ধারীদের জন্য সরকারী মেডিকেল,বুয়েট সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট থাকে মাত্র কয়েক হাজার। বাকীদের হয়তো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেসরকারীতে ভরতি হতে হয় নতুবা বেকার কিংবা সাধারণ জায়গাতেয় সন্তুষ্ট থাকতে হয়।আর এভাবেই সপ্ন ভংগ হয় অসংখ্য ছেলে-মেয়ের সাথে সাথে প্রথম থেকে বুকে আশার প্রদীপ জালানো পিতা-মাতার। এই জঘন্য শিক্ষাব্যবস্থায় তাদেরকে জীবন থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এই জন্যই হয়তো এই দেশে আইনস্টাইন, এডিসন কিংবা স্টিভ জবস, বিলগেটসরা জন্মায় না। এরপর আবার নতুন ব্যস্ততায় কাটে দিনকাল।টাকার পিছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ তার জীবনের মানেই ভুলে যায়। এক অদ্ভুত রোবটিক জীবন-যাপন করে। সংসারের নিয়মই হয়ে উঠে প্রথম ও শেষ কাজ। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে মনে হয় -কি পেলাম এই জগতে?? আসলে শূন্য এই বেচে থাকা,এই ৬০-৭০ বছরের জীবন। শুধুই খেটে যাওয়া। কিন্তু আমাদের কিচ্ছু করার নেয়!!!!!

__একটা গান আছে না- "জীবন নামের রেলগাড়িটা পায়না খুজে ইষ্টিশন"_______সতি্যই তো জীবন কখনই তার গন্তব্য খুজে পায় না। অরথহীন এই পথচলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.