![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা
শাফিক আফতাব------
প্রতিদিন নতুন স্বপ্ন নিয়ে চোখ মেলি, সকালের নরম রোদ চোখের পাতা ছুঁইলে মনে হয়, আহা ! কী ধবধবে রোদ, আর নরম বাতাসের ঘ্রাণ, বেশ যাবে আজকের দিন, চৈত্রের বৃক্ষের নতুন পাতাদের কোমালতায় মনে হয় অজস্র শিশু কিন্টারগাডের্নে হৈ হুল্লোড় করছে। আমার চোখে বৃক্ষরা শিশু হয়ে যায় আর শিশুগুলো ফুল। আমার মন ভরে যায় আনন্দে! এক বিহ্বল আবেশে কী যে ভালো তখন !!
অথচ বেলার বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে দুশ্চিন্তা। মানুষের বিশ্বাসধাতকতা, রিরংসা, জিঘাংসা আবার প্রজনননের অবাধ ব্যবহার মনে হয়, গাছগুলো কই আর শিশু হয়, আর শিশুগুলো ফুল। বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র হাতে নিই, দেখি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, খুন আর প্রতারণার গাদা গাদা সংবাদে ভরপুর পত্রিকার পাতা।
অফিসের পথে পা বাড়াই, জানজটে আটকা পড়ি, স্ত্রী ফোন দেয়, দেশে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ্য ; সাথে আমার পুরোনো ব্যাঙ্কার প্রেমিকা সেই কলটাকে পরাজিত করে বলে : পানসে লাগছে দাম্পত্যজীবন, চলো না একদিন ক্যাম্পাসে বেরুই, জলপদ্মগুলো চোখ ভরে দেখি, নিসর্গের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নিই।
অফিসে ঢুকে দেখি, বড় সাহেব তার রেস্ট রুমে কার সাথে যেন হুড়াহুড়ি করছে, ভেতর থেকে দামি প্রসাধনীর ঘ্রাণ আসে, ঘণ্টা দুয়েক পরে দেখি ব্লাউজ ফুলে নিয়ে বিদেশিনী এক ; দ্রুতপদে এক ধবধবে প্রাইকেট কারে রাজপথে হারিয়ে গেলো, বহুদূরে গেলো।
মা রিং করে বলেন : বাবা, শরীরের ব্যাথাটা কমেনি, তুমি বাড়ি আসো। আমি দুইদিন নৈমিত্তিক ছুটির দরখাস্ত করি মেদভূড়ির টেবিলে, যিনি একটু পূর্বে পৃথিবীর নরম ভূমি চষে একগাদা আনন্দ তার মেরুণ ব্লেজারে ভরালেন। অফিস থেকে বেরিয়ে রিক্সায় উঠি, আমার চোখ ছলছল করে.............
২৬.০৩.২০১৩
©somewhere in net ltd.