নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবমনেও চোরাবালি জমে, হতাশার ছদ্মনামে!

শামীমা নিশীথ

নিজেকে নিজে আর কতটাই বিশ্লেষণ করা যায়!! তবে আমি বাংগালী হিসেবে যেমন সংকর, আমার বৈশিষ্ট্যও বিবর্তনের প্রবাহে ভাসতে ভাসতে সংকর হয়ে গেছে। সাদাসিধে থাকাতো অন্যায়সম। আবার একটু মর্ডানিজমের ঢলে গা না এলিয়ে দিলে চলে নাকি!! আমি যতবার গলা ছেড়ে গান গেয়েছি, যতবার পথের পথিকেরা আমার জানলায় উঁকি দিয়েছে ততবার বিদ্যে আমায় অভিশাপ দিয়েছে। পড়ার টেবিলেই আমার শৈশব, কৈশোর। এখন আমি অনেক বড়। চলতি পথে পায়ে কাঁটা ফুটে ব্যাথা আমার নূপুর হয়ে গেছে। মানুষকে বুঝতে শিখেছি, বিশ্বাস করতে শিখেছি আবার অবিশ্বাসও করতে জানি খুব গোপনে। আকাশ আমায় খুব ডাকে। ছিটেফোঁটা অবসরটাও বারান্দার গ্রীলে হাত রেখে কেটে যায় আমার। যেহেতু জীবন বড্ড কঠিন, আমি ঘুরতে ভালবাসি বইয়ের পাতার লাইনে লাইনে। যেহেতু সাঁতার শেখা হয়নি, আমি ডুব দেই গানের সুরে সুরে। কবিতা যে আমার প্রথম প্রেম হবে তা কি আর আমি জানতাম!! আমি রোদ ভালবাসি, বৃষ্টি ভালিবাসি। পথ ভালবাসি, মাঠের সবুজ ভালবাসি। শহুরে দালান, মাটির কুঁড়েঘর। প্রজাপতির ডানা, সবুজ ঘাস। ঝড়ো হাওয়া, খোলা চুলে দোলনচাঁপা। হাত টুইটুম্বুর চুড়ি, মেঘরংগা কাজল। কোনকিছুই আমার ভালবাসা থেকে রক্ষা পায়নি। আর ইদানীং লিখতেও বেশ লাগে, মনের আরাম হয়। এইতো আমি!! আমি শান্ত, আমি অবাধ, আমি দুষ্ট, আমি অস্থির, আমি অবুঝ। আর নিঃসন্দেহে আমি ভীষণ খামখেয়ালি! আমি এমনই!! :-)

শামীমা নিশীথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিনশ্বর অপেক্ষা!!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

ইদানীং মাঝে মাঝেই রুমির কোন অবুঝ কিশোরীর মত ধুপ করে প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করে। ভালবাসার মানুষটার জন্য বুকের মধ্যে ঢিবঢিব শব্দটা কানে কেমন বাজে শুনতে ইচ্ছে করে তার। সেই ভালবাসার মানুষকে দেখে লজ্জায় লালপরী হয়ে বেঁহুশ হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। রাতে অকারনে হাহাকার করে কেঁদেকেটে কোলবালিশ ভিজিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। আবার ফুরফুরে সকালে ঘুম ভাংগতেই অজান্তেই মুচকি মুচকি হাসতে ইচ্ছে করে তার। বিকেলবেলাতে ডায়রি হাতে ছাদে বসে সেদিনকার ভালবাসার মানুষটার টি-শার্টের রংটাও লিখে রাখতে ইচ্ছে করে। মন খারাপের রাতগুলো জেগে জেগে সেই মানুষটাকে চিঠি লিখতে ইচ্ছে করে।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে লাফিয়ে হৈহুল্লোড় করে আবার মন খারাপ করে ফেলতেও ইচ্ছে করে।
কিন্তু কিছুই করা হয়না তার।
সে নিজেও জানেনা কেমন করে চলে গেল এতটা সময়!! কিভাবে চলে গেল এতগুলো দিন!! সব কেমন ধোঁয়াশা লাগে তার।
রুমি, মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। দারুন এম্বিশাস ছিল বলেই আজ সে প্রতিষ্ঠিত একজন।
চাইলেই নিজের একাকীত্বকে বিদেয় জানাতে পারতো সে। হাত বাড়ানো প্রেমিকের তো অভাব ছিলনা তার। তবে?
তবে কোথাও কাঁটা পড়ে গিয়েছিল তার স্বচ্ছ বিশ্বাসের কাঁচ। তা কি আর জোড়া দেয়া চাট্টিখানি কথা!! সময় লাগবে। অনেক সময় নিতে হবে তার, সব ঠিক হয়ে যাবে।
রুমি সময় নিয়েছে। ফ্যামিলির কাছ থেকে, বৃদ্ধ নানার কাছ থেকে, ছোট বোনটার কাছ থেকে। আর তার নিজের কাছ থেকেও।
রুমির ধারনা, ভালবাসা জিনিসটা এখনো শিখতে পারেনি সে। ভালবাসা ধরে রাখতে পারার ক্ষমতা তার নেই তবে একদিন হয়তো হবে। আরে হবে, হবে।
এইতো এক বছর,দু বছর....।
আজ রুমি চুয়াল্লিশে। আচ্ছা, খুব দেরী হয়ে গেছে কি?
রাত সাড়ে তিনটা। রুমি বারান্দায় তার প্রিয় রকিং চেয়ারে বসে আকাশের চাঁদটার দিকে তাকায়।
মনে পড়ে, এরকম একটা জোছনার রাত অন্যরকম হওয়ার কথা ছিল। হাতে একটা হাত জড়ানোর কথা ছিল আর এই মুহুর্তে তার ওই গানটা গাওয়ার কথা ছিল। কি যেন গানটা,কি যেন!! আরে!!
রুমি মনে করতে পারেনা। অথচ দূরে কোথাও নাম না জানা একলা পাখি করুণ সুরে ডাকতে ডাকতে উড়ে যায়। কেউ দেখেনা, চাঁদের আলোয় রুমির চোখ চিকচিক করে ওঠে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.