নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলের আবার পরিচয়!!!!!!

ম্যাড ম্যান আকাশ

লেখালেখি জিনিষটা আমার দ্বারা হয়না। কোন কিছু লিখতে বসলে মনোযোগ এবং ধৈর্য্য একত্রে হারিয়ে ফেলি। তাই বলে কি লেখক হওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারবোনা? স্বপ্ন দেখতে থাকি, কখনও হলে হয়েও যেতে পারি। কারন সবকিছুর শুরুটাতো স্বপ্ন থেকেই।

ম্যাড ম্যান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যালন ডি\'অর দেওয়ার পর

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

আজ ঘোষণা করা হলো ব্যালন ডি’অর ২০১৬। বর্ষসেরা ফুটবলারের হাতে উঠল সোনার ফুটবল। এই লেখাটি যখন লেখা হচ্ছে, তখনো আমরা জানি না কার হাতে উঠল সেটা। ধরা যাক, সেটা মেসিই পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে হয়তো হতাশ হতে হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমারকে। যদি তা-ই হয়, তাহলে তাঁদের সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে? চলুন, দেখা যাক।
মেসির সমর্থক
সংগ্রামী ভাই ও বোনেরা, আমরা জানতাম, এ বছর মেসিই পুরস্কারটা পাবে। যাঁরা ফুটবল দেখেন, বোঝেন, তাঁরা জানেন, মেসি ছাড়া এই পুরস্কার অন্য কারও হাতে মানায় না। আর মেসিই একমাত্র ফুটবলার, যাঁর খেলা দেখলে বিশ্ব হাঁ করে থাকে। রোনালদো যেসব গোল দিয়েছে, সব চামে। ট্রফি পায়নি একটাও। নেইমার অবশ্য ভালোই খেলেছে। কিন্তু মেসির কাছে ও দুধভাত। বার্সেলোনায় মেসি বল বানিয়ে দেয়, আর ও গোল করে। আমরা সব কোচ ও সাংবাদিক ভাইদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা ভোট দেওয়ার সময় মানুষ চিনতে ভুল করেননি। ভোটের মাধ্যমে তাঁরা বিরোধী পক্ষদের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন। ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করতে যে শুধু সুন্দর ফুটবলই যথেষ্ট, মডেলিং বা চুলের স্টাইল দিয়ে কাউকে বোকা বানানোর দিন শেষ, তা এখন পরিষ্কার।
এখন থেকে ১১ জানুয়ারিকে ব্যালন দিবস হিসেবে পালন করা হবে। দুই বছর ধরে বিরোধী পক্ষগুলোর সাজানো মিথ্যা মামলায় মেসিকে অনেক হয়রানি করা হয়েছে। তাই এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ইতিহাস সৃষ্টিকারী, সকলের নয়নের মণি, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসির পক্ষ থেকে সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
রোনালদো সমর্থক
স্লেপ ব্ল্যাটারকে বহিষ্কার করার সময়ই বুঝেছিলাম, একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ একজনকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য এই চক্রান্ত অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। ইতিহাসে এই কলঙ্কের কথা লেখা থাকবে। আমাদের সবার প্রিয় ফুটবলার রোনালদো কোন দিক থেকে ওই মেসির থেকে কম? লম্বায় বড়, শক্তিশালী, চুলের স্টাইলও দেখার মতো। স্যালনে গিয়ে এ যুগের ছেলেপেলে কার চুলের মতো ছাঁট দিতে চায়?
পরপর দুবার ব্যালন ডি’অর পাওয়ার পর রোনালদো যখন এ বছর হ্যাটট্রিক করার দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই একাধিক কুচক্রী মহল স্থূল কারচুপির মাধ্যমে ভোটাভুটিকে ঠাট্টা-তামাশায় পরিণত করেছে। বিভিন্ন দেশের একাধিক কোচ ও সাংবাদিক অভিযোগ করেন, তাঁদের নাকি ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। জাল ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের অধিকারকে অসম্মান ও ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ডেকে অপমানের কোনো মানেই ছিল না! আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নেইমার সমর্থক
আমরা হতাশ! এ বছর নেইমার খুবই ধারাবাহিক ছিল। ব্যালন ডি’অর পাওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিল সে। নেইমারই বর্তমান সময়ের একমাত্র খেলোয়াড়, যার খেলায় একই সঙ্গে তিনটি বিনোদন পাওয়া যায়। ফুটবল, সাম্বা নৃত্য ও রকমারি চুলের স্টাইল। সারা বিশ্বে যেখানে ব্রাজিলের সমর্থকে গিজগিজ করে, সেখানে তার পুরস্কার না পাওয়া উদ্বেগজনক। ফুটবলপ্রেমীরা আর মেসি, রোনালদোদের দেখতে চায় না। তাদের বয়স হয়েছে। তাদের খেলা দেখতে দেখতে আমরা বিরক্ত। ফুটবলবিশ্বের আশা-ভরসার প্রতীক এখন নেইমার। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান ফিফা কমিটি সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট ও অযোগ্য। নির্বাচনে কোনো সূক্ষ্ম কারচুপি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে অনতিবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। প্রয়োজনে ডিজিটাল কারচুপি ঠেকাতে টিপসই পদ্ধতিতে ভোটাভুটি হোক। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক কমিটির অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটাভুটির জোর দাবি জানাচ্ছি। সামনের বছর এ রকম যদি আর হয়, লাগাতার অবরোধ, হরতাল দিয়ে ফিফা কমিটিকে কোণঠাসা করা হবে।
রস+আলো

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা।
++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

ম্যাড ম্যান আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.