রং

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

মেয়েটি লাল রং খুব ভালোবাসতো!
জন্মের পর যখন অনবরত মুখে কান্না
তখন বাবার হাতের লাল ফ্রকটি দেখে কেমন ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে ছিল।
ঠোট নাড়িয়ে নাড়িয়ে কি যেন কি একটা বলতে চেয়েছিল........

মেয়েটি লাল রং খুব ভালোবাসতো!
গুটিগুটি পায়ে যখন লাল জুতায় সারা বাড়ি হেঁটে বেড়াতো ,
তার মা মা ডাক আর খলখলিয়ে হেসে ওঠা আমার হ্রদপিন্ডোকে স্নেহের বন্যায় পল্লাবিত করতো!
তখন আমি আমি তৃপ্তির সংকেত বুকে নিয়ে প্রাপ্তিতে বিভোর হতাম।

মেয়েটি লাল রং বড্ড ভালোবাসতো!....
কোমড় ছুই ছুঁই বেনুণী যখন লাল ফিতায় জড়িয়ে ছন্দ তুলতো
হ্দপিষ্ট থেকে আরেক মেরুতে
তখন ওর প্রজাপতি রুপটি আমার শৈশবের আমিকে ফিরিয়ে দিতো.....

মেয়েটি লাল রং খুব ভালোবাসতো!
কপালে সিদুঁর রাঙ্গা টিপ দেখিয়ে বলতো:দেখ স্বাধীনতার টকটকে সূর্য তিলোক আমার চিত্তোকে স্পশৃ করেছ,
দেখ আজ আমি সে্ই বীর বাঙ্গালীর উত্তরসরী....

মেয়েটি লাল রং খুব ভালোবাসতো...
বিয়েতে পড়েছিল সিদূর রঙ্গরে বেনারসী সাথে সোনালী জরির পাড়
কি অদ্ভূত মুখশ্রী,কি অদ্ভূত মায়া!
যেন আরব্য রজণীর কোন অবগুন্ঠিত রাজকণ্যা,যাকে মুক্ত করতে ৭ সাগর ১৩ নদী পার হয়ে আসবে অচিনপুরের রাজকুমার!

মেয়েটি লাল রং খুব ভারলাবাসতো....
বিয়ের বছর খানেক পরে এক সকালে তাকে পাওয়া গেল চৌরাস্তার পাশের জনশূন্য মাঠে
পড়নের কাপড়টা লাল হয়ে আছে রক্তে,শরীরের আনাচে কানাচে জমে আছে রক্ত...
নাকে গলায়,চিবুকে,সব জায়গায়....
কেবল লাল আর লাল...

মেয়েটি সত্যিই লাল রং ভীষন ভালোবাসতো!!!

২ টি +০/-০