![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য যখন জাগায় ভুবন, পাখির শিষে ভোঁর, আমার কেন উদাস দুপুর, বিরহী প্রহর...! © All written articles are subject to copyright. আমার অনুমতি ব্যথিত লেখার কোন অংশ বা সম্পূর্ণ লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। ----ব্লগের বয়স এক বছর দেখালেও নিয়মিত হয়েছি এই জানুয়ারি থেকে।
১৯২৯ সালে একটি ব্যাপার ধরা পড়ে যে ছায়াপথ গুলো ক্রমশ পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অনেক দুরের কিছু কিছু সুপারনোভা গুলো, অনেক দিন পূর্বে যেমন ছিল, আজ আর ঠিক আগের জায়গায় নেই।
অনেকটা দূরে সরে গেছে, তার মানে দাঁড়ালো যে মহাবিশ্ব ক্রমশঃ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
আরও দেখা গেলো ধিরে ধিরে এর গতি ও বাড়ছে, যেমন টা আগে হয় নি। মহাশূন্যের এই দ্রুত সম্প্রসারন কিন্তু অভিকর্ষের প্রভাবে কমে যায় নি, যেমন টা সবাই ধারনা করেছিলো, বরং তা বেড়েছে। কেউ ই এমনটা প্রত্যাশা করে নি। কেউ জানতো নে কেন এমন টি ঘটছে, কিন্তু এটা নিশ্চিত যে- কিছু একটা এর পেছনে আছে।
পরিশেষে তিন ধরনের থিওরি বা উপাথ্য আসলো এর ব্যাখ্যায়। এর ব্যাখ্যা হতে পারে "আইনস্টাইন" এর মাধ্যাকর্ষণ থিয়োরির প্রথ্যাখ্যাত একটি অংশে, যার একটি তে "Cosmological constant বা মহাকর্ষীয় ধ্রুবক" বলে কিছু একটা ছিল। হয় তো সেখানে এমন কিছু বিস্ময়কর এনার্জি- ফ্লুয়িড বা শক্তি মহাশুন্যে বিরাজমান। হয় তো আইনস্টাইন এর থিওরি তে কিছু একটা ভুল আছে এবং একটি নতুন থিওরি প্রয়োজন যা আইনস্টাইন এর থিওরির সীমাবদ্ধতা সমাধান করবে যা এই মহাকর্ষীয় ত্বরণ সৃষ্টি করছে। কোন গবেষক ই এখন পর্যন্ত এই সম্প্রসারন এর সঠিক ব্যাখ্যা জানেন না, কিন্তু তারা এই সমাধান এর একটি নাম দিয়েছেন। যা কে বলা হয় "ডার্ক এনার্জি Dark energy"
ডার্ক এনার্জি কি?
মহাশুন্যের সম্প্রসারন ব্যাখ্যা থেকে আমরা জানি যে সেখানে কতো টুকু ডার্ক এনার্জি রয়েছে। অন্য যে কোন কিছু থেকে এটা এক বিরাট বিস্ময়। মহাবিশ্বে ৭০ ভাগ এর ও বেশি ডার্ক এনার্জির অস্তিত্ব এই বিস্ময় কে আরও প্রকট করে তুলে। আর ডার্ক ম্যাটার আছে ২৫ ভাগ, বাকি সব কিছু পৃথিবীতে। এই পর্যন্ত যত কিছু পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে আমাদের যন্ত্রপাতি দিয়ে তা ৫ ভাগ এর ও কম সাধারন বস্তু- যুক্ত করেন গবেষকরা। আসলে একে মোটেও "নরমাল ম্যাটার" বা সাধারন বস্তু বলা বলা ঠিক নয়, কারন সেই কবে থেকেই এটা কিন্তু মহাবিশ্বের এক বিতর্কিত বস্তু হিসেবে ধরা হয়।
ডার্ক এনার্জি নিয়ে আমার ব্যাখ্যা এই বলে যে- ডার্ক এনার্জি কিন্তু আমাদের মহাশুন্যের একটি সম্পদ। "আলবার্ট আইনস্টাইন" ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, জিনি সর্ব প্রথম অনুধাবন করেন যে মহাশুন্য কিন্তু মোটেও শুন্য নয়। মহাশুন্যে আছে অদ্ভুত আর চমকপ্রদ সব বস্তু, যার অনেক গুলো সম্পরকে আমাদের খুব সামান্যই ধারনা আছে। স্যার আইনস্টাইন প্রথম যেটি আবিষ্কার করেন তা হলো- অনেক গুলো স্পেস অর্থাৎ মহাশুন্যের অস্তিত্ব কিন্তু বিদ্যমান। তার পরে আসে, তাঁর মাধ্যাকর্ষণ তথ্য- যে অংশে তিনি "মহাকর্ষীয় ধ্রুবক" কে অস্তিত্ব দান করেছেন, যা দ্বিতীয় ভবিষৎবাণী করে যে- মহাশুন্যের "Empty space" নিজে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম। কেননা, এই শক্তি ও যে মহাশুন্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, ইহা মহাশুন্যের সম্প্রসারন এর সাতে মিস্রিত হতে পারে না। যত বেশি মহাশুন্যের অস্তিত্ব বিদ্যমান হবে, তত বেশিই এই শক্তির আবির্ভাব ঘটবে। ফলশ্রুতিতে, এই শক্তিই মহাবিশ্ব দ্রুত থেকে দ্রুততর সম্প্রসারনের কারন। দুর্ভাগ্যবশতঃ কেউ ই এই সিদ্ধান্তে আজ পর্যন্ত আসতে পারে নি যে, এই মহাকর্ষীয় ধ্রুবক এখানে কেন আসলো, মহাবিশ্বের ত্বরণ পর্যবেক্ষণে কেন কম বেশি এর পরিমাপ কেই সথিক ধরতে হয়।
স্পেস কিভাবে শক্তি সংগ্রহ করে, তার আরেকটি ব্যাখ্যা আসে বস্তু বা পদার্থের "কোয়ান্টাম থিওরি" থেকে। এই থিওরি তে, " শুন্য স্তান বা স্পেস" আসলে সাময়িক বা কাল্পনিক ভাবে পরমাণু দ্বারা পরিপূর্ণ যা একাধারে সৃষ্টি হচ্ছে আবার অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যখন পদার্থবিদ গন চেষ্টা করলেন এর পরিমান গননা করতে, উত্তর আসলো ভুল- এক দুই জনের না, অনেকেরই। হিসেবে যে সংখ্যা টি বের হয়ে আসলো তা হলো -10^120 অর্থাৎ, ১ এর পরে ১২০ টা শুন্য বসালে যা হয় আর কি। অনেক কঠিন হয়ে গেলো এই উত্তর ভুল হওয়া তে। তাই রহস্য অজানাই থেকে গেলো।
সর্ব শেষ একটি সম্ভাব্যতা দেখা দিলো যে- আইনস্টাইন এর মাধ্যাকর্ষণ তথ্য সঠিক নয়। এটা শুধু মহাবিশ্বের সম্প্রসারনের উপরই প্রভাব ফেলে না, বরং তা প্রভাবিত করে যে ভাবে ছায়াপথে নরমাল ম্যাটার আচরন করে এবং যেভাবে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ ছায়াপথ রুপেও আচরন করে। আর এই তথ্য এমন একটি রাস্তা দেখাতে পারে যদি সমাধান হয় যে ডার্ক এনার্জি সমস্যা নতুন কোন অভিকর্ষীয় থিওরি কি নাঃ আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি কিভাবে গ্যালাক্সি গুলোএক গুছছ রুপে একত্রে আসে। কিন্তু যদি তা এমন ভাবে দেখা দেয় যে- অভিকর্ষের একটি নতুন সুত্র বা থিওরির প্রয়োজন, তবে তা কি রকম থিওরি হতে পারে? কিভাবে তা সৌরজগতের গতির সঠিক ব্যাখ্যা দিবে? যেমন তা দিতে পারে আইনস্টাইন এর থিওরি, এবং যা এখন পর্যন্ত আমাদের কে মহাবিশ্বের পৃথক ভবিষৎবাণী দিচ্ছে যা দরকার। যদিও সেখানে অনেক থিওরি আছে, কিন্তু কোন টা ই তত টা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এই রহস্য থেকেই যাচ্ছে।
ডার্ক ম্যাটার কি?
ডার্ক ম্যাটার এর অস্তিত্ব সম্পর্কে যতটা না আমারা নিশ্চিত, ঠিক ততটা ই অনিশ্চিত এর পরিচয় আর গঠন সম্পর্কে। প্রথমত, ইহা ডার্ক অর্থাৎ অন্ধকার বা কালো, মানে হলো এটা কোন তারকা বা গ্রহের আকৃতির নয় যা আমরা দেখতে পারি। গবেষণায় দেখা যায় যে। সেখানে অনেক ব্যবধান যা দিয়ে মহাবিশ্বের গঠনে ২৫% দরকার হয়। দ্বিতীয়ত, এটা নরমাল ম্যাটার এর কোন অন্ধকার মেঘ এর মতোও নয়। পরমান্য দিয়ে তৈরি এমনি এক বস্তু- Baryons ও নয়। শুধু মাত্র আমরা একে জানি এই জন্যে যে আমরা Baryonic মেঘ কে সনাক্ত করতে পারি এর মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করা তেজস্ক্রিয় বিকিরন এর শোষণ নির্ণয় করে। তৃতীয়ত- ডার্ক ম্যাটার কোন অ্যান্টিম্যাটার ও নয়। কারন আমরা সেই বিস্ময়কর গামা রশ্মি দেখতে পাই না যখন অ্যান্টিমেটার ম্যাটার দ্বারা ধ্বংস করার সময় উৎপন্ন হয়। ফলশ্রুতিতে- আমরা ওদেরই পৃথক করতে পারি সে সব বিশাল ব্ল্যাক হোল আকারের গ্যালাক্সি গুলো অভিকর্ষীয় লেন্সে ধরা পড়ে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাটার আলোকে বেকে দিতে পারে যখন আলো তার অনেকটা কাছাকাছি হয়ে চলে, কিন্তু আমরা তখনও পর্যাপ্ত দৃশ্যমান আচরন দেখতে পাই না যে ধরে নিতে পারি অবজেক্ট এর বাকি ২৫% তৈরি হতে তা প্রয়োজন হয়। তাই রহস্য কন্টিনিউস...।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: এত প্লাস দিয়া কি করুম ভাই?
ধন্যবাদ!
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
এক্সপেরিয়া বলেছেন: মহাবিশ্বের কালো শক্তি দিয়া কি করুম যেখানে নিজের উপর ভর করা কালো শক্তিরই রহস্য বুঝিনা । তয় প্লাস দিলাম ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
এম হুসাইন বলেছেন: কন কি? আপ্নের তো দেকি আমার মতই অবস্থা, তয় আমি এখন আর নিজের সাদা কালো শক্তির ভর কে কেয়ার করি না, তাই মহাবিশ্বের শক্তি নিয়া গবেষণায় লাগলাম।
প্লাস এর জন্যে অনেক ধন্যবাদ ও ব্লগে স্বাগতম।
ভালো থাকবেন।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
শের শায়রী বলেছেন: আহ আমার পছন্দের একটা ব্যাপার। চলুক না। বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখার বড় আকাল, আপনার হাত দিয়ে পূর্নজাগরন হোক। সাথে আছি জানবেন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
এম হুসাইন বলেছেন: অনেক খুশি হলাম ভাই।
ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো নিয়মিত চালিয়ে যেতে।
ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: ৩য় প্লাস দিলাম ভাই, আপনার লেখার একজন নিয়মিত হিসেবে পাবেন আমাকে
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
এম হুসাইন বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, ধইন্যা!
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: স্যরি, নিয়মিত ভক্ত আর কি
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
এম হুসাইন বলেছেন:
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ডার্ক ম্যাটার নিয়ে নতুন কিছু জানলাম ।
পুরা পোষ্ট অসাধারন । +++++
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩
এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ব্লগে স্বাগতম!
ভালো থাকুন!
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা রইলো। একসময় আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল জ্যোতিঃপদার্থ বিজ্ঞানী হব!! মহাকাশের রহস্য সব আবিষ্কার করে ফেলব!!!
সামান্য তথ্যবিভ্রাট চোখে পরলো, সেটা হচ্ছে মহাবিশ্ব যে ক্রমশ প্রসারণশীল সেইটা হাতে কলমে আবিষ্কার করে দেখান ক্যালটেক( ডঃ জাফর ইকবাল স্যার এখানে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন ) এর জ্যোতিঃপদার্থ বিজ্ঞানী এডুইন হাবল, ১৯২৯ সালে। পরবর্তীতে নাসা তাঁর অবদান স্মরনে যে টেলিস্কোপ স্পেস ে পাঠায় তাঁর নাম রাখা হয় 'হাবল টেলিস্কোপ '।
আশা করি ভবিষ্যতে আরও পোস্ট পাব।
শুভকামনা রইলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩
এম হুসাইন বলেছেন: আসলে ওই প্যারার আগের ও পরের কিছু অংশ ডিলিট করে পোস্ট করতে গিয়ে এই বিভ্রাট ঘটেছে, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে।
আর আমারও আপনার মতই সপ্ন ছিল... আমার আগের পোস্ট পরলে বুঝতে পারবেন...
ভালো থাকুন, শুভকামনা!
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
মিষ্টি মেয়ে বলেছেন: আমি অত্তসব বুজি না। আমার খালি মিষ্টি খাইতে মন চায়..
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৫
মিষ্টি মেয়ে বলেছেন: Honge juda na hum....
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
আশিক মাসুম বলেছেন: হায়রে কাল শক্তি,
হুসাইন ভাই কেরামা আছেন?? আর ভাবি কেরাম আছে?? দেখিনা কেন ??? সালাম জানাইয়েন আমার
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
এম হুসাইন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ ভাই, ভালা আছি, আপ্নের কি অবস্থা?
ভাবি কে আপনার সালাম পৌঁছে দেয়া হবে
ভালো থাইকেন ভাই, শুভকামনা জানবেন!
১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮
আশিক মাসুম বলেছেন: ধব্যবাদ ভাই ভাল আছি।
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১০
এম হুসাইন বলেছেন: দোয়া করি ভাই, ভালো থাকুন, নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
রানার ব্লগ বলেছেন: +++++++