নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত

অনুপম অনুষঙ্গ

আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা

অনুপম অনুষঙ্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন কারো দুঃখে কষ্ট পাই না, কষ্টগুলো কেমন পাষাণ // শাফিক অাফতাব //

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

এক সময় সহজেই কান্না পেতো, চোখের জলের ঘনত্ব কম ছিলো হয় তো

এখন গাঢ় অন্ধকারের মতোন নিকষ, জলগুলো শুকে গেছে।



এক সময় ভালোবাসা ছিলো বর্ষার সহজপ্রাপ্য জল

রাজপথের মতোন উন্মুক্ত

এখন ভালোবাসা থাকে এক্সক্লসিভ এলাকায়, অন্তপুরে

কখনো সখনো আর ভালোবাসা বাহিরে ঘুরতে বেরুয় না।



এক সময় অনেকেই কান্না থামাতে আসতো

সাত্ত্বনা দিতো, মাথায় হাত বুলাতো

এখন কেউ আসে না, মাথায় বুলায় না হত,

এখন সবাই করে অভিসম্পাত।



অথচ এই আমি এক সময় ভোরের বাতাসের মতোন কত নির্মল আর সার্বজনীন ছিলাম

খেটে খাওয়া মানুষের মতোন ছিলো অন্তঃকরণ

মানুষের দুঃখে আপনাতেই হৃদয় গলতো,

এখন কারো দুঃখে কষ্ট পাই না, কষ্টগুলো কেমন পাষাণ, চোখের জলও ঝরায় না দুফোটা !

১২.০৮.২০১৪



সমীকরণ

শাফিক আফতাব



খুব করে কষেছি সমীকরণ

উচ্চতর গণিতে লেটার পেয়েছিলাম

তবু হিসেবটা মিললো না জীবনের।



জীবন যেন অতিগণিতের সূত্র

নদীর মতোন স্বভাব

বৃক্ষের মতোন চায় অন্তরীক্ষ।



তোমাকেও হিসেব করেই ভালোবেসেছিলাম

তোমার সঙ্গে কথা বলতে বাক্যগঠনপ্রণালীও ভেবেচিন্তে প্রয়োগ করতাম

ভালোবাসার মাত্রাটাও হিসেব করতাম

আজ দিনের তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস

তবু জীবন আর ভালোবাসা গাণিতিকসূত্র মিললো না।



এখন আতিগণিতের সূত্র আমাকে পরাবাস্তবের রঙিন রাজ্যে নিয়ে যায়

ভৌতিক সূরের আবেশে অবচেতন করে

জীবনকে ছানি, অন্তর্দাহের কষে শিল্পের উপাদান পাই...

।। আগুনের ফুল

শাফিক আফতাব ।।



মাটির ক্ষোভগুলো যেমন হয় লাকোলিথ পর্বত

কখনো লাভা উৎগীরণে জ্বলন্ত আগ্নেয়গীরি

তোমাকে ভালোবেসে হে অপরূপা নারী

জ্বলে গেছি, নিত্য পান করি দহনের শরবত।



ভালোবাসা সে বুঝি দহন

প্রেম সে বুঝি গনগনে আগুন

আগুনে পুড়েই বুঝি খাঁটি সোনা

ভালোবাসার জন্য তবু কত স্বপ্ন বোনা।



ক্ষুধার্থ শিশুর মতোন মুখ রাখি স্তন্যে

অমৃতের তরে চাতকমন তবু আগুন নিয়ে খেলে

একটিমাত্র মুহূর্তের জন্য কত ভ্রমণ অরণ্যে

তোমাকে ভাসাই রঙিন জলে।



আগুনের ফুল তুমি, আমি গনগনে আগুনে শিখা

লাভায় আভায় তবু কত প্রভা,হে আমা দীপালিকা।

১১.০৮.২০১৪

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এখন আতিগণিতের সূত্র আমাকে পরাবাস্তবের রঙিন রাজ্যে নিয়ে যায়
ভৌতিক সূরের আবেশে অবচেতন করে
জীবনকে ছানি, অন্তর্দাহের কষে শিল্পের উপাদান পাই...


চমৎকার কবিতা অনেক দিন পর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.