নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটেল বাঁশঝাড়

ওস্তাদ মাসুম

ল্যাপটপ তোমায় দিলাম ছুটি পড়ালেখার রাজ্যে পৃথিবী বাঁশময় বইগুলো যেন আস্ত গজব

ওস্তাদ মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনি কাহিনী - তৃতীয় কিস্তি (নজরুল-শরৎ)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

আগস্ট মাসের শেষের দিকের ঘটনা। বিনির ফুচকা খাওয়ার বায়না পূরণ করার জন্য বিনিকে নিয়ে বিকেলে ভ্রমণে বের হলাম। ফুচকা খাওয়া শেষে বিনি আবার নতুন আবদার করে বসলেন।

-অনেকদিন বাতিঘর যাই না। আজকে একটু যাই?
- আচ্ছা।
বাতিঘরের বিভিন্ন বইয়ের তাকের সামনে ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলাম, হঠাৎ একটা তাকের সামনে দাঁড়িয়ে,
-আচ্ছা, এখানে নজরুল-শরৎ লেখা কেন?
- এখন কোন ঋতু?
- (একটু ভেবে) শরৎ কাল
- এ কারণেই। নজরুলের যে বইগুলো শরৎ কালে পড়ার মত সেগুলো এখানে রাখা। আপনি দুই-তিন সপ্তাহ আগে আসলে নজরুল-বর্ষা দেখতে পেতেন। আবার দুইমাস পরে আসলে এখানে নজরুল-হেমন্ত দেখতে পাবেন। মানে নজরুলের যে বইগুলো আপনি হেমন্তকালে পড়বেন বা পড়া উচিৎ সেগুলো এখানে পাবেন।
- এমন কেন? অন্য লেখকদের তো এমন না।
- অন্য লেখকরা তো বারোমাসি ধরনের লেখক। ওদের লেখা আপনি বছরের যেকোনো সময়ই পড়তে পারবেন। কিন্তু নজরুল হচ্ছে ঋতু-বিশেষায়িত লেখক। নজরুল যে লেখাগুলো বর্ষায় পড়ার জন্য লিখেছেন ঐগুলো আপনি বর্ষাতেই পড়ে মজা পাবেন। আবার শীতের লেখাগুলো শীতে পড়ে ভাল লাগবে, কিন্তু গ্রীষ্মে পড়ে অতটা মজা পাবেন না।
এসব বলতে বলতে হাসি চেপে রাখতে না পেরে মুখ গম্ভীর করে অন্য তাকের দিকে ফিরে বই দেখার ভান করে একচোট হেসে নিলাম। ব্যাপার হচ্ছে, আমি ঠাট্টাচ্ছলে যা কিছু বলি বিনি বিশ্বাস করেন। বের হওয়ার সময় খুব চিন্তিত মুখে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, নজরুলের বাকি বইগুলো কোথায় রাখে?
- আরে! ওদের বই রাখার জন্য গুদাম আছে না!

বাতিঘর থেকে বের হওয়ার পর রাস্তা দিয়ে এক হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাকে দেখিয়ে বললেন, আমি কিন্তু ওখান থেকে একটা নিব। পিঙ্ক কালারের বড় দেখে নিবেন।

বিনি কাহিনী - দ্বিতীয় কিস্তি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০

ওস্তাদ মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.