![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বসত হইতে আপিস প্রায় ১০ ক্রোশ (এক ক্রোশ সমান দুই মাইলের কিছু বেশি দীর্ঘ পরিমাণ পথ) দূরত্বে। হরতাল (জনশ্রুতিতে যাহার প্রকৃষ্ঠ অর্থ জনদূর্ভোগ হইবেক) দিনগুলিতে (আ)বালকদিগের উপরযুপরি উৎপাত হেতু এঞ্জিনচালিত শকট বিনে মনুষ্যবাহিত ত্রিচক্রযানে চড়িয়াই সদরপথ ছাড়িয়া অন্দরপথ খুঁজিয়া তাহাদিগের সহিত প্রকারান্তে লুকোচুরি খেলিতে খেলিতে প্রত্যহ আপিসগমন করি। তাহাদিগের সম্মুখে একবার পড়িলে রক্ষে নাই, কোন প্রকারের আকুতি-কাকুতিতে কর্ণপাত না করিয়ায় ত্রিচক্রযানের হাওয়া ছাড়িয়া দেয়। আমার বিশেষ পর্যবেক্ষণ এই যে তাহারা এমত কার্যে যাহার পর নাই আনন্দিত হয়। নিরুপায় যাত্রির দূর্ভোগ যত বেশি তাহাদের আনন্দও তত বেশি। কিন্তু আজ বিধিবাম, তাহাদের চক্ষু ফাঁকি দেবার নিমিত্তে অতি ভোরে, সূর্যের প্রথম প্রহরে অন্দরের পথ ধরিয়ায় রওনা দিয়াছিলাম। অনতিদূরপথ অতিক্রম না করিতেই বন্যবাঁদরের মত হঠাৎ তাহারা পথিমধ্যে একলম্ফে হঠাৎ উদয় হইল এবং যথারীতি হাওয়া ছাড়িয়া দিল। অতপর প্রায় চার ক্রোশ পথ হন্টন করিয়া, অনভ্যস্ত পদযুগল ব্যথা করিয়া, কখনো সুযোগ বুঝিয়া দশগুন বেশি ভাড়া গণিয়া ত্রিচক্রযানের ছওয়ার হইয়া আবার কখনো হন্টন করিয়া, প্রায় তিনঘন্টা নাগাদ সময় ব্যায় করিয়া আপিস করিতেছি। কিন্তু আরতো পারিতেছি না.... সত্যিই পারিতেছি না!
©somewhere in net ltd.