![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা
এই ফাল্গুনে আম্র মুুকুলে মনের দুকূলে পড়েছে সাড়া
কাকে যেন ভালোবাসতে মন করছে তাড়া !
কাকে যেন কাছে ডাকতে মন দিয়েছে নির্দেশ __
সারা ফাগুনে খুঁজি আমি তারে পাই না উদ্দেশ।
কোথা থাকো নন্দিনী, ? থাকো নাকি বন্দিনী, ? দ্বার খোলো __
দেখো, ফাগুনের আগুনে কৃষ্ণচূড়ায় শিখায় কেমন গনগনে লাভা !
এসো আমরা যাই দারুচিনি দ্বীপের দেশ, সুমাত্রা কিংবা জাভা __
কাছে এসো, তুমি আজ কাতর আঁখি তোলো।
ফুলের মতোন ফুটে আজ ঘ্রাণ মেখে বসে থাকি__
হৃদয়ের ভীড়ে অজস্র ভালোবাসার কথার কাকলি নিয়ে বসে থাকি __
তুমি আসবে, ভালোবাসবে, গভীরে দেবে পুলকের স্বাদ __
তোমার জন্য দেখো গড়েছি আমি এই রাজপ্রাসাদ।
এই ফাল্গুনে, আমার অঙ্গনে কামনার বিহঙ্গ উড়ে ;
আমার মন আজ পৃথিবীর গভীরে আনন্দ খোড়েঁ।
১৪.০২.২০১
এই ফাল্গুনে //
শাফিক আফতাব //
বসন্তে বেদনার ব্যঞ্জনা//
শাফিক আফতাব //
জানি এইসব লেখা আমার ঘুণে পোকাদের ভোজ্য হবে
পাঠকের মনে দাগ কাটাবার আগে পচে যাবে কবিতার শরীর
জানি আমার ভালোবাসাগুলো মিউনিসিপালিটির পণ্য হবে
আমি ভালোবাসা পাবোনা আমার আরাধ্য নারীর।
তবু ভালোবাসা জন্য কত দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ দিন, আর প্রতীক্ষা,
ভালোবেসে যে নারী কাছে আসে, তাকে মনে হয় উৎপ্রেক্ষা
তাকে মনে হয় শীতসকালের নরম সূর্যলোকে শিশিরের ক্ষণিকের মিটিমিট
অামি জানি আসবে না, ভালোবাসবেনা ভালোবাসার পাখিটি।
তবু আমি লিখে যাই কবিতা, কবিতা ঠিক নয় হৃদয়াবেগ __
কবিতা ঠিক নয় __ ভালোবাসার প্রদাহের আমার ব্যঞ্জনা,
তবু মনে হয় ভুলে করে যদি আসে আরেকবার আমার সুরঞ্জনা
তারি জন্য অামি নিত্যদিন পুষে যাই আমার ভালোবাসার আবেগ।
জানি এই লেখাগুলো আমার ঘুণে পোকাদের ভোজ্য হবে
আমার ভালোবাসার প্রশ্বাসে বায়ুমণ্ডল বড় উর্বর হবে।
১৪.০২.২০১
কলেজবেলা ভালোবাসাহীন
শাফিক আফতাব
আমাদের কলেজবেলো চলে গেছে সাদামাটা, কাদাজলে ভালোবাসাহীন,
মেয়েদের সাথে কথা বলা ছিলো গর্হিত কাজ পাপ আর সমাজের বাধা __
বসন্তের এমন বাহার আমাদের দেয়নি এতটুকু প্রেম আর ভালোবাসার ঋণ
রঙের সাংকেতিকতা বুঝিনি, বুঝিনি অর্থ হলুদ গোলাপ লাল কিংবা সাদা।
গাদা গাদা বই পড়া, বাবাদের সাথে সান্ধ্যবাজারে সদাই কেনা ছাড়া আর
আমাদের বাহিরের কোনো পৃথিবী ছিলোনা, ছিলো বিস্তর লিঙ্গভেদ
আমরা একরকম অন্তপুরে কয়েদীর মতোন থাকতাম, অবিকল কারাগার
ছিলো যেন, বাবা শাসিত সমাজে, নারী আর পুরুষের ছিলো কত ভেদ।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে শিশির ঝরা ঘাসের পথ মাড়িয়ে যেতে হতো প্রাইভেটে
অতঃপর দুমুঠো খেয়ে কাঁচা পথ হেঁটে কলেজে পৌছতাম সত্যি লেটে
কমনরুম থেকে শিক্ষকদের পিছু পিছু কতিপয় তরুণী আসতো ক্লাসে
তাদের সাথে ছিটেফোটা কথা হতোনা, হতো একটি দুটি হয়তো বারোমাসে।
এমন রসন্ত বরণ ছিলো না, ছিলো না ভালোবাসা দিবসের এত ঘটা আয়োজন,
ঈর্ষা হয়, সেসময় এমন ভালোবাসা দিবসের ভালোবাসা যদি পেতো আমাদের মন।
১৩.০২.২০১৪
©somewhere in net ltd.