নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত

অনুপম অনুষঙ্গ

আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা

অনুপম অনুষঙ্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে // শাফিক আফতাব

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:১২

এখানে আসবেই তুমি, ভালোবাসবেই ;

শাফিক আফতাব-------



এখানে উঁচু-নিচু ভেদ নেই, সবাই সমান, রেলের পাতের মতোন, বর্ষার প্লাবিত প্রান্তরের মতোন। কাঠফাটা দুপুরের সূর্যলোকের মতোন। এখানে সবাই সমবেত, একই আলোবাতাসে। একই মিছিলে সবাই মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে সংগ্রামমুখর। এমনকি পশুপাখি। একই কোলাহলে, একই শপথে, একই মত্ততায় সবাই নৃত্যরত। এখানের ভাষা এক, স্বরধ্বনি কিংবা ব্যঞ্জনবর্ণ এক ও অভিন্ন,পশুদের, মানুষের, ছাগলের, গণ্ডারের, এমনকি বৃক্ষের। এখানে সবাই ক্রমশ ন্যুজ্বমান, দুর্বল এবং সমর্পিত।.......



তুমি যতদূরে যেতে চাও, এখানে আসবেই, ভালোবাসবেই। কেনোনা এখানে সবাই আসে। ভালোবাসে। জন্ম আর মৃত্যুর মতোন এক অনিবার্য আকর্ষণে আসতেই হয়, এখানে প্রাণ জন্ম হয়, প্রাণের কারখানা এখানে ; এখানে আত্মা আকার পায়। তারপর ছড়িয়ে পড়ে জনপদে, জঙ্গলে সমুদ্রে, পৃথিবীর অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে,.........তুমি যেখানেই যেতে চাও, ফিরে আসবেই !!

২০.০৩.২০১৩

















































একরকম ভুলে গেলাম তোমাকে। একটা সময় সারারাত তুমি ছিলে কোলবালিশ, নিত্যস্নানের সুবাসময় সাবান। কিংবা অন্তর্বাসের মতোন ছিলে দেহের সাথে মিশে







































































অভিজ্ঞহাতে ছুঁইয়ে দেখি গন্ধমফল

শাফিক আফতাব--------



আরা, তোমাকে ভাবতেই কত ভালো লাগতো। এখনোও লাগে।এই যে শুনি এখন নাকি তুমি কয়েক

সন্তানের জননী, তবু তুমি যেন আমার সেই দুধসাদা স্কুল ড্রেসের কিশোরী মেয়ে। মোমগলা দিনে তুমি আগুণের শিখা হয়ে এখনো উত্তাপিত করো আমার যুবক মন। এখন তো হই হুল্লোড় চলছে, ছেলেদের মেলামেশা । আমাদের সময়টাতে তা ছিলো না। এমন অবাধ আর লাগামহীন ছিলোনা। এই যে এখন দেখি হরহামেশা পার্কে, লেকে অরণ্যে রাজপথে খোলা রাস্তায় নারী পুরুষের ঠোঁটে ঠোঁট, অবিকল পাখিদের মতোন প্রকৃতির অবাধ শস্যক্ষেত্রে যেন খুঁটে খুঁটে খাও জীবনের স্বাদ। মানুষ আজ শিক্ষার নামে উদার হয়েছে বেশ। অধিকারের নামে বেহায়া হয়ে উঠেছে। তুমি যদি দেখো ; আপসোস করবে। আমাদের ছেলেবেলাদিন কেনো তাহলে নিরামিষ খেয়ে পার করে দিয়েছিলাম ?



এখন প্রেম বলে কিছু নেই। প্রেমের বোতলে কামকে কর্কবন্দি করে মানুষ আজ বেশ আধুনিক হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা আর অধিকারের নামে মানুষ আজ বড় বেপরোয়া। মিয়ামুরব্বী মানছে না। আরা, এই সব দেখে আমারও আজ বড় ইচ্ছে করছে, না হয়ে হয়েছে, হালা হালা সন্তান তোমার, এসোনা, এসো আমরা আবার সেই ফুলতোলাদিনে হারিয়ে যাই, অভিজ্ঞহাতে ছুঁইয়ে দেখি গন্ধমফল...........

২১০৩.২০১৩











































পুলকের পুকুরে অবগাহনে মনের গহীনে নেমে আসে স্বর্গের সুবাস

শাফিক আফতাব----------



তুমি ছায়ার মতোন মিশে ছিলে, কিংবা রোদ্দুর যেমন আলোর সাথে মিছে থাকে, কিংবা লজ্জার সাথে যেমন মিশে থাকে অন্তর্বাস, ঠিক তেমনি তুমি মিশে আছো আত্মায় আমার, তুমি নিত্যস্নানের সাবানের সুবাস কিংবা প্রসাধনীর মনমাতানো ঘ্রাণ। তুমি নিত্যব্যবহার্য অপরিহার্য জাতীয় ভোজ্য, তোমাকে ছাড়া একদিন বাঁচা দুষ্কর আমার, তুখোর ছাত্রের মতোন আমার প্রতিদিনের পাঠ তুমি আর নিবিড় অধ্যয়ন, তোমার পুলকের পুকুরে অবগাহনে মনের গহীনে নেমে আসে স্বর্গের সুবাস, তুমি হয়ে উঠলে নিরাপদ আশ্রম আর আবাস।

অথচ সময় তোমাকে কেমন পাংশু করে যায় ! আর আমার কামনায় মরচে পড়ে, আমাদের শরীরে জং ধরে, আমরা জীবনের জংশনে হাপাঁতে থাকি, কখন আসে আবহমান ট্রেন, আমরা পরস্পর পরস্পরকে ভুলে য়েতে থাকি। কামনার নদী আমাদের মরে যেতে থাকে.............

২১.০৩.২০১৩

























































বরফগলা নদী

শাফিক আফতাব----------



আরা, একদিন তারাভরারাত, আলোয় প্লাবিত সরাইখানা, আর চৈত্রের ঝড়োবাতাস আর তুমি আমি ; আমাদের প্রথমযৌবন, ভীতি, আতঙ্ক, আর দুরদুর কাঁপা কণ্ঠস্বর। তবু কত পবিত্র ছিলো আমাদের ভাবনা। তোমাকে মনে হতো হেমন্তপ্রকৃতির সজিবতার মতোন, কখনো উদাস বসন্ত আবার কখনো বর্ষার উচ্ছল নদী। তুমি কাছে এলে মনে হতো বাগানে ফুল ফুটেছে, কী এক ঘ্রাণে মনের ঘুঘু ডেকে ডেকে সাড়া হতো । তুমি আসবে বলে কদমতলায় কত অপেক্ষা, হেমন্তের পথের কত দীর্ঘ প্রতীক্ষা। তোমার মৃত্তিকা ফুলে ভোগা চেলেছে, আমের অঙ্কুর ; দেখতেই কত আনন্দ, কত মোহন অনুভব আর বিহ্বলতা। আর তা ছুঁইতে মনের গহীনে ফুটে থাকতো সূর্যমুখী।



একদিন রেললাইনের পাতে বসে সেদিন জীবনের হিসেব টানি। বলি ; জীবন এরকম অন্তহীন এক পথ যার শেষ নেই। তুমি তখন নুয়ে পড়ো ফলভারে, বলো : এই অন্তহীনতায় আমার কাজ নেই, তোমাকে চাই আমি, তুমি দপ করে জ্বলে উঠলে, আর আমি বরফগলা নদী হয়ে গেলাম।...............

২২.০৩.২০১৩



















































রাজধানীতে, মার্চের সন্ধ্যা

শাফিক আফতাব---------------



রাজধানীতে মার্চের সন্ধ্যায় একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো। রাজপথে কিছু ভেজাধুলোর গন্ধ আর আদ্র বাতাসে তোমাকে নিবিড় মনে হলো প্রিয়তমা। কেনোনা এই আগুণঝরা মার্চের এই সন্ধ্যায় তুমি একপশলা বৃষ্টি দিয়েছিলে আমাকে, আমি সেই বৃষ্টির ছোঁয়ায় কদমের পরশ পেয়েছিলাম। আজকের সন্ধ্যায় কদমের গন্ধে হৃদয়মন ভুরভুর করে উঠলো, মনে হলো তুমি এইমাত্র একঝলক স্নান সেরে আধুনিক প্রসাধনে সেজে কুলোর ভেতর থেকে উপস্থাপিত হলে, আর তোমার কোমল দেহ থেকে বিচ্ছুরিত ঘ্রাণে আমি নিজেই হয়ে উঠলাম সুবাসময়। কী যে পুলকে প্লূত হলাম আজকের এই মার্চের সন্ধ্যায়, মনে হলো প্রিয়তমা তুমি আজরাতে ষোলকলায় পরিপূর্ণ আবেশে অভিনন্দিত করবে আগুন্তুকের।



অসময় অবেলায় বৃষ্টি হলে বড় বেপরোয়া হয়ে উঠি আমি, পড়াফাঁকি দেয়া মেধাবী ছাত্র হয়ে যাই। তোমার অন্তর্গত ঘরদোর ঝাঁট দাও আজ, এই সন্ধ্যার বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে যাক আবাঞ্চিত বাসনাগুচ্ছ, সিংগদরজা খুলে রাখো প্রিয়তমা আজরাতে রাজা আসবেন তোমার সাম্রাজ্যে। পরিদর্শনে তোমাকে দেবে আবহমান বীজ, যা থেকে সহসাই ফলে উঠবে চেতনার বৃক্ষ।...................

২২.০৩.২০১৩







































ভোরের আবেশ এসে ঘুমে দিয়ে যাবে তোমার চোখ

শাফিক আফতাব----------



এইরাতে মনে হলো তুমি দিব্যি আছো, তোমার মদিররুমে ডিমলাইট নীল আলো বিলাচ্ছে, ফুলবতী বিছানায় কর্তা কোর্তা পড়ে সমুদ্রেভ্রমণে প্রস্তুত, আকাশের রঙ দেখে মনে হচ্ছে এইমাত্র ঝড় উঠবে, লণ্ডভণ্ড করে দেবে কুমড়োর খেত, কাশবনে বাতাসেরা এলোমেলা করে দেবে বেণীবিন্যাস আর পরিপাটি পরিচ্ছদ, গহ্বরে গলিত লাভার উৎগীরণে বেশহালকা হবে পৃথিবীর শরীর, ভোরের আবেশ এসে ঘুমে দিয়ে যাবে তোমার চোখ। তুমি রূপকথার সোনার কাঠি বুলিয়ে বুলিয়ে আস্তে ধীরে অতিক্রম করবে স্বর্গের দুয়ার।

এইরাতে হালে পানি পাবে, কৃষাণীর মন যাবে আবহমান শস্যের অঙ্কুরে। চিরায়ত লালিত বাসনায় এবার তার শস্য উঠবে ঘরে। তার পতিত ভূমি এবার ফসলে ফলবিত হবে,মুখে হাসি ফুটবে, এই ঝড় তোমাকে বড় ঋদ্ধ করে দিয়ে যাবে।

২২.০৩.২০১৩

























































মধ্যরাত্রি, চৈত্রের মুষলবৃষ্টি, মাছেরা ছাড়ছে ডিম

শাফিক আফতাব-----------



মধ্যরাত্রি। চৈত্রের মুষলবৃষ্টি। এক মোহন আবেশ খেলা করছে বৃষ্টির ঝাপটায়। খালে নেমেছে নাগরিক মাঝি। নরম রঙিন মাছ ধরছে তারা। নবীন বৃষ্টির জলে খলবল করে উঠছে খাঁচার মাছ।

তুলতুলে আর নরম মাছের পেট থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে উত্তাপ ; উত্তাপের উষ্ণতায় নাগরিক মাঝিরা ফেলেছে জাল, জালের ভেতর আটকা জোড়া জোড়া মাছ, তাই দেখে খালের জলে লকুায় পাথরপাষাণমাছ।

এইবৃষ্টিররাতে এই শহরে আজ শুধু মাছের শিকার। পিচঢালা পথ বেয়ে বেয়ে মাছেরা ঢুকে পড়েছে ফুলবতী কামরায়। কিছুপাথরমাছ খালের জলে ছেড়েছে অজস্র মাছের ডিম, ডিম থেকে ফুটবে অজস্র মাছ, মাছগুলো হেঁটে হেঁটে মুখরিত করবে রাজপথ।

২২.০৩.২০১৩

























































আমরা নগ্ন আর বিবস্ত্র হয়ে গেলাম

শাফিক আফতাব---------



চারটি ঘোড়া আকাশে শাঁই শাঁই উড়ছে, সাথে উড়ছে কিছু রঙিন মাছ, আর গাছেরা হয়েছে ফুলবতী কন্যা, মাছেরা ছাতা মাথায় বৃষ্টির দিনে হাঁটছে আর হাঁটছে, মানুষগুলো সব উলঙ্গ অঙ্গে উপাঙ্গে সমবেত হয়েছে ইংলিশরোডে। আর কেশবতী নারীরা সব নগ্নযুগল অহংকার নিয়ে ঝুলছে, কেউ খদ্দর সন্ধ্যান করছে র্ফামগেটের পরিত্যক্ত পার্কে, কেউ জাতীয় সংসদ এলাকায় কেউ আবার জাতীয় ঈদগাহমাঠের ফকিরদের আস্তানায়। পায়রার মতোন শহরের প্রতিটি খুপরিতে বাকবাকুম কুম সঙ্গীত ধরেছে কেউ, চুরুট খেতে গ্যসলাইট জ্বালিয়েছে প্রেমিকপুরুষগুচ্ছ। আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো, আমি কী স্বপ্ন দেখছি ? আবার দেখি ধবধবে আলোর সাদারোদদিন, আকাশে সূর্য নেই ; চাঁদ : আবার দেখি সূর্যের কিরণ নেই; ভেতরে বাস করছে এক পান্তাবুড়ি। চাঁদকেই সূর্য মনে হচ্ছে না তো ? কী এক ঘোরের মধ্যে সবকিছু আজ অসংলগ্ন মনে হচ্ছে আমার। মানুষের পড়ন থেকে বস্ত্র কেনো আলগোছে খুলে খুলে যাচ্ছে, আমি নিজের দিকে তাকালাম : দেখলাম, আমারও এক দীর্ঘ পাথরমাছ খাল খুঁজছে, দপ করে জ্বলে উঠতে উদ্যত হচ্ছে। আমরা এই শহরের মানুষ আজ কী পাপের ফলে নগ্ন আর বিবস্ত্র হয়ে গেলাম।

২৩.০৩.২০১৩











































এই মধ্যাত্রিতে ফুল ফোটাতে এলে প্রিয়তমা

শাফিক আফতাব----------



তুমি নিবিড় কাছে এসে বসলে, নতুন কাপড়ের গন্ধ পেলাম ; মনে হলো ; তুমি এই বুঝি শপিং করে এসেছো, আমি তো কতদিন শপিং করিনা কতদিন ! সেই কত আগে তোমাকে জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে কিনে দিয়েছিলাম একটি কমদামের খয়েরী শাড়ি, কয়েকটি চুড়ি, বেণীবাঁধার সুঁতো, আর একটি গোলাপী ব্রা ! আর যেন কী ! ঠিক মনে পড়ছে না ! কতকিছুই মনে পড়ে না আজ। এই যে তুমি কতদিন পরে এলে, তারপর আমার জীবনে কী যে ধকল গেলো। এরই মধ্যে গেছে ওয়ান ইলেভেন, মাইনাস টু ফর্মূলা, রাজনীতির নতুন মেরুকরণ আর আমার বেকার জীবনের চরম অভিঘাত। তুমি তো চলেই তো গিয়েছিলে, কেনো তবে নতুন আশা স্বাদে এই মধ্যাত্রিতে ফুল ফোটাতে এলে প্রিয়তমা। আর তো আলোঝরা দিন নেই। তুমি কিছুই শুনলেনা। দরজার খিরকি বন্ধ করতে গেলো, আর অমনি ঢং ঢং শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো আমার ; দেখি : সকাল আটটার ঝলমলরোদ থাইগ্লাসের ফাঁক দিয়ে এসে আমার মুখে ছুঁইছে ; অদূরে রাজপথে মটর ট্রাকের চিৎকার।



সকাল নটায় ক্লাস। আজকের ক্লাসটা নিতে পারবো তো ? আমাদের আজ ঘোরের ভেতর বাস।

২৩.০৩.২০১৩



















































প্রেমবিষয়ক সনেট

শাফিক আফতাব-----------



সুবাসিত সুবিন্যাস খোলাচুল ; যেন কৃষকের সোনালী আঁশ

সোনারং রোদে চিক চিক ; ডারের মাথায়, পোহায় রোদ ;

কৃষক আমি এক ; তাই দেখে ফুটে ওঠে মম প্রাণের প্রকাশ

এবার অর্থ পাবো ; দৈন্যতা ঘুচবে, মনে জাগে এই প্রবোধ।



তোমার পেলব বুক শিল্পকলার উচ্চতর লীলাভূমি,

এর চেয়ে বৃহৎ বিদ্যাপিট পৃথিবীতে একটিও নেই ;

তোমার শ্বাস পৃথিবীর শ্রেষ্ঠভাষার স্বর কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনি,

আমি এক মহান সুপুরুষ শুধু তোমাকে ভালোবেসেই।



তোমার চোখে চোখ রেখে পাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বৃক্ষের ছায়া,

এর চেয়ে নির্ভরতা আর সাত্ত্বনা কোথায় বলো পাবো ?

তোমার স্পর্শে আর উত্তাপে ফোটে ভালোবাসা আর মায়া ;

তোমাকে ছেড়ে বলো কোথায় আমি যাবো?



মূলত আমি এক আবহমান কৃষক শুধু ফলাই ধান

পাঠ করি তোমাকে নিত্য তুমি যে জীবন-অভিধান।

২৩.০৩.২০১৩



































রঙিন মাছগুলো চলে যায় জলের গহীনে

শাফিক আফতাব---------



এক শক্ত দীর্ঘ লাঠি নিয়ে রাত্রি জাগি ; চোর ডাকাতের ভয়ে নয়, জলের গভীরের রঙিন মাছ ধরতে। তাই দেখে তুমি ফিকফিক হাসো। তাই দেখে হাসে আমার কামনার রাজহাঁসও। জলের গভীরে যখন ডুবলাম, দেখি রঙিন মাছগুলো চলে গেছে জলের গহীনে ; পাতালের কাছাকাছি। আমার কি সাধ্য আছে ? সে মাছকে জালের ভেতর বন্দি করবো। লাঠি দিয়ে সে মাছকে আমি যতই তাড়া করি, কামনার মাছসব দূরে দূরে পালায়, আমার মাথা তখন পড়ে থাকে ধাঁধাঁয়!



এভাবে প্রায়শ আমি এক রঙিনমাছ শিকারে জলের গভীরে নামি, পাতাল পাই না তাঁর। যখন তীরে থাকি, মাছগুলো ভাসে জলের উপর, শ্যাওলার মতোন, কিংবা জলপদ্মের মতোন ফুটে থাকে। যখনই শিকারে বেরুই, সোনালী মাছ গুলো ধরতে ; আর অমনি শোঁ মেরে নাগালের বাহিরে চলে যায়।



আজীবন রাত্রি জাগি দীর্ঘ লাঠি নিয়ে,

মাছগুলো রাজপথে উঠে আসে বৃষ্টি এলে, কিংবা ফুলে ফুলে যখন ফুলেল হয়ে ওঠে বৃক্ষ তখন। এভাবে আমি এক আবহমান মাছি, জাল ফেলি বঙ্গোপসাগরে, ফেলতেই সাগর আরও গভীর হয়ে আসে ; আমি শুধু সাগরে ভাসতে থাকি, রঙিন মাছেরা আমাকে দেখে ফিক ফিক হাসে, পরের দিন লোকালয়ে এলে, মাছ শিকারের কথা মনে হলে আমার ভীষণ লজ্জা লাগে, মনে হয় কেনো আমি প্রতিরাতে মাছ শিকারে বেরুই, পিচ্ছিল মাছগুলো আমার হাতের মুঠোয় এসে পিছলে পালায়, আমি বোবার মতোন চেয়ে থাকি।....................

২৩.০৩.২০১৩







































ভালোবাসা হৃদয়ের ধর্ম, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষ

শাফিক আফতাব---------



বলেছিলে : আসবে, পদাতিক বাহিনী প্রস্তুত ছিলো ;

প্রস্তুত ছিলো রক্তস্রোতে অজস্র স্পন্দন ;

আকাশে গোলচাঁদ উঠছিলো,

সমুদ্র ভ্রমণে প্রস্তুত ছিলো রাজার নন্দন।



তুমি আসবে বলে লেপেছিলাম আমার উঠোন

রেঁধেছিলাম আবহমান বাংলা খাবার

তুমি এবার আমায় দেবে বলে মন

ফ্লাইট বাতিল করেছিলাম বিদেশ যাত্রার।



তুমি এলে রাষ্ট্রদূতের মতোন দিলে একগাঁদা শর্ত

যার প্রাক্কলিত ব্যায় আমার নাগালের বাহিরে

মনে হলো তুমি প্রেমিক না এক চতুর ধূর্ত

ভালোবাসা তো হয় না শর্তের বহরে।



ভালোবাসা হৃদয়ের ধর্ম, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষ

উঁচু নিচু ভেদ নেই এটা এক আবেগ বিশেষ।

২৪.০৩.২০১৩







































কুলায় কালস্রোত

শাফিক আফতাব............



সময় চলে যায়, শিশি আর বোতল খালি হয় যথানিয়মে, অত্যধিক ব্যবহারে ফুরিয়ে যায় হাটবার আসার আগেই ; এই তুমি, সেদিন প্রাঞ্জল আর সাবলীল শব্দে মুখর করলে থিয়েটারের মঞ্চ, নৃত্যে স্পন্দিত করলে পাগল দশকের হৃদয়, মনের ভাঁজে, রক্তে, শিরায় শিরায় দিলে চেতনার স্ফূরণ, কামনার ঝুরঝুরে ফুল। আজ কেমন বদলে গেলে, তোমার নিটোলবুক, নান্দনিক কারুশৈলী আর অঙ্কুরিত রঙিন বৃক্ষ কত সহজেই হলুদাভ হয়ে গেলো। তোমার চামড়ার ভেতর দিয়ে স্পষ্ট দেখা যায় জলছাপ কঙ্কালের কাঠামো, বর্ষায় ভাঙ্গা সদর বাস্তার মতোন তোমার নিতম্ব, শিল্পকলার লীলাভূমি বুকে মরানদীচর, আহা কেমন হতাশা আজ তোমার মনের ভেতর !



সময় চলে গেলে সেকেন্ড মিনিটে, মিনিট ঘণ্টায় আর ঘণ্ট যোগ হয় দিনের শেষে, দিন বছরে আর বছর শতাব্দীতে গিয়ে মহাকাল হয়ে যায়, আর আমরা খালি খালি হতে থাকি, খালি হয় আমরা গ্যাসফিল্ট, ধানের মজুদ ; একসসময় নিঃশেষ একটি পাঁজর নিয়ে প্রস্থান করি শ্মশানের কিংবা সমাধীর নির্জনতায়।



আমরা নিশ্চিত জানি, এই খেলাঘর ভাঙবে একদিন, এক অবেলায় ; তবু অহঙ্কার কমে না আমাদের। আমরা হিংস্র পশুদের পরাজিত করে যুদ্ধে লিপ্ত হই। অথচ মানবজন্মের উদ্দেশ্যে মঙ্গল, কল্যাণ, সভ্যতা ; আমরা সেসব ভুলে গিয়ে যত্রতত্র ছিটায় প্রতারণায় বীজ, প্রজনননের বিন্দু বিন্দু শিশির।............

২৪.০৩.২০১৩







































মন্ত্রে পাওয়া এই নন্দন শরীর

শাফিক আফতাব----------



খেতে ছিলো হলপলা দীর্ঘমোটা বেগুন, রাঙা টমেটো, আর বৃক্ষে কমলা, পেঁপে ; আষাঢ়ের ফজলী আম ; সব সময়ের ঘাতে পঁচে গলে যায়, কোল্ড স্টোরেজ আর ফ্রিজ এসব কদিন আর টাটকা রাখতে পারে হায়? তবু আমি এক আবহমান কৃষক শ্রম ঘাম আর প্রেমের বিনিময়ে চাষাবাদে ফলাই ফসল, খেতে খেতে কিংবা খেতে উদ্যত হতে কিংবা দেখতে দেখতেই বড় বেশী বেলা হয়ে যায়, বেলাকে বলি একটু ধীরে যাও, কিছুতেই শোনেনা কিছু সে। আমি এক কাঁচামালের ব্যবসায়ী, আমার পেঁপে,টমেটো, আর ফজলী আমি গলে গলে যায়, আমার দীর্ঘমোটা বেগুন পঁচে পঁচে যায়।



আমরা এক রবীশস্যের খেত, রোদে পুড়ি, জলে ভিজি, ঝঞ্ঝায় লণ্ডভণ্ড হই, তবু ফলাই আবহমান ধান, বেগুন, টমেটো আর কমলা। আমরা যতনে অনশ্বর রাখিতে চাই আমাদের শ্রমফল ; মন্ত্রে পাওয়া এই নন্দন শরীর। তবু ‘কাল’ এসে আমাদের বিকল করে। কিশোরীর স্তন দুধ হয়ে গলে গলে এক সময় চোচা হয়ে যায় ; আমরা রুগ্নতায় নগ্ন হই ; ভগ্ন হয়ে এক সময় পাঁজর ছেড়ে পালাই............ অজানায়, দিগন্তের অথই সীমানায় ...........

২৪.০৩.২০১৩ (বিকেল)















































আমরা হলুদ হতে থাকি

শাফিক আফতাব---------



মন মরে গেছে অন্তরীণ কয়েদীর মতোন, সাধগুলো হতাশার ছোবলে চোচা হয়ে গেছে, ভালোবাসাগুলো বাশী হয়ে গেছে, প্রেমগুলো যন্ত্রণা ; আর তুমি আমার কেশবতী কন্যা কেমন ভুলে গেছো আদম ব্যবসায়ীর মতোন পাষাণ প্রতারণায়। অথচ দেখো একদিন না দেখলে রাত্রিগভীরে ঘুম হারাম হয়ে যেতো তোমার, সঙ্গমের স্বাদে একদিন একটু নুন কম হলে কত রেগে যেতে। অথচ আজ দিব্যি ভুলে আছো; তুমি আর আকাশ দেখোনা, দেখোনা ধানখেতে নীলফড়িং এর নৃত্য, সকালের নরমরোদে চুলের বিন্যাস শুকোতে দেয়না পরম আদরে, রাতের বেলাকার খড়বড় খাটের শব্দ, সকালের খলবল স্নান, আর খড়খড়া মারলাগা শাড়ীর শুকনো বাসনা ! আর তোমার নরম শরীরে জনসন লোশনের মোলায়েম গন্ধ ;



সব ভুলে গেছো তুমি, তাই যায় সবাই ; যেতে হয় ; আমরা শুধু খণ্ডকালীন অধ্যাপকের মতোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট টিচার হিসেবে ক’দিন পাঠ দেই ; তারপর অবেলায় ডাক আসে মনিবের। আমাদের মন ভোঁতা হয়ে আসে ; আমরা ডিম ফুটোতে তা দিতে ঘরবাঁধি, শাবকের পালক গজালে আমাদের দায় শেষ হয়, আমরা হলুদ হতে থাকি !!...পাণ্ডুর হতে থাকি !!............

২৪.০৩.২০১৩















































পাতালরেলভ্রমণ

শাফিক আফতাব---------



ঘটনা ঘটেছিলো কৃষ্ণকাশবনে, নদীর ঢালুতে, জলপদ্ম ফুটেছিলো নরম পাঁপড়ির ছোঁয়ায় আর পৃথিবীর পাতাল রেলে ভ্রমণে বেশ পুলকে প্লূত হয়েছিলো যাত্রীর ক্লান্তির শরীর। কখনো এসেছিলো নতুন ভাতের গন্ধ, গলাফেনের ঘ্রাণ, কিংবা শুয়োবার সময় গালভর্তি পানের পিকের সুবাস আবার চুল চুঁয়ে পড়ছিলো জনসন শ্যাম্পুর বাসনা।

এইসব মিলে সেদিন প্রেয়সীর বুকে ফোটে শুধু ব্রাফুল, আর তখনি হয় জীবনের শেষতম চরম ভুল। পৃথিবীর গভীরে গিয়ে বাসা বাঁধে কয়েকটি ভ্রুণ, তখুনি শেষ হয়ে আসে গামছা বাঁধা খেতের নুন। সিন্ধুকের কপাট বন্ধ হয়ে গেলে পর, ঢোল হতে থাকে পৃথিবীর ভুড়ি, দশমাস দশদিন পর তা থেকে বেরিয়ে আসে আস্ত এক ছুঁড়ি

জারজ সন্তানের দায়ে সমাজবদ্ধ মানুষ ট্রেনযাত্রীকে ধরে বন্দি করে অনুশাসনের কুঠুরীতে। কাগজকলমে লিখে দেয় তারে সেই কাশবন, নদীর ঢালু, জলপদ্ম আর ট্রেনের একটি দীঘল পথ, চিরায়ত এক পৃথিবীর অরণ্যবাংলো।

২৪.০৩.২০১৩

















































হাইপোথিসিস

শাফিক আফতাব---------



ভূ-কম্পনের মতোন কখনো কখনো কেঁেপ উঠে মন, মনে হয় কোন দূর বনে একটি ফুল থেকে পাঁপড়ি ঝরে পড়লো, কিংবা স্নেহময়ী মায়ের শরীর অসুখ করলো হয়তো, (অবশ্য মায়ের কিছু হলে আমি বিনা তারে টের পাই) হয়তো আমাদের জমির পাকাধান কেউ কেটে নিয়ে গেছে, অথবা কোনো ছিঁছকে চোর ঢিল ছুঁড়েছে আম্রবৃক্ষে।

সেসব কিছু নয়, এখন আমাদের ঘর থেকে বেরুনোই বিপদ, শুধু রাজপথ নয়, সর্বত্র চলছে ভাংচুর আগুণ, বিস্ফোরণ হত্যা আর পশুদের মতোন হিংস্রতা। মা রিং করে বলেন, হরতালে বাহিরে বেরুস না বাবা, আমি কর্মস্থলের পথে থেকে বলি, : ‘আমি তো নিরাপদই আছি মা তুমি ভেবোনা’, আজকাল মায়ের কাছেও মিথ্যে বলতে শিখেছি আমি,



তাহলে আমরা কি অগ্রে মিথ্যে পথ মাড়িয়েই যাবো ?

২৫.০৩.২০১৩

















































বেআব্র“ তুমি, ফুটফুটে শিশুর মতোন ফুটছিলে ;

শাফিক আফতাব------------



জেসিকা তুমি এমন এক চৈত্রে খুলে ফেলেছিলে ঢাকনা, বেআব্র“ তুমি ফুটফুটে শিশুর মতোন ফুটছিলে, তোমার সুঠাম দেহে প্রতিটি প্রত্যেঙ্গ নান্দনিক বিন্যাসে বিকেলের হেলে পড়া রোদে ঝকঝক করছিলো , তোমাকে স্পর্শে বৃক্ষের পাতায় পাতায় কেমন এক সার্বজনীন ধ্বনি স্বনিত হলো, বর্ষার দুতীর ঘেষা প্লাবনে যখন তোমার ঠোঁটে ফুটলো কামনার মেঘ, তখন তোমার গভীরে গিয়ে দেখি অতিথিকে বরণ কবার সকল আয়োজন সম্পন্ন। অনায়াসে তুমি উপবিষ্ট করলে তোমার রঙিন মঞ্চে, তোমার কোমল নরম ডায়াসে দাঁিড়য়ে আমি সাবলিল আর প্রাঞ্জল ভাষায় নৃত্যে গানে অভিনয়ে তোমাকে মুখর করে তুললাম।



সেই চৈত্রে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হেলে পড়েছিলো অস্তাচলে, অথচ আমাদের প্রথম আলিঙ্গনে সেদিন বিকেল থেমেছিলো, মানুষ বলে নগ্নতা, আমি বলি, শিল্পকলার অন্যতম অনুপম অনুষঙ্গ তুমি, এমন বেআব্র“ তোমাকে মনে হয় শিল্পের আধার, প্রতিদিনের অভিধান আমার, তুমি ভূমি ; যেখানে ফেলাই আমি আবহমান ধান।

২৫.০৩.২০১৩

















































এভাবেই বাবারা আসে, বাবারা যায়, নিপুণ কারিগর মাতে অদৃশ্য খেলায়

শাফিক আফতাব---------



চুল বাড়ছে, বাড়ছে নখ, আগাছা বাড়ছে, কেউ মেলছে পালক। চুল কাটি, নক কাটি আগাছা বাছি, আর পালক নেড়েচেড়ে অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ি, তারপর কফ থুথু পুঁজ সব ধুয়ে মুছে কৃত্রিম ঝর্ণার জলে গা এলিয়ে পবিত্র হই, শুদ্ধ সাবলীল ধ্বনির ব্যঞ্জনায় তোমাকে নিয়ে আকাশ দেখি। ওদিকে তোমার পতিত ভূমি ফলবতী হয়, চৈত্রের চৌচির প্রান্তরে চলে সেচকাজ। আর তোমারও ফুরফুরে হয়ে আসে মেজাজ।



ফলের ভেতরে ফল হয়, এক অদৃশ্য কারিগর ভরে দেয় তোমার শূন্য জরায়ূর অভ্যন্তর, কী সুন্দর হলপলা পবিত্র নরম মোলায়েম শস্য নাড়ি ছেড়ে চলে আসে মৃত্তিকার পৃষ্ঠে ; আবার তারও চুল বাড়ে, নখ বাড়ে খিদে পায়, আগাছা হয়, তাকেও আব্বা বলে তাঁর তনয়।



এভাবেই বাবারা আসে, বাবারা যায়, নিপুণ কারিগর মাতে অদৃশ্য খেলায়।

২৫.০৩.২০১৩

















































তাই তো এত সুন্দর রাতের তিমির !

শাফিক আফতাব--------





টেনা দিছে শাড়ীর আঁচল, ব্লাউজের বুক, ভেতরে বাস করা দুটি শালিক পাখি, তারা নেচে নেচে ওঠে চৈত্রের সন্ধ্যায়, তারপর তুলতুল আবেশ নিয়ে ঘুমোতে বলে ফুলবতী শয্যায়।

শয্যার ভেতর আবার নায়াগ্রা প্রপাত, খানিক পরেই চলে আসে গাঢ় আঁধারের রাত, কলের মতোন চলতে চলতে আকাশে বাজ পড়ে, একপশলা বৃষ্টি হয়, বৃষ্টির ভেতরে অজস্র মাছের পোনা, তাই থেকে জন্ম নেয় কোটি কোটি সোনা।

সেই সোনা থেকে সৈনিক হয়, বলিষ্ঠ হাতে হাল ধরে পৃথিবীর ; তাই তো এত সুন্দর রাতের তিমির!

২৫.০৩.২০১৩

























































বউ

শাফিক আফতাব---------



জেসিকা বাবা চাইতেন, সংসারী হই, অথচ ঘরকুনো এই আমি, বিয়ের কথাটা শুনলেই লজ্জাগুলো স্বর্ণলতার মতোন আমাকে ঘিরে ধরতো, লজ্জা ভাঙতেই বত্রিশ বছর কাটে, চব্বিশে লেখাপড়ার পাঠ চুকলেও দীর্ঘদিন বেকার থাকতে হয়, পত্রিকার পাতায় পাতায় আর অফিসের বারান্দায় চাকরি খুঁজে খুঁজে হয়রান হতে হয় আমাকে। কাউকে বুঝাতে পারিনি আমি ডজন ডজন না হোক দুএকটি চাকরি জন্য অন্তত নির্বাচিত হয়েছিলাম, মামা শ্যালকের পরিচিতি আর রাজনৈতিক পরিচয়পত্র ছিলোনা বলে আমি ছোট্ট একটি চাকরিও গোছাতে পারিনি। দেশের জরুরী অবস্থা আর মাইনাস টু ফর্মূলার কবলে পড়ে দেশ চলে যায় এক উপপতির বিছানায়, ঐ সময়ে উনিশশত একত্রিশ জন্ম হওয়া বাবাও আমার মরনব্যাধি ক্যান্সারে কবলে পড়েন। ঢাকার দামী হাসপাতালের সাদা ধবধবে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বাবা শুধুই আমার বউটাকে স্বপ্ন দেখতেন, বলতেন : ‘শুধু তোর একটা কিছু করে পারলাম না।’

আমাকে প্রাণের চেয়ে ভালোবাসা জেসিকা তুমি অথচ বাবার কণ্ঠস্বর শুনে ভালোবাসা বাবাকে চিনোনি তুমি। তোমাদের মতোন ইংরেজি মার্কা বাংলার উচ্চারণ বাবা জানতেন বলে তুমি তাকে কাজের ছেলে বলে ফোনে সনাক্ত করেছিলে, অথচ সেই বাবার হাতেই আমি শিখেছিলাম মাইকেল নবীনচন্দ্র আর হেমচন্দ্রের কাব্যের স্বাতন্ত্র্য।



পরে আর কোনোদিন আমি তোমাদের তিনতলা বাসার সিঁড়ি পেরোইনি। বাবা তো চলেই গেছেন, জানিনা কোন বিলেতি সাহেবের কামরায় তোমার জীবন কাটে ?

২৫.০৩.২০১৩







































বৃক্ষরা শিশু হয়না ; শিশুরা ফুল !

শাফিক আফতাব------



প্রতিদিন নতুন স্বপ্ন নিয়ে চোখ মেলি, সকালের নরম রোদ চোখের পাতা ছুঁইলে মনে হয়, আহা ! কী ধবধবে রোদ, আর নরম বাতাসের ঘ্রাণ, বেশ যাবে আজকের দিন, চৈত্রের বৃক্ষের নতুন পাতাদের কোমালতায় মনে হয় অজস্র শিশু কিন্টারগাডের্নে হৈ হুল্লোড় করছে। আমার চোখে বৃক্ষরা শিশু হয়ে যায় আর শিশুগুলো ফুল। আমার মন ভরে যায় আনন্দে! এক বিহ্বল আবেশে কী যে ভালো তখন !!



অথচ বেলার বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে দুশ্চিন্তা। মানুষের বিশ্বাসধাতকতা, রিরংসা, জিঘাংসা আবার প্রজনননের অবাধ ব্যবহার মনে হয়, গাছগুলো কই আর শিশু হয়, আর শিশুগুলো ফুল। বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র হাতে নিই, দেখি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, খুন আর প্রতারণার গাদা গাদা সংবাদে ভরপুর পত্রিকার পাতা।

অফিসের পথে পা বাড়াই, জানজটে আটকা পড়ি, স্ত্রী ফোন দেয়, দেশে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ্য ; সাথে আমার পুরোনো ব্যাঙ্কার প্রেমিকা সেই কলটাকে পরাজিত করে বলে : পানসে লাগছে দাম্পত্যজীবন, চলো না একদিন ক্যাম্পাসে বেরুই, জলপদ্মগুলো চোখ ভরে দেখি, নিসর্গের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নিই।



অফিসে ঢুকে দেখি, বড় সাহেব তার রেস্ট রুমে কার সাথে যেন হুড়াহুড়ি করছে, ভেতর থেকে দামি প্রসাধনীর ঘ্রাণ আসে, ঘণ্টা দুয়েক পরে দেখি ব্লাউজ ফুলে নিয়ে বিদেশিনী এক ; দ্রুতপদে এক ধবধবে প্রাইকেট কারে রাজপথে হারিয়ে গেলো, বহুদূরে গেলো।



মা রিং করে বলেন : বাবা, শরীরের ব্যাথাটা কমেনি, তুমি বাড়ি আসো। আমি দুইদিন নৈমিত্তিক ছুটির দরখাস্ত করি মেদভূড়ির টেবিলে, যিনি একটু পূর্বে পৃথিবীর নরম ভূমি চষে একগাদা আনন্দ তার মেরুণ ব্লেজারে ভরালেন। অফিস থেকে বেরিয়ে রিক্সায় উঠি, আমার চোখ ছলছল করে.............

২৬.০৩.২০১৩

































যাদুর গুঁটি

শাফিক আফতাব----------



পত পত উড়ছে লাল পতাকা,

জোয়ারের বেলা তাই হও অশুচি,

ভাঁটার সময় কত রঙে ছবি আঁকা ;

আমি তখন হয়ে যাই জুতোর মুচি।



রক্তস্রোতে শিরশির ; ফাগুণ বাতাস,

কুলোতে সাজায়ে ধরো রঙিন ফুল

গরম হয়ে আসে আমাদের শ্বাস

সহসাই হয়ে যায় মস্ত এক ভুল।



ভুল থেকে ফুল ফোটে ; তা থেকে ফল,

আমরা দুজন তখন কৃষাণ-কৃষাণী,

ভোরের বাতাস তখন কত নির্মল।

মালা গেঁথে কাটে তখন মুধযামিনী।



সুড়ঙ্গের পথ ধরে আসে সৈনিকদল

যাদুর গুঁটিতেই পৃথিবী উৎফুল্ল উতল।

২৬.০৩.২০১৩

































থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার

শাফিক আফতাব-------



কারো ঘর ফাঁকা পেয়ে সংগোপণে ঢুুকে খেলেন দুধ-কলা, টিপে টিপে দেখলেন ফজলী আম পাকলো কি-না ? জলডুবুরীর মতোন ভেতরে ডুবে দেখলেন অনেক লতাগুল্ম, তার ভেতরে বেলুনঅনুভব ; আনন্দে আটখান হয়ে বিদেশী মদের বোতলে চুমুক দিয়ে সাজলেন মঞ্চ নাটকের অভিনেতা, বেশ ভালো হলো পাতাল রেলভ্রমণ! সবিতা !

ঠিক তখন থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার এক, সুঠাম যুবক আপনিহীন ফাঁকা ঘরে পেয়ে আপনার প্রিয়তমার নামের পরে এস বা ইএস বসিয়ে দিলেন, এবং ঢকঢক করে গিলে খেলেন গেলেন গোল গোল মিষ্টি মলা, আপনার সংরক্ষিত এলাকায় একনলা বন্দুকের নল ঢুকালেন।



বাসায় ফিরে আপনি ধোঁয়া তুলসির পাতা, আপনার প্রিয়তমা সহধর্মিণীও বললেন, এত রাতে এলে, আমিও এইমাত্র খুললাম ঘুমঘুম চোখের পাতা। অথচ একটু আগেই সে হুঁকোর নলে দিয়েছে চুমুক, এক সিলিম তামুকও খেয়েছে, টেঁটামারা যুবক মাঝির কাছে ; আপনি যখন প্রজনন ছিটোলেন, পেডিকোটের নীচে, কাঁকরের গর্তে, ঠিক তখন তিনিও খোলেন পাজামার গিঁট আর লজ্জার হুক.............

২৬.০৩.২০১৩















































আজ এসেছিলে, ভোরবেলা ;

শাফিক আফতাব-----------



আজ এসেছিলে, ভোরবেলা ; পড়নে আকাশরঙের শাড়ী, ঘটি হাতা ব্লাউজ, খোলাচুল, চিকচিক করছিলো কানের দুল, তোমার দেহ থেকে বিচ্ছূরিত হচ্ছিলো রজনীগন্ধার সুবাস, চোখ থেকে ঝরছিলো ভালোবাসা আর ঁেঠাট চুঁয়ে পড়ছিলো কামনারস, তুমি পাশে এসে বসলে, ........



তোমাকে কাছে পেয়ে উত্তাপ বাড়তে থাকলো ফুলবতী বিছানার, আর নিথর দেহ থেকে একটি অঙ্গও বাড়তে থাকলো, তার মাথায় বিন্দু বিন্দ ঘাম, আবার মনের মধ্যে ফুরফুরে আরাম। তোমাকে চুম খেতেই দরজায় টকটকটক, উঠে দেখি, কাজের বুয়া মনিরার মা : ‘ ভাইজান এখনো ঘুম থেকে উইঠেন নাই ! রেগে উঠলাম : ‘বিনাপয়সার সঙ্গমটা হলোনা আজ’ !

২৭.০৩.২০১৩























































বোধের ছেলে

শাফিক আফতাব



আমার প্রথম ছেলের বয়স তিনমাস, ফিকফিক হাসছে। তাই দেখে ছোটছেলে বলছে ; বাবা, এ কিন্তু দুষ্ট হবে, তুমি দেখি নিও, এ দেশের সেরা সন্ত্রাসী হবে ; তুমি ভেবো না আমি দেশজোড়া সুনাম কামাবো। পত্রিকায় পাতা ঘিরে লীডনিউজে আমার নাম আসবে। তুমি কিন্তু মাকে পিল খাওয়াবে না, আর তুমিও কনডম কিনো না। তাহলে পৃথিবীর মুখ আমি দেখতেই পারবো না। আমি আমার প্রিয় কনিষ্ঠ সন্তানকে বলেছিলাম : ঠিক আছে ওসবের আমি কিছুই করবো না। তোমার মাকে বলে যাও, তোমার জন্য যাতে দোলনা তৈয়ার করেন, তোমার খেলার সরঞ্জাম, রিমুট সিস্টেমগাড়ী, ভালুকের পুতুল ; হরলিকস এর বোতল ; সব কিনে রাখেন।



এভাবে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট আর ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ডাক্তার জন্মাই, বাস্তবে হয় লুচ্চার বাচ্চা, ছিঁকড়ে চোর, মেদভুড়িময় ঘুষখোর সাহেব।

ছোটছেলে আবার আসলে বললাম, তোমার দেশজোড়া নাম কামাবার দরকার নেই। তুমি অন্য কোথাও যাও...........

২৭.০৩.২০১৩















































খনন করো আমাকে

শাফিক আফতাব--------------





পানসে লাগছে দাম্পত্যস্বাদ, বণ্টনকৃত উষ্ণতা, পরস্পরের সহাবস্থান, বড় এক ঘেঁয়ে লাগছে, তুমি একদিন আসো না ! বেড়াতে নিয়ে যাও, দেখাও ঝিলের জলের রঙিন টাকির উত্থান, জলপদ্মের ফুটে থাকা থোকা থোকা সৌন্দর্য, আমার এলোখোলাচুলে বেলি গুঁেজ দাও, পিচ্ছিল ঠোঁটের ভাঁজে দাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিলমোহর, গোয়েন্দা পুলিশের মতো শিকারের জন্য মুখ গুঁজে রাখো আমার নরম বুকে। আমাকে উত্তাপ দাও, আমি সহসাই ফুটে উঠি, আর তুমি ভূগর্ভস্থ খনিজের জন্য খনন করো আমাকে।



প্রিয়তম, তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছি আমি, ওর বাবা বলে : ‘ওরা নাকি দেশসৈনিক হবে’। আমিও তাই বলি, ‘তাই হোক’, অথচ আমার বেঁচে থাকায় আনন্দ নেই। এই তিনটি সন্তানের বাবা কেনো হলো একজন ঘুষখোর মেদভূড়ির মোটা সাহেব, যার মুখের গন্ধে মনে হয় আমি ভাঁগাড়ের ভেতর বাস করছি।



কোথায় আছো রাজপুত্র আমার, একবার এসো, ইঁদারায় স্নান করো একবার, আমাকে আরেকবার পূর্ণ করো। আমাকে আরেকবার বৃক্ষের ছায়ায় শিশির দাও.............

২৭.০৩.২০১৩













































অলৌকিক ইঁদারা

শাফিক আফতাব--------------



একটি প্রাচীন ইঁদারা, সবুজ শ্যাওলা আর পিচ্ছিলতায় পরিপূর্ণ, গভীরে মুক্তার খনি। মুক্তার খোঁজে ডুবলাম, যতই ডুবে যাই, তল খুঁজে পাই না ইঁদারার। অথচ ডুবতেই পুলকেরা আমাকে ঘিরে ধরে, আনন্দরা ফুলের সুবাস দেয়, মুক্তা পাবো পাবো পাইনা। সময় গড়ায় আমি ডুবে ডুবে ক্লান্ত হই, ঘেমে ঘেমে সাড়া হই, তবু ইঁদার তল অদৃশ্য থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।



এ এক অলৌকিক ইঁদারা, এখানে কত অজস্র জলডুবুরী কালে কালে মুক্তার খোঁজে ডুবে ডুবে সাড়া হয়, তবু এর তল কোনোদিন পাইনি কেউ, ইঁদারায় থাকে রঙিন মাছের ঝাঁক, নরম আর কিছু তুল তুলে মাছ, মাছগুলো আবার হাওয়ার ওড়ে, এক সময় মাছগুলো বাতাসের ভেতর মিশে যায়।



কী এক অলৌকিক ইঁদারার : অজস্র পুরুষ যেখানে ডুবেছে আর মরেছে !!

২৭.০৩.২০১৩



















































আত্মজ

শাফিক আফতাব-----------



তোমাকে কুঁড়িয়ে পেয়েছিলাম রাজমহলে, পৃথিবীর ভূমিতে নামবার আগে কতই কল্পনা করেছি : তোমার মুখটা হবে, আমার বাবার মতোন, কিংবা দাদার মতোন : আমার মতোন তুমি হও , তা আমি কখনোই চাইনি ; অবশেষে দীর্ঘরাতের আয়োজনে অপারেশন থিয়েটারে যখন নামলে এক কমলারঙের অভিনেতা, তোমার প্রথম স্পর্শে পুরুষ জন্ম সার্থক হলো আমার। তুমি ফটোকপি হলে অপসেট পেপারে। অবিকল প্রতিবিম্ব যেন!



আজ কতদিন দেখিনা তোমাকে। তুমি অন্তরীণ। জেলার বলেন : ভালো আছো তুমি, বেশ আছো। অথচ আমার দিন কাটেনা, মুখে শস্যদানা তুলে দিতেই শাবকের মুখ ভেসে আসে, বৃক্ষের কোটরে বানানো বাসায় শালিকমায়ের সম্মুখে শাবকের দীর্ঘ রাঙা ঠোঁট যেমন ভাসে। দপর্ণে যেমন নিজকেই দেখা যায়, তেমনি............

২৭.০৩.২০১৩



















































মানুষ বনাম পশু

শাফিক আফতাব---------------



মানুষের চেয়ে পশুদের ভালোবাসি বেশি,

কেনোনা পশুরা প্রতারণা করেনা।

মানুষ করে।



আবার হিংস্রতায় পশুদের চেয়ে মানুষ এগিয়ে,

কামনায়, লালসায় ভোগে ; সর্বত্র।



পশুরা খাদ্যে ভেজাল দেয় না।

ঘুষ খায় না।

ধর্ষণও করেনা।

তবে খাবার কাড়াকাড়ি করে।

কিন্তু নিজের উদর পুর্তি হলেই দীর্ঘ এক ঘুম।

আর সঙ্গিনীর লেজের নীচে এক চুম।



কালো টাকা সাদা ; তাও করেনা।



তার ব্যালেন্সের দরকার পড়েনা।

তার কোনো পাঠশালা নেই,

তবে প্রকৃতির স্কুলে পড়েই সে এক সার্থক পিতা কিংবা মাতা হয়

না খেয়ে শাবকের মুখে তুলে দেয় উপার্জিত খাদ্য।

২৭.০৩.২০১৩

































আসুন, আমরা শুভ্রতা গিলে গিলে খাই

শাফিক আফতাব-----------



তবু ওখানেই যেতে হবে, ওখানে আগুণের ফুলকি, ওখানে শুধু অপচয়, ওখানে গেলে মানুষ, মানুষ থাকেনা, পশু হয়ে যায়, তবু ওখানেই যেতে হবে। তবু মানুষকে হারাম খেতে হবে, অপরের ফুলবতী শয্যায় আরাম করতে হবে। মিথ্যে বলতে হবে, প্রতারণা করতে হবে। নারীদের বাগে ফেলে সতীত্ব হরণ করতে হবে।

পাঠ্যবই তো কম ছাপছে না বাংলাদেশ সরকার। স্কুল কলেজ ইউনির্ভাসিট দিনে দিনে বাড়ছে, বাড়ছে মক্তব মাদ্রাসা আর মসজিদের সংখ্যা ; তবু ওখানে কেনো যেতে চায় মানুষ ? সুচেতনার সাথে পাল্লা দিয়ে কেনো বাড়ে অবাঞ্চিত লতাগুল্ম।



হে সৃষ্টির সেরা মানবকুল, আসুন আমরা শুভ্রতা গিলে গিলে খাই..............

২৭.০৩.২০১৩





















































মৃত আত্মাদের এক সভায়, হলরুমে

শাফিক আফতাব--------



একজন মানবীর সাথে মন্ত্র আর সামাজিক চুক্তিতে জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাতে সহবাস হলো, দেড়মাস পর শুনলাম ; ভেতরে প্রাণের স্পন্দন। আর অমনি সদর হাসপাতালের পাঁিচল টপকে একটি ফুলশিশু আমার কোলে এসে বসলো। আমি আকাশের দিকে তাকালাম, দেখি : দীর্ঘ এক পথ, পিচঢালা ; শিশুটি বললো বাবা, এই পথে এসেছি আমি, ওখানে আরও অনেক শিশু ফুলের মতো ফুটে আছে। ওরা পৃথিবীতে আসার জন্য কী যে অস্থির ! বলে : পৃথিবীতে এখন দুঃসময়, আমরা গিয়ে সব বিরোধ আর দ্বন্দ্ব মিটাবো। জাতীয়সংঘ ঢেলে সাজাবো। পৃথিবীতে এখন যে গণতন্ত্রের নামে পাটটাইম রাজতন্ত্র চলছে তা তারা ররদাজ করবেনা। এই যে আমি আসলাম, আমাকে তুমি নামী দামী স্কুলে পাঠাবে কিন্তু। আমিও নতুন এক শ্লোগাণ নিয়ে এসেছি, তোমার ঘরে আসার উদ্দেশ্যই হলো দারিদ্র আর দুনীর্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়াবো আমি, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নিবিশেষে কোনো ভেদ থাকবেনা আমার ইসতেহারে। আমি দেশ থেকে অবৈধ স্থাপনার মতো ঘুষ আর স্বজনপ্রীতি উচ্ছেদ করবো।



আমার প্রিয়তমাকে নিয়ে বিকেলের হেলে পড়া রোদে রিক্সায় চেপে ঘুরলাম প্রেমবেলাকার স্থাপনাগুলো, তার দেহে থেকে বেরিয়ে আসছিলো শিশুর তুলতুলে গায়ের গন্ধ। আমাকে বাবা বাবা লাগলো, মনে হলো এর চেয়ে মধু অনুভূতি পৃথিবীতে আর কীইবা থাকতে পারে !!



প্রিয়তমাকে রাত্রি জেগে জেগে বাগানের মালির মতো পরিচর্যায় করা হলো। শোনানো হলো বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনী, পবিত্র কোরান হাদিসের বাণী, ফলমুল আর উপাদেয় ভোজ্য আর পুষ্টিমান খাবারে বেশ যতœ করা হলো তাকে। কেনোনো তার ভেতরে যিনি এসি রুমে বাস করছেন, তিনি দুনীর্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়াবেন। অন্তবর্তীকালীন তার বেশ সেবার দরকার।



আমি মরে ভূত হয়েছি, আজ আমাদের মৃত আত্মাদের এক সভায় হলরুমে নালিশ গেলো ; আমার সেই দেশপ্রেমিক ছেলেটি হলমার্ক কেলেঙ্কারীতে পড়েছে। কুসন্তান জন্মাবার দায়ে আমাকে সেই বিশাল অডিটরিয়ামে দশটি বেত্রাঘাত করা হলো। আমি ভাবলাম, আমার সন্তানের বিরুদ্ধে এত বড় অভিয়োগ হতে পারেনা। সে তো অঙ্গীকার করেই পৃথিবীতে এসেছে।

শিশিতে ঠিক প্রজনন পড়েছিলো তো ? না বোতলে পরকীয়া প্রজনন ঢেলেছিলো কেউ। কেনোনা আমার সন্তান তো এমন হতে পারেনা। না, আসলেই দুষিত ছিলো আমারই প্রজনন।

২৮.০৩.২০১৩























সনেট : তুই পংক্তি বেশি ; আবার মাত্রাবিন্যাস এলোমেলো।

শাফিক আফতাব ------



উষ্ণতায় জেগেছে নিথর এক জীব

চোখ মেলে দেখছে সে আকাশের মুখ

শিখাহীন সে জ্বেলেছে আলোর প্রদীপ

সে আলোয় নেমেছে তার মনের সুখ।



এভাবে তোমার উত্তাপে ফোটে পাষাণফুল,

হৃদ্যতায় নদীরা কলকল বয় নিরবধি

হাতহীন পাহীন প্রখর জীব এক করে বসে ভুল

নদীর মুখ খুলে দাও তুমি একদা যদি।



তোমার নদীতে ঘুরে বেড়ায় রঙিন রঙিন মাছ,

জালে আটকাতে কত গোয়েন্দা কৌশল ;

রঙিন হয়ে আসে রাতের আঁধার আকাশ,

আবহমান ট্রেন চলে মধুর ; অবিরল।



ট্রেনের ইঞ্জিনে থাকে কঠিন মাস্টার,

গার্ডের হাতে সংকেত সবুজ পতাকার ।

লাল পতাকায় জেনো ট্রেন যায় থেমে ;

ভালোবাসা ফুটে তখন, কামে নয় প্রেমে।



২৮.০৩.২০১৩





























পরকীয়া

শাফিক আফতাব



তোমার রাজপ্রাসাদে থাকে কাশফুলময় নদীর তীর, নদীর জলেরা আবার ঢেউ খেলে যায় মাতাল বাতাসের মতোন, ভূগর্ভস্থ্য খনিজে ভরপুর রাজবাড়ীর কেন্দ্র, চাঁদের সাথে রাজবাড়ীর উৎসবের নিবিড়সূত্র গাঁথা। জোয়ারের বেলা উপোসে থাকেন রাজা মহাশয়, ভাটারবেলা পেটপুরে খান। আর ঐ সময় জোয়ারের সাথে যে রঙিন মাছেরা এসেছিলো তারা পোনা ছাড়ে।



একদিন তোমার রাজবাড়ীর পাশ দিয়ে যেতেই দেখি, অন্দরমহল থেকে ভেসে আসছে বনফুলের গন্ধের মতোন সুবাস, বেশ লোভ লাগলো। মনে হলো একবার কিছুটা খেয়ে আসি পুরোনো প্রেমিকার ঘরে। ভেতরে প্রবেশ করলাম। দেখি রাজা নেই। গেছেন খাজনা আদায়ে, তুমি পা মেলে বসে আছো, পা দুটো মাছের পেটের মতোন কী নিপুণ জ্বলছে সকালের রোদে। নিশ্বাসের সাথে সমুদ্রের পেটের মতোন ফুলছে তোমার বুক। আমাকে দেখতেই শাড়ীর আচঁল সামলালে তুমি। দিলে এক গ্লাস শরবত আর দুধ। এক তারাভরা রাতের কথা বলতেই ছক্কামারা ক্রিকেট খেলোয়াড়ের মতোন বেশ শক্ত করে ধরলে আমাকে তুমি। আর তখনই আমি তোমার রাজমহলে পুঁতে দিলাম দীর্ঘ এক বন্দুকের নল, নল বেয়ে গুলি এলো, সে আগুণে তুমি স্তিমিত হলে, বললে : আমি তোমার সাথে যাবো। এই পরিত্যক্ত রাজপ্রাসাদ আমি চাই না।

২৮.০৩.২০১৩







































লীজের ভূমি, পতিত !

শাফিক আফতাব-----------



কতদিন তোমার চোখে চোখ রাখিনা, বুকে বুক, আর মহারাস্তার পাশে তোমার উর্বর ভূমি লীজ নিয়ে চষি না, বপণ করিনা ধানবীজ কিংবা পাট। দীর্ঘদিন পতিত থেকে থেকে ভূমিতে আগাছা বেড়েছে, আর বাড়ছে গরু ছাগলের উপদ্রব। আবার কতিপয় ভূমিদস্যূ পায়তারা করছে জবর দখলের।



এভাবে আর কতদিন থাকা যায় ? এই মহাসড়কের পথ ধরে আর কোনোদিন হাঁটাবে না তুমি। ফলাবে কোনো ধান কিংবা কুকুর সন্তান ? গরু ছাগল ? তুমি গবাদী পশুর কথা কেনো বললে ? বললে, তুমি বললে : আমরা আজীবন পুরুষাক্রমে এক পশুই তো লালন করছি আবহমান। আর মানুষের ভেতর থেকে যে পশুটা বেরিয়ে আসে তা নাকি পৃথিবীর তাবৎ পশুর চেয়ে হিংস্র। এজন্য তুমি তোমার ভূমি চষতে দিলেনা । বললে : তারচে বরং প্রেম প্রেম খেলি আমরা, কাম কাম না।



কামের ভেতর দিয়ে ফলে পশু ও মানুষ। পশুরা তো পশুই ; মানুষ হয় না কোনোদিন । অথচ দেখুন মানুষ কিন্তু পশু হয়ে ; পশুদের চেয়ে হিংস্র হয়ে যায়।..............

২৮.০৩.২০১৩

















































আবহমান কুকুর

শাফিক আফতাব------------



রাস্তার মোড়ে কোনো কার্তিকে কুকুরের সঙ্গম চোখে পড়ে হয়তো কারো। লজ্জায় চোখ ছিটকায় কেউ। কেউ ওদিকে তাকায়ই না। কেউ আবার লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে আংটাটা খুলে দেবার চেষ্টা করে। কুকুরের বছরে একটি দিনে মহা উৎসবের, আর সেই দিনটিও কোনো কোনো মানুষের জন্য কুকুর সঙ্গমের স্বাদটা থেকে রিরত হন। তবুও কুকুর ধর্ষক হয়ে ওঠেনা। ঘটনার আগে সে প্রেয়সীর সায় নিতে পূর্ব থেকেই জানান যে তার কামনার কথা। প্রেমিকা রাজী হইলে তবেই দুএকদিন পর সংলগ্নতা। অথচ মানুষ ; কেউ কেউ দেখুন। কাঁচা মেয়ে অপরহণ করে। ধর্ষণ করে। ধর্ষণ পরবর্তী হনন করে। পৃথিবীর কোনো ইতিহাসে আছে কোনো পশু সঙ্গমপরবর্তী তার প্রেয়সীকে হত্যা করেছে। অথচ মানুষ হরহামেশা করেছে।



তবু মানুষ বলে কথা। পৃথিবীর তাবৎই তো মানুষের জন্য সৃষ্টি। মানুষ তাই এত বেপরোয়া। এত কামনাময়। তাই তাদের ভোগবিলাস এত ।



কুকুরের সঙ্গমে কোনোদিন ঢিল ছুঁড়ি নাই। কেনোনা কুকুর বছরে একবার যা করেন ; আমাকে তা প্রায়শ করতে হয়। আমারও ভেতর তো এক আবহমান কুকুর বাস করে।

২৯.০৩.২০১৩











































অদৃষ্ট

শাফিক আফতাবÑÑÑÑÑÑ----



যেখানে যাই, শুধু শত্র“ হয়, বন্ধু মেলেনা আমার। আর যে দুএকটা মেলে, তারাও কালক্রমে শত্র“ হয়ে যায়। এমনই অদৃষ্ট আমার। রূপে গুনে মুগ্ধ হলো না কেউ, কেউ কাছে বসলো না, বললো না : ‘ভালোবাসি’, কেউ কাছে ডাকলো না। গোপণ উষ্ণতায় ঋদ্ধ করলো কেউ।



যদি কারো দিকে তাকাই, মনে হয় ফকির বাবার আঁচড় লেগেছে গায়ে তার। সে ছটফট করে ওঠে। মরিচের ঝালদৃষ্টি এড়াতে অদৃশ্যে যায়, অলক্ষ্যে চলে যায়।



অনেক হিসেব করে পা ফেলেছিলাম। পাছে বাতাসে ঝাপটায় আমার থুথু কারো গায়ে গিয়ে লাগে, এজন্য রাস্তাঘাটে থুথই ফেলিনি কোনোদিন আমি। কুকুরের মতো ঠাং ফাঁক করে ¯েপ্র করিনি কারো লাউখেত। ইতর শব্দাবলি ভুলেও উচ্চারিত হয়নি এই লাঞ্ছিত মুখে। তবু কারো শুদ্ধতম মনের মণিকোঠায় আমার স্থান হলোনা।



এমনই অদৃষ্ট আমার।

আমি কারো বন্ধু হয়ে উঠলাম না।

৩০.০৩.২০১৩













































ডা. জেসিকা

শাফিক আফতাব-----------





গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহে গ্রীনরোডে এক নামকরা সাহিত্যিকের বাসায় যেতেই বিশাল এক সাইনবোর্ডে জেসিকার নামের আগে দেখলাম ডা. লেখা। এবং নামের শেষে উঠতি মধ্যবিত্তের বধুঁর কানের মতো একগুচ্ছ ঝুমকা। ডিগ্রির ভারে নেতিয়ে পড়েছে তার ছোট্ট নামটি, সাড়ে ন’মাসের গর্ভবতী নারীর স্তন যেন রসালো হয়, ঝোলে, অবিকল যেন। মনে হলো এই ডাক্তারনীর সাথে ঘর বাঁধলে আমার ডাক্তারী পরীক্ষাটা ঠিকঠিক হতো হয়তো, টেস্টের জন্যও এত টাকা বাণিজ্যিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টোরকে দেয়া লাগতো না। তাছাড়া আমার থার্মোমিটারে কত পারদ ওঠে, কত ডিগ্রি সেলিসিয়াস সহবাসের জন্য উপযুক্ত সব ঠিকঠাক চলতো।

কেনো যে আফ্রিকান মেয়ে ভেবে কেটে পড়লাম, আজ আমার স্বাস্থ্যটাও হতো বেশ নাদুসনুদুস। উত্তেজক ওষুদ সব খেয়ে খেয়ে রাত্রিবেলা সমুদ্রভ্রমণে যেতে পারতাম। তারপর পৃথিবীর সবচে অনুভবের বেলাভুমি ঘিরে ঘুরেফিরে বীচে এসে ক্লান্ত দেহে ইনজেকশন ফুরতাম ডাক্তারনীর উপকূলবর্তী এলাকায়।



জেসিকা আমর কী না হতে পারতো। অথচ আজ এক আলাদা পুথিবীর অধিবাসী। ......... যার সাথে আমার দুরত্ব পৃথিবী থেকে মঙ্গর গ্রহের দুরত্ব যতটুকু।

৩১.০৩.২০১৩









































পাগলগারদ

শাফিক আফতাব------------------------



এখানে এলে সবাই পাগল হয়ে যায,

দিগি¦দিক জ্ঞান থাকেনা এখানে কারো ;

কেঁচোর মতোন প্রাকৃতিক লাঙল এখানে সবাই ;

উর্বর নরম মৃত্তিকার খুঁড়ে খুঁড়ে ফলায় ধান ধান ;

ঘামে শ্রমে প্রেমে শস্যবতী করে নদী আর নক্ষত্রের তল ;

মাথা ডুবে শাঁসে মুখ গুঁজে করে ফেলে জীবনের চরমতম ভুল ;

আর তাতেই ফুলবতী হয়,

নদীর দুকূল।

৩১.০৩.২০১৩



























































উঠতি মধ্যবিত্তের এক তনিমার প্রতি

শাফিক আফতাব---------



তোমার দাপটে একদিন ক্যাম্পাস গরম হয়ে উঠতো,

রাজনীতির ঝাঁঝালো ভাষণে না ;

কিংবা নিরন্ন আর্ত মানুষের অধিকার আদায়ে না ;

উঠতি মধ্যবিত্তের বিলাসী ফ্যাসনের গন্ধে :

সেই তুমি আজ অস্ট্রেলিয়ান গাভী।



বাহুল্য ব্যবহারে কী এক বিক্ষিপ্ততা তোমার আজ !

বুড়ো হবার আগেই ঝুলে গেছে তোমার মসৃণ অভিজাত তুলতুলে চামড়া,

উপাদেয় অঙ্গাবলী শ্রীহীনতায় লাবণ্যহীন,

তোমার সেই জৌলুস আজ অলস বিকেলের বিবর্ণ আলোর মতোন পুষ্টিতে ভুগছে।

তোমার ভূগর্ভে আর নেই সেই হীরকের খণ্ড,

বিদেশী লোসনের ঘ্রাণ।



এই তো হয়, সবকিছু একদিন ঘুরেফিরে জলের মতোন প্রত্যাবর্তিত হয়,

তুমি যাদের তোমার পাশে বসতে দাও নি একদিন,

দেখো তারা আজ চরচর উঠে গেছে বহুতল ভবনের মতোন।

তাদের আজ কী সুন্দর ফুরফুরে দিন।

আর তুমি কেমন বিরহী মলিন।

০১.০৪.২০১৩































ঝরঝরে ভাতের গরম পদাবলী

শাফিক আফতাব---------



মেয়েমানুষের গায়ের গন্ধে জেগে ওঠে পুরুষত্ব , রাত্রির শীতল বাতাস ক্রমশ উষ্ণ হতে থাকে, উত্তাপে খোলস ফেটে বেরিয়ে পড়ে শিমুলফুল, পানিতে ছুঁই ছুঁই করে নদীর দুকূল। কী এক মোহন আবেশে রাতের বাতাসে নেমে আসে পুলকের ঝুরঝুর রেণু। মনের গহীনে দল মেলে বসে থাকে কামনার কলি। আমি ক্রমশ লিখে যাই শীতসকালের ভাঁপওঠা চিকনচালের ঝরঝরে ভাতের গরম পদাবলী।



রজনীগন্ধার মতোন এক এক করে খসে পড়তে থাকে সফেদখোলসপাঁপড়ি, প্রেরকযন্ত্র থেকে উত্তেজনার ডাক আসে, সবরীকলার খোসা ফেলে শাঁস আলগোছে ঢুকে পড়ে লালসার গহবরে। ফুলে ওঠে উপাদেয় অঙ্গাবলী, অকস্মাৎ জ্বেলে ওঠে নীল লাল দীপাবলি, তখন আমি মোহন মুধর এক সুরভরা বাঁশরী নিয়ে তোমার পাতাল রেলে দীর্ঘ ভ্রমনের জন্য প্রস্তুত হতে থাকি। এক আবহমান মাস্টার ইঞ্জিনে সুইচ টেপে, তখন সমান্তরাল এক ভ্রমণ শুরু হয়, আর অমনি নদীর জলেরা কলকল করে ওঠে।

০১.০৪.২০১৩



















































এপ্রিল ফুল

শাফিক আফতাব-----------



ফুলতো ফোটেনি কোথাও, তবু কেনো ম ম করছে আমার মন ;

তুলতুলে অনুভবের স্পর্শ যেন ভাসছে এই নিঝুম রাত্রিওে ;

কী মধুর এই দক্ষিণায়নের অনুক্ষণ,

ভালোলাগার আনন্দ ভাসছে হৃদয়ের পাড়ে।



তুমি বুঝি এসেই গেছো এপ্রিলের এই রাত্রিনিঝুমে ;

ফুলবতী বিছানায় তাই, পাঁপড়ি ঝরছে অনবরত ;

কী যে পুলক তোমার কল্পনার মুখ চুমে,

কালের প্রবাহে রাত গড়ায় আদিঅন্তহীন, চলে তোমার ব্রত।



এসো, চলে যাবো তুমি আমি ভূগর্ভস্থ্য এক মহা আনন্দে ;

দুজনার হৃদ্যতায় জন্ম দেবো তৃতীয় বিশ্বের এক মহানায়ক ; ধীরোদাত্ত,

ভালোবাসাদের জমা রাখবো মনের অলিন্দে,

প্রজন্মের স্বরে দারিদ্র আর দুনীর্তিমুক্ত বাংলাদেশের আহবান থাকবে ; উদাত্ত।



কল্পনায় তুমি গর্ভবতী হও আর আমি হই বাবা ;

স্বপ্নেই রাজভোগ মুখে তুলে ধরে বলো : ‘খাবা’,

০১.০৪.২০১৩











































অভিজাত অভ্যূত্থান

শাফিক আফতাব-----------



ক্রোধ গলে গলে সুবাসিত ফুলের ঘ্রাণ হয়, আর পাঁপড়ি মেরে সৌন্দর্য বাড়ায়, এক সুন্দরতম বোধে শুভতার বাতাসের শিহরিত করে বিক্ষত দেহের লোম ; তুমি আরও গভীর আর নিবিড় হও, জুজু বুুড়ির ভয়ে অবুঝ শিশু যেমন সাপের মতোন পেচিয়ে ধরে বৃক্ষের ডাল। সহসায় অভ্যূত্থান ঘটে অভিজাত এলাকায়, একশত চার ডিগ্রির জ্বরের রোগী তুমি তোমাকে নিয়ে তখন চলে ডাক্তার দেখানোর আয়োজন।



এভাবেই তুমি এলে আমি ভুলে যাই জন্মদাত্রী মায়ের নাম, যদিও তাঁকে তুমি হিংসা করো। করে এসেছে আবহমানকাল। তুমি সবকিছু ভুলিয়ে ভালিয়ে ছেলেভুলানো এক রূপকথা কথকের মতোন নিয়ে যাও এক নির্জন দ্বীপে, আমাকে দুলদুল ঘোড়ায় চড়ায়, রাজার সিংহাসনে বসাও, আমি চাবুক মেরে ঘুরি আসি তেপান্তরের মাঠ।

স্খখন হলে পর মনে হয়, আমার মা কোথায়, আমার বাবা কোথায়, এই ডাইনি আমার জীবন চুষে চুষে খাবে।

০২.০৪.২০১৩













































চিরায়ত চাষাবাদ

শাফিক আফতাব----------



আঁধারের গভীরে হাতের মুঠোয় আসে তুলতুলে মাছ,

টগবগ করে করে ওঠে সাত সমুদ্রের জল ;

ফুল ফোটায় গুচ্ছ গুচ্ছ, পৃথিবীর সব গাছ,

পাতাল রেলে আবহমান ট্রেন চলে অবিরল।



রাতের আঁধারে তুমি আমি হয়ে উঠি সেরা রঙিন,

ঢাকনা তুলে রাজভোগ তুলে ধরো ক্ষুধাতুরের মুখে ;

তখন শুধে যায় আমাদের চিরায়ত বকেয়া ঋণ,

পাখিরা গান ধরে নব কিশোলয় শাখে।



তোমার ঘ্রাণে ক্রমশ জাগে আবহমান পুরুষের সত্তা,

লাঙলের ফলা তুলে মৃত্তিকার দেহ চিরে ছিটোয় বীজ ;

ফুলে ফসলে ভরে পৃথিবী প্রান্তর, সবিতা ;

তুমি আর আমি নিয়েছি যেন পৃথিবীর ভূমি লীজ।



এভাবে তোমার আমার দেহের নির্যাসে জন্মে চেতনা

নদী, নক্ষত্র, মাটি আর মানুষের তাই এত বেদনা।

০২.০৪.২০১২







































তুলতুলে মসৃণ মাছ

শাফিক আফতাব-----------



মুঠো মুঠো ডলা খেয়ে উত্তেজিত হয় তুলতুলে মসৃণ মাছ,

গভীর নীল ডলা খেতে খাঁচার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে ;

নবীন জলের তরে হা করে দেখে সে মেঘবতী আকাশ,

এই চৈত্রের আঁধারে সে কামনার জলে ভাসে।



মাছের মায়ের আছে এক নির্জন দ্বীপের দেশ,

নরম গাঢ় অনুভবে সেখানে পুলকের ফুল ফোটে ;

আরো আছে লকলকে ঘাসময় মেঘবতী কেশ,

আনন্দ আর ভালোবাসা আছে সেই উত্তাল সমুদ্র তটে।



এই মসৃণ মাছের তরে কলিজার ভেতর উত্তেজনা,

বর্ষার জলে পোড়ায়, আর পোড়ায় এই চৈত্রের খরায় ;

ভিতরে কী যে আলোড়ন ! যেন প্রসববেদনা,

কোথায় যেন এই মন বেগে ধায়, ঝড়ের হাওয়ায়।



সবকিছুর মূল এই রঙিন মসৃণ মাছ, মাছের মায়ের নির্জনদ্বীপ ;

তারি তরে কালনিরবধি জেলে রাখি আমাদের অগ্নিপ্রদীপ।

০২.০৪.২০১৩

































উঁইপোকাড়া খায় কবিতার চরণ

শাফিক আফতাব------------



সময় গড়িয়ে গেছে, বইয়ের বাঁধাই খুলে গেছে, উঁইপোকা কেটেকুটে খেয়েছে কবিতার চরণ আর তোমার মনের ভেতর পড়েছে শ্যাওলার আস্তারণ। তুমি ছিলে বোশেখের প্রথম বৃষ্টির জলের মতোন উর্বর আর সজীব আর কেমন বিশুদ্ধ খলবল ঢেউয়ের উচ্ছল, দেখো কেমন আজ মিঁইয়ে গেছো, তোমার লকলকে চুলে বয়স্ক লাউক্ষেতের ডগা, চোখে বিবর্ণ ঝরাপাতা, সাধের ভাণ্ড দুটো অসম্ভব হয়ে গেছে চোচা, তোমার কামানাগুলোও মরে গেছে, যেমন একদিন ক্রিকেটের ছক্কামারা খেলোয়াড়ের মতোন মাঠ গরম করতে আলিঙ্গনে, কিংবা বোশের প্রথম বৃষ্টির জলে চিতল যেমন মাত করে দীঘির জল, কামনাবতী কিশোরী যেমন প্রথম মিলনের স্বাদ নিয়ে ভুলে যায় জগত সংসার। আজ সে সবের কিছু নেই। তুমি স্থবির পড়ে থাকো, বিকলাঙ্গ এক মানুষের মতোন, বিক্ষত ভাবনার পদাবলি নিয়ে



এই তো আমাদের জীবন, আমাদের সাধ আর কবিতার চরণ উঁইপোকাড়া খায়, আমরা কঙ্কালসার হতে হতে একদিন দেহ থেকে বা’র হয়ে শূন্যে হারাই, শূন্যে হারাই.............

০৩.০৪.২০১৩

















































মানুষই পতিত পৃথিবীতে সভ্যতা এনেছিলো

শাফিক আফতাব----------



দিন কাটেনা ; রাত্রিও। অকস্মাৎ ঘুম ভেঙে গেলে ভুলের ফুলেরা পাঁপড়ি মেলে বড় অস্থির করে তোলে ; অনুশোচনায় পুড়ে যাই, দহনে মন ঝাঁঝড়া হয়, কেনো তবু মানুষের সাথে বার বার নিবিড় হয়ে পড়ি, এইসব মানুষই তো উন্মূলিত করেছে আমাদের সাধ আর স্বপ্ন, জবর দখর করেছে আমাদের আবাস, পাকাধানে মই দিয়েছে, রাতের আঁধারে পুকুর করেছে চুরি। নিপুণ গুপ্তচর সেজে আমাদের অন্তর্গত তথ্য পাচার করেছে। তারাই ভাতের থালায় বজ্র ত্যাগ করেছে।



আমাদের আর দিন কাটেনা, এই সব মানুষের বিশ্বাসঘাতকতায় কেবলি মনে হয়, কী করে মানুষ এ সব করে। হিংস্র পশুদের মতো কীভাবে ঝাঁপিয়ে একে অপরের উপর।

তবু মানুষ বলে কথা : মানুষই তো এই পতিত পৃথিবীতে সভ্যতা এনেছিলো। সেই মানুষই এনেছে সাম্রাজ্য, আগ্রাসন, যুদ্ধ, হত্যা আর বিশ্বাসঘাতকতায় পরিপুষ্ট জীবাণু।



দিন কাটছে না আমাদের আর ! আমরা কোথায় চলেছি ভেসে !

০৪.০৪.২০১৩















































মুখ থুবড়ে পড়ে আছি

শাফিক আফতাব--------

মুখ থুবড়ে পড়ে আছি, বলিনা কিছু, শুনিও না। দেখে যাই সময়ের চাকায় পা রেখে, চাকাই ঘুরছে, আমি শুধু আরামে পা রেখেছি পাদানিতে আর দেখছি। আমার কোনোই বেগ পেতে হচ্ছে না। ঘটনাই ঘটছে, ঘটে ঘটে হাটে হাটে ঢোল হচ্ছে। পত্রিকার পাতা ঘিরে ফলাও হচ্ছে।



আমার কি কোনো কথাই নেই। কোনো দায় ? না কোনো কথা নেই এবং দায়। যাদের আছে তারাই বলছে। তবে তারা সকালে এক বিকেলে আরেক বলে। আমি তা পারি না। ফলত আমার কোনো কথা থাকে না। আমি মুখ থুবড়ে পড়ে আছি। আমি বধির আর মূক পড়ে থাকি নিথর জড়ের মতোন। মানুষ আমাকে নিয়ে ভাবছেই না। আমি বেশ আরামে আছি। নাট্যমঞ্চে নিরব দর্শক এক ; শুধু অভিনয় দেখছি। আর পুতুলমানুষরা নেচে নেচে যাচ্ছে। আমি বিনাটিকেটে সসম্মানে ভি আই পি গ্যালারীতে বসে সিনেমা দেখছি। দেখতে আমার বেশ আরাম লাগছে।

০৪.০৪.২০১৩

























































চণ্ডিদাসীয় পদাবলী

শাফিক আফতাব--------



স্কার্ফে মুখ ঢাকা তার, ত্রিপলে ঢাকা তার মূলধন,

গোপণ গহ্বর থেকে ভেসে আসছে বনফুলঘ্রাণ ;

তার ভাঁপেই আর্তের মতোন চনমন করে মন,

আমার নির্জনে তখন অজস্র দহন আর কলতান।



বাতাসের ঝাঁপটায় দুলে উঠে গোল গোল বেলুন,

স্পর্শে টগবগ করে ওঠে সমুদ্রের পেটের মতোন ;

আলগোছে ক্রমশ নিঃসরিত হয় আবহমান নুন,

কত মধুর তখন পরস্পরের বাক্য আর কথন।



রক্তের নির্যাসে সর জমে হয় পুলকের বিন্দু বিন্দু জল,

তারি তরে অধিরা এই চৈত্রের কাঠফাটা দুপর ;

তারি জন্য আমাদের পরস্পরের মালাবদল,

আমরা দুজনে চলি ভাওয়ালগড় আর মধুপর।



দুজনে দুজন আলিঙ্গনে পরস্পর একাকার ;

তাই মিটি মিটি আকাশে লক্ষকোটি তারার।



০৪.০৪.০২০১৩



































ফসলের গান

শাফিক আফতাব----------



লাঙলের ফলা তুলে মৃত্তিকার শরীর চিরছে কৃষক

মুখে তার ভাঁটিয়ালী গানের দিগন্ত ভেজানো সুর

রাতের আঁধারেও সে ব্যকরণের কর্তৃকারক

ঘুরে আসে শাশ্বত সুন্দর এক মধুপর।



ঘরে আর বাহিরে সে ভূমি চষে ফলায় শুধু ধান

তাতেই পৃথিবী কেশবতী আর ফুলবতী হয়

কৃষাণীর মুখে দেখি পানপিকের ঘ্রাণ

দশমাস পর বেরিয়ে আসে আস্তা এক তনয়।



হালের গরুটিও গাভীন হয়, আসে তারও প্রসবের দিন

ধানের শিষেরা ওদিকে খেতে খেতে দোল খায়

হাঁটবারে কৃষক কৃষাণীর জন্য নিয়ে আসে শাড়ি রঙিন

আনন্দ, ধান আর ভালোবাসায় কৃষকের গোলা ভরে যায়।



বাংলার ঘরে ঘরে এই রূপ স্বাভাবিক ; আবহমান,

মৃত্তিকার গভীরে কান পেতে শুনি ফসলর গান।

০৫.০৪.২০১৩



































আধুনিক কবিতা

শাফিক আফতাব------



একটা ফড়িং উড়ে গেলো, চোখ থেকে,

মেঘেরা গুঁড়ি গুঁড়ি ভেঙে ভেঙে পড়লো মাথার উপর,

একটি গরু দুটি ঠাং ফাঁক করে জাবর কাটছে,

শাবকটি ওলানে গুঁতো মারছে।



একটা কবিতা হয়ে গেলোনা ?

আধুনিক কবিতা এরকমই।

























































কবিতা লিখবো না, কৃষিজীবী হবো

শাফিক আফতাব---------



আজ সারাদিন বাঁটখারায় মেধা মাপলাম, দেখলাম : কবিতা হবেনা।

এ বড় কঠিন জিনিস। চরণের লেজ লাগা ছন্দ হলে হয়তো হতো কিছুটা

সে যুগ শেষ। এখন প্রবহমান অক্ষরবৃত্তের যুগ, যাকে অনেকেই গদ্যছন্দ বলি।

উপমাগুলো খাঁপছাড়া,

বিষয় নিত্য নতুন। শব্দগুলো আবার ঝরঝরে।

অন্তনির্হিত তাৎপর্য । এই সব ভেবে কবিতা একদম হয়ে ওঠেনা আমার।



কেনোনা.

তিন সদস্যের সংসারে

ভরণপোষণ দিয়ে কবিতা নিয়ে ভাববার সময় নেই এই ক্ষুদে মেধাবীর,

তারচে বরং কোঁদালে মাটি কাটি, ধান জন্মাই ;

কৃষিতে অবদান রাখি,

তাই খেয়ে মেধাবী কবিরা করুক লেখালেখি।

তাদের কবিতা আমার সন্তান পড়বে ;

আমি বলবো : ‘পড় বাবা, আমার বন্ধু কবিরা লিখেছে,



তাতেই গবির্ত আমি।

এই মেধাবী কবিটির সাথে আমার দেখা হয়েছিলো বাংলা একাডেমীর অনুষ্ঠানে,

আমার সন্তান তার বন্ধুদের বুক উঁচিয়ে বলবে, এই কবিজী আমার বাবার বন্ধু।

০৫.০৪.২০১৩





































কবি হইতে সাবধান

শাফিক আফতাব-----------



কবি হইতে সাবধান ! কবি হিংসুটে জীব ! মাইকেল মধুসূদনকে বাক্যবাণে নাস্তানাবুদ করেছিলেন তাঁর সমকালীন অনেক কবি, রবী ঠাকুরের বেলাও তাই হয়েছে, নজরুলের কথা তো বলাই বাহুল্য, জসীম উদ্দিন গেঁয়ো মানুষের কবি বলে অনেকেই ঘৃণা করতেন, আর জীবনানন্দের কবিখ্যাতি জীবদ্দশায় আর ঘটেছে কতটুকু ? কবি শামসূর রাহমান আর আল মাহমুদ পেরিয়ে হাল কালের অনেক কবিই অনেকের রোষানলের শিকার।



আমার ধারণা ছিলো অন্তত কবিরা আর যাই হোক উদার মনের মানুষ। এখন দেখছি, উল্টো। আমরা যে যা লিখছি, সেটাই উৎকৃষ্ট কবিতা, অন্যেরটা কিছুই না।



কালে কালে আমাদের মহান কবিদের এ রকম অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখী হতে হয়েছে। তাই কবি নামধারী অনেক অকবি থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।

০৫.০৪.২০১৩















































কবিতার আধুুনিকতা

শাফিক আফতাব-------



হাতের লেখা যেমন নতুন রূপ পায় কম্পোজে

মনেই হয় হবেনা, এই ঝরঝরা শব্দগুলো আমা কর্তৃক লিখিত,

পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাও তাই

আধুনিকতায় ঢং আর নিজস্ব কবিভাষা আর র্স্মাট ভঙ্গি নিয়ে দাঁড়ায়

পুরোনো প্রাচীন শব্দগুলো হয়ে উঠে অতি আধুনিক এক একটি অনুষঙ্গ।



আমি কম্পোজ পারিনা

পত্রিকায় কবিতা পাঠাই না

কিংবা পত্রিকায় সখ্যতা কম

আধুনিকতা বুঝবে কীভাবে? আর আমার কবিতা যে অনুপম ?



















































কয়েকটি লাল পিঁপড়ে হাঁটছে অন্তরীক্ষে

শাফিক আফতাব---------



কয়েকটি লাল পিঁপড়ে হাঁটছে অন্তরীক্ষে,

ঝাঁক ঝাঁক মাছ সাঁতার কাটছে রাজপথে,

পাপে কবলিত ম্যানগ্রাফ ; সুন্দরবন,

মানুষের পড়ন থেকে বস্ত্র খুলে খুলে যাচ্ছে,

এতদিনের লজ্জবতী মেয়েরা নিপুণ ভঙ্গিতে দোলাচ্ছে বেলুনফুল,

উরু খুলে দেখাচ্ছে ঝর্ণার নির্জন প্রপাত।

আর পুরোহিত দুহাত তুলে দিচ্ছে অভিসম্পাত।



কী কলি কাল চলছে এখন !

পিঁপড়েগুলো আকাশে ওড়ে,

মাছেরা সাঁতার কাটে বাচুচরে,

মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখেনা ;

মানুষ আপনাই বিবস্ত্র হয়ে যায়

তারা সমাজ মানে না, গুরুজন মানেনা।

সমাজের গণ্ডি টপকে অপরের ক্ষেতের লকলকে ঘাস খায় ;

তারা ধর্ম-সমাজ-রাষ্ট্র কিছুই মানবে না



তাহলে তারা মানবে কী ?

তারা কি যাদুবিদ্যায় প্রভুর নৈকট্য লাভ করবে।

০৬.০৪.২০১৩

































উচ্চতর ভাবনার কাব্য

শাফিক আফতাব------



গর্ভবতী ধানপাতার মতোন বাড়ছে লাউডুগি আঙ্গুল, সোনারোদে স্বর্ণলতার মতোন চিক চিক করছে মেহেদী-চিকুর, বনলতার মতোন লকলক করছে ভ্রু-চুল, টলটল পানির মতোন টগবগ করছে যুগল দ্বীপ,ড্রেসিং-এ স্রোতস্বতী হচ্ছে অন্তর্গত নদী, এমন মোহনমিলনের জন্য তুমি জ্বেলেছো ডিমলাইট, পালঙ্কের মধ্যবিন্দুতে পদ্মিনী তুমি মুর্তিমান ; তোমার হস্তস্পর্শে ঝন্নাৎ দুলে উঠলো প্রতীক্ষিত হৃদয়, আর অমনি বিদ্যুৎ চলে গেলো শহরের গর্ভে, তোমার রূপ-রস-রঙ ডুবে গেলো অন্ধকারে, আর আমিও ডুবে গেলাম তোমার গহীন গভীরে, দেখি, সেখানে ইকুরিয়ামে অজস্র রঙিন মাছ লেজ নেচে নেচে খেলছে, আমিও মাছদের খেলার সাথী হলাম, খেলতে খেলতে চোখ বুজে ঘুম এলো, তুমি ঘুমের ঘ্রাণ দিলে, আমি শিশুর মতোন ঘুমে গেলাম তোমার কোমল কোলে।.........

০৬.০৪.২০১৩



























































অতিপ্রাকৃত

শাফিক আফতাব---------



ঘুঘড়ি পোকার মতোন মৃত আত্মারা উঠে এলো মাটির গভীর থেকে ;

তারা বলছে জেলখানায় আযাবের মাত্রা বেড়ে গেছে,

ওদিকে বজ্রের হুক্কারে নবীন আত্মারা ভয়ে নেমে এলো ভূতলে ;

তারা বলছে, এভাবে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা যায় না,

তারা শীঘ্র পৃথিবীর ভূমিতে নামতে চায়।



এদিকে দেশে চতুর্মুখী দোলাচল,

কী এক ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে দেশ,

আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, একদিন কাজ না পেলে চুলো জ্বলেনা,

আমরা কী করে বাঁচি ?



এক বিকট শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেলো, গা কাঁপা শুরু হলো আমার,

বাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।

দেখি ভোরবেলা, অদূরে মধু-আযানের ধ্বনি ভেসে এলো

নামাজে নতজানু হলাম, প্রভূকে বললাম, হে রাব্বুল আলামিন : আমাদের

আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করুন। দুঃস্বপ্ন থেকে আমাদের রেহাই দিন।

মৃত আত্মাদের মাফ করে দিন,

নবীন আত্মাদের পৃথিবীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন

তারাই হাল ধরুক এই সহিংস পৃথিবীর।

০৭.০৪.২০১৩





























ভ্রমে ভ্রুমি ভুলে

শাফিক আফতাব----------



ব্যাঙের ছাতায় ছেয়ে গেছে আঙিনা, কুনোরা বেরিয়েছে গৃহকোণ হতে, ক্কুড় ক্কুড় ডাকে মুখরিত করছে ভোরের শুদ্ধ বাতাস, চোখ খুলে দেখি গভীর রাত, কেউ জেগে নেই, কয়েকটি বেশ্যা আছে, আর আছে নিশাচর, আর কিছু পদ্য লেখক,কিছু মাগির দালাল, কেউ মাথা গুঁজে দিয়েছে আবহমান প্রপাতে, কেউ যুদ্ধযানের জন্য সৈনিক বেশে মাথায় পড়ছে ক্যাপ,



ইদানিং ভুল হয়, সন্ধ্যাকে মনে হয় ভোর, আর ভোরকে সন্ধ্যা, রাত্রিদুপুরকে মধ্যদুপুর বলে ভুল করি। যুবতী কলাবতী রমণীদের মনে হয় বন্ধ্যা। ভ্রমে ভুলে ভরে গেছে দেশ, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরে গেছে জীবাণুর কীট, শপথ করেও মাতি,খেলি পাশা আর তাস, গণ্ডারের চামড়া হয়েছে আমাদের পিঠ।



ভ্রমেই আকাশে দেখি পাখিরা হাঁটছে, পাপিষ্ট মানুষের নিম্নাঙ্গে গঁিজয়েছে দীর্ঘ লেজ, বানরের মতোন তারা নাচছে, আর স্বর্ণরৌপে ভরে ঘুষখোরের শোকেস।.............

০৭.০৪.২০১৩



















































নীলডিমের দৃশ্যপট

শাফিক আফতাব-----------



জেসিকা, আজ তোমার উষ্ণশ্বাসে বারান্দার কৃত্রিমফুলগুলো পাঁপড়ি মেলছিলো, ঘ্রাণে ঘরময় নেমেছিলো এক মিষ্টি আবেশ, নুয়ে পড়া অঙ্গ অভ্যূত্থান ঘটাতে অজস্র পুলকের সৈন্য নিয়ে রাজপথ বরবর অবস্থান নিলো, আমি কিছ্ইু করতে পারলাম না। যুদ্ধ বেঁধে গেলো, এক পশলা বৃষ্টি হলে পর সব ধুয়ে মুছে সারা শহরময় কী এক স্তব্ধতা, শুদ্ধতা নেমে এলো চোখের পাতায়, তুমি পুলকদল নিয়ে ঘুমে গেলে, নীলডিমের আলোতে তোমাকে কী অপরূপ মনে হলো। দেখি, তোমার খোলা বুক থেকে রজনীগন্ধা আর গোলাপ ফুটছে, ঘ্রাণগুলো হাতের মুঠোয় নিতেই অবসিত হলাম, তুমি শান্তস্নিগ্ধ চোখের পাতা খুললে : আহা ! এর চেয়ে মধুর লগন পৃথিবীতে দেখেছি কি ?.............

০৮.০৪.২০১৩



























































মিলনোত্তর পর্ব

শাফিক আফতাব---------



তোমার লালসালু ছায়া থেকে বিচ্ছূরিত হচ্ছে সুবাস,

সকালের সোনারোদে ঝলমল করছে তোমার স্নানিত শরীর ;

সারেগামা থেকে সৃজিত হচ্ছে গানের প্রকাশ,

হৃদয়ের গভীরে এলো মিটি মিটি জোনাকির ভীড়।



শহরের অভিজাত ফ্লাটের কৃত্রিম ঝর্ণায়,

খোলা দেহে এলিয়ে দিয়েছো বেলুন ফুল ;

কচুপাতায় জলের বিন্দু তাতে টলমলায়,

ভেজা দেহে খোঁপা বেঁেধ দাঁড়ালে বারান্দায়Ñ মুর্তিরপুতুল।



রাতের উত্তাপ আর ঊষ্ণতা মাখানো ঝরেপড়া পাঁপড়ি,

আর দেহে লেগে থাকা আনন্দ, পুলুকের বাশি অবসতা,

তোমার আমার মিলনে বাক্যের শেষে পড়েছিলো যে দাড়ি ;

সব ধুয়ে মুছে কী পরিচ্ছন্ন শুদ্ধতায় তুমি হলে ধবধবে সাদা !



শেষ বসন্তের সকালে তুমি ফুটে উঠলে ; যেন বৃষ্টিধৌত প্রভাত,

রূপে রসে গন্ধে খুলে গেলো আমার বহুদিনের পতিত প্রপাত।

০৭.০৪.২০১৩

































কৃষক ও হাল

শাফিক আফতাব--------



প্যান্টি দিয়ে বাড়ি মারছে বলদের পাছায়

বলদ ধেয়ে যাচ্ছে অগ্রে

ন্যাংটি তার খুলে যাচ্ছে বাতাসের ঝাপটায়

জমি চষিছে সে এই ভাদ্রে।



বলদের মুসলমানী হয়েছে সেই কবে

বকোন দেখলে তার আজও দুঃখ বাড়ে

তবু গাভীর পাছায় তার নাকের ডগা ডোবে

ষাড়ের সঙ্গমেই তার আনন্দ মনের ভেতরে।



মানুষ বুড়ো হলে দেহ মরে মন মরেনা শুনি

স্মৃতি মন্থনে অলস বেলা কাটায়

সুর নাই, লয় নাই তবু কত গুনগুনানী।

সবকিছু লুপ্ত হয় জোয়ারের ভাটায়।



আমার হালের সাথিরা একে একে পরপারে

আমি একা বেঁচে এখন পৃথিবীর পরে।

০৮.০৪.২০১৩





































মানুষ ফিরে, ফিরেনা তোর মন,

শাফিক আফতাব-------------



যেখানে যাই, আবার তোমার কাছেই নতজানু ফিরে আসি। জলের মতোন, ঘুরেফিরে মেঘের মতোন বৃষ্টির ফোটায় তোমার চৈতালি ক্ষেতে আবার ফিরে আসি। কত প্রান্তরে গেলাম, কত রাত্রিদিন কত জংসনে কাটালাম বিনিদ্র এই আমি, চোখের ফোকাসে কতকিছু প্রতিবিম্বিত হলো, কতদুঃখ আর কষ্টের জলে ভিজে আমি নেউল কুকুরের মতোন লুকোলাম মানুষের চালায়, খুপরীতে, আমার ক্ষোভ আর অহংকার গলে গলে মানবতার ফুল ফুটলো কতবার, আমি শত্র“দের ভুলে আবার সালাম ঠুকলাম, নিরন্ন মানুষের কষ্ট বুঝতে উপোসে কাটালাম কতরাত। আর ফিরবোন বলে একটিবারও পিছন ফিরে দেখিনি তোমাকে। বুঝতে চাইনি তোমার ভালোবাসা, শুঁকতে চাইনি তোমার প্রণয়ফুল। তবু কেনো ফিরে এলাম আবার। তোমার যাদুবিদ্যা আমাকে আবার কুর্ণিশ করতে শেখাবে ?

মানুষ ফিরে, ফিরেনা তোর মন, আমার এই প্রত্যাবর্তনে তুমি এবার কতটুকু লাভবান হবে ?

০৮.০৪.২০১৩























































‘যুদ্ধই জীবন, যুদ্ধই সার্বজনীন’ ?

শাফিক আফতাব---------





মরে গেছে সুবর্ণগ্রাম, মহাস্থানগড়, বৌদ্ধবিহার ; মহেঞ্জোদারো মরে গেছো, মরে গেছো হরপ্পা।

সভ্যতা মরে গেছে, মরে গেছে ব্যাবিলন, মরে গেছে গৌতমব্দ্ধু, কনফুসিয়াস, জুলিয়াস সিজার ;

কত মানুষ আর কত সভ্যতা মরে গেছো,

মরেনি মানুষের চেতনা, যুদ্ধ ; মানুষের হিংসা, দ্বেষ অহংকার :

সব পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো :

সেই অরণ্যজীবন থেকে আজকের আধুনিক সভ্যতার পাদপিট : এই সুদীর্ঘ কালপরিসরে শুধু যুদ্ধই

বেঁচে থাকলো। তাহলে কী ‘যুদ্ধই জীবন যুদ্ধই সার্বজনীন’ ?



হে প্রভূ আমরা যুদ্ধ চাইনা, তুমি আমাদের সত্য সুন্দর সত্তা দাও। হিংসা আর দ্বেষহীন সত্তা। আমাদের প্রাণে সুন্দরের ফোয়ারা দাও। অহমহীন শ্বাস-প্রশ্বাস। আমাদের ঈমানী শক্তি প্রখর করে দাও। আমরা নির্বিশেষে পবিত্র একটি হৃদয় চাই প্রভূ তোমার কাছে।...............

০৯.০৪.২০১৩

















































বিরোধে জড়া মানুষের জন্মগত স্বভাব ?

শাফিক আফতাব----------



তার সাথে তাঁর দেখা হয়নি কোথাও, পাকাধানে তিনি মই দেননি তার, জমির আল কিংবা বাড়ির সীমানা কিংবা সীমানাবর্তী কাঁচা ল্যান্ট্রিনের গন্ধ বাতাসে ছড়ায়নি কিংবা আম-জাম-কাঁঠালের কোনো কাণ্ড তার জমির সীমানায় দেয়নি উঁকি, তার রূপসী বঁধু গ্রামের দীঘিতে স্নান সেরে ভেজা গায়ে আঙিনায় চুল শুকোলে সে একটি বারের জন্যও হলেও তাকাইনি স্পর্শকাতর এলাকায়, জমির অংশীদারিত্ব নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। তবু কেনো এই ভদ্রবাবার সন্তান তাঁর সাথে বিরোধে জড়ালো ?



বিরোধে জড়িয়ে যাওয়া কী মানুষের জন্মগত স্বভাব ? তাহলে কেনো সে নেউলি কুকুরের মতোন ফুঁসছে? ঢ়োরা সাপের মতোন ফুলছে, সে তাঁকে দেখে কেনো হিংসায় মরে গেলো ?

০৯.০৪.২০১৩





















































আধুনিক চাষের ফর্মূলা

শাফিক আফতাব-------------



থোকা থোকা ঘাস, ঘাসের ভেতর ঘুঘরির সুড়ঙ্গ পথ, প্রাকৃতিক লাঙল ফলা তুলে যখন চিরে মৃত্তিকার শরীর, কৃষকের বন্ধু কেঁচোরা কিলবিল করে ওঠে। দীর্ঘ চাষাবাদে পতিত জমি হয়ে আসে ভুরভুরে।



তুমি এক উর্বর ভূমি আমার, চাষাবাদে তোমাকে পুলকিত করে তুলি, তোমার গভীরে পুঁতে দেই ভ্রুণের বীজ, আর তা থেকে এক অদৃশ্য কারিগর নিবিড় পরিচর্যায় ফলে তোলে ধান,



তোমাকে চষে পাই পুলক আর ধান, আর পাই দেহাতীত এক অদৃশ্য সৌন্দর্য, যাকে ছুঁইতে চাইনা। তাই তোমাকে ভালোবাসার সাধ আমার থেকেই যায়, যতবার ¯েপ্র করি তোমার কৃষির জমি, ততবার চাষাবাদের নতুন সূত্রাবলি মাথায় নিয়ে আসে।

এ বার এসো, অতি আধুনিক চাষের ফর্মূলা শেখাবো তোমাকে এবার।



০৯.০৪.২০১৩

















































কবিতা লেখার পরিণতি : কে বলে আমি সফল পুরুষ ?

শাফিক আফতাব--------------



দেখতে দেখতে জীবনে মধ্যবিন্দু ছুঁইলাম, সফল পুরুষের খেতাব পেলাম না। সহপাঠিরা বাড়ি, গাড়ী ব্যালেন্স ; সব করেছে, কেউ মেধার বিকাশ দেখিয়েছে পত্রিকায় পাতায়, কেউ আবার স্যাটেলাইট টিভির রঙিন পর্দায় দাড়ি কামানো মুখে নরম ফুরফুরে বুলি আওরিয়ে। কেউ রাজনীতির দাপ্তরিক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত, কেউ নিয়োগবাণিজ্যর ধর্তাকর্তা। কারো দেড়হালা সন্তান, কেউ আবার এই মেগাসিটির কুট্টিদের একান্তবাধ্যানুগত ঘরজামাই।



আমার কিছু নেই, আছে একটি ভাড়াটে ফ্লাট, কয়েক হাজার পুঁথিপত্র, কিছু স্বরচিত গল্প, উপন্যাসের খসড়া, দুচারটি থিসিস, আর প্রাণের সম্পদ আমার ; সহস্রাধিক কবিতা, ছয়টি প্রকাতি কাব্যগ্রন্থ, পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি একটি রূপসীবধু ; আর চারবছরের একমাত্র সন্তান অনুপ্রাস।



কে বলবে আমি সফল পুরুষ ? ব্যর্থতার গ্লানিতে আমার পুরোনো ব্লেজারে ধুলোর আস্তর পড়েছে, ছাত্রবেলায় কেনা সেগুনকাঠের পালঙ্কে রাত্রিবেলা ঘুণেপোকাড়া আধুনিক সঙ্গীত গেয়ে গেয়ে মুখরিত করে রাতের নিস্তব্ধতা।



সমাজে আমার মান নেই, কে বলবে আমি সফল পুরুষ ?



১০.০৪.২০১৩





































গভীর রাতের সনেট

শাফিক আফতাব-----------



রাত গভীর। গভীরতর হতে হতে নুয়ে পড়ছে ভোরের দিকে ;

তোমার আলস্য কেটে গেলে বালিশের নরম ভাঁপে ফুটছে গোলাপ,

স্তনের উত্তাপ মাখা ব্রার ঘ্রাণে ঘষায় তাতা লাগছে মনের বাঁকে,

সিংহীর মতোন হাঁই তুলে তখন বলছো তুমি সাবলীল প্রলাপ।



তোমাকে পাবার চেয়ে ভালো লাগে পাবার আকাক্সক্ষা ;

কাছে এলে যেন পানসে হয়ে যাও, যেন লবনহীন ভাত,

দূরে থাকলেই মনে হয় তোমার নামে আছে মধু মাখা,

আমার ভেতরে ক্রমাগত বয় তখন আবহমান প্রভাত।



এই রাতের গভীরে বস্ত্রখুলে বিমূর্ত এক মানবী তুমি ;

তোমার রূপে রসে ঘ্রাণে প্রাণে ঝরছে শাশ্বত জলধারা,

আলস্যের শ্বাসে কোঁচকানো বস্ত্রেই তুমি অপরূপা পদ্মিনী,

পাবার পর তুমি অপাংক্তেয়, অবহেলিত, বিবর্ণ আর জরা।



তুমি থাকো শাশ্বত সুন্দর এসোনা কাছে ভূলেও কোনোদিন ;

কিশোরীর ন্তন দুধ হয়ে গেলে বাকী কী থাকে কোনো ঋণ?

১১.০৪.২০১৩









































লোকজ-পংক্তি

শাফিক আফতাব---------



রবীশস্যের ক্ষেতের মতোন তুমি হলে বপণের উপযোগী,

রাত্রির নিথর স্তদ্ধতায় নেমে এলো ভালো লাগার চরম ক্ষণ ;

পৃথিবীতে আমার আর কেহ নেই, শুধু আছো তুমি অনুরাগী,

ফুলবতী বিছানায় পাঁপড়ি ঝরছে তাই, আর বিনামেঘে বর্ষণ।



হেমন্ত মাঠের দেহ চিরে মৃত্তিকার গভীরে পুঁতে দেই পুলক,

অদৃশ্য কারিগর এক তাতে দেয় জলকনা, লবন আর রস ;

আপনাতেই তা থেকে অঙ্কুরিত হয় দেহ আর পালক,

পৃথিবীর পৃষ্ঠে আসাতে তখন সে দেখায় কী দুর্দান্ত সাহস !



তোমাতে জমা রাখি আমার প্রেম-কাম আর পুলকের দানা,

সবকিছু নিয়ে তুমি গড়াও এক চেতনা, আর সত্তার প্রাণ ;

সেই তো হাল ধরে, নৌকার পাল ধরে ; ভরায় সরাই খানা,

ফলত অতঃপর রচিত হয় কাব্যকথা, লয়-তাল রস আর গান।



তুমি ভূমি বলে আমি এক চিরধাবমান কঠিন কৃষক,

তা না হলে এই পৃথিবী কি কোনোদিন মেলতো পালক ?



১১.০৪.২০১৩



































তোমার উপমা খুঁিজ শহরের আস্তরে, ভাঁজে ; নক্ষত্রমালায়

শাফিক আফতাব---------------



যতদূর যাই, যেখানে যাই ; তোমার উপমা খুঁজি, তোমাকে ভূষিত করতে খুঁজি ঝরঝরে নতুন শব্দ, শহরের বুক চিরে পাথর আস্তর আর রাজপথের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি তোমার অনুপ্রাস, অন্তমিল ; নদী, ঝিল, নক্ষত্র আর মহাকাশ ব্যপে খুঁজি তরতাজা অলংকার, শব্দ আর ধ্বনির ব্যঞ্জনা।



তোমাকে লিখতে অর্ধেক জীবন গেলো, তেত্রিশকোটি উপমা গেলো, তোমাকে ভাবতেই একাডেমিক লেখাপড়ায় ভাঁটা পড়লো, ফলশ্র“তি : বখাটের ছাত্রের উপাধী। বায়তুর মোকাররম মার্কেটের সব অলংকার গেলো আর চাদনি চকের আর্টিফিয়ালী নকল সোনালীসোনা। দেশি, বিদেশী আর সংস্কৃতবহুল শব্দমিলে প্রায় এককোটি শব্দ গেলো তোমার রূপবর্ণনায়।



তবু শুনি তোমাকে অধ্যয়ন কেবলমাত্র শুরু। বাল্যশিক্ষা গেছে সবে ; প্রাকৃ-প্রাথমিক শ্রেণিতে এখনো প্রথম পাঠ, তোমার ফুল থেকে একটি শিশির বিন্দু এখনো ঝরেনি আমার কবিতা-পাতায়। এখনো ছিটেফোটা সুবাসের ঘ্রাণ বিলাওনি তুমি। চোখের ঝিলিকে বিচ্ছূরিত করোনি অমরাবতীর দৃষ্টির ঝলক। তোমার উত্তাপের উত্তেজিত করোনি এই বিক্ষত আত্মার প্রাণ।



জানিনা আর লেখার কত বাকি তোমাকে, তুমি কেনো দিনে দিনে দুর্বোধ্য হয়ে উঠছো দিনে দিনে ?



১১.০৪.২০১৩



































একদা তুমি কাতর হতে,

শাফিক আফতাব--------



একদা তুমি কাতর হতে আমার জন্য, চৈত্রের ক্লান্তময় দিনে অবসিত হয়ে কামনা করতে আমাকে, তোমার পাশে থাকতেই সাহস পেতে, আমার উপস্থিতি সর্বদা তোমার মনে উৎসবের আনন্দ হতো, তোমার আঙিনা ঝাঁট দিতে, নরম মোলায়েম কাদায় লেপতে তোমার ঘরের মেঝ, নিজকে উৎসর্গ করতে পুঁেজার ফুলের মতোন, কিংবা নিজেই উপস্থাপিত হতে কোনো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির সংবর্ধনার মতোন আমার হাতে, করপল্লবে।



এখন তোমাকে পাইনা আর। সময় তোমাকে পাষাণ করে দিয়েছে কিংবা সময়ের ঘাতে তোমার বাসনাগুলো বাশী হয়ে গেছে, তোমার মুখে দেখি শুকে যাওয়া ঘাম, চুলে জট, থোড়া লাগা বুক, তুমি বিষয়ী চিন্তায় মশগুল, তোমার দেহ থেকে গোলাপ ফুটছে না আর, চোখের পাতায় রঙিম আভা, তোমার ফড়িংনৃত্য ভৃত্যের মতোন মুটিয়ে গেছে।



আবার কী করে তোমাকে পাই, তুমিকে নির্বাসনে দিয়েছো তুমি, তুমি কোথায় হারালে প্রিয়তমা, কিংবা কে তোমাকে এভাবে বদলে দিয়ে গেলো, কে ?............

১২.০৪.২০১৩













































............................................................................



কষ্টগুলো যদি কোনোদিন বন্যার জলে সয়লাব হয়

শাফিক আফতাব-------



আমি তো কবেই তোমার থেকে ফিরে এসেছি,

এই যে দেখছোনা আমি দাঁত কেলিয়ে হাসছি,

: এসব অভিনয়।

আমি শেষবিন্দু রক্ত দিয়ে কোনো একমাত্র সন্তানের বাবার মতোন

শিশুটি বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছি,

কোনো রাষ্ট্রে য্দ্ধু বাঁধার আগে মানবতার ন্যুন্যতম বোধটুকুও কোনো রাজার মতোন

ভেবে দেখেছি,

শেষে কোনো কাজ হয়নি।

অগ্নিতে লম্ফমান পাগলের মতোন তোমাকে ফেরাতে পারিনি,

তুমি এই অলিক আধুনিকতার স্রোতে গা ভাসাবে বলে বাংলা ভাষার ব্যবহার্য শব্দে নিয়ে এলে ইংরেজি ঢং

বেশবাসে নিয়ে এলে কাটপিস কাপড়ের ডিসকো স্টাইল,

অধিকারের নামে স্বাধীনতার অবাধ ক্ষেত্র পেয়ে অনাচারি হয়ে উঠলে,

তোমাকে মেনে না নিয়ে আমার আর কী বা গতি ছিলো !



এই আমাকে দেখছো একজন ভদ্র মানুষ,

আসলে তা না,

আমি ভিলেনের সেরা অভিনয় করে যাচ্ছি,

আমি ভিতরের নির্জন নদীটির কষ্টগুলো যদি কোনোদিন বন্যার জলে সয়লাব হয়

দেখবে এই হাসিমাখামুখ মানুষটি কী করে মাটির মতোন সয়েছিলো যাপিতজীবনের যাতনাসকল।



তুমি একদিন বুঝবে

আমি সে অপেক্ষাতেই থাকলাম।...........

১২.০৪.২০১৩



















আজ রাত্রিতে ঝুরঝুরে অন্ধাকারে

শাফিক আফতাব------------------



একদিন তুমি দূরতম দ্বীপের রাজকন্যা ছিলো,

তোমাকে ছোঁয়া ছিলো সৌরজগতের কোনোগ্রহের কক্ষপথ আবিষ্কার

তুমি রাজমহলের জানালা খুললেই প্রসাধনীর ঘ্রাণে পানসে বাতাস মম করতো

বস্ত্র বদলাবার সময় আশেপাশে মনে হতো বনফুল ফুটছে প্রচুর

তুমি বৃক্ষের যে ডালে একবার তাকাতে তা ফুলবতী হতো

এমনি যাদুবিদ্যা ছিলা তোমার।



আজ রাত্রিতে ঝুরঝুরে অন্ধাকারে তোমার সমুদয় স্বর্ণরৌপ্যের ভাণ্ড যখন খুলে দেখালে

মনে হলো : ড্রিমভিউ আবাসিক হোটেলে এই সম্পদ আমি দেখেছিলাম

একজন বেশ্যার বিছানায়,

মনে হলো : এসব তাহলে নির্বিশেষে এক সার্বজনীন ভাষার একটি বর্ণমালা

যেখানে প্রকৃতির বিশাল ক্যাম্পাসে আমাদের পাঠ শুরু হয়।



আমার বোধে আর চেতনায় রাজকন্যা আর বেশ্যার চিত্রপট পাশাপাশি

প্রতিস্থাপণ করে দেখি : এক ও অভিন্ন।

ভাষা বর্ণমালা উত্তেজনা ক্ষুধা আর বক্ষপিঞ্জরে যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ

একই সমান্তরালে বহমান।



মানুষ কেনো তবে মানুষে সম্মুখে অহমে ফেটে পড়ে

কেনো অন্যের ক্ষুধা আর উত্তেজনাকে নিজের করে দেখেনা ?

১২.০৪.২০১৩





























বৌদি

শাফিক আফতাব





বৌদি, তোমাকে আজ এই যৌবনবেলায় এসে মনো হলো, বিশেষ করে স্কুলবেলায় যখন তুমি শাটের বোতাম লাগিয়ে দিতে, কলার ঠিক করে দিতে, মুখে দিতে খাঁটি সরিষার তেলে, আর রাতের বেলা একদম বুকের মধ্যে নিয়ে পিষে রাখতে আমাকে, আমার কী যে ভালোলাগতো, বৌদি অনেকগুলো বছর পেরিয়ে এলাম, কত ধকল গেলো জীবনে, তবু তোমাকে মনে হলে, মনে হয় ; আমি তোমার সেই ছোট্ট শিশুটি আছি, শীতের রাতে উষ্ণতা পেতে আমাকে শক্ত করে ধরেছো তোমার স্নেহভরা বুকের মধ্যে।



যেদিন তুমি আমাদের বাড়ি ছেড়ে যাও, আমি কেঁদেছিলাম, আর কেঁেদছিলো আমাদের দুধেল গাভীটি। কোথায় আছো বৌদি, আমার তো সুন্নতে খাতনা হবে। তুমি দেখবে না ? পটি বদলাবে কে আমার ? তুমি ছাড়া এ কাজ কেউ পাবেনা আর।



বৌদি তুমি আমার মা।

১৩.০৪.২০১৩













































নববেের্ষ বাবার মুখ

শাফিক আফতাব----------



(নববর্ষে বাবার মুখ মনে হলো) তোমরা উৎসব করছো, আর আমি বিষন্ন মনে বাবার মুখে মুখ রেখেছি, নববর্ষ এলে বাবাকে মনে হয়, বিশেষত বোশেখের সাজ, রঙে, চিত্রপটে, পরিচ্ছেদে, ইলিশ আর পান্তার ঘ্রাণে। আজ বাবা নেই। বোশেখের আনন্দ আমার পানসে লাগছে। কেনো না বোশেখের এই উৎসব আর বাঙালিপনার ঐতিহ্য বাবার রক্তনির্যাসস্নাত। বাবাহীন বোশেখ আমার আজ বিবর্ণ, পানসে, শ্রীহীন।



তবু সবাইকে জানাচ্ছি নববর্ষের শুভেচ্ছা। বাবার জন্য চাই শুভ কামনা।





























































অন্ধকার হটেে হটেে যাচ্ছে ভোররে দকিে

মদরি মাতাল বাতাস আবহমান সঙ্গীতে মুখর

রাত্ররি গভীরে গান গায় এ কোন পকিে

প্রয়িতমাকে আজ মনে হয় কত মনােহর।



আজ বোশখেরে প্রথম আধারে যদি তুমি

নবিড়ি হও আদমিতম বাসনার বহ্নতিে

যদি তুমি র্মত্যরে কাদা ধুলোয় আসো নামি

গা ভাসাবো আদমি প্রপাত।ে



নীলচোখ শুভ্রতায় শরতের অন্তরীক্ষ,

শাফিক আফতাব--------



জেসিকা, তুমি যাবার পর কেউ আসেনি, তারপর থেকে বিশেষ দিবস বলে কিছু নেই আমার। নিসর্গের সৌন্দর্য, প্রসিদ্ধ স্থান, স্থাপনা চাইনিজ রেঁস্তরা পার্ক কিংবা কোনো উৎসবে উপস্থিতি নেই। আমার নীলচোখ কেমন শুভ্রতায় শরতের অন্তরীক্ষ, আমার স্বপ্নগুলো পালক ছেঁড়া পাখির বিবর্ণ চোখ। আমার হৃদয় ঘুণে পোকাদের নিশুতি রাতের সঙ্গীত, আমার চিত্রকল্প তাড়া খাওয়া কুকুরের ভেউ ভেউ ধ্বনিগুচ্ছ, আমার প্রেম ভাঙা কালভাটের ঘড়ঘড় আওয়াজ আর আমি এক ব্যর্থপুরুষের উপাধীতে অলংকৃত।



জেসিকা, তুমি ছিলো, চেতনা ছিলো আমার। দিগন্তব্যপে বিস্তারিত ছিলো পুলকের পালক। তুমিহীন রঙিন নীল লাল দীপালিতে আজ নিভু নিভু প্রোজ্বলন। নিঃশব্দে কাটে অনুক্ষণ।



















১৮.০৪.২০১৩র্অথকষ্টে থাকি (যদওি কারো কাছে হাত পাতনিা)

মোটর বাইক কংিবা নইে প্রাইভটে কার

পড়নে পুরোনো প্যান্ট, হাতা গোটানো কমদামি র্শাট

চটি শ্যান্ডলে,

সনিয়ির পলেে মোলায়মে সালাম ঠুকি

আর মানুষ আমাকে আবুল ভাবে : তুমি তুমি সম্বোধন করে

সমাজে আমার দাম নইে

আমি অসামাজকি জীব বলে অভধিা পাই।











পল,ি কোথায় আছে তুম?ি

তোমার খাটি গাভীর দুই বাটি দুধরে কথা আজ ভুলতে পারনিি

আর পারনিি শীতসকালরে ভুনাখচিুড়ি

কোথায় থাকো পলি তুমি

তোমাদরে দুধলে গাভীগুলো কী এখনো বচেে আছে

তোমাদরে এলাকায় শীতরে প্রকোপ কী আগরে মতোন

তুমি আমাকে কামনা করোনা আর

আমার জন্য সাজোনো রবীসঙ্গীতরে সুরে

তুমি আজ বাস করো কোন মধুপুর।ে





























শব্দটি বাংলা অভিধানে নেই

শাফিক আফতাব-----------



বৌদি তুমি কার ঘরে শুয়েছিলে দুদণ্ড আরামের জন্য ?

কাকে তুমি আপন ভেবেছিলে ?

দেখো এখন, তোমার কলঙ্কের দাগ আকাশে বাতাসে ভাসে

তাদের সন্তান নাকি এখন তোমার সন্তান,

এত বোকা কেনো ছিলে বৌদি তুমি

এখন বাড়ি ছাড়ো, মিয়া বাড়ি : তুমি যে দ্বিচারিণী,

অথচ যার কাছে শুইলে সে হলো না দ্বিচার

কেনোনা এরকম কোনো শব্দ বাংলা অভিধানে নেই।































সোনয়িা, বলছেলি এই দুনয়িা

আমরা ছাড়া শ্রীহীন

বনেীবাধা চুলে তোমাকে মনে হলো হলুদ-রঙনি।

সোনয়িা, বলছেলি এই দুনয়িা

আমরা ছাড়া শ্রীহীন

বনেীবাধা চুলে তোমাকে মনে হলো হলুদ-রঙনি।





আরার জন্য একটি সনটে

শাফকি আফতাব---------



আরা শুনলাম তুমি আজ কয়কে সন্তানরে জননী

তোমার সইে প্রমেকিচোখে আজ বাস্তবতার পটচত্রি

বনিদ্রি কাটে না আর তোমার দীঘল রজনী

কী ব্যস্ত তুমি এখন অহোরাত্র।



হালকা রংয়রে শাড়ি পড়ো আর ঘটহিাতা ব্রাউজ

মাথায় দাও নকিষকালো র্স্ফাফ

বয়স্ক পুরুষ দখেলে ঘোমটা দাও র্দীঘ লুজ

ঘুরতে যাওনা আর বোটানকিলে র্গাডনে কংিবা র্পাক।



তোমার আর কছিু মনে নইে আহা সইে সমুদ্রভ্রমণ

কী করে এত সহজইে ভুলে গলেে প্রয়িতমা আমার

ঘর সংসার আর বষৈয়কি চন্তিায় যায় প্রতটিি অনুক্ষণ

অথচ আমার মনে এখনও বাজে বীণার তার



তুমি সবকছিু ভুলে হয়ছেে এক কঠনি মানবী

আর আমি ভাবরে আবগেে হাওয়া উড়ছি এক র্ব্যথকব।ি





























মানুষ

শাফিক আফতাব-----------



মানুষের ভিতরেই থাকে এক আদিম অমানুষ।

বানরের মতোন জুলজুল চেয়ে থাকে ইতরভঙ্গিতে ;

ইবলিস : বাতাসে জীবাণু ছড়ায় দুষিত সঙ্গীতে,

জীবিকা নির্বাহ করে খেয়ে মানুষের আহার আর ঘুষ।



পশুদের দুর্নীতি নেই, মিথ্যে নেই ধর্ষণ কিংবা দ্বেষ ;

শুধু পেটপুরে খেলেই সঞ্চয়ের নেই কোনো বালাই,

মানুষের দরকার পুঁজি, প্রতিপত্তি আর মোহন দুধমালাই :

এরাই নষ্ট করে দিয়েছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ।



কতবার কাকুতি চেয়েও রেহাই নেই মানুষের আক্রমণে,

নিমিষেই হিরোসিমা নাগাসিকার ধ্বংসযজ্ঞ বিস্ফোরণ ;

মানুষে আক্রমণেই দেখা যাবে মানুষের নিশ্চিত মরণ :

কতটুকু আর ভালোবাসা এখন প্রিয়জনে প্রিয়জনে।



মঙ্গল আর কল্যাণ আর প্রভুর প্রার্থনাই মানুষের কাজ ;

অথচ দেখুন এখন কেমন কলুষিত আমাদের সমাজ।

১৯.০৪.২০১৩



































চোদ্দ বছর পর, আঞ্জুমান কে দখেলাম

র্বোড অফসি।ে আগরে মতোন চঞ্চল বালকিা

সানগ্লাস মাথায় পড়ানো, এলোচুল

প্রথমইে কষ্ট হয়ছেলিা চনিত,ে আপনইি বললাম

ও এখন অধ্যাপকিা, অথচ বয়সরে ছাপ নইে মুখে চুলে

কথায়, অনকে কষ্টে চনিলো

তুমি বলতইে মনটা কমেন জানি ভরে গলেো

মনে হলো ক্যাম্পাসদনি ফরিে এলো বুঝি আজ !

পাশইে বসছেলিাম ওর,

গোলাপগুচ্ছরে ঘ্রাণ পয়েছেলিাম আজ চোদ্দ বছর পর।





















































আমার খুব র্গব লাগছ,ে

আজকরে এক অধ্যাপকিার এক সময়রে তুখোর প্রমেকি ছলিাম আমি

আমার নাম ছাড়া তার মুখে কোনো র্বণমালা ফুটতো না।

অথচ সে দব্যিি ভুলে রাজধানীর এক নামকরা কলজেে বভিাগীয় প্রধান এখন

আর কছিু না হোক

আমার প্রমেকিা মানুষ গড়ার কারগির

কত প্রমেকি গড়বে ওর ভাষণ,ে শক্ষিায়, চতেনায়।



অধ্যাপকিা একন হালকা কালাররে শাড়ি পড়নে

অথচ এক সময় গাঢ় রং ছলিো বশে প্রয়ি তার

নভিৃতে নজিকে বলি : তুমি একজন অধ্যাপকিার প্রমেকি ছলি,ে কম কসিে

নজিকে ধন্য মনে করো।

শুকুরয়িা আদায় করো মানব জন্মরে।

রাজদরবারে অনুপ্রবশেরে সুযোগ না পলেওে রাজমহল দখেে যে শান্তি তৃপ্তি

তার চয়েে ভালোলাগা পৃথবিীর কোথাও নইে।



সইে ভালোলাগা নয়িে অধ্যাপকিা স্মৃতি নয়িে এই শহরে আমওি বচেে আছি

কষ্টে সৃষ্টে বচেে আছি ; বচেে আছ।ি







যদি একটি গোলাপ না পাই

তাহলে পুরুষ জন্মকে র্সাথক মনে হবে ?



নারী তোমরা আছো পুরুষরা এত সুন্দর

দখেুননা অরণ্যে পুরুষ সংিহ, কংিবা কোনোবাড়রি মউলতোলা লাল মোরগ

কোনটকিে সুন্দর মনে হয় ?

আমরা পুরুষরা অনুরূপ

তোমরা ভালোবাসো বলে

আমাদরে প্রাণ শশিরি পায়, বুষ্টরি ছোয়া পায়













হরিোইনচি বখাটরে মতোন মাতাল হয়ে উঠি

শাফকি আফতাব-----------



জীবনে স্বচ্ছোয় কউে একটি গোলাপও দয়েনি

পুরুষ জন্ম আমার র্ব্যথ আর পণ্ড মনে হয়

নারী হয়ে জন্মালইে ফুলরে অভাব হতো না হয়তো

চনিাবাতাম, ফুসকা, চাইনজিে গরম কফি

বনিাটকিটেে হোটলেে রাত্রি যাপন

আর র্পাক ভ্রমণ কংিবা নানা ঢং আর আহলাদরে শশিুদরে খলেনা

শপংি ব্যগ র্ভতি করে বাড়ি ফরো হতো :

মোবাইল বলি,

বোশখেরে ড্রসে, হাতরে রুমাল, ব্রা নলেপালশি আরও কতটি যে !!

বাধ্যতামূলক প্রাথমকি শক্ষিার মতোন বনিামূল্যে পাওয়া যতেো

ইউনসিফেরে উপহাররে মতোন।



একটি গোলাপও পাইনি জীবন,ে

গোলাপরে গন্ধ পলেে তাই মাথা খারাপ হয়ে আস,ে

হরিোইনচি বখাটরে মতোন মাতাল হয়ে উঠি

ইতর হয়ে উঠি !!

আমার দকিবদিকি কোনো জ্ঞান থাকনো।





































শুধু একটি পবত্রি গোলাপরে জন্য

শাফকি আফতাব--------



একটি পবত্রি গোলাপরে জন্য, হ্যা শুধু একটি পবত্রি গোলাপরে জন্য

সমস্ত জীবন র্দীঘ প্রতক্ষিা, র্বণমালার হরফগুলো দয়িে ললতি বাক্যগঠন প্রণালী,

শুধু একটি গোলাপরে জন্য শব্দচয়ন, ভাষার সাবলীলতা আর প্রাঞ্জলতা সূত্রাবল,ি

নউিটনরে সূত্ররে মতোন মুখস্থ্য ,রাত্রি জগেে জগেে উপপাদ্যরে কাঠকঠনি বক্রিয়িাগুলো

মনরে ভতের গথেে রাখা।

শুধু একটি গোলাপরে জন্য শীত কংিবা গ্রীষ্ম আমার কঠনি অধ্যয়ন

শুধু একটি গোলাপরে জন্য তোমাকে ভালোবাসা

শুধু একাট গোলাপরে জন্য আমি তোমার দকিে কাতর করুণ চোখে চয়েে থাকি অহোরাত্র।



তবু একটি গোলাপরে জন্য আমার একটি জীবন গলেো

অত্যধকি ক্ষরণে রক্তশূন্য হলো আমার বোধ আর চতেনা

তবু তোমাকইে ভালোবাসি প্রয়িতমা।.................















































তুমি ভালোবাসার সুঠাম কাঠামাে।

তুমি ভালোবাসার সুঠাম কাঠামাে।

শাফকি আফতাব------



আঞ্জুমান এই মধ্যবয়সে তোমাকে বশে দখোয় কন্তিু

ডাইনংি টবেলিে দুপুররে লাঞ্চ যভোবে টগবগ চয়েে থাকে ক্ষুধাতুররে দকিে

তোমাকে তমেন উপাদয়ে মনে হয়।

তোমার রক্তস্রোতে শ্রাবণ নদী, হমিোগ্লোবনিে অনুপাত যর্থাথ

তোমার শরীর দুপুররে লপোনো উঠােন

তুমি পরপর্িূণ পুষ্টগিুণরে প্রথম শ্রণেরি র্কমর্কতার খাদ্যতালকিার ক্যাটালগ

তোমার গভীরওে উত্তালস্রোত, ফণাতোলা সাপ : ছোবলে উদ্যত ;

তুমি ভালোবাসার সুঠাম কাঠামাে।



তোমাকে দখেতইে আকাশরে মঘে গলে বৃষ্টি নামলো..........

















































নীল চোখ থেকে বিচ্ছূরিত হতে থাকলো গুচ্ছ গুচ্ছ জোনাক

শাফিক আফতাব-------



একটিবারও মুখ তুলে তাকায়নি আঞ্জুমান, অথচ জৈবিকতার সূত্রে আমরা এক ও অভিন্ন ছিলাম, আমাদের একই বৈজ্ঞানিক নাম : হোমোসোপিয়ান্স ; আমাদের কামনা-বাসনা, হর্ষ-বিষাদ, আনন্দ-বেদনা, দেহের অঙ্গাবলী (অবশ্য একটি জায়গায় দুজনার দুরকম, সেখানে অবশ্য পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক)। আমাদের হৃদয়বৃত্তির পাঁপড়িরগুলো একই বসন্তে দোল খেতো, আমাদের ক্ষুধা, যৌনতা মৌনতা সবই একই সমতল থেকে উৎসারিত।

একটি জায়গায় অবশ্য আঞ্জুমানের সাথে আমার বিস্তর ব্যবধান, ও বিলাসী ; অহমিত শব্দগুচ্ছ ওর খইয়ের মতোন ফুটতো অহোরাত্র : রাজরাড়ির পাশে এসে ক্ষুধার্থ ভিখেরির উপাদেয় রাজভোগের জন্য যেমন লালা ঝরে মুখে, আমারও লাল ঝরতো আঞ্জুমানকে দেখে ; অথচ আঞ্জুমান ভুলেও কোনোদিন দেখেনি একটি বারের জন্য ; এই ক্ষুদে মেধাবীর জট লাগা চুলে, শ্যামবর্ণের গ্রামীন ছেলেটির মুখ।



আজ দেখা হলো আঞ্জুমানের ; ভিজিটিং কার্ড দেখে তাকালো চোখ তুলে ; কিছু বলতে চাইলো ; কিছু শুনতে চাইলো ; আমি নির্বাক চোখে শুধু ফ্যাল ফ্যাল তাকালাম ; ওর গভীর নীল চোখ থেকে বিচ্ছুরিত হতে থাকলো গুচ্ছ গুচ্ছ জোনাক, আর দামী পারফিউমের ঘ্রাণ, ওর শাড়ির ভাঁজ থেকে বেরিয়ে পড়তে থাকলো নীল ফড়িং, ছায়ার গিট খুলে গিয়ে বইতে থাকলো নায়াগ্রা প্রপাত। ও আচমকা বলেই ফেললো : কেমন আছো ?



যার জন্য আমি একদিন পাগল ছিলাম, আজ সে। কিছু পাবো কি এতগুলো বছর পর তাকে ভালোবেসে।

২২.০৪.২০১৩



































মালতী অনবর্িায মৃত্যুর মতোন জীবনরে এই পরাজয়কে

মনেে নয়িছেি

আমার আর কোনো ক্ষদে নইে, দুঃখ নইে না পাওয়ার বদেনা নইে

ধরে নয়িছে,ি ছোটবলোকার সহপাঠরিা সবাই তো আর শক্ষিতি হয়নি

কউে মরচিরে দোকান কর,ে কারাে চায়রে স্টল

কউে প্রান্তকি কৃষক,

আমি না হয় সসেবরে একজন হলাম

আমার র্অজতি সনদপত্রগুলো যমুনার জলে ভসেে দয়িে হলাম নরিক্ষর অজ্ঞ মানুষ

একজন

কোমরে গামছ বধেে লাঙলরে মুঠি ধরলাম কঠোরকঠনি হাতে

বাবার জমজিোতরে আগাছা বছেে চাষযোগ্য করে তুললাম

তাতে মান কী আমার খোয়া যাবে ?



যদি যায়, যাক, মালতি বলো তাতে আমার কছিু করার আছে কী ?























































আমি কোনো আনন্দরে জন্য তোমাকে ভালোবাসনিি কংিবা পুলক পতেে

আমি তোমার সাথে ঘর করার জন্য ভালোবাসনি,ি কংিবা ঘরে থাকতে

আমি তোমাকে কছিু পাবার জন্য ভালোবাসনিি কংিবা কছিু দতিে

আমি তোমাকে ভালাবসেছেলিাম শুধুই আমার নজিকে প্রকাশ করতে

আমার ভতের যে এক শাশ্বত সুন্দর পুরুষ থাকনে

তার যে এক নপিুণ রূপ আছ,ে আছে সৌর্ন্দযরে সুবাস, তাকে দখোতে

আমি তোমাকে ভালোবসেছেলিাম।

আর আমার সে ভালোবাসাকে তুমি র্স্বাথপর ভাবলে

আমাকে কছিু দতিে চয়েে আর কছিু নতিে চয়েে ভালোবাসায় গোরোচনা ঢাললে



আর তখুনি আমার শাশ্বত সুন্দর পুরুররূপ পাখরি মতো ডানা ঝাপটে চলে গলোে...........











মামা সমাচার

শাফকি আফতাব------



একটমিাত্র চাকররি জন্য গুচ্ছ গুচ্ছ পরীক্ষা দয়িছেলিাম

আর কয়কেডজন ভাইভা ফসে করছেি

র্কাডগুলো আমার প্রয়ি সন্তানরে দখোর জন্য রখেে দয়িছেি

বড় হলে বুঝবে আমার মামা আমার জন্মরে র্পূবইে মারা গয়িছেলিনে

আমার খালাদরে সাথে কোনো যোগাযোগ ছলিোনা

আর ওর মামারা খটেি খাওয়া মানুষ

























সুমনা হকরে জন্য একটি সনটে



তুমি যখন খোলস বদল করোথ কশিােরী থকেে প্রথম যৌবনে পা রাখো

তখন আমি তোমার পাশইে ছলিাম। তোমার ধবধবে সাদা স্কুল ড্রসেরে

নরম মোলায়মে গন্ধে আমার মনফড়ংি নচেে উঠতো। তোমার জমকালো

চুলরে বন্যিাস বগেবান বনলতার মতোন ছুইতো মমবৃক্ষরে শরীর ঢরে।



আমার সারাবলোর ভাবনায় মনে হতো তোমার র্অন্তবাসরে বুঝি ফোটে ফুল

তাই এত গন্ধ তোমার শরীর থকেে বচ্ছিূরতি হয়, আর তাই এত ভালো লাগে

হ্যারকিনেরে ধৃঞ্চরি আবছা আলোর ভতের তোমাকে মনে হতো অবকিল পুতুল

মনে আছে দখেো তুমি আমি একদনি ভজিছেলিাম সইে এক শীর্তাত মাঘ।ে



তোমার শরীর গলে আজ সজনে ডাটার মতোন হয়ে গছেে চোচা

রসালো আর সক্তি শরীরে জলছাপরে মতোন ভাসছে পাজররে দ্শ্যৃপট

তোমার প্রমে তোমার কামনা বাসনা আর স্বপ্নে এক কী বর্বিণ মরচিা

এ কী সইে তুম,ি সইে আমার শাশ্বতী সুমনা হক, কতকালর ফটক ?



কে তোমাকে বদলে দলিো, কড়েে নলিো জৌলুস আর তোমার সুন্দর মন,

কনেো প্রয়িতমা আগরে মতনো বহে না আর মন মাতানো বসন্ত পবন।

২৩.০৪.২০১৩











































মেসের ছড়া

শাফিক আফতাব---------



বারো মায়ের বারো পুত,

বারো রকমের মল-মুত।

কেউ খায় ফেনভাত কেউ খায় নরম,

কেউ খেতে ভালোবাসে ভাঁট-ওঠা গরম।

কারো আবার অবসারণীতে আরিষের দোষ,

কারো আবার ঝাঁকড়া চুল দীঘল কালো মোষ।

কেউ খাবে মাছের মাথা কেউ কলিজা,

কেউ খাবে মুরগীর রাণ, কেউ ঝোলে ভাত-ভেজা।

বাথরুম করে কেউ পানি দেবেনা,

কেউ আবার চুলো থেকে নামতেই, পাছেনা খাবেনা।

কেউ আবার বিশ্ববিদ ক্রিকেট খেলোয়াড়,

কুঁজো পেটভরা তার জ্ঞানের ভাণ্ডার।

বাড়িতে অঢেল আছে বাবা জমিদার,

বিশাল শানবাঁধা তার পুকুরের পাড়।

ফজরের নামাজ পড়তে শব্দ ধুমধাম,

কেশে কেশে নষ্ট করে অন্যের ঘুমের আরাম।

বাবা যদি কং হয় বলে দারোগা,

মা গৃহিণী যদিও বলে আছে বহুত জায়গা।

বাবা যদি হয় ক্ষুদে পল্লী ডাক্তার,

কেউ বলে জগতের সেরা নাম তার।



বারো মায়ের বারো পুত মিলেমিশি থাকি

যে থাকেনি মেসে সে দুনিয়ার বুঝিবে কী ?

২৪.০৪.২০১৩























সাভার ট্র্যাজডেরি মৃতদরে স্মরণে

শাফকি আফতাব---------



মূলত তোমরাই বাংলাদশেরে চাকা ঘুরায়

মূলত তোমরাই প্রবৃদ্ধরি সূচকরে র্কণধার

মূলত তোমাদরে আয় থকেে আমরা আয়শে করি

মূলত তোমাদরেই ঠকয়িে আমরা পায়শে খাই

মূলত তোমরাই ঘমেে ঘমেে উন্নয়ণরে জোয়ার আনো

আর আমরা তোমাদরে নরিাপত্তা দতিে পারনিা

দতিে পারনিা নরিাপদ আবাসন।



এ দায় কাদরে ?

এই দায় কবেল আমার, এই আমাদরে

যারা আমরা শক্ষিতি হওয়ার র্গব করি

যারা উপরতিলে বসে নীলাভ আলোয় কফতিে চুমুক দইে।



মূলত আমরা সবাই করোনি

শুধু হসিবে পাতি কর,ি এটাকে আমি উন্নয়ণ বলনিা

উন্নয়ণে উতপাদন প্রয়োজন,

যটো করো তোমরা

অথচ তোমাদরে র্ঘমাক্ত দহেরে গন্ধে আমরা নাক ছটিকাই

গয়েো গ্রামীণ ভবেে কুকুররে মতোন তাড়াই।



তোমাদরে এই মৃত্যুতে আমার ভাষা নইে

কনেোনা তোমাদরে মতোন উন্নয়ণরে ভাষা তো আমি শখিনিি

তোমাদরে জন্য ছলোছলো চোখে প্রভূর সকাশে দুএকটি বাক্যব্যয় ছাড়া

আমাদরে আর কইিবা করার আছ।ে



ভালো থকেে সাভাররে ধসে যাওয়া, দবেে যাওয়া যমপুরতিে

তােমাদরে আধার প্রকোষ্ঠে চরিন্তণ আলো জ্বলুক

মরনোত্তর একুশে পদক নয়, প্রভূ তোমাদরে আবাসন করুক একটি ফুলরে বাগান।ে

খরশব ক্স ক্স ঝযধৎব













এমন সাধ্য আছে এই পৃথবিীর কোনো মানবীর আমার বৌদি হবে ?



বৌদ,ি আমার র্শাটরে বোতাম তুমি লাগয়িে দতিে

মাথার সথিি কটেে দতিে

স্নান করাতে কখনো কখনো, খাইয়ে দতিে

রাত্রবিলো কাছে নয়িে থাকতে

কনেো এতো আর্কষণ ছলিো আমার প্রতি তোমার

তোমার তো বর ছলিো

তবু কনেো তুমি আমাকে এত কাছে টানতে



অবশষেে বয়িরে তনিমাস পর তোমার আস্ত একটা বাচ্চা হলো তোমার

বয়িরে পর বাচ্চা হয় জানতাম, কয়মাস পর তা আমার জানা ছলিোনা

হসিবে আমার গুলয়িে যতেো

কনেোনা আমাদরে পোষা কুকুরীর বাচ্চাও তো তনিমাস পর হতো

তোমার হতে দোষ কী ?

অথচ বয়িরে তনিমাস পর সন্তান প্রসব করার অপরাধে

তোমাকে তাড়য়িে দয়ো হলো

রাত্রবিলো আমি আমার সঙ্গী হারালাম

আমি এখন কার কাছে থাক,ি কার বুকে মুখ লুকয়িে রাখি



বৌদি সইে যে গছেো

আর ফরিে আসোনি

আমি তো চোখ মলেে তোমার কোল চনিছেলিাম

তুমইিতো আমার মা ছলিে

তুমহিীন আমি আর কাউকইে বউদি ডাকনিা

এমন সাধ্য আছে এই পৃথবিীর কোনো মানবীর আমার বৌদি হবে ?























'মানুষরে উপর বশ্বিাস হারা পাপ' এক কথা সত্য নয় হে প্রতীমপুরুষ।

শাফকি আফতাব------



একটি মানুষরে মধ্যে থাকে অনকে মানুষ

অনকে মানুষরে মধ্যে হরকে মানুষ

হরকে মানুষরে মধ্যে থাকে মন্দ আর ইতর মুানুষ



এইসব মানুষ চনো বড় দায়

এইসব মানুষই মানুষকে কাদায়।



মানুষরে থকেে তাই প্রায়শ দূরে থাকি

তাই ভালোবাসি পশু পাখি

মানুষরে পটেে থাকে মানুষমুখোশরে ইতরজীব

পাবনো মুক্তি এসবরে থকেে যতই জ্বালো মঙ্গলপ্রদীপ

তবুও সমাজ আমাদরে এইসব পশুপাখদিরে নয়িে

এদরেই মাঝে বাস করতে হয় কষ্ট দন্যৈ নয়িে

মানুষরে সুন্দর বদনরে ভতের থাকে দুষ্ট আর এক কদাকার মানুষ

'মানুষরে উপর বশ্বিাস হারা পাপ' এক কথা সত্য নয় হে প্রতীমপুরুষ।

২৪.০৪.২০১৩







































একবিন্দু জলের মতো ভালোবাসা

শাফিক আফতাব----------



এতগুলো বছর এত ভালোবেসে মনে হলো একবিন্দু জলের মতো নয়।



আমি তো তোমাকে পেতে পুরো একটি শতাব্দী তপস্যা করেছি

কষ্টের নোনা জলে ভেসে নিজকে সঁেপছি অথই জলের গভীরে

প্রার্থনর মতোন তোমাকে ধ্যান করেছি

অনুধ্যানে গবেষকের মতোন তোমাকে বিশ্লেষিত করেছি

সংশ্লেষে তোমার প্রতিটি উপাদান নিয়ে বিভোর থেকেছি অনুএষণায়।



তোমাকে কতবার কতকরে জলের গভীরে ডুবসাঁতারের মতোন

প্রাত্যহিকতার যাপিত জীবনের মতোন

দুরন্ত কিশোরের খোলা মাঠে অবাধ ঘোরদৌড়ের মতোন

এমনকি রাজপথে পথচারীর পায়চারীর মতোন ইচ্ছেতরে যাচ্ছেতাই ভালোবাসালাম

তবু এতগুলো বছর ভালোবেসে মনে হলো এতবিন্দু জলের মতো নয়।



আমি এখনো পল্লবিত হই

সাপের মতোন সিজেন এলে কুরুষ বদলাই

শীতের শেষে নিজেই পুরোনো পাতা ঝরিয়ে নবীন অঙ্কুরে মেলে উঠি

ঝরঝুরে মৃত্তিকার ফলা ঠেলে ভোগা চেলে ফুটে উঠি

মনে হয় এই তো এখুনি পৃথিবীর ভূমিতে নামলাম শিশুর মতোন কচিপা নেড়ে

আর তুমিও তিলোত্তমা প্রিয়তমা আমার নুতন রূপে-রসে-গন্ধে তনু মেলে ফুটে ওঠো

মনে হয় এই তো প্রথম তোমার সাথে বালুকবেলায় দেখা আমাার,

চেনা তোমাকে কত অচেনা মনে হয়

তোমার আমার ভালাবাসা তবু একবিন্দু জলের মতো নয়।

২৪.০৪.২০১৩







সিরাজদিখান

২৪.০৪.২০১৩

















উচ্চ মাধ্যমকি শরীরে



আজাদী, শহররে উপকণ্ঠে রলেলাইন ধরে আজও পাড় হই ভএিইডরোড

তােমার একশত চার ডগ্রিি জ্বর আজও কী ওঠে উচ্চ মাধ্যমকি শরীরে

তুমি বদলাও নি সাদা র্নাসরে মতোন কলজে র্কোট

বলোশষেে পাখরিা বসনো আর তোমাদরে বৃদ্ধ বৃক্ষরে র্শীষে নীড়।ে



তোমাকে একটি বাররে জন্য বা'র করনিি আলোবাতাস,ে পাছে তোমার ঘ্রাণ

লগেে ক্ষুধাতুর কুকুররে দল টনেে ছড়িি খতেে আসে তোমাক,ে

পাশে দুষতি আলো বাতাসে তোমার হয় সদ্বি জ্বর । তােমার কোমল তনু হয় খানখান

যাপতি জীবনে ধকল।ে তােমাকে রখেছেি আমি বোধরে তাক।ে



শহর ছড়েে ধুলোমাখা সড়ক চলে গছেে দূরে ঢালুতে ধানপাতা কছিু লতাগুল্ম

মনে হয় তোমার আচড়হীন বুকরে মধ্য দয়িে চলছেে এই শহররে এই লাজুক পথ

তোমাকে আজ মনে হলে মুখে আর কটু স্বাদরে অম্ল

আরও মনে হয় এইমাত্র ছুয়ে এলাম তোমার র্দীঘতম পুলকরে সকৈত।



আজাদী আমার আজাদী হয়ে রাজমহলে রাজসংিহাসনে বসে আছো পদ্মপা মলেে

তােমাকে আজ খুব মনে হয় গ্রামরে শহর ছড়েে রলেপথ ধরে দক্ষণিে গলে।ে



























আমাকে মূল্য মানুষ কনেো দবে,ে আবার বাবা তো নন সরকারি চাকুরে কংিবা উচ্চপদস্থ কোনোর্ কর্মকতা। পুজবািদী বা শল্পপিতওি নন। নন কোনো একান্ত বাধ্যানুগত আমলা কোনো দলরে তুখোর রাজনীতবদি,ি কোনো নামকরা সন্ত্রাসীও নয়, চোররে মালও ভাংগনে না। সুদঘুষ আর কালোবাজারী কী জাননে না, শহররে উপকণ্ঠে ভূমদস্যিুদরে সংঘবদ্ধ দলরে নন কোনা সক্রয়ি সদস্য, তাহলে মানুষ কনেো, কোন দুকখে আমাকে ভয় পাবে কংিবা মূল্য দবেে কংিবা ঠুকবে সালাম ।

আমার বাবা একজন মাটরি সন্তান, ধুলোজল আর প্রখর খররৌদ্র সঙ্গী তার, কাদা ছকেে ছনেে তার ভতরি প্রোথতি করনে ফসলরে বীজ। আবহমান কৃষক ।

তাই বুঝি আমার কোনো মূল্য নইে ? আমাকে কউে দাম দয়ে না। আমি বড় অপাংক্তয়ে বাস করি এই এই সমাজরে বদ্ধ কুঠুরতি।ে ।

আমি দুফোটা কষ্ট কষ্ট নয়িে আকাশ দখে,ি দাউদ হায়দারকে মনে হয় ' জন্মই আমার আজন্ম পাপ' এই চরণ মুখে নঃিসরতি হতইে দুচোখ বয়েে প্রপাত ঢল নাম,ে মঘেরো ভর করে তখন আমার বুকরে পর।ে





































তোমাকে প্রথন ছুই



যখন তোমাকে প্রথন ছুই পুলকরে প্রান্তে হাত রখেে দখেছেি ভতেরে রসরে ভাগার

ফুল ফল নদী ঝলি আলো ঝলিমলি আর একফালি চাদ আর সমারোহ কোটি তারার।

সইে রাজভোগরে ঘ্রাণে প্রাণে সইে যে নামে আনন্দ আর ভালোবাসার গান

কতগুলো বছর গলেো তা চক্রবৃদ্ধহিার সুদে সুদে হলো অফুরান।



র্সাথক শক্ষিক তুমি এক আমাকে দয়িছেো পাঠ নর্সিগরে ভতের পুলকরে আহরণ

কাজ নইে র্কম নইে তোমাকে ভবেইে যায় ব্যস্তযুগরে অস্থরি অনুক্ষণ।





















































এখানে মানবতার ফুলগুলো ফুটছেে



এখানে কোনো রাজনীতি নইে

বাচার প্রাণপণ প্রয়াস, জাতি র্ধমর্বণ নর্বিশিষে এক র্আতচতিকার

এখানে বাচার শ্বাসে বাতাস বড় বশেি ভার।ি

এখানে একই সমতলে আওয়ামী বএিনপি জাতীয়র্পাটি হন্দিু মুসলমি পুরুষ আর নারী।



এখানে কলিকিবাজি নইে

একে অপরকে আক্রমণরে বাজি নইে

এখানে মানুষ মানুষরে জন্য, এখানে মানবতার ফুলগুলো ফুটছেে ধসে পড়া

ইমারতরে বদ্ধ খুপরীত।ে



আমাদরে র্দুদনিে আসুন আমরা সব ভুলে যাই

'মানুষ মানুষর জন্য' এ শ্লোগাণে মুখরতি করি রাজপথ

পরহিার করি কুতসা দ্বষে হংিস্রতা আর ভন্নিমত।











































একদনি তুমি দুধরে হাড়ি ঢলেে দয়িে খাওয়াতে সবটুকু দুধ

শাফকি আফতাব



একদনি তুমি দুধরে হাড়ি ঢলেে দয়িে খাওয়াতে সবটুকু দুধ

এমনকি ননীটুকু।

তোমার বাগানরে সতজে আর বড়বড় গোলাপ হতো আমার

তোমাদরে অতথিি তালকিায় আমার স্থান ছলিো র্সবাগ্রে

আজ দখেো কমেন দব্যিি ভুলে আছো

ক্রমাগত রংি বজেে স্যামসাং মোবাইল বড়ই ক্লান্ত হয়ে রাত্রশিষেে

টহলকরা পুলশিরে মতোন নতেয়িে পড়ো কোনো আস্তানায়

তবু তুমি একটি বাক্যবলার মতোন প্রয়োজন বোধ করোনা এখন।



এই আমি তোমাকে তবু কষ্টসেৃষ্টে মনে রাখি

কনেোনা যে একদনি অনাথরে মাথায় বুলছেে হাত

তার র্স্পশ মুছে যাওয়া কী অত সহজ !!







































তুমি জানতে আমি কষ্ট সইতে পারনিা

এমনতিইে ভঙেে পড়ি

এমনকি অভনিীত কান্নাগুলো আমাকে অবকিল কাদায়

তবু তুমি জনেে শুনে আমাকে কাদাতে কষ্ট কষ্ট কথা বলো।



যে আমি কাটা বছেে খতেে পারনিি মাছ

সইে আমি পাখীদরে মতোন খুদ কুড়ো কুড়োই আজ

যে ছাগলরে ম্যা ম্যা শুনে কান্নায় জলে চোখ ভাসাতাম

সইে আমি দখেছি স্তুপ স্তুপ লাশ

সইে আমি তোমাদরে প্রতারণা আর প্রতাপরে কাছে পাথর হয়ে গছেি

আমার চোখ বয়েে আর নঃিসরতি হয়না দুফোটা জল

কারো জন্য আমার এতটুকু করুণা হয় না

আমি সীমাররে মতোন পাষাণপ্রতীম এক ধীরোদাত্ত পুরুষ

আমি আজ এক অসমাজকি জীব।

















































সন্দহে আর বশ্বিাসরে দৃঢ় বৃক্ষ উপড়ে ফলেলাম

শাফকি আফতাব------



আজ সন্দহে আর বশ্বিাসরে দৃঢ় বৃক্ষ উপড়ে ফলেলাম

কনেোনা পরস্পর সহাবস্থানে থকেে আমাকে

ঘায়লে করতে আসে

যদি বশ্বিাসকে কাছে টানি সন্দহে আমার টুপি চপিে ধরে

আর সন্দহেকে যদি প্রশ্রয় দইে

বশ্বিাস দূরে দূরে পালায়।



এক কঠনি দোলাচলে দনি কাটে

চরম অস্থরিতা মানসপট।ে



ফলত কটেে ফলেলাম বশ্বিাসরে বৃক্ষ

সাথে সাথে উপড়ে গলেো সন্দহেরে কাণ্ড পাতা দল

আর আমি বচেে থাকার পলোম মনোবল।



এই শক্ষিতি বশ্বিে মানুষরে বশ্বিাস নইে

চরম শত্রুর বাস আপন ঘরইে।

মানুষরে মতো অবশ্বিাসী প্রাণী পৃথবিীতে একটওি নইে

বশ্বিাস কাকে করবনে ? খাদ্যে ভজোল, মথ্যিে প্রতারণা সবক্ষত্রেইে।

২৭.০৪.২০১৩







































তোমাকে প্রথন ছুই



যখন তোমাকে প্রথন ছুই পুলকরে প্রান্তে হাত রখেে দখেছেি ভতেরে রসরে ভাগার

ফুল ফল নদী ঝলি আলো ঝলিমলি আর একফালি চাদ আর সমারোহ কোটি তারার।

সইে রাজভোগরে ঘ্রাণে প্রাণে সইে যে নামে আনন্দ আর ভালোবাসার গান

কতগুলো বছর গলেো তা চক্রবৃদ্ধহিার সুদে সুদে হলো অফুরান।



র্সাথক শক্ষিক তুমি এক আমাকে দয়িছেো পাঠ নর্সিগরে ভতের পুলকরে আহরণ

কাজ নইে র্কম নইে তোমাকে ভবেইে যায় ব্যস্তযুগরে অস্থরি অনুক্ষণ।

খরশব ক্স ক্স ঝযধৎব



সাভার ট্র্যাজডেি

শাফকি আফতাব-------



হে শ্রমজীবী নবিদেীত মানুষ

তোমাদরে সালামস্যালুট

তোমাদরে রক্ত বকিে আমরা ভাই চংিড়স্যিুপ

পরকীয়া শয্যায় হই রঙনি মধুপ

আমাদরে নইে কারো হুষ

তোমরাই দশেরে আসল প্রমেকি

আমরা ঘুরি দকিবদিকি।



কালে কালে তোমরাই গড়ছেে সভ্যতা

পততি পৃথবিীকে করছেো ফলবতী

উষর ভূমকিে করছেে শস্যশ্যামল

তোমরাই এগয়িে আসো জাতীর ক্রান্তকিালে

তোমরাই দ্রোহে ফটেে পড়ো



তোমরাই এনছেলিো স্বাধীনতা

র্বতমান বাংলাদশেে র্অথনতৈকি সচ্ছলতা

আজ তোমরাই প্রাণ দলিে পাথরচাপায় দালানধসে

তোমাদরে আত্মদান বৃথা নয়

আমাদরে প্রয়িস্বদশেরে চতেনায় থকবে নশ্চিয়।













ফুলরে মতোন তোমাকে শুকি

শাফকি আফতাব------



চুরুটরে শষে টানরে মতোন চুমুর স্বাদ,মদরি আবশেে মত্ত

ঘামরে মতোন ঘ্রাণ চুয়ে পড়ে তার নটিোল দহেরে রসে

আপনাই রণসাজরে কার যনে ডাক আসে ভতেরে উদাত্ত

ভরে গছেে বশৈাখরে ঝরোদনি, আহা ! কার সুবাস।ে



ফুলরে মতো তোমাকে শুকে আত্মায় আসে একি অপরূপ রূপ

দলরে ছোয়ায় মায়াবতী হয় পুড়ে যাওয়া এই বক্ষিত মন

বহুদনি বরিতীর পর হুঙ্কারে ডকেে ওঠে মম ব্যথাতুর মধুপ

বহুদনি পর আজ তার কারে যনে পড়লো স্মরণ।



বশৈাখরে বাতাসে ঝাপটায় খুলে গলেো মনরে বোতাম

উন্মমনা তুমি আজ জলবতী নদীর মতোন টলটল

কী মনে করে আজ তুলে দলিে নৌকোর বাদাম

কী কঠনি মানবী তুমি আজ কনেো হলে এমন তরল।



চুরুটরে মতোন তোমাকে টান,িআর শুকি ফুলরে মতোন

ভালোবসেে সখী করছেো আমায় তব অমূল্য রতন।



কতদনি আয়নায় দখেনিা মুখ

শাফকি আফতাব----



কতদনি আয়নায় দখেনিা মুখ

কতদনি তোমার কাছে যাই না

কতদনি আমার মনে ভীষণ অসুখ

আর কতদনি তোমাকে পাই না।



আমার মসৃণ চামড়ায় শ্যাওলার আস্তর

আমার লকলকে চুলে সন্নাসী জট

আমার মনটা আজ কঠনি পাথর

চারপাশে জীবনরে এ কি সংকট



কতদনি কলংিবলে বকোর পড়ে আছে

কতদনি আমার না কামানো দাড়ি

কতদনি কটেে গলেো মদ আর তাসে

কতদনি আম যাইনা বাড়।ি



কতদনি আমি প্রমেহীন এক ক্ষ্যাপা বাউল

আজ দখেি মনরে বৃক্ষে আমরে মউল।



বৃক্ষরে মতো ছায়া দয়িছেো, ফুলরে মতোন ঘ্রাণ

শাফকি আফতাব



বৃক্ষরে মতো ছায়া দয়িছেো, ফুলরে মতোন ঘ্রাণ

র্নাসরে মতোন শুশ্রূষা দয়িছেো, কবরি কবতিা গান

পুলকরে মতো অনুভব দয়িছেো, আর তৃষ্ণার জল

অনাথরে মাথায় হাত দয়িছেো আর দয়িছেো মনে বল।

রাত্ররিে সঙ্গ দয়িছেো, শীতরে প্রকোপে উত্তাপ

হতাশায় ভসেে গলেে বলছেো মধুর সংলাপ।

বপিদরে দনিে প্ররেণা দয়িছেো দয়িছো সাত্ত্বনাবাণী

তোমাকে নয়িইে চলে গলেো সখী কত মধুযামনিী।



নারী চতেনা বষিয়ক সনটে

শাফকি আফতাব--------



বশৈাখরে এই কামনাগন্ধি বাতাসে এসো সন্ধি করি দুজন

আমরা আর ঝগড়া করবো না

সরকারি চাকররি যার বতেন যার, যার যা উর্পাজন

তা আমরা কাউকে দবেোনা।



রাত্রবিলো শুধু হবো কাছাকাছ,ি শুধু প্রয়োজনে প্রজননে

যার করে যে খাবো, যার ঘর যে গোছাবো, স্ব স্ব স্বাধীন

আমাদরে মলিন হবে শুধু কবতিা আর গানে

আর লমিনেটেংি করে রাখবো বয়িরে কাবনি।



নারীর স্বাধকিার চতেনা দখেো র্কমে কলে কারখানায় র্সবত্র

সভ্যতায় তাদরে আছে অবদান র্অধাংশ

শুধু কনেো পচবে পুরুষরে কঠোরকঠনি গাত্র

উত্তরাধকিার কনেো দবেে পরচিয় শুধু বাবার বংশ।



তোমার সাথে আমার সর্ম্পক একত্র সহবাসরে, এবং চ্ক্তুরি

হৃদয়রে যে কথা বলো ও কছিু নয়, সামাজকি শৃঙ্খল-ভত্তিরি।











চয়েে থাকোনা আর জলোসদররে সদর সড়করে দকিে

ব্রীজরোডরে দকিে মুখ করে ঘাঘটরে ঘোলাজলরে কলতান শোনোনা।

ত্রমিোহনীর শহীদ মনিারে আজ বুঝি পুষ্পস্তবক দাও তোমরা

তোমার মা তো ব্যাঙ্কার স্বামীর শোক ভুলে এখন কঠনি সংসারী হয়ছেনে

আর তোমার বুঝি ঔরশে এতদনিে পদাতকি বাহনিীর তরতাজা সনৈকি জন্ম নয়িছেে

কছিু।

অথচ আমি দখেো আগরে মতোন একই বন্দিুতে ঘুরপাক খাচছি

ভুলতইে পারনিা আমার যে কছিু বয়স হয়ছেে

শুধু ছলেমোনুষীতে জীবনটা কটেে দলিাম

বষিয় আষয় কছিু নইে আামার, শুধু আছে তােমার জন্য কতপিয় কবতিার পংক্তি

কফোটা শশিরি আর তারাভরা রাতরে বাতাস।























































মধ্যরাত্রে সাবিত্রি আমার

শাফিক আফতাব--------



মধ্যবয়সী নারীর সুঠাম দেহ থেকে বিচ্ছূরত হয় নিপুণ যৌনসূত্র :

আঁধারের ভেতর তার শরীর খলবল করে ওঠেÑ

তার দেহের উত্তাপে আর ঘ্রাণে ব্যাপণিত হয় মধ্যরাত্র ;

কলি থেকে ফুলগুলো আপনাই ফোটে।



পৃথিবীর সবফুল ঝরে পড়ে ভোরে, নারী শুধু অবিকল :

তার নরম সুবাসে নন্দিত হয় বেকার যুবকের মনÑ

ক্রমশ আলোগুলো নিভে আসেÑ আর নদীর জল কলকল ;

নিবিষ্ট হয়ে মেনে নিতে হয় কালের অনুশাসন।



দু’জন দ’ুজনার ভেতর মিশে গিয়ে ঘুরেফিরি সমুদ্রতীর :

ভ্রুণেরা নিষেকিত হয়ে জাইগোট সৃজন করে স্লাবের ভেতর Ñ

পালকের মতোন পাতা মেলে স্বপ্ন দেখে আগামীর ;

ভোরের আলোয় পেলব তনু মেলে নারী তুমি হয়ে ওঠো অন্যতর।



মধ্যরাত্রে সাবিত্রি আমার মিত্রসূত্রে হয় একাত্ম

এতগুলো বছর পর মনে হয় তোমার সাথে পরিচয় এইমাত্র।

২৯.০৪.২০১৩





































আত্মপক্ষ সর্মথন

শাফকি আফতাব--------





ছায়া দয়িছেো, মায়া দয়িছেো, কায়া দয়িছেো

মশিে আছো তাই আমার ঘুষখোর সত্তায়

যখন চাই,যভোবে চাই বছিানায় শুয়ছেো

তাই মনে আছাে গানে আর গীতকিবতিায়।



পণ্যরে মতো জঘন্য মনে ঢকঢক গলিছেি বাতুল খাবার

উপহার আর ইউনর্ফিম কনিছেি ঘুষরে টাকায়

তোমার শাড়লিপিস্টকি অন্তর্বাস প্রসাধনী আর

পলি আর সঙ্গমউত্তজেক ট্যাবলটে সবই ঘুষরে তাবায়।



ছকিকে চোর আর পকটে মার যদি মারে দুইএকশত

সমাজে ঘৃণতি ধকিৃত আর জঘন্য উপাধীর খতোবে ভূষতি

রুইকাতলারা যে কলমরে এক খোচায় এক ভাউচারে কোটতি

আর তাদরেই নাকি দরে সমাজরে জন্য প্রাণ নবিদেীত।



ছায়া খুলে ছায়া দাও হে ছায়াবতী নারী আমার

আমইি তো সমাজরে শত্রু আমইি তো এক বখ্যিাত গণ্ডার।

২৯.০৪.২০১৩



পুরোনো দনিরে কবতিা

শাফকি আফতাব-------



অন্ধ ট্রনেরে কামরায় বসে ঝকেে ঝকেে আসনে শহরে

জানালার উকি দয়িে স্বপ্ন দখেনে।

কার আস্তানায় আজ উঠবন বলো দুপুরে

রাত্রযিাপন কার ঘর।ে



এভাবে একদনি নরিুদ্দশেে যাত্রায় তনিি

অচনোর পথে পাড়ি দয়িে আসনে এই শহরে

কত কষ্ট নর্ঘিুম কটেে গছেে কতশত যামনিী

কত আঘাত পয়েছেনে এই শহররে ইটরে পাজর।ে



তারপর পরদশেি কুকুররে মতোন কতজন তাকে করছেে দুরদুর ছইে ছইে

কতজন তাকে দয়িছেে গলাধাক্কা

কতজন তাকে দখেনেনি চোখ তুলইে

সংগ্রামে শ্রমে অধ্যবসায়ে তনিি সবসময় মরেছেনে ছক্কা।



আজ তনিি সত লোক, বশে সুনাম তার সমাজে

আজ তার সবাই আপনজন যারা কথা বলছেনে কটু মজোজ।ে

খরশব ক্স ক্স ঝযধৎব









-----------------------------------------------------------

আধুনকিতার র্শীষ অতক্রিম করছেে বাংলা কবতিা

এখন আধুনকিতা বা অত্যাধুনকিতা বলে কছিু নইে ।



অধুনা থকেে যদি আধুনকিতা হয়

তাহলে এই যে আমি যা লখিছি তাই আধুনকি

আঙ্গকি প্রকরণ দলিাম নজিরে মতোন করে

তাতে দোষ কী।



আধুনকিতার কোনো সূত্র আছে কী ?

কংিবা আইনে আধুনকিতার সজ্ঞা

কোনো মাপকাঠি ?

তাহলে আধুনকিতা নর্ণিয় করবনে কে ?

কোনো ব্যক্তি না সংস্থা না কোনো দশেরে সরকার ?



সাগররে জল যদি ঘুরে ফরিে সাগরইে ফরিে আসে

তাহলে সাইকুলকিডাররে মতোন মধ্যযুগ কবতিায় আসবে না কনেো ?

কচি কবরি কবতিায় আধুনকিতা নইে

দলহীন কবরি কবতিায় আধুনকিতা নইে

আধুনকিতা আছে বশিষে গোত্রভূক্ত কতপিয় কবরি কবতিায়।



আধুনকিতার সূত্র মনেে বশিষে উদ্দশ্যেকল্পে যদি কছিু লখো হয়

সটো কী সাহত্যি থাকে ?

বশিষে করে বঙ্কমি কংিবা প্রমথরে কথায় ?

৩০.০৪.২০১৩



























































বশৈাখরে রাতে

শাফকি আফতাব---------



বশৈাখ এলে মম ঝাউশাখে জলে জোনাকরি গুচ্ছ

খাচার ভতের নাচে কামনার রঙনি মাছরে পুচ্ছ

দমকা বাতাস, ঝড়রে উচ্ছ্বাস গাছরে কচপিাতা

সব মলিে যনে একটি তরতাজা প্রমেরে কবতিা।



'এক বশৈাখে দখো হলো দুজনায়' ভতেরে গুনগুন

চোখ মুজে দখেি কে যনে জ্বলেছেে শীতরে উনুন।

কোথাও উধাও মন নচেে নচেে উড়ে উড়ে সাড়া

কে আসবিে ভালোবাসবিে আহা কমেন আনন্দধারা।



অবশষেে আসনো কউে মনে শুধু আসার কল্পনা

ভালোবাসনো কউে শুধু ভালোবাসার যন্ত্রণা

তবু ভালোবাসাদরে রঙনি ফুলরে মতোন সাজাই টবতেে

যদি আসে কউে ভালোবাসে কউে বশৈাখরে রাত।ে



আশায় নরিাশায় বশৈাখি ঝরোদনি যায় জষ্ঠ্যৈরে দকিে

তবু কত ভালোলাগা তবু কত আনন্দ এই বশৈাখ।ে

৩০.৪.০২০১৩





































তোমার কশিােরী হাতখান।ি-------------------------------------------------------------------------------------

শাফকি আফতাব---------------------------------------



একসময় তোমার কশিোরী শব্দরে ব্যঞ্জনা পৃথবিীর শ্রষ্ঠে সঙ্গীতরে মতোন

কানে বজেে ঘ্রাণে পুলকরে পাপড়ি ঝরাতো,

তোমার বসন থকেে রজনীগন্ধার সুগন্ধ ঝরতো,

অবকিল ফুলরে মতোন তুমি ফুটতে

কী মসৃণ মোলায়মে মনে হতো তোমাকে বৃষ্টধিৌত প্রভাত।ে



চাকরহিীন ছন্ন ছাড়া জীবনই ভালো ছলিো তখন

আনাড়ি হাতরে শাড়পিড়া তোমাকে নয়িে ভালো ছলিো।



আজ প্রথম শ্রণেীর চাকরি এখন,

বদিশেী বস্ত্রে আবৃত্ত তোমার শরীর, ভনিদশেী গহনায় ঢাকা নাক কান গলা

অভজ্ঞি টচিাররে মতোন কামসূত্র করায়ত্ত তোমার

রাতরে গভীরে ভূমর্কিষণরে ফলাময় শানতি লাঙল, শারাব, শরবত

পাশ্চাত্য উপভোগরে ইংরজেী কৌশল।



তবু শান্তি নামক বমর্িূত বস্তুটি উবে গছে।ে



আছে সুখ আর আমোদ, আর আহলাদ আর বলিাসরে লজে ধরে হাটাহাটি

তবু নইে সইে শান্তরি দউেটি

তোমার চকিন তনু অত্যাধকি আমষিরে ভারে হয়ে গলোে দহে

ঝুলে গলে গলেো পুলকরে খনি ;

তবু হাতছানি দয়িে ডকেে যায় তোমার কশিােরী হাতখান।ি

৩০.৪.২০১৩

সবেকিা



তোমাকে সবেকিা মনে করি যদি

কমেন হয় ?



তুমি তো সবেকিাই !

এই যে ভোরে কাচা ঘুম ভঙেে উঠছো

ঘরদোর ঝাট দচ্ছিো, নাস্তা বানাচ্ছো

বছিানা ঠকি করছো, মশারী খাটাচ্ছো

অফসিবলোয় টাইয়রে নট বাধছো

রাত্রতিে শুশ্রূষা দচ্ছিো

আমার বাচ্চা লালন করছো।



তাহলে তোমার সাথে সঙ্গত আচরণ কাম্য নয় কি ?

তাই আমি ভীষণ সঙ্গত

আর সটোকে তোমরা র্দূবলতা মনে করো !!





এই শহরে মধ্যবত্তি জীবন

শাফকি আফতাব-------



মানবতা আর চোখরে জলকে মূল্য দয়িছেি

তাই আজ এত র্ব্যথতা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আমার শরীর

মানুষকেে ভালোবসেছেি

তাই ঝড়ে ভঙেে গলেো আমার নীড়।



নারী তুমি তোমাকে দবেরি আসনে অলংকৃত করে

করছেি শল্পিরে সাধনা

তাই গলে গলেে অহমে অহংকারে

দলিে হৃদয় পুড়ে যাওয়া যাতনা।



দস্যুরায় ভালো আছে দখেি আমার নইে মাথা গোঁজার ঠাঁই

পরজীবীর মতোন অন্যরে বৃক্ষরে ডালে থাকি ভাড়ায়

রাতরে বলো কাকতাঁড়ুয়া তাড়ায়

এই শহরে আমার এক পয়সা দাম নাই।



মাসরে শষেে হসিবে করে দখেি পররে মাসে বন্ধ হবে বাচ্চার দুধ

তার পররে মাসে চায়রে কটেলতিে উঠবে গরম পানরি বুদ বুদ।

৩০.০৪.২০১৩

জসেকিা : পাথরপুতুল

শাফকি আফতাব----------



জসেকিা একদনি ঘাঘটরে জলকে থাময়িে দয়িছেলিে তুমি

তোমার চোখরে নোনা ঘামে ঘাঘটই কঁেদছেলিো

জলো সদরে সদেনি কনোকাটা হয়নি

কোনো দোকানি খোলনেি দোকানরে ঝাঁপ।



সদেনি আসতে মাত্র পঞ্চাশ মনিটি লটে হয়ছেলিো

আর সটোই ছলিো তোমার মহাকাল

অথচ আজ দখেো আমার যখন র্দুদনি আকাল

তুমি আজ অপক্ষো নামক শব্দটকিে নর্বিাসনে পাঠাল।ে



চোখ টপিছেলিো আর আমি টপিছেলিাম তোমার ফুল

উত্তাপে ওম দয়িছেলি,েআমার হয়ছেলিো ভুল।

ভুলে ফুলে দুলে দুলে সদেনি সকালে তুমি অনুকূল

আজ তুমি হৃদয়ে মম প্রানহীন পাথরপুতুল।



তবু মনে হয় ঋদ্ধ, ধন্য আর ঐর্শ্বযময় তোমার প্রার্চৃযে

কার সাধ্য আছে দবেে আমাকে ধন তোমার সৌর্ন্দযে !!৩০.০৪.২০১৩







প্রমেসূত্র : কাম বনাম প্রমে



'মলিনে প্রমেরে র্সাথকতা আর বচ্ছিদেে বকিাশ'

তুমি বকিাশ নবেে না নবেে র্সাথকতা

তবে আমি চাই কন্তিু প্রাণরে প্রকাশ

আর তরতাজা কছিু অক্ষরবৃত্তরে কবতিা।



তোমার সাথে বচ্ছিদেইে কাম্য বুঝি

মলিনরে স্বাদ পাবার সাধ নইে অখ্যাত কবরি

পকটেে নইে একশত টাকাও পুঁজি

এই শহরে সে কমেনে বাধবে নীড়।



শহররে ভ্রাম্যমান বশ্যোর গাল চটেে যদি পাই প্রমে

তোমার দ্বারস্থ কনেো তবে এত সংগ্রাম আর ঘাম

প্রমে তো থাকে মনে শরীরটা তো একটা ফ্রমে

যমেন বাতাস পলেইে কাজ করে নৌকোর বাদাম।



প্রমেরে আবাস যদি মন হয় তবে কামরে আবাস শরীর

এক কথা কন্তিু জানা নাই অনকে বখ্যিাত কবরি।

৩০.০৪.২০১৩



































শূন্য দশকরে কবতিার ধরন

শাফকি আফতাব--------



জসেকিা তুমি তো ঘুমছেো এখন পান্থপথরে সইে ব্যবসায়ীর বছিানায়

তার লোমশ বুকে মুখ লুকছেো তাড়া খাওয়া নউেল কুকুররে মতোন

আমি তবে ডুবে আছি উপন্যাসরে প্লট বন্যিাস আর গীতকিবতিায়

ওদকিে ভদ্র লোক র্টচলাইট জ্বলেে তোমাকে বশে করছে যতোন।



একদনি তুমি আমার জন্য কুচদিয়িে পড়ছেলিে শাড়ি আর ঘটহিাতা ব্লাউজ

ব্রার ফাঁকে দয়িছেলিে সালমিার র্মাকটে থকেে কনো পারফউিম

বশে সুন্দর সাজয়িছেলিে তুমি জলো সদররে জসেকিা হাউজ

পুরোনো দনিরে গান শুনছেলি,ে চোখে নমেছেলিো রাজ্যরে যত ঘুম।



ছায়ার গটি খুলে মায়া করছেলিে শ্বাসে দয়িছেলিে নবান্নরে সুবাস

আমওি আলগোছে বরেয়িছেলিাম ছাতার ভতের থকেে

ওদকিে মৃদ বাতাস বইছলিো, আর ছলিো তারাভরা আকাশ।

শুভ্র বৃষ্টপিাত হয়ছেলিো তোমার আবহমান, লকে।ে



জসেকিা দখেো তুমি আমি নপিুণ প্রতারক ঠকাচ্ছি তুমি সাহবে আমি মমেকে

কাছে গলেে বোকা হয়ে যাই কছিু বুঝনিা, অথচ আমরা গয়িছেলিাম পকে।ে

৩০.০৪.২০১৩























































মধ্যযুগরে সনটে

শাফকি আফতাব---------



কনেো তুমি এলে খুলে দখোলে রাজস্থান

কনেো ফুলরে গন্ধ শুঁকালে এই অনাথরে

পটেপুরে কনেো খাওয়াল,ে করালে স্নান

কনেো তুমি ওম দলিে শীর্তাত শীতরে।



আজ আমি একা, নঃিসঙ্গ, নঃিস্ব একজন

মুখে লগেে আছে তোমার রাজভোগরে স্বাদ

র্ব্যথ করুণ অস্থরি মলনি আমার প্রতটিি লগন

শূন্য পড়ে থাকে আমার রাজ প্রাসাদ।



তোমার র্স্পশে একদনি ধরায় নমেছেলিো র্স্বগ

ঘুমে আবশেে কাবার হয়ছেলিো দীঘল রাত

তোমার আমার মধ্যে কোনো ছদে পড়নে,িবর্সিগ

দুজন দুজনার ভতের অবগাহন অকস্মাৎ।



আজ তুমি নইে আছে তোমার স্মৃতস্বিাদ

আমার জীবনওে কোনো খদে নইে ; অথই অগাধ

০১.০৫.২০১৩



অষ্টক

শাফকি আফতাব



পলি তুমি নাকি বন্ধ্যা ? ফুল ফোটাতে পারলোনা ভদ্রলোক

সম্যসাটা তোমার না আমার ময়িাভাইয়রে

রাত্রতিে শুধু কী জ্বলেে রাখো দীপালি আলোক

মনে পড়ে না তোমার কী গভীর সর্ম্পক ছলিো আমাদরে।



কষ্ট দয়িছেো বলে তাই বুঝি নঃিসন্তান তুমি

ভবেো দখোে আমি এখনো খুলে রখেছেি সদর দরজা

আসলে ঘটাবো আগরে মতোন মধুযামনিী

আনন্দ আর পুলক পাবে আর পাবে সন্তান তরতাজা।















মানুষ

শাফকি আফতাব---------



যখোনে যাই শুধু মানুষরা কষ্ট কষ্ট কথা বলে

কুকুর তাড়াবার মতোন দুরদুর ছ্যাই ছ্যাই করে

ভাব নয়িে বসে থাকে ধরে চয়োররে হাতলে

করুণার এতটুকু জল দয়েনা ভোররে শশিরি।ে



তবু মানুষরেে আমি বড় ভালোবাসি মানুষ যে শ্রষ্ঠে জীব

মানুষই এনছেে সভ্যতা আর মানুষই ফোটায় ফুল

আধার ধরায় মানুষই জ্বালায় প্রদীপ

মানুষরে করর্স্পশে প্রাণ পায় কালরে পুতুল।



যদওি ইতর প্রাণী বশিষেরে চয়েে মানুষই এগয়িে

তার হংিস্রতা চোখে দখোর মতোন

মানুষ খয়েে ঢোল হয় অন্যরে র্অথ বাগয়িে

মানুষই বলে পশুদরে চয়েে অশ্লীল কথন।



মানুষরে থকেে দূরে থাকতে চয়েে মশিে হই একাকার

মানুষ প্রাণীটি কি মানুষ হবে এই ধরায় আবার।









-----------------





বড়লোকরে পুত বলে অনকেইে অহংকারে আত্মহারা

মাটতিে পা পড়নো অনকে শক্ষিতি আর পুজঁিপতরি

অথচ পৃথবিীর তাবৎ মানুষ নাকথি আমরা যারা

আদম আর হাওয়ার মলিনে থএকটি পুরুষ আর নারীর।



উঁচু-নচিু ভদে কনেো, কনেো এত দ্বষে আর হংিস্রতা

মানুষে মানুষে কনেো এত শত্রু শত্রু খলো

কনেো এত আক্রমন আগ্রাসন,যদি একটি বধিাতা।

তবে মানুষ মানুষকে ঠকয়িে কনেো এত জুয়া আর পাশা খলো।









বীজ : ভূমি

শাফকি আফতাব



এই দখেো সন্ধ্যা, বঁধুদরে অপক্ষোর শব্দগুলো ভারি হয়ে উঠছে

ভালোবাসাগুলো ফোটায় ফোটায় জমছে যুগলপাত্রে

কউে কাজ করে কউে ঘুষ খয়েে চালডাল চনিি কনিছেে

একপটে খয়েে সহবাসে লপ্তি হবে গভীর তারাভরা রাত্র।ে



স্বচ্ছ হোক আর দুষতি হোক সৎ হোক আর ঘুষখাওয়া হোক

ক্রোমোজমরে প্রতটিি ফোটা থকেে জন্ম নবেে পবত্রি শাবক

সখোন থকেওে উঠে আসবে দশেরে শ্রষ্ঠে সন্তান

ভালো মানুষরে পোলা কনেো হবে দশেরে প্রখ্যাত শয়তান।



দুধরে মতোন অনকে সাদা লোকরে সন্তান দখেছেি শ্রষ্ঠে ক্রমিনিাল

তাহলে ধানরে বীজে দোষ ছলিো না আসলে ভূমটিরি সমস্যা

কুকুররে মতোন মউসুমে মউসুমে চাটে ভ্িন্ন ভন্নি রমণীর গাল

তার পতিামাতা কংিবা পতিামহ নামাজে বসে করনেি কি তপস্যা।



সাদরে র্সাভ্যথনায় অতথিরিে জায়গা দলিাম বাড়রি অন্তপুরে

সব ভুলে গয়িে গালি দলিো মাত্র পটেরে ভাত হজম হবার পর।ে

০১.০৫.২০১৩ ( বকিলে)































































শ্রমজীবী মানুষরে সনটে

শাফকি আফতাব-------



ওরা বচিার করতে চায়, শ্লোগাণে ওরা অধকিার আদায়রে কথা বলে

শ্রুতমিধুর শ্লোগানে নুয়ে পড়া দহেরে রোমকূপে জাগে শহিরণ

ওরা অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শক্ষিা আর চকিৎিসার কথা বলে

ওরা দাবী মনেে নবেে বলে মাম পানতিে ভাঙ্গায় অনশণ।



ওরা ঘটনা ঘটার পর পাশে এসে দাড়ায়

ঘটতি ঘটনার র্পূবে কোনো তদন্ত কমটিি গঠতি হয় না

দামী কলমরে খোসায় ওরা প্রাক্কলতি ব্যয়রে সংিহভাগ খায়,

শ্রমজীবী মানুষরে আয়রে উৎস। এদরে এতটুকু লজ্জা হয় না।



খটেে খাওয়া মানুষরে ঘামে প্রমেে শ্রমে বাংলার র্অথনতৈকি মুক্তি

বজ্ঞি আর শক্ষিতিজন শুধু মুখে বুলি আওড়য়িে

নজিরে পদ আর পঠি বাঁচাতে করনিা একটুও কটুক্তি

অনকেইে জীবকিা নর্বিাহ করি ঘুষ উৎকোচ আর টন্ডোর বাগয়ি।ে



কারখানায় আগুন, দালান ধস আর লঞ্চ ডুবতিে কত তদন্ত কমটিি

কোন অপরাধে কী হয়ছেে শাস্তি জাননিাও একট।ি

০১.০৪.২০১৩---------------------------------







প্রতি : নীলা

শাফকি আফতাব



নীলা ভুলে গলেে একটবিার আসাে না এই পুরোন ঢাকায়

একটবিার সন্টেবাটুন চাপো না আমার নাম্বারে

তোমার জীবন চলে এখন অত্যাধুনকি বশিালবহুল ফ্ল্যাটরে কামরায়

স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব চলছে আমার সংসার।ে



কাকে যনে লালন করি ভালোবাসি তাক,ে তাকে বাসনিা

তার সাথে ভালোবাসা নাকি আমার শষেরে কবতিার কতেকরি মতোন

ভালোবাসাহীন ফুঁপে কাঁদে রাত্ররি বছিানা

তার কাছে আসি আমার শরীররে প্রয়োজন যখন।



তোমাকে তাড়াই, ভনিদশেি কুকুররে মতোন : দূর হ এ বাড়ি থকেে

তবু তুমি মনবিরে র্দুবলতা বুঝে না খয়েওে রয়ে যাও হৃদয়ে আমার

ওদকিে আমার সহায় সম্বল গলেো, শূন্য অঙ্করে টাকা ব্যাংকরে চকেে

তোমাকে ভবেে আর ভালোবসেে আমার এই ক্ষুদ্র জীবন হলো পার।



বলা যায় পথরে ভখিরিি আম,ি বষিয় আষয় নইে, দনি আনি দনি খাই

তবু ধন্য মনে হয় মানবজীবন, তোমাকে পয়ে,েতোমার আলোতে রোশনাই।

০২.০৫.২০১৩

একটি বজ্ঞিানভত্তিকি কবতিার খসড়া

শাফকি আফতাব----------



মনে আছ,ে ঐ যে বশৈাখরে এক বকিলেে নজিকেে এলয়িে দলি,ে

চোখরে তারায় নয়িে এলে কামনার জ্যোতি

ঐ যে কানে কানে সুবাসময় প্রাঞ্জল আর সাবলীল শব্দে কী যে বললে

হে মনোহারীি নন্দনিী প্রয়িতমা প্রতীতী।



নজিকে মলেে ধরইে বলিাতে থাকলে পুষ্পতি প্রমেরে সুবাস

আমি হলাম ক্লোরোর্ফমযুক্ত টস্টেটউিবে হোলাব্যাঙ

আবশেরে ঘ্রাণে প্রাণে আমার বইতে থাকলো ফুরফুরে বাতাস

অবস হতে থাকলো আামার র্দীঘ সাদা ঠ্যাং



মন্ত্রবলে নর্জ্ঞিান হলাম আর তুমি মুখে তুলে দলিে গন্ধম ফল

সমাজ আর অনুশাসনে মাপে তা হলো ব্যাভচিার, র্ধষণ

মন আর জীবরে স্বাভাবকি আচরণে কী বলা হবে পণ্ডতি সকল

প্রমে বলে কছিু আছে কি ? সবটাই তো কাম আর ভূমর্কিষণ।



কামরে শরীর র্মাজতি রং লাগালে এবং শল্পৈকিরূপটাই প্রমে

কামই থাকে শরীররে কন্দ্রে,ে কামই সব, শরীরটা একটা ফ্রমে।

০২.৫.১৩





















































হাল কালর কবতিা বুঝবনে ? এত মধোবী আপনী নন !

শাফকি আফতাব--------



কৃষকরে মতোন কোমরে গামছা বঁেধে হাল কালরে কবরি কবতিা পড়তে বসি

বুঝতে পারনিা।

গঁিট আরো শক্ত কর,ি দখেি কবতিা চরণগুলো পছিলে যাচ্ছে গদা মাছরে মতোন

পাঠোদ্ধার করা বড়ই কষ্টকর ঠকেছে আমার কাছ।ে

বষিয়রে সাথে ভাবরে কংিবা ভাবরে সাথে উপমার, কংিবা চত্রিকল্প বা প্রতীক ;

সব মলিে কছিু শব্দরে গাঁথনি ঠকিই বুঝ,ি অথচ কবতিা বুঝনিা।



তাই প্রতজ্ঞিা করলাম কোমরে গামছা বঁেধে কবতিা বুঝতে যাবো না আর

ধান ফলাবো, বদিশেী মুরগীর র্ফাম দবেো

কংিবা করবো মাছরে চাষ

না হয় ময়েদেরে ছবি তোলার স্ট্রডওি দবেো, নয়তো কসমটেকিস এর দোকান



হাল কালরে কবতিা বুঝতে চাওয়ার মতোন বোকামী আর নইে

ক্রকিটে খলোর মতোন বশিাল জনগোষ্ঠরি র্কাযঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে

অথচ শক্ষিতি জন তা বুঝছে না. যমেন তা, হালকালরে কবতিা পাঠকরে জন্য না

লখিতি হচ্ছে কবদিরে জন্য, আবার কছিু অকবি খামাখা রহস্য সৃষ্টরি নামে

অলকি ম্যাজকিে মতেছেে !!

এর ভবষ্যিৎ...................?







মধ্যযুগরে কবরিা প্রায় চাপা পড়ছেে রাণা প্লাজার ধসে পড়া কামরায়

শাফকি আফতাব-----------



দ্রততম বমিানরে চয়েে ঢরে সময় চলে গলেো পালক নড়েে

আমার দাড়ি গােঁফে শরতরে আকাশ আচমকা ঢল নামালো

কে আমাকে নতিে আসে তড়েে

রাতরে আঁধাররে মতোন কে আসে এখানে জমকালো।



তবু তুমি এসে ঋদ্ধ করে গলেে অনাথ বালকরে পৌরুষ

দয়িে গলেে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলরে ঘ্রাণ

সময়রে সাথে সব চলে গছেে পড়ে আছে তুষ

নড়বড়ে খুঁটতিে ভর করে ঠাঁয় দাড়য়িে থাকে আজ আমাদরে প্রাণ।



মধ্যযুগরে কবরিা প্রায় চাপা পড়ছেে রাণা প্লাজার ধসে পড়া কামরায়

বঁেচে আছনে শুধু চণ্ডদিাস মুকুন্দ আলাওল ভারত চন্দ্র আর কতপিয়

আজকরে কাক আর কাঁকড়ার মতোন কবরিা আমরা যারা

কদনি বাঁচবো আধুনকিতার তোড়,ে শখিে বদ্যিে গুরু মারা।



আজ আমাদরে জ্ঞানরে চয়েে জ্ঞানরে ভান বড়

সময়রে আবদেনে কনে হে মধোবীরা হয়ে থাকো জড়সড়ো।

ঢাকা

০৩.০৫.২০১৩ (দুপুর)









কছিু এলোমলেো কথা

শাফকি আফতাব-----------





মানুষ যদি বৃক্ষরে মতোন হয়

আপন প্রয়াসে মৃত্তকিার রসে নর্সিগরে শোভা র্বধন করে

তবে আজ আমাদরে এই যুদ্ধ যুদ্ধ খলো থাকতোনা



এখন হংিসায় দ্বষেে অহমে লুণ্ঠনে দশেে এক অরাজক পরস্থিতিি

আমরা বুলি আওড়াতে সদ্ধিহস্ত

আমরা সমাজ গঠনে দৃঢ় প্রতজ্ঞিাবদ্ধ

অথচ নজিে চোররে মাল ভাঙ,ি ঘুষ খাই,টন্ডোর বাগাই

ভাউচারে আর যৌন আচারে ভারি করে তুলি অফসিরে ফাইল।



হে মানুষ তোমাদরে মানুষরে মতোন হবার প্রয়োজন কী ?

তোমরা বৃক্ষরে মতোনই হও

সমাজ গড়াবার দরকার নইে তোমাদরে

তোমার নজিরে তুমকিে তুমি গড়ায়

তবইে এরকম অজস্র তুমি নয়িে বৃক্ষরে মতোন এক বশিাল নর্সিগ পাবো

মানুষে মানুষে এত কাটাকাটি থাকবনো।



নজিরে গ্যাসলাইটইে মুদ্রা দোষ

মাঠে ময়দানে গয়িে কাপড় করো শুধু

নজিরেই আগাছা বাছোনা,দখেবে এরকম প্রতটিি আগাছাহীন গাছ নয়িে

এক নান্দনকি নর্সিগ আমরা পয়েে গছে।ি



মানুষ কনেো বৃক্ষরে মতোন হয় না

তারা শুধু কুকুররে মতোন শকিার নয়িে টানাহচেড়া করে

তারা ঘুষরে টাকা ভাগবাটোয়ারা কর।ে তারা গণর্ধষণ করে

তারাই আবার উদাত্ত আহবানে সমাজ গড়াবা কথা বল।ে



নর্সিগ : ঢাকা

০৩.০৫.২০১৩



































আদমি প্রমেরে গান

শাফকি আফতাব--------



মাটরি ফলা ঠলেে ভোগা চলেে ফুটে ওঠে অঙ্কুর

আহা ! বাতাসরে সাথে তার কমেন সখ্যতা

বাতাসরে সাথে তার কমেন মতিালী আহা কমেন মনোহর !

দৃপ্ত পাখা মলেে মৃত্তকিার গভীর থকেে সে বরেুয় ভঙেে নীরবতা।



সকালরে রুপোলি রোদে অঙ্কুর দখেে কৃষকরে ফসলি মন

ফসলরে গানে গোলাভরা উৎসব দখেে যনে আগাম

প্রতীক আর চত্রিকল্পে বইতে থাকে মন মাতানো পবন

কৃষাণীর সুঠাম দহেরে সাথে তার আজ ঘটছেে সইে কাম।



ভোররে পুকুরে ছলাৎ ছলাৎ স্নানরে ঝাপটায়

জলরে গভীরে কৃষাণীর খোলা দহেরে রাতরে আবশেগুলো

জলরে সাথে মশিে গয়িে অবকিল আতর হয়ে যায়

ওদকিে কৃষকরে শশ্নি লাঙলরে ফলা হয়ে খোঁজে কৃষাণীর কুলো।



মৃত্তকিায়, মন,ে সঙ্গম,ে অঙ্কুরে একী আবহমান গীত

নদী নক্ষত্র জল মাটি আর মানুষরে তাই এত গভীর পরিতি।।

০৪.০৫.২০১৩



একটি আর্ন্তজাতকি কবতিা

শাফকি আফতাব--------



যদি খুলে দাও তনিবঘিা করডিোর,আর মুখে তুলে ধরো দুটি ফুটন্ত ফুল

তাহলে পৃথবিী অবাধ ক্ষত্রে পাবো, মনে হবে র্স্বগরে অরণ্যবাংলো

আমি আর কছিু চাবো না শুধু চাবো তস্তিার পানি বয়ে যাক কুলকুল

পৃথবিীতে আঁধার থাক, আমাকে দাও শুধু জোনাকি আর তারার আলো।



আমি তো নজিইে পাখা মলেতে জানি উড়তে জানি আকাশে

আমার প্রয়োজন নইে ভসিা আর বমিানরে টকিটে

তুমি কাছে থাকলে আমি পৃথবিীর সব ফুলরে ঘ্রাণ পাই বাতাসে

আমার রাজ্য শান্তমিয়, স্নগ্ধি নান্দনকি নইে কোনো পকিটে।



এই আকাশ বাতাস নদী নক্ষত্র জল এদরে সবটাতে আমার র্পূণ অধকিার

তবে কনেো একটি নর্দিষ্টি ভূখণ্ডে বন্দরি মতোন কারাবাসরে জীবন

আমরা পাখি আর বৃক্ষরে মতোন বাতাসে আকাশে আমাদরে অবাধ সাঁতার

মাটি আর জলরে গভীরওে কোনো রাষ্ট্র নইি যদি হয়ে মানুষরে মরণ।



আমরা পৃথবিীর সন্তান, এই জল স্থল নদী আর নক্ষত্র আমাদরে

মানুষে মানুষে ভাষায় ভাষায় ভূখণ্ডে ভূখণ্ডে মহড়া কনেো এত দ্বন্দ্বরে।

০৫.০৫.২০১৩







আত্মনং বদ্ধিি

শাফকি আফতাব----------



নজিে করনিা তো ভালো কাজ

শুধু গড়ি দশেরে সমাজ

নজিরে চরকায় তলে না দয়িে

খটিখটিে করি নজিরে মজোজ।



এমন অনকে সুসন্তান আছে এই দশেে

নজিরে গতর সদর ঘাট

বাহরিে দখোয় সাহবেী ঠাট

নজিরে নামাজ কালামরে নাম নাই

অন্যরে খোঁজে পাই পাই

নজিরে খোলা কপাট

বড়োন সমাজে ভদ্রলোক আর দরবশে বশে।ে



উপদশে দতিে সদ্ধিহস্ত মােরা

অপররে খতেে দারস্থ মোরা

সুদ ঘুষ আর ভাউচারে

বনিামূল্যে পাওয়া অপররে উপাচারে

ভরাই নজিরে পটে

ওদকিে খোলা থাকে সতী স্ত্রীর গটে।



কুকুররে বাচ্চা হয় সাচ্চা হয়

মানুষরে বাচ্চা হয় বানররে পুত

তাই তো ভদ্র বাবার সন্তান পরকীয়া শয্যায়

খলোয় কুতকুত।



খলেো রে খলো ইতর প্রাণী বশিষে

মরণরে আগ পরে দখেে নওি কত কায়ক্লসে।

০৫.০৫.২০১৩







































ইতর মানুষরে জন্য র্প্রাথনা

শাফকি আফতাব---------



ইতর মানুষরে র্বীয থকেে যদি জন্ম নয়ে সাধু

যদি ভদ্র সৎ মানুষরে থকেে শয়তান

যদি রাতারাতি মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় ওরে প্রাণরে যাদু

এ তোরা নয়িে এলি কোন দশেরে ফরমান।



ইতররে থকেে ইতর হব,ে লাউয়রে ডগায় লাউ

কুকুররে ঔরসে কুকুর জন্মাক, গরীবরো খাউক জাউ

বড় লোকরে সন্তান আদুরে হোক,নটীর সন্তান জারুয়া

রাতরে আঁধারে চরিকালই ডকেে যাক কাকতাড়ুয়া।



অনকে দখেছেি ভদ্র মানুষ আর ভদ্ররে মানুষরে সন্তান

ভদ্ররে ভ নইে তার চোখে মুখে চুলে

মূলত ভদ্র সে তো নয়, আস্ত এক চোর, লম্পট শয়তান

আমরা বশ্বিাস করি তাদরে ভুল।ে



ইতর আর শয়তান মানুষরেে প্রভু করো পৌরুষহীন নপুংশক

বানররে মতোন পাছায় লজে দাও, দখেে চনিুক দশেরে লোক।



নর্সিগ : ঢাকা

০৫.০৫.২০১৩









যদি মৌচাকে ঢলি দাও

কংিবা ঢলিার র্শীষ র্স্পশ করো

কংিবা ভ্রমণ করতে যাও পাতাল রলে

তাহলে তোমাকে শাবালক হতে হব।ে



কনেোনা দশেে এখন শক্ষিতি মানুষরে সংখ্যা অধকি

সবাই রাজনীতি বুঝে

বুঝে প্রতীক আর চত্রিকল্পরে ব্যবহার।



তবু যুবক তোমাকে বলছি

আগুন নয়িে খলোর আগে আগুনরে উত্তাপ নাও.............





















গ্রামীণ প্রমেরে কবতিা

শাফকি আফতাব----------



তোমার কাইনচা বাড়তিে পাই মুতরে ঘ্রাণ

তোমার জন্য মনটা টগবগ করে ওঠে

বাঁশরে পাতায় বাতাসরো ঝরিঝরি করে দগিন্তে ছোট।ে

তোমার জন্য মনরে কোণে কে গয়েে গুঞ্জরণে গয়েে যায় গান।



কতদনি বাঁশরে থােপে অপক্ষোর জোনাকীরা জ্বলেছেে সারারাত

তাদরে সহযাত্রী আমি এক জ্বলেছেি আলো তোমাকে পতেে

রাত্রি ক্রমশ গছেে ভোররে ফুরফুরে বছিানারপাতে

ভবেছেি এই আসবে কাছে বসবে ভালোবাসবে অকস্মাৎ।



শুর শুর শব্দে বাড়রি দারোয়ান ক্রমশ উঠছেলিো ভুকে

দুর দুর করে আমারও কপেছেলিো বুক

তবু কাইনচা বাড়তিে তোমার সুঘ্রাণ সুগন্ধি মুত

এক অজানা আনন্দ মম মনরে কোনে গয়িছেলিো ঢুক।ে



একদনি তোমার সবকছিু র্সবাঙ্গ ভালোবসেে হয়ছেি ঋদ্ধ

ভালোবাসার দনি শষে আজ, আমার ডোবা নালা জলবদ্ধ।

০৫.০৫.২০১৩

নর্সিগ : ঢাকা



শীতরে শষেরাতে সফদে লপেরে নচিে নারীর খোলা দহেরে উষ্ণতায়

ফোটে শশ্নিফুল

থােকায় থোকায় ফোটে তখন মনোরাজ্য মম কৃষ্ণচূড়া আর শমিুল।





নগ্ন নারীর গান

শাফকি আফতাব------



দঘিরি জলে খোলা দহেে যখন তুমি লুকোও

কংিবা কনকনে শীতে সফদে লপেরে নীচে খোলা দহেে উষ্ণাতা বলিাও

নর্জিন ঘরে যখন বদলাও

পরহিতি বস্ত্র

কংিবা শহররে কৃত্রমি র্ঝণায় যখন এলয়িে ধরো তপ্তদহন শরীর

তখন দঘিরি জল, সফদে লপে আর নর্জিন ঘররে বাতাস হয়ে যাই আমি

তোমাকে ফুল ভবেে গন্ধ শুঁকি

কংিবা পাঁপড়তিে বুলাই হাত

আর তখন বইতে শুরু করে আমাদরে আবহমান প্রপাত।



হে নারী নগ্ন নারী

নগ্নতা কাকে বলে জাননিা

শুধু জানি তুমি এক ফুটন্ত ফুল,

তুমি আছো বলে সুন্দর নদী নক্ষত্র আর শমিুল পারুল !!

নর্সিগ : ঢাকা

০৫.০৫.২০১৩











র্ব্যথ প্রমেরে রাজনতৈকি কবতিা

শাফকি আফতাব---------



তোমাকে বাঁধতে পারনিি বলে

দয়িছেি একরাশ নীলাকাশ

তোমাকে ভালোবাসতে পারনিি বলে

আমার হাতে আজ হরিোইন গাঁজা আর তাস।



উড়ো, সাঁতরাও, অবগাহন করো,

শ্লোগানে মুখরতি করো রাজপথ

প্লর্কোড পোস্টার শক্ত হাতে ধরো

আকাশে ছুড়ঁে মারো মুষ্ঠবিদ্ধ হাত।



নর্সিগ : ঢাকা

০৫.০৫.২০১৩















রক্ত বনাম হৃদয়

শাফকি আফতাব--------



তোমার সাথে আমার সর্ম্পক হৃদয়রে

: ফুলরে ঘ্রাণ যনে,

রক্তরে সর্ম্পক ফুলরে ঘ্রাণ নয়,

মৃত্তকিার সাথে শকিড়রে টান



তোমার সাথে আমার যে দ্বন্দ্ব কংিবা ভালোবাসা

সটো বস্তুর স্বাভাবকি র্ধমরে ; নত্যিতা নয়

হৃদয় ফুরয়িে গলেে র্স্বাথপর র্স্বণলতার মতোন সওে পালায়

কন্তিু রক্ত সে বীজ

তার চতেনা থকেে একশত বছর পর ঘুরফেরিে চতেনা জন্ম।ে



আর এখানইে তোমার বাবার সাথে আমার র্পাথক্য !



নর্সিগ : ঢাকা

০৫.০৫.২০১৩

















নর্জিন কামরার কবতিা

শাফকি আফতাব--------



মানুষরে ক্রোমোজমে কুকুররে জ্বীন

কুকুররে স্বভাবে মনবিপ্রীতি আর মনুষ্যত্ব

ক্রমিনিালরে গায়রে গন্ধে গা করে ঘনিঘনি

দস্যূ আর র্ধষকরে আজ লাভ করছে অমরত্ব।



কী কলি কাল পড়ছেে ভাই

দনিদুপুরইে মানুষ লগ্ন হয় ভগ্ন হয়

কাকে আর বচিার দতিে যাই

সে নজিইে ভণ্ড আর দণ্ডরে কথা কয়।



কছিু আর বলনিা চুপে বসে থাকি আপন কামরায়

ক্ষতে খয়েে যায় মানুষ নামক দামড়ায়

মথ্যিে প্রতারণা আর চুররি অন্নে জীবন যাপন

আজ আর কোন ভদ্ররে পুতরে করবনে আপন।



হে প্রভূ দুষতি ক্রোমোজমে দাও বশিুদ্ধকরণ ট্যাবলটে

সুন্দর শশিু ফলুক, ক্যান্সারে আক্রান্ত হোক পাপষ্ঠিরে তলপটে।



০৬.০৫.২০১৩































































ডারউইনরে অভব্যিক্তবিাদ

শাফকি আফতাব-------------------------------------------------------------



সমাজকে গঠন করতে যাই কনেো ?

আগে নজিকইে গঠন করনিা।

অন্যরে খাওয়া খাই কনেো

রোজগার করনিা।



রোজগারে নইে, নইে কায়কি পরশ্রিমে

আপন স্ত্রীর খোঁজ নইে, মশগুল পরকীয়া প্রমেে

বড় জহিাদরে নাম নইে

আছি ছোট জহিাদরে শ্লোগান।ে



পকটে ভরাতে সদ্ধিহস্ত, কােমরে গোজা আগ্নয়োস্ত্র

খাই হয়ে অন্যরে দারস্থ

আপন আলো বলে কছিু নইে

র্সূযরে আলোতে আলোকতি হয়ে করি পৃথবিী রোশনাই।



মানুষ যদি বান্দর হয় ?

তাহলে ডারউইনকে সর্মথন করছি না কী ?



ডারউইনরে অভব্যিক্তবিাদ আজ আধুনকি যুগে বড় প্রযোজ্য।



নর্সিগ : ঢাকা

০৬.০৫.২০১৩



























































কামনাপ্লাবতি কবতিা

শাফকি আফতাব-------



ফুলরে ঘ্রাণে আর আবশেরে উষ্ণতায় ফুটলো

শশ্নিফুল :

তাই দখেে প্লাবতি হতে চাও নদীর দুকূল।

তাই দখেে আকাশরে তারা করে ঝকিমিকিি

তুমি নগদ বক্রিি আমার আর সব বাক!ি

দাও সখি খুলে দাও রাজবাড়রি দ্বার

বহুদনি পরে খয়েে করে ফলেি কাবার।

নর্সিগ : ঢাকা।

০৬.০৫.২০১৩







বাস্তবচত্রিপট

শাফকি আফতাব---------



নউিরণে যাপতি সময়রে হট্টগোল

মুখে আসে কী আবোলতাবোল

মানুষগুলো দশে আর দাশরে জন্য মরয়িা

আমি শুধু ভাবি মরি তোমাকে স্মরয়িা

নজিরে নমিাগ্নে তাকায় না কউে

নজিরে দোষত্রুটি বুঝে না কউে

অন্যকে ভালোবানাতে আর দশে গড়াতে কঠোরকঠনি

রাতরে আঁধারে দোতরা বাজায় তাধনি তাধনি

নগ্নছবরি নায়ক সে নজিইে

গাঁজা তাস পাবনে তার আপন ঘরইে

মুখরে বুলতিে তুলসি ধোয়া পাতা

পুঁজতিন্ত্ররে হসিবেে ভরা টালি খাতা।

ভোগ আর বলিাসরে নৃত্যে ঝনঝন তার বালাখানা

কাকে ভালো বলি ভাই সবার দুধে গোরোচনা।



নর্সিগ : ঢাকা

০৭.০৫.২০১৩









দাম্পত্যের প্রথম দিন

শাফিক আফতাব---------



মধ্যবয়সী নারীর সুঠাম দেহের অভিজ্ঞ যৌন ভঙ্গির মতোন

তোমার চোখ থেকে বিচ্ছূরিত হচ্ছে আলোর ঝিলিক

তোমার দেহের গঠনকৌশলে শোভা পাচ্ছে এক নিপুণ শিল্পীর কলাবিদ্যার পাণ্ডিত্য

তোমার বুকের গড়নে এক শাশ্বতদর্জির ফিতার মাপের কুশলতা বোঝা যাচ্ছে

তোমার দুঠোঁটের ঝিলিক দেখে মনে হচ্ছে পাঠশালায় যাওয়া আসা আছে তোমার

তোমার সম্ভাষণের শব্দাবলীর গন্ধ শুঁকে মনে হচ্ছে

আধুনিক রোমান্টিকতা ও প্রযুক্তিগত বিদ্যা তোমার জানা আছে

শাড়ির গিঁট বাঁধার দ্রুততা দেখে মনে হচ্ছে হয়তোবা অভিনয়ের জন্য তুমি বউ সেজেছিলে কারো

প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা দেখে মনে হলো তুমি সর্বস্ব ভেসে দিয়েছো যমুনার জলে



তবু তুমি চিৎকার করে উঠলে

আর আমিও তোমাকে বুঝালাম, তোমাকে পেয়ে আমি খুব সুখী হয়েছি।

কেনোনা আমিও কারো গিঁট খুলেছিলাম, অনধিকারে প্রবেশ করেছিলাম সিলগালা দেয়া কারখানায়।



নিসর্গ : ঢাকা

০৮.০৫.২০১৩













































কামনাপ্লাবতি কবতিা

শাফকি আফতাব-------



ফুলরে ঘ্রাণে আর আবশেরে উষ্ণতায় ফুটলো

শশ্নিফুল :

তাই দখেে প্লাবতি হতে চাও নদীর দুকূল।

তাই দখেে আকাশরে তারা করে ঝকিমিকিি

তুমি নগদ বক্রিি আমার আর সব বাক!ি

দাও সখি খুলে দাও রাজবাড়রি দ্বার

বহুদনি পরে খয়েে করে ফলেি কাবার।

নর্সিগ : ঢাকা।

০৬.০৫.২০১৩







বাস্তবচত্রিপট

শাফকি আফতাব---------



নউিরণে যাপতি সময়রে হট্টগোল

মুখে আসে কী আবোলতাবোল

মানুষগুলো দশে আর দাশরে জন্য মরয়িা

আমি শুধু ভাবি মরি তোমাকে স্মরয়িা

নজিরে নমিাগ্নে তাকায় না কউে

নজিরে দোষত্রুটি বুঝে না কউে

অন্যকে ভালোবানাতে আর দশে গড়াতে কঠোরকঠনি

রাতরে আঁধারে দোতরা বাজায় তাধনি তাধনি

নগ্নছবরি নায়ক সে নজিইে

গাঁজা তাস পাবনে তার আপন ঘরইে

মুখরে বুলতিে তুলসি ধোয়া পাতা

পুঁজতিন্ত্ররে হসিবেে ভরা টালি খাতা।

ভোগ আর বলিাসরে নৃত্যে ঝনঝন তার বালাখানা

কাকে ভালো বলি ভাই সবার দুধে গোরোচনা।



নর্সিগ : ঢাকা

০৭.০৫.২০১৩







নগ্ন নারীর গান

শাফকি আফতাব------



দঘিরি জলে খোলা দহেে যখন তুমি লুকোও

কংিবা কনকনে শীতে সফদে লপেরে নীচে খোলা দহেে উষ্ণাতা বলিাও

নর্জিন ঘরে যখন বদলাও

পরহিতি বস্ত্র

কংিবা শহররে কৃত্রমি র্ঝণায় যখন এলয়িে ধরো তপ্তদহন শরীর

তখন দঘিরি জল, সফদে লপে আর নর্জিন ঘররে বাতাস হয়ে যাই আমি

তোমাকে ফুল ভবেে গন্ধ শুঁকি

কংিবা পাঁপড়তিে বুলাই হাত

আর তখন বইতে শুরু করে আমাদরে আবহমান প্রপাত।



হে নারী নগ্ন নারী

নগ্নতা কাকে বলে জাননিা

শুধু জানি তুমি এক ফুটন্ত ফুল,

তুমি আছো বলে সুন্দর নদী নক্ষত্র আর শমিুল পারুল !!

নর্সিগ : ঢাকা

০৫.০৫.২০১৩





























































কোথায় লুকোবো মুখ, কার কাছে যাবো

শাফিক আফতাব-------



কোথায় লুকোবো মুখ

কার কাছে যাবো

কাকে বলবো : ভালোবাসি তোমাকে।



এখন বড় দুঃসময়, ভালোবাসারা ডেকেছে হরতাল

মানুষের আবেগ নেই

কোথায় লুকোবো মুখ

কে হাতে তুলে দেবে খাঁটি গাভীর মগভর্তি দুধ কিংবা একটি সবরীকলা

কিংবা এক গ্লাস শরবত।



কারো সময় নেই

ভালোবাসার সময় নেই, প্রেম প্রেম খেলেনা মানুষ আজ,

তারা কাম কাম খেলে ;

তারা বুথ হয়ে পড়ে থাকে যন্ত্রকলে।



কার বুকে লুকোবো মুখ

সবার পেয়ালা খালি হয়ে গেছে..............

দশ সন্তানের জননীর মতোন ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে.........

০৮.০৫.২০১৩



















মধ্যরাত্রিতে বত্রিশ বছরের নারী

শাফিক আফতাব---------



মধ্যরাত্রিতে এলো বত্রিশ বছরের নারী

আমিও ষোলো দ্বিগুণে বত্রিশ কলায় পূর্ণ হয়ে উঠলাম

নারীটি অভিজ্ঞ ইশারায় চোখে ফুটালো প্রমিত গদ্যের দীর্ঘ একটি বাক্য ;

আমি তার গলায় অর্ঘ পড়ালাম।



ঘন দুধের মতো আঁধার গাঢ় হতে থাকলো এবং ক্ষীরসুধায় রক্তে সংবহনতন্ত্রে

দেহের অলিগলি পথে কামনার বিচ্ছূরণ ঘটতে থাকলো

নারী তার সফেদ অন্তর্বাস খুলে পাখা মেললো

আর অমনি আমি পাখনায় ভর করতেই আমার ভেতর প্রপাত হয়ে গেলো

সুয়েজখাল প্লাবিত হলো বষর্ণে

বত্রিশ বছরের নারী আজ কী সুধা দিয়ে গেলো মধ্যরাত্রির রণে।



০৮.০৫.২০১৩























































সৎ আর সতী শব্দটি বর্তমান সময় বেমানান

# শাফিক আফতাব #



যদি ধরি : চরিত্রহীনা ; তবে অবিশ্বাস বলে কিছু থাকেনা।

সতী বানাতে যত যুক্তি যুক্তিবিদের উপস্থাপন অপরিহার্য ।



তারচে বরং বেশ্যার প্রতিশব্দ যদি ভাবি ;

প্রেম নামক নীল ফড়িং সবুজ ক্ষেতের সীমানা টপকে যায় তখন

তখন দেখি কাম এসে ভর করে।

তখন পশু আর আমার মধ্যে কোনো প্রভেদ থাকেনা।



সৎ আর সতী শব্দটি বর্তমান সময় বেমানান

গ্রামীণ, আটপৌরে, অভদ্র আনসোসাল যাকে বলে

গারাদিন যন্ত্রের সাথে বাস করে কী প্রয়োজন এই শব্দ দুটির জন্য অপেক্ষা করে



তারচে বরং আধুনিক হও

কীটনাশক ছিটোও সবুজ আর রসালো ক্ষেতে

জীবাণু নিধনের নামে জন্মাক ঘাতক আর ইতরকীট কিছু

আদম ব্যবসায় নামুক

কিংবা কালোবাজারীর ব্যবসায় নাম কামাক দেশজোড়া

কিংবা চতুর দালালের খাতায় নাম লিখে লীড নিউজের সংবাদ হোক

কিংবা গণধর্ষণের আসামী হয়ে ফেরারী হোক

আর পুলিশের ইয়ং অফিসার কিছু তাকে খুঁজে খুঁকে হয়রান হোক

সেই ভদ্রবাবার সন্তানের জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করুক পুলিশের আইজি মহোদয়।



সিরাজদীখান।

১০.০৫.২০১৩





















ঘন দুধের মতোন আঁধারগুলো জমাট বেঁধেছে,

শাফিক আফতাব--------



ঘন দুধের মতোন আঁধারগুলো জমাট বেঁধেছে,

মধ্যরাত্রে, স্তদ্ধতায় কচ্ছপছাতার ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়েছে পুলকের ফুল ;

প্লাবিত নদীর সুইট গেট খুলে গেছে, প্রবাহিত হচ্ছে খরস্রোত ;

নারী তুমি মুখে তুলে দিয়েছো গন্ধম ফল :



তোমার সান্নিধ্যে শিখেছি বিনয়ের ভাষা,

মৃত্তিকা কর্ষণের সূত্রাবলি ;

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির নিয়ম কানুন ;

লাল ফ্লাগে আসন্ন বিপদের আভাস, আর নীল কেনো অথই আকাশ,

তুমি কারুবিদ্যায় আমাকে তুখোর করে তুলছো,

আমি আলপনা এখন পঁটু হয়ে উঠেছি

তুমি ঘুমিয়ে গেলে তোমার দেহ থেকে বস্ত্র আলগা করে

এখন আমি তোমাকে অবিকল আঁকতে পারি।



জমাট বাঁধা আঁধারের মতোন তুমি খামা হয়েছে হৃদয়ে আমার।

নিসর্গ : ঢাকা

১০.০৫.২০১৩



































নগ্ন হয়ে গ্রিল মেশিনে ছিদ্র করছে অপরিণত কাঠের শরীর ;

শাফিক আফতাব------



চকির ক্যারৎ ক্যারৎ শব্দে প্রকাশিত হয় সার্থক স্বামীর পৌরুষ

স্ত্রীকে পিষে গিলে খেলে সেটা কাম না প্রেম ?

কোনো বঁধু জ্বলেন স্বামীর ঘরে যেন আগুনতুষ,

পশু আর মানুষ তো একই ; বাহিরের আকার, সেতো বুঝি একটা ফ্রেম।



পশুদের প্রেম কত মার্জিত, মিলনের পূর্বে সাথীটিকে বুঝানোর নান্দনিক প্রকাশ ;

মানুষ কিন্তু যৌনতার জন্য অপহরণ করে রমনী, কিশোরী

আবার মানুষ পালা করে ধর্ষণ করে ; ওদিকে কাঁদে অথই আকাশ ;

কাম পরবর্তী আবার তার গলায় বসায় গরুজবাইয়ের ছুরি।



গাঁজার আসর আর আলোকসজ্জাময় আবাসিক হোটেলে দেখেছি ভদ্র বাবার পুত

নগ্ন হয়ে গ্রিল মেশিনে ছিদ্র করছে অপরিণত কাঠের শরীর ;

উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য নাবালিকার গায়ে ক্রমাগত দিচ্ছে কুত কুত,

যদিও শেষ বয়সে এই সব কুকুরমানুষ হচ্ছে বিকলাঙ্গ বধির।



মানুষের জন্য পৃথিবী, দেখুন মানুষ কত লাগামহীন আর কামুক

পশুরা ধর্ষক নয়, তারাই সুন্দর, মানবিক, যদিও তারা ভাষাহীন ; মুক।



নিসর্গ : ঢাকা

১১.০৫.২০১৩





































মানুষকে বৃক্ষ করো প্রভূ

শাফিক আফতাব------------



মানুষ যদি বৃক্ষের মতোন হতো, শুধু নিজের শোভা বৃদ্ধি করেই ক্ষান্ত হতো !

শ্লোগাণে মুখরিত করতোনা রাজপথ,

সমাজ গড়াতো না দামি মাইকের আওয়াজে ;

কিংবা সভ্যতা সৃষ্টির নামে, আধুনিকতা কিংবা উদার মানবতার নামে যদি

দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশিত না করতো জাতীয় পত্রিকায় ;

তাহলে আজ আামদের এই যুদ্ধের, দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে যেতে হতোনা।



বৃক্ষরা শ্লোগান দেয়না, সমাজ গড়াতে অলিক বুলিতে উত্তপ্ত করেনা মাউথপিছ,

তারা সালোকসংশ্লেষণে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরী করে,

খেয়ে দেয়ে টাইমমাফিক ঘুমের ঘোওে কাবার করে রাত।

নিজের ক্ষমতা বলে ফুল ফল কিংবা শোভা বৃদ্ধি করে কী সুন্দর শোভিত নিসর্গ বানায় তারা।





মানুষ বৃক্ষ না হোক ;

যদি পশুর মতোনই হতো, তবেও আমাদের যুদ্ধ হিংসা ঘুষ আর ধর্ষণ থাকতো না ;

পশুরা এক পেট খেলেই এক ঘুমে কাবার করে রাত্রি কিংবা দিন ;

ওদের কেন্দ্রিয় কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পড়েনা।

আমরা মানুষ, পণ্ডিতগণ কহেন : ‘ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ’

তাই আমরা পুঁজিবাদী, আমরা আয়েশের চাদরে নগ্ন প্রিয়ার খোলা দেহ নিয়ে ব্যন্ডসংগীতের

উৎকট আওয়াজের প্রতিধ্বনিতে মুখরিত করি গোলডিমের স্বচ্ছ কামরা।





মানুষ বড় হিংস্রজীব, আয়েশি, বিলাসী, দেহবাদী ; পুঁজিবাদী

তারাই পৃথিবীতে যুদ্ধ আনে, বন্যা আনে, আল্লাহর গজব আনে ;

আবার তারাই শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত,

প্রভূ এইসব পশু মানুষের হেদায়েত করো, বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য দাও, তোমার কাছে এই মোনাজাত।



নিসর্গ : ঢাকা

১১.০৫.২০১৩











একজন ঘুষখোর পিতার প্রতি

শাফিক আফতাব----------



ঝাটকা আর ইলেশের পার্থক্য যেমন

কিংবা ধন আর দৌলতের পার্থক্য যেভাবে নিরূপিত হয়

মূলত চোর আর ঘুষখোরের পার্থক্য অনুরূপ।



ফলত কোনো ঘুষখোরকে যদি আপনি চোর বলেন,

ভদ্রলোক রেখে ফায়ার হবেন ;

আপনার টুটিও চিপে ধরতে পারেন।



যাই চিপে ধরুক, বস্তুত ঘুষখোর পদাঙ্কের হিসেবে নিম্নক্রম নয়

বলা যায় চোরের চেয়ে গর্হিত নিকৃষ্ট ;



ঘুষখোরের সন্তানকে বিয়ে করবেন না।

রক্তে দুষণ পাবেন।

পাছে সেরা সন্ত্রাসীর বাবার খেতাব পেতে হবে আপনাকেই।

থানা গারদের সামনে গিয়ে কুর্ণিশ করতে হবে পুলিশের সেন্ট্রিকে।



তারচে বরং টাটকা শাক সবজি খান,

কিংবা জলাশয়ে পাওয়া দেশী মাছের বিড়ান ;

তারপর ফলান মানব সন্তান, দেখবেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আতিয়ার(স্যার)

জন্ম দিয়েছেন।

শিক্ষা নিন তাঁর কাছে, প্রমাণ করুন মেধাবী সন্তান জন্মদানের জন্য উপাদেয়

বিদেশী খাবারের দরকার নেই।

কচু,ঘেচু আর শাকপাতাই যথেষ্ট।



নিসর্গ : ঢাকা

১১.০৫.২০১৩



























যমপুরিতে সতের দিন

শাফিক আফতাব



যমপুরিতে সতের দিন,

অন্ধকূপে বাস,

কী করে তুই বাঁচলি রে বোন

অলৌকিক প্রকাশ।



মায়ের পেটে শিশুর মতোন

কী করিলো অমন যতোন

কে দিলো তোর ক্ষুধার অন্ন

সাহস দিলো কে ?

কিভাবে তুই থাকলি সেথা

কেউ তো বলে মিথ্যে কথা

কে আবার ভেসে যায় রে

অবিশ্বাসের ঢলে,



সুস্থ্য হয়ে বল এসে তুই

বল এসে তুই যমের কথা

কে বাঁচালে কোন বিধাতা !

১১.০৫.২০১৩







































অলৌককি মানবী

শাফকি আফতাব---------



যম এসে বললো : এই দখেো রশেমা, কত লোকরে জান কবজ করলাম ;

এখন তুমি ?

রশেমা এতটুকু বচিলতি হলো না, বরং যমকে বললো, আমার মৃত সহর্কমীদরে

খাবারগুলো খয়েে নইি, তারপর না হয় !

জম ফরিে গলেো,

পরদনি যম এসে আবার মৃত্যুর অন্ধকূপ থকেে রশেমাকে জাগালো, বললো :

তাহলে এবার চলো,

রশেমা বললো :

আমার একটা ছোট্ট্র শশিু আছ,ে আমি ছাড়া তো ওর ইতমি হয়ে যাব,ে

যম বললো তা হোক এই মৃত্যুকূপ থকেে কোনোক্রমইে তুমি ফরিে যতেে পারবনো,

রশেমা আবার বললো, আমার সদ্যববিাহতি স্বামী আছনে একজন,

আমাকে অতীব ভালোবাসনে,

আমার সন্তানরে মতোন ও তো ইতমি হয়ে যাবনে।

যম বললো তা ঠকি আছ,ে তুমি এই মৃত্যুপুরী থকেে তুমি কছিুতইে ফরিে পারবনো,

এবার রশেমা রগেে উঠলো এবং বললো, আমি আল্লাহর কাছে কছিুদনি বঁেচে থাকার আবদেন করছেি

তনিি আমাকে অভয় দয়িছেনে, তুমি ফরিে যাও,

অন্তত শশিু সন্তানরে জন্য বাঁচা বড় প্রয়োজন আমার, যম ;

আমার কাতর র্প্রাথনার পবত্রি এই হাত মহান রাব্বুল আলামনি ফরিয়িে দবেনে না

তুমি তাঁর দরবারে আবার যাও, দখেব,ে তোমার উপর রগেে উঠবনে তনি।ি



তনিি আমার র্প্রাথনা মঞ্জুর করছেনে।



যম ফরিে এসে রশেমাকে বললো, আমাকে হারালে রশেমা, যাও পৃথবিীর আলোতে আবার ;

তবে মনে রখেো আমার নাম, তোমার সহপাঠদিরে বলো, মৃত্যু কত ভয়ংকর

আর আমি কত ভীম।



নর্সিগ : ঢাকা

১১.০৫.২০১৩



তোমার কশিােরী হাতখান।ি

শাফকি আফতাব---------------------------------------



একসময় তোমার কশিোরী শব্দরে ব্যঞ্জনা পৃথবিীর শ্রষ্ঠে সঙ্গীতরে মতোন

কানে বজেে ঘ্রাণে পুলকরে পাপড়ি ঝরাতো,

তোমার বসন থকেে রজনীগন্ধার সুগন্ধ ঝরতো,

অবকিল ফুলরে মতোন তুমি ফুটতে

কী মসৃণ মোলায়মে মনে হতো তোমাকে বৃষ্টধিৌত প্রভাত।ে



চাকরহিীন ছন্ন ছাড়া জীবনই ভালো ছলিো তখন

আনাড়ি হাতরে শাড়পিড়া তোমাকে নয়িে ভালো ছলিো।



আজ প্রথম শ্রণেীর চাকরি এখন,

বদিশেী বস্ত্রে আবৃত্ত তোমার শরীর, ভনিদশেী গহনায় ঢাকা নাক কান গলা

অভজ্ঞি টচিাররে মতোন কামসূত্র করায়ত্ত তোমার

রাতরে গভীরে ভূমর্কিষণরে ফলাময় শানতি লাঙল, শারাব, শরবত

পাশ্চাত্য উপভোগরে ইংরজেী কৌশল।



তবু শান্তি নামক বমর্িূত বস্তুটি উবে গছে।ে



আছে সুখ আর আমোদ, আর আহলাদ আর বলিাসরে লজে ধরে হাটাহাটি

তবু নইে সইে শান্তরি দউেটি

তোমার চকিন তনু অত্যাধকি আমষিরে ভারে হয়ে গলোে দহে

ঝুলে গলে গলেো পুলকরে খনি ;

তবু হাতছানি দয়িে ডকেে যায় তোমার কশিােরী হাতখান।ি

৩০.৪.২০১৩





বৃক্ষরে মতো ছায়া দয়িছেো, ফুলরে মতোন ঘ্রাণ

শাফকি আফতাব



বৃক্ষরে মতো ছায়া দয়িছেো, ফুলরে মতোন ঘ্রাণ

র্নাসরে মতোন শুশ্রূষা দয়িছেো, কবরি কবতিা গান

পুলকরে মতো অনুভব দয়িছেো, আর তৃষ্ণার জল

অনাথরে মাথায় হাত দয়িছেো আর দয়িছেো মনে বল।

রাত্ররিে সঙ্গ দয়িছেো, শীতরে প্রকোপে উত্তাপ

হতাশায় ভসেে গলেে বলছেো মধুর সংলাপ।

বপিদরে দনিে প্ররেণা দয়িছেো দয়িছো সাত্ত্বনাবাণী

তোমাকে নয়িইে চলে গলেো সখী কত মধুযামনিী।



নারী চতেনা বষিয়ক সনটে

শাফকি আফতাব--------



বশৈাখরে এই কামনাগন্ধি বাতাসে এসো সন্ধি করি দুজন

আমরা আর ঝগড়া করবো না

সরকারি চাকররি যার বতেন যার, যার যা উর্পাজন

তা আমরা কাউকে দবেোনা।



রাত্রবিলো শুধু হবো কাছাকাছ,ি শুধু প্রয়োজনে প্রজননে

যার করে যে খাবো, যার ঘর যে গোছাবো, স্ব স্ব স্বাধীন

আমাদরে মলিন হবে শুধু কবতিা আর গানে

আর লমিনেটেংি করে রাখবো বয়িরে কাবনি।



নারীর স্বাধকিার চতেনা দখেো র্কমে কলে কারখানায় র্সবত্র

সভ্যতায় তাদরে আছে অবদান র্অধাংশ

শুধু কনেো পচবে পুরুষরে কঠোরকঠনি গাত্র

উত্তরাধকিার কনেো দবেে পরচিয় শুধু বাবার বংশ।



তোমার সাথে আমার সর্ম্পক একত্র সহবাসরে, এবং চ্ক্তুরি

হৃদয়রে যে কথা বলো ও কছিু নয়, সামাজকি শৃঙ্খল-ভত্তিরি।

খরশব ক্স ক্স ঝযধৎব















আরার জন্য একটি সনটে

শাফকি আফতাব---------



আরা শুনলাম তুমি আজ কয়কে সন্তানরে জননী

তোমার সইে প্রমেকিচোখে আজ বাস্তবতার পটচত্রি

বনিদ্রি কাটে না আর তোমার দীঘল রজনী

কী ব্যস্ত তুমি এখন অহোরাত্র।



হালকা রংয়রে শাড়ি পড়ো আর ঘটহিাতা ব্রাউজ

মাথায় দাও নকিষকালো র্স্ফাফ

বয়স্ক পুরুষ দখেলে ঘোমটা দাও র্দীঘ লুজ

ঘুরতে যাওনা আর বোটানকিলে র্গাডনে কংিবা র্পাক।



তোমার আর কছিু মনে নইে আহা সইে সমুদ্রভ্রমণ

কী করে এত সহজইে ভুলে গলেে প্রয়িতমা আমার

ঘর সংসার আর বষৈয়কি চন্তিায় যায় প্রতটিি অনুক্ষণ

অথচ আমার মনে এখনও বাজে বীণার তার



তুমি সবকছিু ভুলে হয়ছেে এক কঠনি মানবী

আর আমি ভাবরে আবগেে হাওয়া উড়ছি এক র্ব্যথকব।ি

১খরশব ক্স ক্স ঝযধৎব



















































































































শূন্য দশকরে কবতিার ধরন

শাফকি আফতাব--------



জসেকিা তুমি তো ঘুমছেো এখন পান্থপথরে সইে ব্যবসায়ীর বছিানায়

তার লোমশ বুকে মুখ লুকছেো তাড়া খাওয়া নউেল কুকুররে মতোন

আমি তবে ডুবে আছি উপন্যাসরে প্লট বন্যিাস আর গীতকিবতিায়

ওদকিে ভদ্র লোক র্টচলাইট জ্বলেে তোমাকে বশে করছে যতোন।



একদনি তুমি আমার জন্য কুচদিয়িে পড়ছেলিে শাড়ি আর ঘটহিাতা ব্লাউজ

ব্রার ফাঁকে দয়িছেলিে সালমিার র্মাকটে থকেে কনো পারফউিম

বশে সুন্দর সাজয়িছেলিে তুমি জলো সদররে জসেকিা হাউজ

পুরোনো দনিরে গান শুনছেলি,ে চোখে নমেছেলিো রাজ্যরে যত ঘুম।



ছায়ার গটি খুলে মায়া করছেলিে শ্বাসে দয়িছেলিে নবান্নরে সুবাস

আমওি আলগোছে বরেয়িছেলিাম ছাতার ভতের থকেে

ওদকিে মৃদ বাতাস বইছলিো, আর ছলিো তারাভরা আকাশ।

শুভ্র বৃষ্টপিাত হয়ছেলিো তোমার আবহমান, লকে।ে



জসেকিা দখেো তুমি আমি নপিুণ প্রতারক ঠকাচ্ছি তুমি সাহবে আমি মমেকে

কাছে গলেে বোকা হয়ে যাই কছিু বুঝনিা, অথচ আমরা গয়িছেলিাম পকে।ে

৩০.০৪.২০১৩





































































































































































































ফসলরে গান

শাফকি আফতাব----------



লাঙলরে ফলা তুলে মৃত্তকিার শরীর চরিছে কৃষক

মুখে তার ভাঁটয়িালী গানরে দগিন্ত ভজোনো সুর

রাতরে আঁধারওে সে ব্যকরণরে র্কতৃকারক

ঘুরে আসে শাশ্বত সুন্দর এক মধুপর।



ঘরে আর বাহরিে সে ভূমি চষে ফলায় শুধু ধান

তাতইে পৃথবিী কশেবতী আর ফুলবতী হয়

কৃষাণীর মুখে দখেি পানপকিরে ঘ্রাণ

দশমাস পর বরেয়িে আসে আস্তা এক তনয়।



হালরে গরুটওি গাভীন হয়, আসে তারও প্রসবরে দনি

ধানরে শষিরো ওদকিে খতেে খতেে দোল খায়

হাঁটবারে কৃষক কৃষাণীর জন্য নয়িে আসে শাড়ি রঙনি

আনন্দ, ধান আর ভালোবাসায় কৃষকরে গোলা ভরে যায়।



বাংলার ঘরে ঘরে এই রূপ স্বাভাবকি ; আবহমান,

মৃত্তকিার গভীরে কান পতেে শুনি ফসলর গান।

০৫.০৪.২০১৩ফসলরে গান

শাফকি আফতাব----------



লাঙলরে ফলা তুলে মৃত্তকিার শরীর চরিছে কৃষক

মুখে তার ভাঁটয়িালী গানরে দগিন্ত ভজোনো সুর

রাতরে আঁধারওে সে ব্যকরণরে র্কতৃকারক

ঘুরে আসে শাশ্বত সুন্দর এক মধুপর।



ঘরে আর বাহরিে সে ভূমি চষে ফলায় শুধু ধান

তাতইে পৃথবিী কশেবতী আর ফুলবতী হয়

কৃষাণীর মুখে দখেি পানপকিরে ঘ্রাণ

দশমাস পর বরেয়িে আসে আস্তা এক তনয়।



হালরে গরুটওি গাভীন হয়, আসে তারও প্রসবরে দনি

ধানরে শষিরো ওদকিে খতেে খতেে দোল খায়

হাঁটবারে কৃষক কৃষাণীর জন্য নয়িে আসে শাড়ি রঙনি

আনন্দ, ধান আর ভালোবাসায় কৃষকরে গোলা ভরে যায়।



বাংলার ঘরে ঘরে এই রূপ স্বাভাবকি ; আবহমান,

মৃত্তকিার গভীরে কান পতেে শুনি ফসলর গান।

০৫.০৪.২০১৩ফসলরে গান

শাফকি আফতাব----------



লাঙলরে ফলা তুলে মৃত্তকিার শরীর চরিছে কৃষক

মুখে তার ভাঁটয়িালী গানরে দগিন্ত ভজোনো সুর

রাতরে আঁধারওে সে ব্যকরণরে র্কতৃকারক

ঘুরে আসে শাশ্বত সুন্দর এক মধুপর।



ঘরে আর বাহরিে সে ভূমি চষে ফলায় শুধু ধান

তাতইে পৃথবিী কশেবতী আর ফুলবতী হয়

কৃষাণীর মুখে দখেি পানপকিরে ঘ্রাণ

দশমাস পর বরেয়িে আসে আস্তা এক তনয়।



হালরে গরুটওি গাভীন হয়, আসে তারও প্রসবরে দনি

ধানরে শষিরো ওদকিে খতেে খতেে দোল খায়

হাঁটবারে কৃষক কৃষাণীর জন্য নয়িে আসে শাড়ি রঙনি

আনন্দ, ধান আর ভালোবাসায় কৃষকরে গোলা ভরে যায়।



বাংলার ঘরে ঘরে এই রূপ স্বাভাবকি ; আবহমান,

মৃত্তকিার গভীরে কান পতেে শুনি ফসলর গান।

০৫.০৪.২০১৩কতদনি আয়নায় দখেনিা মুখ

শাফকি আফতাব----



কতদনি আয়নায় দখেনিা মুখ

কতদনি তোমার কাছে যাই না

কতদনি আমার মনে ভীষণ অসুখ

আর কতদনি তোমাকে পাই না।



আমার মসৃণ চামড়ায় শ্যাওলার আস্তর

আমার লকলকে চুলে সন্নাসী জট

আমার মনটা আজ কঠনি পাথর

চারপাশে জীবনরে এ কি সংকট



কতদনি কলংিবলে বকোর পড়ে আছে

কতদনি আমার না কামানো দাড়ি

কতদনি কটেে গলেো মদ আর তাসে

কতদনি আম যাইনা বাড়।ি



কতদনি আমি প্রমেহীন এক ক্ষ্যাপা বাউল

আজ দখেি মনরে বৃক্ষে আমরে মউল।

২৯.০৪.২০১৩



কতদনি আয়নায় দখেনিা মুখ

শাফকি আফতাব----



কতদনি আয়নায় দখেনিা মুখ

কতদনি তোমার কাছে যাই না

কতদনি আমার মনে ভীষণ অসুখ

আর কতদনি তোমাকে পাই না।



আমার মসৃণ চামড়ায় শ্যাওলার আস্তর

আমার লকলকে চুলে সন্নাসী জট

আমার মনটা আজ কঠনি পাথর

চারপাশে জীবনরে এ কি সংকট



কতদনি কলংিবলে বকোর পড়ে আছে

কতদনি আমার না কামানো দাড়ি

কতদনি কটেে গলেো মদ আর তাসে

কতদনি আম যাইনা বাড়।ি



কতদনি আমি প্রমেহীন এক ক্ষ্যাপা বাউল

আজ দখেি মনরে বৃক্ষে আমরে মউল।

২৯.০৪.২০১৩ইড়ঃঃড়স ড়ভ ঋড়ৎস



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.