নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তখন সত্যি মানুষ ছিলাম, এখন আছি অল্প

আলোকিত পৃথিবী

মাথার ভিতর অসংখ্য পোকাদের বসবাস। সুখ পোকা, দুখ পোকা, স্বপ্ন পোকা...। আমিও তো আসলে একটা পোকা। পোকার জীবন-যাপন আমার...

আলোকিত পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা থাইল্যান্ড (পর্ব-১২)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

সাফারি ওয়ার্ল্ড



দুই তরুনী বাঘ কোলে করে বসে আছে। ঈর্ষাতুর চোখে আমি তরুনী দুটির দিকে তাকিয়ে থাকি। সারাজীবন চিড়িয়াখানায় বাঘকে খাচায় বন্দি থাকতে দেখে এসেছি। আর ব্যাংককের এই সাফারি ওয়ার্ল্ডে এসে দেখলাম যে বাঘ মানুষের কোলে কোলে ঘুরছে!

ব্যাংককের এই সাফারি ওয়ার্ল্ডে এরকম নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা আমাকে উপহার দিল। খুব সহজেই এই সাফারি ওয়ার্ল্ডে পরিপূর্ণ বিনোদনে একটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়। আজ এই সাফারি ওয়ার্ল্ডের গল্পই বলবো।

সকাল দশটার দিকে আমরা দলবল মিলে সাফারি ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করি। প্রবেশের আগেই সাফারি ওয়ার্ল্ডের ম্যাপটা নিতে ভুলি না। কারণ সাফারি ওয়ার্ল্ড আয়তনে অনেক বড়। ম্যাপ অনুযায়ী চললে খুব সহজেই সবকিছু খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। তাছাড়া ম্যাপের জন্য আলাদা পয়সা খরচ করতে হচ্ছেনা। তাই টিকিট কাউন্টারে যেয়ে ম্যাপটার কয়েক কপি নিয়ে নিলাম। যদি একটা হারিয়ে যায়!



সাফারি ওয়ার্ল্ডের শুরুতেই ম্যারিন পার্ক। পাখিদের রাজ্য। পৃথিবীর সব রকম পাখিদের মিলনমেলা। এই পাখির রাজ্যে লম্বা লেজবিশিষ্ট বাহারি রঙের পালকে সজ্জিত টিকা পাখির ন্যায় ঠোটের ম্যাকাও পাখি আমাকে বেশি মুদ্ধ করলো।





[ম্যাকাও পাখি]

(ইত্যাদিতে একটা পর্বে হানিফ সংকেত এই ম্যাকাও পাখির খাচার সামনে দাড়িয়ে সাফারি ওয়ার্ল্ডের বর্ণনা দিয়েছিল। তখনই ইচ্ছা যেগেছিল, ইস আমি যদি যেতে পারতাম। আজ সেই ইচ্ছা পূরণের দিন)

ম্যারিন পার্ক থেকে একটু সামনে এগোতে দেখা গেল পরমাসুন্দরী এক রমনী ছাতা মাথায় বসে আছে। রমনীর সাজসজ্জা এমনই আকর্ষণীয় যে ওই পথে যে পথিকই যায় তার ছাতাতলে বসে একটু বিশ্রাম লয়।



[ছাতার তলে এক ক্লান্ত পথিক]

আমিও তাই করলাম। রমনীর ছাতাতলে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আবিস্কার করলাম আমি দলছুট হয়ে গেছি। আমার আশেপাশে পরিচিত কেউ নাই। আমাকে একা ফেলে যে যার মতো যেদিকে খুশি হাটা শুরু করেছে। বাঙালীর এই এক সমস্যা। বেশি সময় ঐক্য ধরে রাখতে পারে না!

কী আর করা একা একা এলোমেলো হয়ে ঘুরতে লাগলাম। সাদা ভাল্লুক (পোলার বিয়ার)-এর খাচার সামনে কিছু সময় দাড়িয়ে থাকলাম। তার গম্ভীর হাটাচলা দেখছি।



হঠাৎ আশেপাশে মানুষদের ভিতরে চাঞ্চল্য লক্ষ্য করলাম। ব্যাপারখানা কী? সবাই যেদিকে ছুটছে কোন কিছু চিন্তাভাবনা না করে আমিও সেদিকে হাটা শুরু করলাম। অন্যদের অনুসরণ করে একটা গ্যালারীর ভিতরের ঢুকে গেলাম। গ্যালারী দর্শকে পরিপূর্ণ। ঠায় নাই, ঠায় নাই অবস্থা। গ্যালারীর মাথায় কোনরকমে দাড়িয়ে পড়লাম। বক্সিং শো শুরু হয়ে গেছে। এখন বসার জায়গা খোজা বৃথা। দুই ওরাংওটাং বক্সিং রিংয়ের ভিতর একজন আরেকজনকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে তাদের ভিতর খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। আরেক ওরাংওটাং রেফারি মহাশয় হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় খন্ডযুদ্ধ রদ হয়। খেলা আবার শুরু। কিন্তু এ কী? এক ওরাংওটাং প্রতিপক্ষকে চরমভাবে পরাস্ত করেছে। প্রতিপক্ষ এখন মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের সুর ভেসে আসে। ডাক্তার ওরাংওটাং গলায় স্টেথিস্কপ্ পেচিয়ে বক্সিং রিং এ হাজির। পিছনে স্ট্রেচার নিয়ে আরো দুই ওরাংওটাং। মনমুগ্ধকর এক শো। শো শেষ হলো। দর্শক গ্যালারী ছাড়তে শুরু করেছে। আমিও তাদের পিছুনি। কিন্তু মুগ্ধতা আমার পিছু ছাড়ে না। ওরাংওটাংকে দিয়ে এমন চিত্রনাট্যের বাস্তবায়ন করা যেতে পারে আমার ধারনায় ছিল না। সারাজীবন বানর আর সাপের খেলা দেখে এসেছি। আজ ওরাংওটাং-এর ছলাকলা দেখলাম এবং মুগ্ধ হলাম



[ওরাংওটাং শো]

সাফারি ওয়ার্ল্ডে এভাবে একটার পর একটা পশুপাখির খেলা চলতে থাকে। দ্বিতীয় শো টা ছিল সিলায়ন-এর। প্রতিটি শো-ই আলাদা গল্প বলে, উপস্থাপনার ঢং-ও আলাদা। সিলায়ন শো তে দেখা গেল জাহাজের ক্যাপ্টেন ও তার দলের কলাকৌশল। যথারীতি গ্যালারী পরিপূর্ণ। বিদেশী পর্যটক যেমন আছে, তেমন স্থানীয়দের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য। স্কুলের পোশাকে একদল স্থানীয় স্কুলপড়ুয়া মেয়ে গ্যালারীর একটা অংশ দখল করে নিয়েছে।

(দর্শকে পূর্ণ গ্যালারী)

ভাগ্যক্রমে আমিও বসার জায়গা পেয়ে গেছি। শো শুরু হলো। প্রথম দুইটা সিলায়ন দর্শকের সামনে উপস্থিত হলো। উপস্থাপকদের নির্দেশনা অনুসারে তারা বলের নানা কৌশল দেখিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে।





তবে সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার, সম্পূর্ণ উপস্থাপনায় থাই ভাষায়। গ্যালারীর অর্ধেক জুড়েই বিদেশী পর্যটক। নিশ্চিত তাদের কেউই থাইভাষা জানেনা অথবা হাতে গোনা কয়েকজন থাইভাষা জেনে থাকতে পারে। এই বিপুল সংখ্যক দর্শকদের ভাষার ব্যাপারে অজ্ঞ রেখেই তারা তাদের নিজস্ব ভাষাকেই প্রাধান্য দিল। (ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি ইংরেজী ভাষা শিক্ষা ছাড়া উপায় নাই। এখনও কর্মজীবনে দেখি, যারা একটু ইংরেজী ভাষাটা ভালো রপ্ত করেছে, তারা কর্মক্ষেত্রে ভালো করছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এসে জানলাম নিজের ভাষাটাকে সর্ব্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েই সবকিছু অর্জন করা যায়। অন্য ভাষার জন্য সময় নষ্ট না করে যদি সেই সময়টা সৃজনশীল কাজে ব্যয় করা যায়, তাহলে তার ফলাফল আরও ভালো পাওয়া যায়।) উপস্থাপকের মুখের ভাষা বুঝতে না পারলেও মিউজিকের সুর আর সিলায়নের নৈপুট্য দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন উপহার দিল।

সাফারি ওয়ার্ল্ড আয়তনে এতো বড় যে একটি দিনের কিছু অংশে সম্পূর্ণ ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। আমরা সম্পূর্ণ ঘুরে দেখতে পারিও নাই। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অল্প সময়ে যতগুলো পারা যায় এই পশুপাখির খেলা উপভোগ করা। আমার দেখা তৃতীয় শো ছিল ওয়েস্টার্ন কাউবয় স্ট্যান্ট শো। ওয়েস্টার্ন মুভি সবাই তো কম বেশি দেখেছি। ওয়েস্টার্ন মুভি মানেই কাউবয় হ্যাট, গোলাগুলি। আমার সামনে এক জীবন্ত সিনেমা মঞ্চায়িত হচ্ছে।



আমি শোর মাঝামাঝি সময়ে উপস্থিত হয়েছি। আগে কি হয়েছিল জানিনা। আমি যখন গ্যালারীতে এসে বসলাম তখন প্রচন্ড গোলাগুলি চলছে। একপক্ষ আরেকপক্ষকে গুলি ছুড়ছে। টারজানের মতো দড়ি বয়ে স্থান পরিবর্তন করছে। চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না যখন দেখলাম বোমা মেড়ে আস্ত ঘর উড়িয়ে দেওয়া হলো। শিল্প আর বিজ্ঞানের সংমিশ্রনে অনবদ্য একটা শো। সবই পূর্বপরিকল্পিত। স্টান্টম্যানদের নৈপুনতা, বিজ্ঞানসম্মত সেট ডিজাইন পর্দার ওয়েস্টার্ন মুভিকে বাস্তবে এনে ফেলে।

ওয়েস্টার্ন কাউবয় স্ট্যান্ট শো শেষ করে বের হচ্ছি, দেখি গ্যালারীর বহির্গমন দরজায় আমাদের গাইড দাড়িয়ে। আমাদের জঙ্গল ক্রজের রাস্তা দেখিয়ে দিল। জঙ্গল ক্রজে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। (এতোকক্ষন আমাদের দলবল সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। খাবার সময় দেখি কোথা থেকে যেন আবার এক হয়ে গেল) ঘরির কাটা একটার কখন ছুয়েছে টেরই পাই নাই। সাফারি ওয়ার্ল্ডে ছোট বড় সত্যিকার গাছগাছলির জঙ্গল রয়েছে। কিন্তু যার নাম জঙ্গল ক্রজ করা হয়েছে সেটা আসলে প্লাস্টিকের বৃক্ষরাজির সমাবেশে কৃত্রিম জঙ্গল। আর জঙ্গলের ভিতরে সারি সারি টেবিল-চেয়ার, খাবার সাজানো।





একটা অংশে ইন্ডিয়ান খাবার আর অন্য অংশে থাই বা এজাতীয় খাবার। আমরা খেলাম ইন্ডিয়ান খাবার। ইন্ডিয়ান খাবার মানেই নান, আলুর লেবড়া বা এজাতীয় কিছু আর সঙ্গে চিকেন ফ্রাই। কিছু ফ্রুট আইটেম ছিল। ফলের ভিতর জামরুলের স্বাদটা এখনও জিভে লেগে আছে। থাই জামরুল আমাদের দেশের জামরুল থেকে আকারে দুই-তিন গুন বড়। রসে টসটসে এবং প্রচন্ড মিষ্টি। অন্য খাবার না খেয়ে জামরুল দিয়েই দু্পুরের খাবারের কাজটা শেষ করলাম।



দুপুরের খাবার শেষ করেই আমরা ডলফিন শোর গ্যালারীতে এসে বসলাম। এই শোর জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। সাফারি ওয়ার্ল্ডের এই শো টিভিতে বহুবার দেখা হয়েছে। আজ সেই শো সরাসরি দেখতে যাচ্ছি। পছন্দমতো বসার জায়গা খুঁজে পেতে শো শুরুর অনেক আগেই গ্যালারীতে এসে বসে রইলাম। ডলফিনগুলো ভেলকী দেখালো। বল আর রিং এর নানা কৌশলতো দেখালোই, সেই সাথে ড্রাইভ, ডলফিন সঙ্গীত...। ডলফিন শোর নান্দিকতা আমার লেখায় ঔভাবে ফুটিয়ে তোলা আমার পক্ষে সম্ভব না।



[চোখ জোড়ানো, মন মাতানো, অসাধারণ ডলফিন ড্রাইভ]

ডলফিন শো শেষ হলে মনে হতেই পারে ইস যদি ডলফিনগুলোর সাথে একটা ছবি তোলা যেত? শুধু ডলফিন কেন সিলায়ন, ওরাংওটাং, ওয়েস্টার্ন কাউবয় যার সাথেই ইচ্ছা আপনি ছবি তুলতে পারেন। শুধু পকেটের পয়সা খরচ করতে হবে। ব্যাংককের মানুষগুলো মনে হয় মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে। মানুষ যা চাই এরা তাই দেওয়ার ব্যবস্থা আগে থেকে করে রেখেছে। শুধু একটু থাইবাথ খরচ করলেই আপনার মনেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়ে যাবে।



আমি বিনা খরচে একটা ইচ্ছা পূর্ণ করলাম। সাফারি ওয়ার্ল্ডে একটা স্পটের নাম মিনি ওয়ার্ল্ড। মিনি ওয়ার্ল্ডের সম্পূর্ণটায় আলাদাভাবে ঘেরা। ঢুকবো না ঢুকবো না করেই মিনি ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করলাম। টিভিতে দেখেছি খাবার হাতে নিয়ে দাড়ালে পাখি উড়ে এসে হাতে বসে। মিনি ওয়ার্ল্ডে দেখা গেল অনেকেই খাবার হাতে নিয়ে রঙিন পাখিগুলোকে ডাকছে। পাখি সবার হাতে বসছে না। অনেকের ভিতরে একজনকে সে বাছাই করছে। তার হাতে উড়ে বসছে। আর অন্যরা তাকে দেখে ঈর্ষান্বিত হচ্ছে। আমিও খাবার হাতে নিয়ে ঘুরছি। এতোভাবে পাখিগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কিন্তু এখানে উনারায় রাজা। উনাদের মর্জী। ঘুরে ঘুরে যাকে মনে ধরছে তার হাতে সে উড়ে বসছে। হাতে বসে খাবার খাচ্ছে। সে কি সুন্দর ছবি তুলছে। নিশ্চয় এই ছবি তার ফেসবুকে চলে যাবে। তার কমেন্টের পর কমেন্ট। একটা পাখিরও কি দয়া হয় না।



যখন চলে আসবো ভাবছি তখনই একটা পাখি আমার হাতে এসে বসলো। আহ! কী আনন্দ। গর্বে আমার বুক ফুলে গেল। ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে গেলাম। আমি তখন সেলিব্রেটি। ঈর্ষাতুর চোখে অন্যরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ তার হাতটা আমার হাতের কাছে বাড়িয়ে দিচ্ছে। দয়াপরবশত পাখিটা যদি তার হাতে এসে বসে। অন্যের হাতে সে বসল না। কিছুক্ষণবাদে পাখিটি আমার হাত থেকে উড়াল দিল। আমারও ফেসবুকের ছবি হইয়া গেছে। মিনি ওয়ার্ল্ডে আর কাজ নাই। বিদায়।

সাফারি ওয়ার্ল্ড থেকে চির বিদায় নিলাম না। আমরা মাইক্রোতে উঠলাম। এবার আমাদের সত্যিকারের চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হলো। আমাদের দেশে এতোদিনে দেখে এসেছি, পশু পাখি খাচায় থাকে আর মানুষ পশুপাখির খাচার সামনে দাড়িয়ে বিমুল আনন্দ উপভোগ করে। এখানে দেখা গেল উল্টো নিয়ম।



পশু পাখি মুক্ত আকাশের নিচে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে আর মানুষ গাড়ির ভিতর স্বচ্ছ কাচের আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রাখবে। মাইক্রোরভিতরে বন্দি হয়ে একে একে আমরা বাঘ-সিংহ আরও অন্যান্য পশুপাখির চরণভুমিতে বিচরন করলাম। ক্লান্ত দুপুরে বাঘমামারা চুপচাপ আমাদের দিকে তাকিয়ে ভাবলো ও এই খাচায় বন্দি মানুষগুলো আমাদের দেখে ধণ্য হতে এসেছে।



মহারাজ সিংহ এখন একটু বিশ্রাম করছেন। উটপাখি আর মরুভুমির উটকে একসাথে গলা জড়াজড়ি করে থাকতে দেখে বেস মজা পাইলাম।



[উটপাখি আর মরুর উট]



(চলবে...)



আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-২

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৩

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৪

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৫

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৬

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৭

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৮

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৯

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১০

আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১১

আমার দেখা থাইল্যান্ড (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: থাইল্যন্ড বেড়ানো হলো। সুন্দর । ছবি এবং লেখা দুটোই ভাল লেগেছে।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

ময়নুল েহােসন বলেছেন: সবার আগে ! সুন্দর হইছে।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাহ বাবা, শৈষ হয়ে গেলু :(( :((

পড়তে পড়তে.. দেখতে দেখতে হারিয়েই গেছিলাম.. হঠাৎ শেষ!!!!!

দারুন ভ্রমন এবং বর্ণনা+ ছবি। আসলেই আপনার প্রতি খুব ইর্ষা হচ্ছে ;)

+++

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২০

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: লিখতে লিখতে হঠাৎ ক্লান্ত লাগছিল। তাই আজকের পর্ব এখানেই শেষ করে দিলাম।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাই, থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম, কিন্তু সাফারি ওয়ার্ল্ড যাওয়া হয়নি কিছু পরিকল্পনার অভাবে... :(

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: থাইল্যান্ডে একটু সময় নিয়ে যাওয়া ভালো। অনেক জায়গা ঘুরে দেখার আছে। আমাদেরও অনেকগুলো স্পট বাদ রেখেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে শুধু সময়ের অভাবে।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

মদন বলেছেন: সেইরাম

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

দরিয়ানগর বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাহ বাবা, শৈষ হয়ে গেলু :(( :((

পড়তে পড়তে.. দেখতে দেখতে হারিয়েই গেছিলাম.. হঠাৎ শেষ!!!!!

দারুন ভ্রমন এবং বর্ণনা+ ছবি। আসলেই আপনার প্রতি খুব ইর্ষা হচ্ছে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু তো তার কথা বললো। আপনার মন্তব্য কী জানতে চাই?

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

অকপট পোলা বলেছেন: বাঙালী বেশ হিপোক্রেট ও বটে!!

"বাঙালীর এই এক সমস্যা। বেশি সময় ঐক্য ধরে রাখতে পারে না! " দল থেকে বের হয়ে ঐ মাইয়ার ছাতার তলে আগে কে গিয়া বসছে??? :-&

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: ;) ;)

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

দরিয়ানগর বলেছেন: ১-১২ ঘুরে এলাম। যাবার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গেল। জানা হল অনেক কিছু। কতদিন সময় নিয়ে গেল ভাল হয়?
দারুন লেগেছে!!!
আপনার মেইল আইডি পেলে যোগাযোগ করে যাইথাম ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: থাইল্যান্ডের মূল পর্যটন শহর-ব্যাংকক, পাতায়া আর ফুকেট। হাতে যদি আপনার অফুরন্ত সময় থাকে তবে তিন গুনন তিন নয়-দশদিনের একটা ট্রিপ দিতে পারলে অনেক ভালো হয়। ধীরে সুস্থের সবগুলো দর্শণীয় স্থানগুলো ঘুরে আসতে পারবেন। আমরা পাঁচদিনের সফরে গিয়েছিলাম। পাতায়া আর ব্যাংকক ঘুরেছি। কয়েকটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান না দেখে শুধু সময়ের অভাবে ফিরে আসতে হয়েছে।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনাভঙ্গী!!!

ছবিগুলোও দারুন হয়েছে.........

থাইল্যান্ডের মাইয়ারাও তো দারুন....

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: মায়াবতী মাইয়া।
তবে এখানে মেয়ে গুলো নিজেদের পণ্যহিসেবে বিলিয়ে দিতে একটুও কার্পণ্য করে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই পাতায়া আর ব্যাংকক শহরে বণিকালয়দের মেলা বসে।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

সোহানী বলেছেন: অসাধারন....সাথে আপনার বর্ননাও...........

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: ধণ্যবাদ

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনার চোখে টাইল্যান্ডের সাফারি পার্ক দেখা হলো। ধন্যবাদ।

ছবিগুলো আরও স্পষ্ট হলো ভালো হতো।

বাঘকে মানুষের এতো নিকটে দেখে বিস্মিত হলাম।
মুগ্ধ হলাম টাইল্যান্ডবাসীর নিজ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা দেখে!

সিংগাপুরের সেনতোজা দ্বীপে ডলফিন শো দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো।

লেখককে শুভেচ্ছা এবং +

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

আলোকিত পৃথিবী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধণ্যবাদ

১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

ভ্রমন কারী বলেছেন: রবিন ভাই, দারুন মজা করেছেন। খুব ভালো লাগলো। সবগুলি পোস্ট পরলাম, আরো থাকলে তারাতারি দেন।

প্লাস বাটন মনে হয় কাজ করছে না, তাই এত সুন্দর পোস্ট গুলিতে প্লাস দিতে পারতেছি না :(( :(( :((

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অনেক জায়গা ঘুরেছেন। ভাল হয়েছে।

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১০

রূম্মান বলেছেন: আমার ২ টা ছবি দিছেন দেখে ভাল লাগল :) আমি কিন্তু চিন্তাও করি নাই যে অই পুতুল মেয়ে টা আমি বসার সাথে সাথেই আমার দিকে তাকাবে :প

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২২

জুন বলেছেন: ঐ পুূতুলটার সাথে আমারো একটা ছবি আছে।
প্রথম বার যখন গিয়েছিলাম হাতে গোনা কয়েকজন প্রতিবেশি দেশের বাসিন্দা ছিল। সবাই চুপচাপ ঘুরে ২ দেখছিল। এবার যখন গেলাম দেখি সবাই সেই প্রতিবেশি দেশের জনগন। তাদের সেই উচ্চ স্বরে কথা বলা , চিৎকার চেচামেচি ,খাবার নিয়ে মারামারি , ঝগড়া দেখে আমি হতভম্ব। সব শো না দেখে ৩টার সময় বের হয়ে আসলাম.
ছবিগুলো সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.